এই যে তোমাকেই বলছি!
তোমাকে ভালবাসি!!
এত গুলো লোকের সামনে দাড়িয়ে বলছি
তারপরও বিশ্বাস হচ্ছে না?

কিন্তু হায়! জিঘাংসার বীজ গজায় তরতরে তোমাদের সমাজ পটে
ধানক্ষেত, নদী, সমুদ্র, চর, বস্তি, পুকুর ঘাটে।
বাতাসে লাশের গন্ধ, লাশের গন্ধ জলে
রাস্তায় রাস্তায় হাহাকার, রুগ্ন জনপদ শবদেহের যাঁতাকলে।

ওদিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীটিও মা হয়
ধরণী কাঁপে তার চিৎকারে,
তোমাদের নির্মমতায় - তোমাদের পাপের গ্লানিতে
মলিন হয় সূর্যের রঙ! কালো মেঘে ঢেকে যায় চাঁদ!
এ লজ্জাটুকু কার?

আমার যেমন লাজুক স্বভাব,
একলা ঘরে
অন্ধকারে।
অগোচরে সবাই কেমন হয় অবাক!
বাইরে দেখি-
ছুটছে জীবন অবলীলায়,
গাড়ীর চাকায়

স্বার্বভৌমত্বের পর থেকেই শিক্ষার মন্ত্র পাঠ রত ছিল যে,
তাঁর আদর্শ গেঁথে দিতে কতনা তপস্যা কত শস্য ফলাল শিক্ষার মাঠে।
বলেছিল প্রিয় সন্তান সম শিক্ষা যাত্রী ,

ঘুরছে নারী ঘুরছে পুরুষ
নাই যে তাদের কোন হুশ,
বাঁচার নেশায় ছুটছে তারা
হুদাই ঘুরে হয় বেহুশ।

বেশ হাসিমুখ দেখছি তোমার কত নিলে ভাই
আরে বেশি নিতে পারি নাই এই সামান্য কিছু
তা কঠিন ছিল বুঝি এবারের খদ্দের তোমার
বলতেই পারো এ্যায়ছা কৃপণ ঘুরতে হয়েছে পিছু পিছু।

এক মুঠো শিউলী গুঁজে রেখেছি তোমার পাটভাঙা শাড়ির ভাঁজে...
বিছানাতে আলগোছে সাজিয়ে রেখেছো,
এখনি বুঝি কাক ডুব সেরে জড়িয়ে নেবে গায়ে।