সাইফ একটি নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে।ঘরে তার বাবা মা এবং তার ছোট বোন। সে অনার্সে
২য় বর্ষে পড়ে।তার বাবা একজন কাপড় শ্রমিক মাসে ৮০০০ টাকা বেতন পায় আবার অনেক সময় সুতা বা কাপড় বিক্রি করতে না পারলে মালিক কারখানা বন্ধ করে দেয়।তাই তার বাবার টাকায় সংসার চালনায় ই হিমসিম খেয়ে যায়।তাই তার মা সেলাই করে তার এবং তার বোনের পড়ার খরচ যোগায়।সে এবং তার বোন ও তার মাকে সেলাই এর কাজ এ সাহায্য করে।ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছে তার মা গভীর রাত পর্যন্ত জাগে আবার ভোরে আযানের আগে ঘুম থেকে উঠে আবার সেলাই এ বসে যায়।এখন এতগুলো বছর কাজ করার পর তার মা কোমড় এর জন্য বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না।তাই তার মা তাকে একটি চাকরী করার কথা বলে।তাই সে একটি চাকরী পাওয়ার আশায় অণনক ঘুরাঘুরি করে সে এটাও ভাল করে জানে চাচা মামা না থাকলে দুনিয়ায় কোন হয় না।
এদিকে তার উপার্জন না থাকার কারনে সে বই কিনতে পারছে না তাই সে তার বন্ধুদের কাছ থেকে বই ধার নিয়ে পড়া কম্প্লিট করে ।কিন্তু তার পড়ালেখা থেকে তার টেনশন ই বেশি।কারন মাস শেষে শুধু বাবার টাকায় বাসা ভাড়া সাংসারিক খরচ দেওয়া অসম্ভব।তাই সে তার এক আত্মীয়ের সুপারিশে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী পায়।তাই সে কলেজেএটেন্ড করতে পারে না ।অন্যদিকে ডিপার্টমেন্টের হেড বলেন অবশ্যেই সকল ক্লাশে উপস্থিত থাকতে হবে নয়তো এটেনডেন্স নাম্বার দেওয়া হবে না।এবং সকল প্রেকটিক্যাল ক্লাশে উপস্থিত থাকতে হবে।এখন সে ক্লাশে উপস্থিত না থাকলে তার লেখাপড়া টিকিয়ে রাখতে পারবে না আর এরকম চাকরীতে অনুপস্হিত থাকলে চাকরী ও থাকবে না।তাহলে লেখাপড়া চালানো সম্ভব না।অন্য দিকে তার মা বলেন বাবা তোকে অনেক কষ্ট করে তোকে এতটুকু আনছি লেখা পড়াটা ছাড়িস না।অন্যদিকে স্যার বলে চাকরী যেহুতু কর আর লেখাপড়া কেন করবা।যদি লেখাপড়া করতে চাও চাকরী বাদ দাও।
এখন সে রেললাইনে ট্রেনের সামনে দাড়িয়ে ভাবে আমার জন্ম এমন দেশে এখানে কেউ পড়ে গেলে তাকে সাহায্য করার হাত নেই বরং তাকে দেখে উপহাস করার মানুষের অভাব নেই।
অসহায়ত্ব
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী