এই তিন চার দিন হল পায়ে চোট লাগার জন্য ঘরে বসে আছি । কয়দিন আগে খেলার শেষে টিক্কা বিল্লুর সাথে ঠেলাঠেলি হয় । আর সেই কথা ভাবতে ভাবতে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় পড়ে গিয়ে চোট পাই । বাইরে আমার বন্ধুরা সানন্দে ক্রিকেট খেলছে । স্কুল ছুটি তাও আমি এই চার দেওয়ালের ভিতরে আটকে আছি । এর থেকে আর দুঃখের আর কী বা হতে পারে ? মানুষের তখনই সব থেকে বেশি কষ্ট হয় যখন সে তার পছন্দসই কাজ করতে পারে না । আমারও তাই হয়েছে । তার উপরে ওদের সাথে ঠেলাঠেলি । মনেও লেগেছে ব্যথা । আজ আমাদের সাথে উইনার্স ক্লাবের ক্রিকেট ম্যাচ । কিন্তু আমাদের টিমের ওপেনারই নেই । কী করে আমাদের টিম জিতবে ? আমাদের টিমের সবাই তাও তাদের ওপেনারকে আমাকে ডাকতে এল । কিন্তু আমি তো চোটের ব্যথায় কাতর । পা টেনে টেনে মুখ বাড়িয়ে বললাম - নামব না । পায়ের চোটটা এখনও সারেনি । কী করে খেলব ? -তাহলে আমাদের ওপেন কে করবে ? নাম না । তুই শুধু ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকবি । -দাঁড়িয়ে থাকলেও তো আরো কষ্ট হবে ব্যথা বাড়বে । -তোকে ছাড়া আমাদের এগারোজন হচ্ছে না । না বলতে পারলাম না । মা বলল – যা । খেলতে খেলতেই ব্যথা গায়েব হয় । আর বেশ গুছিয়ে ভাল করে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে দিল । আর আমি নেমে পড়লাম । ওপেনিং করতে নেমে প্রথম দু-ওভার যাহোক করে সামলালাম । তারপর আস্তে আস্তে মনে হল টিক্কা বিল্লু টিমি এদের সঙ্গে মিশে মনটাও যেন হালকা হতে লাগল । পায়ের ব্যথা আর অনুভব হল না । যেন বেশ ভালই আছি । আমার শরীরও আগের মত দুরন্ত হয়ে ফিরে এল । করে ফেললাম এক অর্ধ-শত রান । মনেই হল না আমার পায়ে ব্যথা ছিল । ঘরে আসতে ব্যান্ডেজ খুলে দেখলাম ব্যথা প্রায় নেই বললেই চলে । সাথে মনের সেই বিষণ্ণতাও কেটে গেছে। রাতে সেই ব্যথা অল্প অনুভূত হলেও আমি গ্রাহ্য করলাম না । বিন্দাস থাকলাম । যাক ! দুটো ব্যথা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া গেল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।