শীতের দিন। সক্কালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মেজাজটা বিগড়ে গেল নেহার। ভাই বিছানার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। নেহার একমাত্র ভাই। যেদিন প্রথম

মৃত্যু এক আশ্চর্য জিনিস,কত সহজেই সে মানুষের বয়সকে থামিয়ে দেয়।রাহাতের ছবিটার দিকে তাকিয়ে এই কথাটাই ভাবছিলেন সেলিনা বেগম।

এই পিচ্চি, অনেক হইছে, অহন উঠ ।
তেতুলের বিচির মত দাঁতগুলো খিচিয়ে লাল বর্ণের চোখ বিস্ফারিত করে পাঁচ/ছ’বছরের

কনা!
হুম।

না, না, না – কিছুতেই এ ঘর ছেড়ে বাহিরে পা দেবে না অনিতা। তাঁর নিজের এ ঘর দোর, তাঁর স্বামীর বসত ভিটা । সেখান থেকে তাঁকে স্থানচ্যুত করে কার

মাঝে মাঝে স্রষ্টার কাছে অভিযোগ জানায় মায়া। কখনো মনে মনে, কখনো বিড়বিড় করে, কখনো আবার প্রার্থনার সময়। ঘুরে ফিরে সেই একই বহুল

তোমার বয় ফ্রেন্ড বুঝি অনেক নাড়াচাড়া করে? একদম ঝুলে গেছে। তোমার বয়সের মেয়েদের টান টান বুক ফুলা থাকে?

পেটের ব্যাথাটা ভালোই ভোগাচ্ছে নুরুন্নাহার বেগমকে।
সাথে বুকের ব্যথাটাও যোগ হয়েছে ইদানিং।

স্মৃতিগুলো ঝাপ্সা হয়ে যায়। নীরব ক্লান্ত শ্রান্ত শরিরে রাজশাহি রেল স্টেশনের ২ নং প্লাটফর্মের দক্ষিন দিকের ফাকা জায়গায় বসে পরে হতাস হয়েই।

রিনা ও রুমা তারা দুটি বোন, ভাই তাদের নেই। সেদিন গোধূলি বেলা রিনা ও রুমা দুজনে মাঠে খেলছিল। রিনার মা এমন সময় তাদেরকে খেলা ছেড়ে উঠতে

ভ্যান চলিতেছে। ভ্যানের উপর মালপত্র। খাট, টেবিল, দুটা চেয়ার, তোষক, থালা, বাটি, বটী আরো অনেক গুরাগারি জিনিস গিট্টু দিয়া বাঁধা। আর তার উপর

- এখানটায় আমরা আড্ডা দিতাম নারে ?
- হু , আপনার এখনও মনে আছে এই যায়গাটার কথা।

-হ্যালো
-বেড়ালের মত মিউ মিউ করে হ্যালো বলছ কেন ?

মা
আমার লেখা এই চিঠি যখন তোমরা পাবে ততদিনে আমি আর এই দুনিয়া ছেড়ে অন্য ভুবনে।

নিঝুম রাত।
গাঢ় অন্ধকার। রাত্রির হিমশীতল নীরবতা। প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ।