নীরবতা

লাজ (জুন ২০১৮)

মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
মোট ভোট ৩৬ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.৩
  • ২৪
মৃত্যুর কাছে কখনো বহতা করিনি, জীবনের কাছে হারিয়েছি কত প্রীতিলতা
তবুও অশ্রুসিক্ত নয়নে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকি তোমার দরজা।
এই যে মনের করিডোরে জমিয়ে রেখেছি আকাঙ্খার অসুখ
দু’চোখের কটেজে নিয়ন বাতি জালাই প্রতিনিয়ত;
জোড়াতালি স্বপ্ন নাকি প্রত্যাশার বেলুন ফিরে দ্যাখিনি কখনো,
শুধু নির্জলা রাত্রির জলরঙে দু’হাত বাড়ায় আমার বিষাদে ঢাকা স্বরলিপির সুর।

ভেঙে যায় মন, ভেঙে যায় নির্বাক বর্ণমালা নিদারুণ; ফিসফাস শব্দে উতাল পাতাল জলতরঙ্গ
তবুও ফের করিনি তো আপোষ!
নিঃসঙ্গতার আঁধার, কিস্তিতে কেনা অপবাদ মেঘের কাছেই নিয়ত লুকোচুরি
এই তো শিশিরের শুভ্র কায়ায় ছুঁয়ে যায় ক্লান্ত অবসাদ, ফের ফুটে উঠে মেঘের সঙ্গম!
এভাবে বিলীন হতে হতে নীরব কালের সাক্ষী হয়ে দ্বাঁড়ায় অশ্লীল অতীত,
ধূসর নষ্ট জীবন আর তিলে তিলে ক্ষয়ে যাওয়া বাস্তুভিটা;
অতঃপর আর্তনাদের বুকে বসত গড়ি জ্বলন্ত সমুদ্র
যেখানে বর্ণময় কিছু সন্ধ্যা ফিরে দেয় আরও বেশি হতাশা, অভিমান আর অনুশোচনা!
একসময় আঁধারের মায়া কেন্দ্র করে শার্সিত জানালার গ্রিল বেয়ে বেয়ে ভিজে উঠে পাপোষ;
তবুও তোমার প্রতি মোটেও রাগ করিনি,
তুমি দাওনি বলে ধৈর্যের পাথর বসিয়েছি গভীর নলকূপে!

প্রভু! একবার নয়, শতবার তোমার কাছে হাত পেতে ভিক্ষে চাইতে
আমার কোন লজ্জা করে না, দ্বিধার অবকাশ জমে না।
আজ আর সুখ খুঁজি না, শান্তি কি তাও বুঝার প্রয়োজন মনে করি না;
যদি একসাগর জলে ভেলা ভাসিয়ে দাও জীবন, ভেঙে টুকরো টুকরো করে দাও রক্ত গড়া সভ্যতা
সেদিনও তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে কোন লজ্জাবোধ করবো না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাইনুল ইসলাম আলিফ অনেক অনেক অভিনন্দন ভাই।
অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই। ভালো থাকবেন।
ARJUN SARMA নুরেআলম সাহেব, অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ভালো থাকুন, আরো সেরা লেখা লিখুন।
অনেক ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন নিরন্তর
সেলিনা ইসলাম N/A অনেক অনেক অভিনন্দন রইল।
কাজী জাহাঙ্গীর অনেক অনেক অভিনন্দন রইল।
মোঃ জামশেদুল আলম অনেক অনেক অভিনন্দন।
Jamal Uddin Ahmed অনেক অভিনন্দন, ভাই।
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত ভাই , খুব ভাল লাগছে । অনেক অনেক অভিনন্দন আর ভালবাসা ।
অনেক ধন্যবাদ সাথে কৃতজ্ঞতা দাদা
ফাহমিদা বারী অনেক অভিনন্দন নুরে আলম। এগিয়ে যাও।
অনেক ধন্যবাদ আপু। দোয়া করবেন।
Lutful Bari Panna অভিনন্দন নূরেআলম...
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
দোয়া করবেন যেন এগিয়ে যেতে পারি।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আমরা কোন না কোনভাবে প্রতিনিয়ত পাপের শামিল হই। হয়তো অনেক সময় এমন কষ্টের ভিতরে পতিত হই যে, সৃষ্টিকর্তার কাছে সে কষ্ট নিরাময় হওয়ার জন্য পানাহ চাই। ততক্ষণে যদি তিনি আমাদেরকে সাহায্য না করেন তখন আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে বরং অনেক রাগ হই এবং তাঁর এবাদাত থেকে দূরে সরে যায়। কিন্তু আমরা এইটুকু ভাবি না যে, প্রভু যা করেন সবার ভালোর জন্যই করেন। তিনি যদি আমাদের ভালোর জন্য করেন, কিংবা আমাদের চাওয়ার মাঝে যদি অন্য কিছুতে নিয়ামত রাখেন তাহলে আমরা তাঁর থেকে গাফলতি হওয়ার কোন মানেই হয় না! তিনি তো মহান, তিনিই তো ক্ষমা করার মালিক, তিনিই তো সব কিছু দেয়ার মালিক; তাহলে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে, কোন কিছু চাইতে আমাদের লাজ কিসের? আমাদের এত দ্বিধা কিসের? আমরা যদি কোন কিছুর কাছে আপোষ না করে তাঁর কাছে একবার নয়, শতবার চাই তাহলে নিশ্চয় তিনি আমাদের দূরে ঠেলে দিবেন না। সুতরাং আমার "নীরবতা" কবিতাটি ব্যাখ্যা করলে "লাজ" বিষয়ের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যতা পাবে বলে আশা করি।

২২ ডিসেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬৯ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.৩

বিচারক স্কোরঃ ৩.৩৪ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ১.৯৬ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পদত্যাগ”
কবিতার বিষয় "পদত্যাগ”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুন,২০২৫