লাজহীন অন্তর্দহন

লাজ (জুন ২০১৮)

নুরুন নাহার লিলিয়ান
  • ৫৭
পাঁচ মাস আগে এমন স্নিগ্ধ হীম হীম সকালে আমার বিশ বছরের মেয়েটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে । নাহ! মরে যায়নি ।সমগ্র বন্ধন ছিঁড়ে চলে গেছে । আমাদের ছেড়ে দূরে থাকবে তাই একটি ছোট্ট চিরকুটে পিতা মাতা হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা গুলো লিখে রেখে গেছে ।আমি কিংবা আমার স্বামী সাহিল কোন দিন ভাবতে পারেনি আমাদের এতো আদরের সন্তান আমাদের ছেড়ে থাকতে পারে । এমন সুন্দর সকাল এতো ভয়ংকর অভিশাপ নিয়ে আসতে পারে ! দুটো ছেলে মেয়ে নিয়ে আমাদের সাজানো গুছানো সংসার ছিল ।ছেলে মেয়ে দুটো হৈ হুল্লোড় করে সকাল রাত মাতিয়ে রাখতো । একজন মা হিসেবে একবার ও অনুভব করতে পারিনি এমন কোন পরিস্থির মুখোমুখি হতে হবে ।

আমি তখন অসুস্থতার কারনে বাসায় ছিলাম ।আমার স্বামী সাহিলের কানে তখন ও খবরটা পৌঁছায়নি । চিরকুটটা ভাগ্যিস দেখেছিলাম । কি অদ্ভুত অসহায়ত্ব আমাকে অসাড় আর নিস্তেজ করে দিল । খালি বাড়িতে ওই ছোট্ট একটা চিরকুট আমার বুকে যেন একটা ধারাল ছুড়ি বসিয়ে দিয়ে ছিল ।আমি ঠিক কতক্ষণ আমার মেয়ের বিছানায় একই জায়গায় বসেছিলাম আমি নিজে ও জানি না । বিকেলের দিকে আমার স্বামী সাহিল বাসায় আসে । তারপর আমার সম্বিৎ ফিরে আসে ।সাহিল চিরকুটটা হাতে নিয়ে বারান্দায় লাগানো মেয়ের প্রিয় লাল গোলাপ গাছ গুলোর দিকে তাকিয়ে একাধারে সিগারেট টেনেছে । আমার বেড রুমে গোপনে রাখা হোয়াইট ওয়াইনের বোতলের সবটুকু সারা রাত ধরে সাহিল একাই শেষ করেছে । কিছুই বলিনি । বলতে পারিনি । আমার এই লাজহীন অন্তর্দহন আমি কাকে দেখাব ।

বাইশ বছর আগে মেয়েটাকে সাথে নিয়ে অনেক অনেক যুদ্ধ করে আমরা কানাডা এসেছিলাম ।আমার আর সাহিলের প্রেমের বিয়ে । আমার বয়স তখন সতের । সাহিলের মাত্র একুশ বছর । সাহিলের বড় দুই ভাই বোন তখন ও অবিবাহিত।আমি বাসার বড় মেয়ে । আমার ছোট আরও দুই বোন এবং এক ভাই ছিল । বাসার বড় মেয়ে হিসেবে মা বাবা আমার কাছে ভাল কিছু আশা করত । কোন ভাবেই সাহিলের মতো বেকার ছেলের কাছে বিয়ে দিবে না । তখন সাহিলদের পারিবারিক ভাবে কানাডা সেটেল্ড হওয়ার সকল প্রস্তুতি শেষ হয় । সাহিল গোপনে বিয়ে করার জন্য আমাকে চাপ দেয় । মধ্য বিত্ত মফস্বলের মেয়ে আমি । এতোটা সাহস ছিল না প্রচন্ড রাগী বাবার মুখোমুখি হওয়া । কিন্তু সে সময় সাহিল আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসতো । সাহিলের চাপাচাপিতেই এক সময় আমার ভেতরের ভয় ভেঙ্গে যায় । আমরা বিক্রমপুর থেকে পালিয়ে গেলাম নারায়নগঞ্জে।সেখানেই সাহিলের কিছু আত্মিয়ের সহযোগিতায় বিয়ে করি ।যদিও আমার প্রান প্রিয় সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার সে অন্যায় মেনে নিয়েছিলেন ।

দুমাস পর আমাদের পারিবারিক ভাবেই আবার অনেক আয়োজন করে বিয়ে হয় । বছর ঘুরতেই আমার মেয়েটার অস্তিত্ব আমার সমগ্র শরীরে পরিবর্তন আনে । কি যে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা । আমার অনিশ্চিত জীবনের দিকে সবার অবহেলার চোখ । তখন সাহিল চলে গেল কানাডা । আর আমি কন্যা সহ বাবার ঘাড়েই বেঁচে থাকার যুদ্ধ করতে লাগলাম । যদি ও সে সময় স্বামী ভাগ্যটা আমার ভালই ছিল । কেননা সাহিল কানাডা গেলেও আমার সাথে যোগাযোগ রেখেছিল । কয়েক বছর পর মেয়েকে তিন বছরের কোলে নিয়ে কানাডার ক্যালগ্যারিতে আমাদের নতুন সংসার শুরু হল । বেঁচে থাকার নতুন যুদ্ধ ।সে যুদ্ধের মাঝে সহযোদ্ধা স্বামী সাহিলের অনেক গোপন কুকীর্তি আমার গোচরে আসে। মদের নেশা , ভিনদেশি নারীপ্রীতি আর আমাকে দমিয়ে রাখা স্বেচ্ছাচারিতা । নিজের সাথে অনেক অনেক বোঝাপড়া করেছিলাম ।

মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে আমি । স্বামীকে ডিভোর্স দিলে বাবা মা আবার কষ্ট পাবে । বোন গুলো শ্বশুর বাড়িতে কথা শুনবে । সাহিলকে পালিয়ে বিয়ে করে একবার সবাইকে কষ্ট দিয়েছিলাম । আর কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি । তাই সব টুকু কষ্ট নিজের কাছে রেখেছি । সাহিলের সাথে ও সেই ছোট্ট বেলার প্রেমটা আর নেই । নিতান্তই দুজনের সমাজ আর জীবনের দিকে তাকিয়ে একসাথে বেঁচে থাকা । মাঝে মাঝে সাহিল সীমা অতিক্রম করে ফেলত । আমাদের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হতো । মেয়েটা ভেতরে ভেতরে আমাদের দুজন কে চরম অশ্রদ্ধা আর ঘৃণা করেই বড় হয়েছে।পৃথিবীর সাথে সে কবেই সমঝোতা করে নিয়েছি । স্বামীর করা সকল উৎপীড়ন আর অন্যায় আমিই মেনে নিয়ে শুধু সংসার বাঁচিয়েছি । আমার একান্ত লাজ লজ্জা রক্ষা করেছি ।বাইশ বছর পর আজ পেটের সন্তান ও বলে গেল " ইটস ইউর চয়েজ !ইটস ইউর লাইফ। তুমি কেন এই জীবন মেনে নিয়েছো । কেন সংসার রক্ষা করতে সব সহ্য করেছো । স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার সবার অধিকার আছে"।

মেয়েটা চলে যাওয়ার পর দুই সপ্তাহ আমি আর সাহিল কেউ কোন কাজ করিনি । কেউ কার ও সাথে কথা বলিনি । পুলিশ নিয়ে ওর কলেজে গিয়েছিলাম । মেয়ে আমার আঠার বছর অতিক্রম করেছে । স্বাধীন আইনের বলে পিতা মাতা হয়ে ও আমরা তাকে শাসন করার অধিকার হারিয়েছি । শেষ যখন ফিরে আসছিলাম । সাহিল ড্রাইভ করছিল । আমি মেয়েটা গাড়িতে যে সিটে বসত সেখানে হাত রেখে কান্না করছিলাম । সারাটা পথ সাহিল শুধু বলেছিল ," ডালিয়া ডোন্ট ক্রাই! সি ইজ নাও এডাল্ট এনাফ !প্লিজ ডালিয়া ডোন্ট ক্রাই!
সাহিল আমাকে সান্ত্বনা দিতে দিতে লুকিয়ে নিজেও দু'ফোঁটা জল ফেলেছে ।
আমার প্রথম কন্যা সন্তানের বার বছর পর ছেলেটির জন্ম হয়েছিল । ওর বয়স আট ।ও স্কুলে যায় । বাসায় যা ঘটছে টুকটাক বুঝে । আমি আবার অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে মা হতে চলেছি ।ছয় মাস হতে চলেছে । আগে জানলে হয়তো তাকে পৃথিবীতে আনতাম না । ছোট ছেলেটা জিজ্ঞেস করে ,"হোয়ার ইজ সি?
আমি উত্তর দেই ," সি হেজ গন।"
সে রেগে গিয়ে বলে ," সি ইজ লায়ার । সি ডিডন্ট গিভ মি চকোলেট এন্ড এপল জুস । সি ইজ লায়ার!"
আমি আর কোন উত্তর দিতে পারি না । শুধু বলি ," ইয়েস ,সি ইজ লায়ার!"

বড় মেয়েটাকে বলা হয়নি ।ও তো আমাদের বিলাস বহুল বাড়ি রেখে ইন্ডিপেন্ডেট হতে বান্ধবীর সাথে রুম শেয়ার করে ডাউন টাউনে একটি পুরনো বাসায় থাকে । কি অদ্ভুত কঠিন আর নির্মম জীবন আমার! মেয়েকে বললেই কি সে কেঁদে কেটে আমার কাছে চলে আসবে ! নাহ! এই আধুনিক দেশে সবার নিজের জীবন নিজেকেই ভাবতে হয় । এখন তাঁর স্বাধীনতা উপভোগের সময়! আমাদের তাকে বিরক্ত করা ঠিক না !

এই কয়মাস বড় মেয়েটা কে নিয়ে এতো গভীর হতাশায় ছিলাম যে বুঝতেই পারিনি কখন আমার ভেতরে অন্য আরেক প্রান সঞ্চার করেছে । প্রথম দিকে আমরাই ওকে ফোন দিতাম ,দেখা করতে যেতাম । এক মাস ধরে আমরা ও অভিমান করে ফোন দেই না । বড় মেয়েটা যখন পেটে এল । সাহিল বেকার ছিল কিন্তু আমাদের ভেতরে গভীর ভালোবাসা ছিল । জীবনে ছোট ছোট দুঃখ নিয়েও আনন্দ ছিল ।এই আমি আবার মা হতে যাচ্ছি ।এখন আমার কানাডা আর বাংলাদেশে অনেক সম্পদ, বাড়ি, গাড়ি আছে । ব্যাংকে জমানো টাকা আছে । কিন্তু আমাদের কারও মাঝে শান্তি নেই । ঘুম আর আনন্দ নেই । জীবনের ছন্দ নেই ।তুমুল আদরে আনন্দে বড় করা সন্তানটি ও নেই । শুধু আছে লাজহীন অন্তর্দহন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাইনুল ইসলাম আলিফ এমন হলে আসলেই খুব খারাপ লাগে।সুন্দর গল্প।শুভ কামনা আর ভোট রইল।আসবেন আমার গল্প আর কবিতার পাতায়।
অনেক ধন্যবাদ । অবশ্যই আপনার পাতায় আসছি । ভাল থাকবেন ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী খুব একটা দায়বদ্ধতা টেনেছেন। গল্পের এবং চরিত্র এবং কাহিনীগুচ্ছ সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার গল্পটি বেশ ভালো হয়েছে। অনেক শুভকামনা সহ শুভেচ্ছা রইল
সেলিনা ইসলাম কী দুর্ভাগ্য বাবা মায়ের নিজের সন্তানদেরকে শাসন করা যায় না! হাজারো স্বপ্ন সুখ ধোঁয়া হয়ে মিশে যায় আকাশে। না যায় কাউকে কিছু বলা। না যায় হৃদয় চিরে দেখানো! লজ্জা ভয় আর কষ্ট বাঁধা পড়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার বাসনাতে। একদিক দিয়ে চিন্তা করলে বিষয়টি সন্তানদের জন্যই ভালো। কিন্তু আমরা যেভাবে যে পরিবেশে বেড়ে উঠেছি সেখানে বাবা মাকে ছেড়ে অবিবাহিত ছেলে মেয়ে আলাদা থাকাকে খুব খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হয়। যার জন্য বাবা মাকে লজ্জিত হতে হয়। খুব ভালো লাগল গল্প। শুভকামনা নিরন্তর।
Shamima Sultana শুভ কামনা শুভেচ্ছা, ভোট রইল আমার পাতায় আমন্ত্রণ আসবেন এবং আমাকে উৎসাহ দেবেন আশা করি।
অনেক ধন্যবাদ আপু । আপনার সাহিত্য ঘরে আসছি এক কাপ চা দিয়েন । লেখা পড়তে পড়তে মাথা ধরেছে ।
%3C%21-- %3C%21-- ভাল লাগল। ভোট রেখে গেলাম। শুভকামনা রইল। সময় পেলে আমার লেখাটি পড়ে দেখবেন। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ । আসছি আপনার পাতায়
শাহ আজিজ জীবনটা এরকমই হয় অনেকের ক্ষেত্রে , বিদেশের কালচারে , বাবা-মার জটিল সম্পর্ক । ভালো লাগল গল্প ।
মোঃ মোখলেছুর রহমান ঠিক ধরেছেন আমেরিকান ঐ প্রথাটি আমার জানা ছিলনা,তাই এ হেরফের। পূনঃ ধন্যবাদ।
মোঃ মোখলেছুর রহমান বড় মেয়েটা কেন পালিয়ে গেল এটা কিন্তু স্পষ্ট নয়,কিছুটা ইঙ্গিত হয়তো বা দেয়া যেত।যা হোক বিষয়টা যদি পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়ে থাকেন আমার মত পাঠক ভাববে-১া যদি পালিয়ে বিয়ে করে থাকে তবে মায়ের পথ অনুসরণ করেছে,যেটা আগের হাল যে দিকে যায় পাছের হাল সেদিকে যায়" তুল্য।২য় সে যদি বিয়ে করে না থাকে তা হলে বলা যায় মায়ের উপর নির্যাতন তার সহ্য হয়নি।এটা তার মানসিক উৎকর্ষতা,বিবেক। যা হোক আপনার গল্পে সমাজের অতি বাস্তব প্রতিচ্ছবিটা ফুটেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।ভোট সসহ শুভকামনা রইল।
সম্মানিত লেখক আপনি মনেহয় মনোযোগ দিয়ে পড়েননি কিংবা কিছু বিষয় আপনার পড়ার ফাঁকে পরেছে ।অথবা আপনি বুঝতে পারেননি । আমি আমেরিকা ইউরোপের একটি সাধারন চিত্র তুলে ধরেছি । আঠার বছর বয়স হলেই সেসব দেশের ছেলে মেয়েরা স্বাধীনতা উপভোগের জন্য পরিবার থেকে সেপারেট থাকে । আত্মনির্ভরশীল হতে তারা নিজ থেকে আলাদা হয়ে যায় । কিন্তু আমাদের মতো যারা রক্ষনশীল মধ্যবিত্ত সমাজে বেড়ে উঠা যারা পারিবারিক প্রথা কে সম্মান করি তাদের জন্য দুঃখজনক । তারা বিষয়টা মেনে নিতে পারে না । নিজের বাড়ি ঘর থাকতে সন্তান দূরে গিয়ে একা থাকবে এটা ভীষণ কষ্টের । আমাদের দেশের মা বাবারা ভাবতে পারে না কিভাবে সন্তান কে দূরে রেখে নিজেরা ভাল থাকবে । কিন্তু সন্তান গুলোই আত্ম নির্ভর হতে নিজের মতো স্বাধীনতা উপভোগ করতে মা বাবা থেকে দূরে সরে যায় । আশাকরি বুঝাতে পেরেছি । অনেক ধন্যবাদ ।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

ই বারের বিষয় ছিল " লাজ" । মানুষের একান্ত মনোজগতের যে বিষয় বস্তু কিংবা অনুভূতি গুলো মানুষ লুকিয়ে রাখতে চায় । যা প্রকাশে মানুষের ব্যক্তিত্ব কে ছোট করে । তাই সেই লজ্জাকর কিংবা লাজ লজ্জায় ভরা একান্ত জগত মানুষ প্রকাশ করতে চায় না । আমার গল্পটি তেমনই এক অধ্যায় নিয়ে যা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ডালিয়ার জন্য লজ্জাকর । যা তাকে সংকুচিত করে দেয় । জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দেয় । গল্পের বিষয় বস্তুর সাথে কাহিনী বেশ ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ ।

০২ নভেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ১৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪