আম্মা,পায়ের শিকলটা খুলে দেন না । আর দরজার নিচ দিয়ে খাবার দেন কেন আম্মা?আম্মা অনেক দিন হল বাহিরে ঘুড়তে যাই না । নিয়ে যাবেন ?
- হুম বাবা,নিয়ে যাব ।
- আম্মা একটু কাছে আসেন না,আপনাকে ছুঁয়ে দেখি । ভয় পাইয়েন না । আমি কিছু করবো না ।
আম্মা,পায়ের শিকলটা খুলে দেন না । আর দরজার নিচ দিয়ে খাবার দেন কেন আম্মা?আম্মা অনেক দিন হল বাহিরে ঘুড়তে যাই না । নিয়ে যাবেন ?
- হুম বাবা,নিয়ে যাব ।
- আম্মা একটু কাছে আসেন না,আপনাকে ছুঁয়ে দেখি । ভয় পাইয়েন না । আমি কিছু করবো না ।
দুই দুইটা সরকারী হাসপাতালে গিয়েও কোন লাভ হলো না। এত করে রতনের বাবা বোঝাতে চাইলো যে এটা তার ছেলের পুরনো রোগ। করোনার উপসর্গ হলেও করোনা না। কষ্ট হলেও রতন নিজে কথা বলে বোঝাতে চেয়েছে তার এটা অন্য রোগ। এমনকি পূর্বের চিকিৎসার কাগজ পত্র দেখানোর চেষ্টা করেছে।
এখন সে রেললাইনে ট্রেনের সামনে দাড়িয়ে ভাবে আমার জন্ম এমন দেশে এখানে কেউ পড়ে গেলে তাকে সাহায্য করার হাত নেই বরং তাকে দেখে উপহাস করার মানুষের অভাব নেই।
কোভিড ১৯ বা করোনা ভাইরাস । আতঙ্কের নাম । ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম এই মরণঘাতী ভাইরাসের দেখা মেলে । ধীরে ধীরে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরে এই ভাইরাস । কোন বর্ডার মানে না; লাগে না কোন পাসপোর্ট । ধনী দেশ; গরীব দেশ এই ভাইরাসের কাছে সমান । ভয় করে না কারও চোখ রাঙানি; কোন এটম বোমা বা পারমাণবিক অস্ত্র ।
ধ্রুব ধীরলয়ে হাঁটছে। একা । রাত এগারটা। ধানমণ্ডি লেকের পাড়। কারণ অকারণ কিছু একটা অবশ্যই আছে, তবুও বুঝতে পারছে না কেন সে নির্বোধের মত হাঁটছে।
এপার্টমেন্ট বিল্ডিং-এর সিকিউরিটি গার্ড নিষেধ করেছিল, ‘ভাইয়া, পুলিশ আছে রাস্তায়। ঝামেলা হইতে পারে।’
একদিন স্কুল থেকে বাবার সাথে রিক্সায় আসার সময় বায়না ধরেছে বার্গার আর আইসক্রিম খাবে । রিক্সা থামিয়ে বাবা মেয়ের জন্য বার্গার নিয়ে আসলো । মেয়ের ঠাণ্ডা লাগবে ভেবে আইসক্রিম আনেনি । আলিয়া আইসক্রিম না পেয়ে রাগ করে বার্গার রাস্তায় ছুঁড়ে ফেললো । কোথা থেকে দুজন তার সমবয়সী বাচ্চা ছেলে এসে রাস্তায় ফেলা বার্গারটি কুঁড়িয়ে নিয়ে দুজনে ভাগ করে খেতে শুরু করল।
রতন মিয়ার সংসারের অবস্থা বেহাল। তার সব স্বপ্ন এক ঝড়েই শেষ। কি করবে এখন রতন মিয়া? কীভাবে বেঁচে থাকবে সমাজে? তার চোখেমুখে অসহায়ত্বের প্রতিচ্ছবি।
প্রাচীনকালে এক যোগী ছিলেন । তিনি এক গভীর বনে আশ্রম বানিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করতেন। সেই যোগী যখন ভগবানের মহিমা কীর্তন করতেন সে সময় একটি ইঁদুর চুপটি করে বসে অত্যন্ত ভক্তিসহকারে সেই কথা শুনত। সেই যোগী ইঁদুরটির উপর অত্যন্ত প্রসন্ন ছিলেন ও নিজের আনা ফলমূল, ছোলা ইত্যাদি ইঁদুরটিকে দিতেন।
'আব্বা!'
সুরুজ মাষ্টার পত্রিকার দিকে দৃষ্টিপাত রেখেই বললেন, 'বল।'
'ও আব্বা!'
'আমি শুনতাছি।'
'শুনলেই হইবো না, এদিক চাও।'
তোমার জন্যি আমি ঘর ছাড়ছিলাম। তোমার সাথে করি যাব বহুদুর, তোমারে কবুল কইয়া দিছিলাম অন্তর। ঠিক যতখানি আকড়াইয়া ধরছিলা তুমি আমার শরীরডারে তারচাইতেও অনেক বেশী অনুভব করছিলাম তোমারে, আমার কলিজার ভিতর।
“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী