রোমেল একা একা পার্কের ভেতরে পায়চারি করছিল।লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনের খোঁজে তার সময় কেটে যাচ্ছে ।নানাবিধ চিন্তা তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। হাঁটতে হাঁটতে সে পার্কের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছল। সহসা তার দৃষ্টিগোচর হলো একটু দূরে একটা মানিব্যাগ পরে আছে।
-
গল্প
মানিব্যাগশরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান -
গল্প
গ্রীষ্মে দখিনা হাওয়াআসাদুজ্জামান খানস্যারেরা আর তার মা চাইছিলেন সে বিজ্ঞান নিয়েই পড়ুক। বাবাও তাই হয়ত চাইছিলেন, কিন্তু কিছু বলতে পারেন না। শুধু গোঁ গোঁ শব্দ করেন আর চোখের পানি ফেলেন।
-
গল্প
সেদিনের স্বপ্নপিপাসু ছেলেajoy dasবনের পথ কোন এক রকম হয়ে চলছে। ঔযে তখনকার পুরােনাে মডেলের বেবি টেক্সির মত। সবে মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে।কী করবে কী করবে ভেবেও কিছু করতে পারলনা। পারলনা স্নাতক/ডিগ্রি তে ভর্তি হতে।
-
গল্প
লাজে রাঙা সমাধিশাহ আজিজতোমার মনে কি পড়ে দুজন মিলে দোতালার সিঁড়িতে বসা । বেশ নির্জন বিকেল বেলা । এদিকটায় কেউ তেমন আসেনা একটা । আমরা আজই বসলাম প্রথম । এতদিন ডিপার্টমেন্টের বারান্দায় বসেছি , সামনেই বকুলতলা । কাঁঠালিচাপা পাশেই । তার মৌ মৌ গন্ধ পাগল করে তোলে ।
-
গল্প
শরমARJUN SARMAপদে পদে প্রভুনারায়ণ প্রহেলিকার প্রাকারে পরিবৃত ।ভুলো মনের কারণে কতবার যে প্রভুনারায়ণকে হেনস্থা হতে হয়েছে তার হিসেব নেই।অথচ ছাত্রাবস্থায় বাড়ির অন্যদের মতো না হলেও সেও মেধাবীই ছিল।পাল চৌধুরীবাড়ির ছেলেদের নামডাক ছিল স্কুল কলেজে।
-
গল্প
অকার্যকর মৃত্যুদণ্ডসেলিনা ইসলামআজ আমাদের ঊনত্রিশতম বিবাহ বার্ষিকী। আজকে খুব সুন্দর করে একটা খোঁপা বেঁধেছি। বিয়ের প্রথম দিকের সময়ে মিহির আমার খোঁপায় গোলাপ গুঁজে দিত। মুগ্ধ হয়ে বলত-
-মিঠি,খোঁপা বাঁধলে তোমাকে নায়িকা কবরীর মত লাগে। সব সময় এভাবে চুল বেঁধে রাখতে পারো না? -
গল্প
আলোভূক পোকাসাদিয়া সুলতানাকোহিনূর এক বছরও সংসার করতে পারেনি। গেল বছর এই পথে দিয়েই ও শ্রীনগরে ওর শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল। আবার দিন পনেরো আগে ছোট একটা ব্যাগ হাতে করে এই পথ দিয়েই বাপের বাড়িতে ফিরেছে।
-
গল্প
হেরনের সূর্যডোবামাইনুল ইসলাম আলিফআকাশ যেন আকাশ নয়! দুই দিকে সাদা মেঘের তীর আর মাঝখানে নীলের নদী।ওই নীল কি প্রশান্ত নীল! দূরে কোথাও ওই নীল যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে সাগরের ঢেউ খেলা জলের সাথে| তেজোদীপ্ত রোদ ম্লান হয়ে আসছে।বৈরিতা বেড়েছে সাগর জলের।সাগর মেতে উঠেছে তরঙ্গ খেলায়।বিকেলটা যেন বিষন্ন হতে চললো অজানা দুঃখবোধে কাতর হয়ে।ঝড়ো বাতাস বইছে।
-
গল্প
উৎসর্গপারভেজ রাকসান্দ কামালদরজা ঠেলে হঠাৎ রমেন মাষ্টার ডঃ মাহফুজুর রহমানের কক্ষে ঢুকলেন। হাত-পা কাঁপছে তাঁর থর থর করে। শান্ত ভাবে মাহফুজুর রহমানের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললেন, “তুমি আজ ডক্টোরেট ডিগ্রীধারী। তোমার ডক্টোরেট ডিগ্রী বা সচিবালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদের রেপুটেশন তোমার থাক বাবা। আমার পেনশন আর প্রভিডেন্ট ফান্ড তোমাদের মত দরিদ্র মানুষ কে আমি উৎসর্গ করলাম। তুমি শুধু আমার শেখানো বর্ণমালা আর অক্ষরজ্ঞানটুকু ফেরত দাও।”
-
গল্প
মুখচোরাফারহানা বহ্নি শিখাআমি বাসায় চলে আসলাম, রানুকে মায়ের সাথে রেখে। কিন্তু ঘুম আসছেনা। এপাশ ওপাশ করছি, এতো বড় খালি বিছানায় কোনোভাবে ঘুম আসছেনা৷ রানু প্রতি রাতে খুবই সংকোচের সাথে তার এক পা আমার পায়ের উপর দিয়ে বলতো,
আপনার কি কষ্ট হচ্ছে? নামিয়ে ফেলবো?
জুন ২০১৮ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
