হঠাৎ সেদিন সন্ধায় রিমঝিম
করে বৃষ্টি পড়ছিল। সেই আওয়াজ

মানিকের সবচেয়ে প্রিয় ও কাছের মানুষ ছিল শেফালী।
আর সে এই সুযোগটারই সদ্ব্যব্যবহার করত সব সময়। ৫ বছর আগেও যেটা করেছিল।

নভেম্বরের শুরুতেই হাড় কাঁপানো এক শীতের বিকেলে রাঙ্গু শেষতক মারা গেল। তার আগে ঘন ঘন আদুরে হাতগুলোর যাদুমাখা পরশ যেন বার বার তার হারানো

ঠিকানাটা খুঁজে পেতে বেশ সময় লাগলো! আসলে ঠিক খুঁজে পেতে বললে ভুল বলা হবে। ঠিকানাটা চিনে নিতে বেশ সময় লাগলো! অথচ কয়েক বছর আগেও

আজ মোটর সাইকেল চালানো শিখতে যাবে সিফাত। আগেও দু’বার গিয়েছিলো। তেমন সফল হয়নি। শিখার তেমন তাগাদাও ছিলো না তখন। তবে আজ

মেয়েটার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিঁড়ির নিচে । দৌড়ে ওপর থেকে নিচে নামছিল সে । হঠাৎ সেলিমের সাথে ধাক্কা খায় । ব্যথা পেয়ে ওহঃ

-হ্যালো
-বেড়ালের মত মিউ মিউ করে হ্যালো বলছ কেন ?

কখনও নিজেই জানি না কতটুকু দুঃখ ধরা থাকে বুকে ! অজান্তে কখনও তা ফেটে পড়ে--অশ্রুময় হয়ে ওঠে দুটি গাল।

কেমন আছে জানতে চাইলে দাদু বলেন- ভালো নাইরে, বাতের ব্যথায় বড় কষ্ট পাচ্ছি। দাদী বলেন- আর বলিসনা ভাই, কোমরের ব্যথায় চোখে ঘুম নাই।

মা
আমার লেখা এই চিঠি যখন তোমরা পাবে ততদিনে আমি আর এই দুনিয়া ছেড়ে অন্য ভুবনে।

নিঝুম রাত।
গাঢ় অন্ধকার। রাত্রির হিমশীতল নীরবতা। প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ।

এইমাত্র ‘এমিরাটস্ এয়ার লাইন্স’ এর বোয়িং ৭০৭ বিশাল দেহ নিয়ে বিকট শব্দে ঢাকার মাটিকে আড়ি দিয়ে উড়ে গেল।

পৃথিবী শুধু ভালোবাসার কথা শুনতে চায়। প্রেম আর বিরহকে স্মৃতি করে রাখতে চায়। তারপরও পৃথিবী বার বার প্রশ্ন করে। জ্ঞানের জিজ্ঞাসায় হেঁটে যায় নিজেকে

শালবন গলির ভিতর গজে ওঠা শ’খানেক ছাত্রাবাস পেরিয়ে তাজমহল। দু’সিট বিশিষ্ট রুমে তরুনের বাস। রুমমেট রাহাত একই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৩য় বর্ষে উঠেছে মাত্র।

- এখানটায় আমরা আড্ডা দিতাম নারে ?
- হু , আপনার এখনও মনে আছে এই যায়গাটার কথা।