জীবনের জলসা ঘরে

ব্যথা (জানুয়ারী ২০১৫)

মিন্টু উপাধ্যায়
  • ৪৫
জানালার ধারে চুপ করে বসে বাইরের দিকে তাকিয়েই ছিলাম । বাইরে অঝোরে বৃষ্টি পড়ায় বেশি দূর নজরই চলে না । মাঝে মধ্যে বৃষ্টির ঝাপটা এসে আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল । বৃষ্টির একটানা ঝম ঝম শব্দে কোন কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না ।
আকাশে মেঘের ছোটাছুটি ক্রমশ বেড়েই চলেছে । সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎই হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে থাকা একটুকরো বেদনা কখন যে চোখের কোন দিয়ে অশ্রু হয়ে গড়িয়ে পরেছে তা আমি বুঝতেও পারিনি । বুকের ভেতরটা কেমন যেন কনকন করে উঠলো । এই অব্যক্ত বেদনার হাত থেকে আমি কেমন করে মুক্তি পাব জানিনা । দুচোখ জলে ভরে উঠলো, আমি হারিয়ে গেলাম অতীতের স্মৃতির মায়াজালে ।
শহর থেকে অনেক দূরে একটা ছোট্ট গ্রাম, গ্রামের নাম বলুহাটী । গ্রামের একদম শেষপ্রান্তে ছিল আমাদের ঘর । অভাব অনটনের সংসার হওয়ায় মনের মধ্যে শান্তি ছিল না, কিন্তু ছিল ভালোবাসা । গ্রামেরই একজন মেয়েকে আমি মনে মনে খুবই ভালোবাসতাম ।
''টিনা'' নামটা শুনলেই, আমি কেমন যেন হয়ে যেতাম । সময় যেন থমকে যেতো । বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠতো । খুবই অসহায় লাগতো নিজেকে । হ্যা, টিনাকে আমি ভালোবাসতাম কিন্তু সে আমায় ভালোবাসতো কিনা সেটা জানতাম না ।
একদিন জানালাম তাকে আমার মনের কথা । উত্তরে সে শুধু একটা কথাই বললো আমাকে ''বামন হয়ে চাঁদে হাত দেওয়ার চেষ্টা করোনা'' । ক্ষণিকের মধ্যেই ওকে নিয়ে দেখা আমার জীবনের ছোট ছোট স্বপ্ন গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল ।
মাথা নিচু করে চলে এসেছিলাম । এই ঘটনার পর থেকে কোন দিনও ওর সামনে মাথা তোলার সাহস আমার হয়নি । মনের মধ্যে শুধু একটাই প্রশ্ন বার বার আঘাত করছিলো, কেন, কেন আমায় টিনা এমন কথা বললো । গরীব ঘরের ছেলে আমি, আমার না আছে টাকা-পয়সা, না আছে একটু শুখের অনুভুতি । আর আজ না আছে ভালোবাসা । কখনও কখনও ভাবতাম শুধুমাত্র টাকা - পয়সা আর বিলাসিতাই কি ওর জীবনের লক্ষ ছিলো ? ভালোবাসার কি কোন দামই ছিল না ওর কাছে । এই প্রশ্নের উত্তর আমি কোনদিনও পাইনি । অনেকদিন আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে নিরবে কেঁদেছি আমি । আমার ভালোবাসাকেই আমি পাইনি । আমি তাকে হারিয়ে ফেলেছি, আমার টিনা । সেই দিনের পর থেকেই আমার জীবনের সবকিছুই তছনছ হয়ে গেছে । জীবনের কালচক্রে কেটে গেছে অনেকগুলো বছর । ইতিমধ্যেই টিনার বিয়ে হয়ে গেছে, শুনেছি বেশ শুখেই আছে সে । আমার সাথে ওর আর দেখা হয়নি । আমার জীবনের কিছু স্মৃতিই হল এই গল্পের মূল বৈশিষ্ট্য । শুধু আমিই জানি এটা গল্প নয়, আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু চরম সত্য ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রিক্তা রিচি অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ, অনেক শুভেচ্ছা ।
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ জীবন চলার পথে অনেক দূর্ঘটনার সন্মূখীনই আমাদের হতে হয় তাই বলে কী অশ্রু ঝরাতে হবে ! বাস্তবতাকে মোকাবেলা করাই বুদ্ধিমানের কাজ ।
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০১৫
অনেক ধন্যবাদ, অনেক শুভেচ্ছা ।
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫
মনজুরুল ইসলাম শুরুটা খুবই ভাল লাগল।গল্পটা বাড়ােত পারেতন। অেনক অেনক শুখ কামসা থাকল। পাশাপািশ অামার ব্যথা গল্পিট পড়ার অনুেরাধ থাকেলা।
ভালো লাগেনি ৫ জানুয়ারী, ২০১৫
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৫

০৭ অক্টোবর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪