বৃদ্ধাবাসে একলা মা

কষ্ট (জুন ২০২০)

স্বপন চক্রবর্তী
মোট ভোট প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.৬৭
  • ৮৫

বৃদ্ধাবাসে জানলা ধরে ঝাপসা চোখ দাঁড়িয়ে একা,
টালমাটাল দুখানি পা, আসে যদি মায়ের খোকা।
এটাই করে লালন পালন, টিমটিমে এক বাঁচার নেশা,
ভিতর ঘরে বইছে স্মৃতি, তরঙ্গিণী খরস্রোতা।
মায়ের মন- আসবে খোকা, শুন্য পথে দুচোখ পাতা,
আগের মতো জাপটে গলা, ভিজিয়ে দেবে আদিখ্যেতা।

জানলা বেয়ে পথ চলে যায়, গাছের সারি পাশ কাটিয়ে,
হয়তো খোকন ব্যস্ত ভীষণ, সন-তারিখের হিসেবে নিয়ে।
ছেলেটাও তো ছোট এখন সামলানো কি মুখের কথা,
আগে তো খুব দুষ্টু ছিল, কতরকম বায়না যে তার।
খাবার পাতে নিজের হাতে, একটা যদি দানা কাটে,
হাতে ধরে খাইয়ে দিলে, তবেই না ভাত মুখে ওঠে।
ঠিক হয়েছে বাবার মতো,ওরও ছিল এক ঝামেলা,
ভাত নিয়ে থাকবে বসে , নিজে তাও মেখে খাবেনা।
স্কুল পেরিয়ে কলেজ যখন, তখনও সেই এক বাহানা,
মা মেখে খাইয়ে দিলে তার নাকি স্বাদ আলাদা।

গাড়ি, বাড়ি,আধুনিকতা, ঢেকে রাখে সেসব কথা।
ঢাকা থাকে আঙ্গুল ধরে, টলোমলো হাঁটতে শেখা,
ঢাকা থাকে মায়ের আঁচল, জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়া,
ঢাকা থাকে সেসব কথা, ঋণভার পাহাড়চুড়া।

ভিজে চোখে স্মৃতির ঘরে, ঘুরে যায় মা একলা,
দিবানিশি মন বিনুনি, নাতি আর ছেলে,বৌমা।

এমনি করে দিনের শেষে, সন্ধে নামে পাড়ায় পাড়ায়,
গাছের সারি ফিফিসিয়ে, আর্তনাদের গল্প শোনায়,
বৃদ্ধাবাসে চাদরগুলো, মনখারাপের বালিশ পাতে,
নিঃশব্দে কান্না গেলার, মন্ত্র শেখায় চুপকথাকে।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Omor Faruk খুব কষ্ট পেলাম
কবিতাটি সফল হলো, ধন্যবাদ আপনাকে
ফয়জুল মহী সুচিন্তিত  মনোভাবের প্রকাশ, ভালোই হয়েছে।
স্বপন চক্রবর্তী অনেক ধন্যবাদ, একদম ঠিক বানানে আমি বড্ড বেমানান
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী এমনি করে দিনের শেষে, সন্ধে নামে পাড়ায় পাড়ায়, গাছের সারি ফিফিসিয়ে, আর্তনাদের গল্প শোনায়, বৃদ্ধাবাসে চাদরগুলো, মনখারাপের বালিশ পাতে, নিঃশব্দে কান্না গেলার, মন্ত্র শেখায় চুপকথাকে। একটা চমৎকার লেখা পড়লাম কবি। ভীষণ ভালো লেগেছে। বানানের দিকে আরেকটু সতর্ক হতে হবে। শুভ কামনা সবসময়, সেইসাথে ভোট রইল।।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

ন-মাস থেকে শুরু, যে মা তার প্রতিটা মুহূর্ত হাসিমুখে নিজেকে নিঃশেষ করে, নিজের সবটুকু ভালোবাসা,স্নেহ,মমতা দিয়ে বড় করে তুললো তার সন্তানকে,নিজের আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দিলো তার সব কষ্ট, নিজের আয়ুর বিনিময় ঈশ্বরের কাছে প্রাথনা করলো সন্তানের পরমায়ু, নিজের অন্তর দিয়ে আশীর্বাদ করলো তার সাফল্য, সেই মাকেই যখন শেষ বয়সে ছুড়ে ফেলে দেয় সন্তান, তার কষ্টের তুলনা করা আমার সাধ্য নয়।
অভিশাপ নয় সেই মা কিন্তু তখনও বলে - ওদের ভালো হোক।

১২ মে - ২০২০ গল্প/কবিতা: ৭ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.৬৭

বিচারক স্কোরঃ ৩.২৭ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.৪ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪