আরাফ প্রকৃতি খুব পছন্দ করে। প্রকৃতির কাছে গেলেই ওর ইচ্ছে করে যেন একেবারেই মিশে যায়। সাথে থাকা দামী হুয়াওয়ে মোবাইলটার সাথে দিনের বেশীরভাগ সময়ের সখ্যতা ওর।
আরাফ প্রকৃতি খুব পছন্দ করে। প্রকৃতির কাছে গেলেই ওর ইচ্ছে করে যেন একেবারেই মিশে যায়। সাথে থাকা দামী হুয়াওয়ে মোবাইলটার সাথে দিনের বেশীরভাগ সময়ের সখ্যতা ওর।
সেইবার যখন ছোডো ভাইটা জন্মের সময় মইরা গেলো,সবাই মারে কইলো অলক্ষুইন্না।কেউ না দ্যাখলেও আমি দ্যাখছিলাম নয় মাইস ধইরা মায়ের কষ্টডা।দিনরাত মা আমার খাটতো
বাবা আমার ভীষণ ভয় করছে।
-না রে মা ভয়ের কিছু নেই।
-বাবা আমি বাঁচবো তো?
-কী যে বলিস মা। এই করোনা ভাইরাস আমার মাকে কিছুই করতে পারবে না।
-বাবা কত মানুষ মারা যাচ্ছে।
“নাহ। যাব না। যাব কী করে? আম্মু বকবে।” তুতুন খাতার পাতা ছিড়ে কথাগুলো লিখে ঘুড়ির সুতোয় বেঁধে দিল।
এমন বৃষ্টিতে জহিরুদ্দিন আনমনে বড় মেয়েটার বিয়ের কথা ভাবছে, ভাবছে নতুন একটা বড় নৌকা কিনবে । ইঞ্জিন লাগাবে । সেই নৌকা নিয়ে গঞ্জে গঞ্জে মালসামান নিবে । তার আয় বাড়বে। মেয়ে দুটি বড় হচ্ছে ।
যখন বাবা বৃষ্টির মত অঝর ধারায় কেঁদে বসলেন! বাবার এই কান্না ভরা মুখখানা দেখে আমি আর বসে থাকতে পারিনি। বাবার বুকটা জড়িয়ে কাদতে লাগলাম!
আসাদ সাহেব আজকে অসময়ে বাড়ি এসেই অকারণে চিতকার চেঁচামেচি করে যাচ্ছেন। ফেরার সময় তিনি এক ভিক্ষুকের সাথে রাগারাগি করে আসলেন। পিত্তথলিতে তিনটা পাথর হওয়ার কাহীনি শুনার পর ৫ টাকার একটা ছেঁড়া নোট বের করে দিলেন। ভিক্ষুক ডাক দিয়ে বলল, স্যার, আপনোর টেকা আপনেই লইয়া যান।
খোকা বিশ্বাস কর তোকে এত সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। খোকা আজ আমার অন্ধকারে ভয় করে না,ভয় করে না আর রক্ত দেখে। আজ আমি সব কিছুতেই মানিয়ে নিতে পারি। জানি তোর বাড়িতে আলোর কোনও অভাব নেই।
সৌমিনী ঘুরে এসেই ভাত চাইতে লাগলো। মা পাতিল থেকে দুমুঠো ভাত প্লেটে দিতেই রেগেমেগে সৌমিনী বলতে লাগলো তরকারি কই। হুদা ভাত আমি খামু না। প্রত্তিবার খালি হুদা ভাত আর ভাত।
লতা কোন কথা না বলে চৌকাঠে বসে দরজার সাথে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কোন কথা বলছে না। চিন্তায় চিন্তায় শুকিয়ে যাচ্ছে সে।
মা! ও মা! তরকারি দিয়া যাও। হুদা ভাত ক্যামনে খামু?
বেশ কয়েকমাস ধরে শাহীন ঘরে আছে।মেডিকেল লাইফে প্রবেশের পর থেকে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বেশিসময় ধরে বাসায় অবস্থান করা।একরকম দোটানা অবস্থা