ঘুম পরী

ব্যথা (জানুয়ারী ২০১৫)

মিলন বনিক
  • ১৫
  • ২৭
নিঝুম রাত।
গাঢ় অন্ধকার। রাত্রির হিমশীতল নীরবতা। প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ।
খন্ড খন্ড সাদাকালো মেঘ। খোলা আকাশ। কোথাও কোন বাঁধা নেই। নেই কোন প্রাচীর। যেন কত মুক্ত। নিঃসংকোচে অবারিত যাত্রা। আনন্দে নেচে বেড়ায় আপন মনে। ওরা স্বাধীন। নিষ্ঠুর সামাজিকতার কলুষযুক্ত। আমার হিংসা হয়। অথচ ওরা গায়ে মাখেনা। ওদের কিচ্ছু যায় আসে না।
মানুষরা তা পারে না। অন্যের বিদ্বেষে মানুষ প্রতিশোধ পরায়ণ। মানুষ ওদের মত হতে পারে না। আমার রড় স্বাদ হয়। ওদের ডেকে বলতে ইচ্ছে করে-
- হে মেঘ!
- ওহে বন্ধু, অমাকেও নাও না তোমাদের সংগে। এখানে আমার একদম ভালো লাগে না। চারিদিকে শুধু কষ্ট আর কষ্ট। এখন সবে সন্ধ্যা। অথচ কেমন ভয় ভয় করছে। কে বা কারা যেন ওৎ পেতে বসে আছে। রাত একটু গভীর হলেই ঝাপটে ধরবে। সর্বস্ব খুইয়ে নেবে। তার চেয়ে তোমরা ঢের ভালো আছো। তোমাদের বুঝি ভয় করে না ? সারারাত তোমরা নির্ভয়ে জেগে থাকো, হাসো, খেলো।
- আমি জেগে জেগে দেখি।
- আকাশের তারাগুলো মিট মিট করে হাসে। কথা বলে তোমাদের সাথে। শুভ্র গালিচায় বসে তারা পরস্পরের সাথে মিতালী করছে। এতে কি আনন্দ! প্লিজ তোমাদের সাথে আমাকে একবার নাও না। তোমাদের ডানায় ভর করে আমিও বেড়াবো। তোমাদের সাথে হাসবো, খেলবো, কথা বলবো।
- মেঘেরা নিশ্চুপ। কোন কথা বলল না। সপ্তর্ষি মণ্ডলের তারাগুলোও সব ব্যস্ত। আমার সাথে কথা বলার সময় নেই। ওরা ছুটছে তো ছুটছেই। কোথাও তাদের হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা। মেঘদের দাঁড়াবার সময় নেয়।
- ঝোপে ঝাড়ে জোনাকিদের ঘরে ঘরে উৎসব উৎসব গন্ধ। সবাই এত ব্যস্ত যে, আমার দিকে ফিরে তাকানোর সময় কারও নেয়। কত ব্যস্ত ওরা ! ঘর সাজানো, বর সাজানো, উলুধ্বনি দেওয়া, আরও কত কি। আমার শুধু ইচ্ছে করে ওদের সাথে যেতে।
হঠাৎ মেঘ বন্ধুটি গুড়---গুড়----গুড়–ম্, -----গুড়---গুড়----গুড়–ম্-----একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল-
- আমরাও যে বড় অভিশপ্ত ভাই, তুমি কেন আমাদের সাথে নিজেকে জড়াবে। দেখছ না রাতে আমাদের সাথে যাদের মিতালী তারা ভোর না হতেই চলে যায়, আর বলে যায়-এখনি সূর্য উঠবে, তাকে তোমরা পাহারা দিও। তার জন্য আমাদের সারাক্ষণ জেগে থাকতে হয়।
- কিছুক্ষণ থেমে আবার বলল-আমাদের একটুও বিশ্রাম নেই। ছুটে যায় এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে। এতটুকু আশ্রয় দেয় না কেউ। তুমি আমাদের কান্না শোননি কোনদিন। আমাদের দুঃখের বোঝা যখন ভারী হয় তখন কেঁদে কেটে কিছুটা হালকা হই, তাতে তোমাদের উপকার হয়, অথচ আমদের দুঃখটা কেউ বুঝে না। কান্নাটা কেউ শুনে না।
- মেঘের খুব অভিমান হলো। আর একপাল মেঘ এসে বলল-ও ভাই আমাদের দুঃখের কথা কাউকে বলতে নেই, চল আমরা যায়। মেঘ চলে গেলো অজানা গন্তব্যে।
আমি শুধু তাকিয়ে আছি। রাত গভীর হচ্ছে। আমি জানলায় বসে ভাবছি, সত্যিই তো মেঘদের খুব দুঃখ। বড় দুঃখী ওরা। ওরা কান্না করে। ওদের অভিমান হয়। ওদের কান্না কেউ শুনে না।
আমার রাগ হলো। আমারও দুঃখ কষ্টে কান্না পায়। ওদের মত কান্না করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আমাকে মেঘেরা নিল না কেন ? আমি কি মেঘের বন্ধু হতে পারি না।
আমার স্বাদ হলো-মেঘের ভেলায় চড়ে আকাশ পাড়ি দেবো। সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে রাজকন্যার ঘুম ভাঙ্গাবো। চারিদিকে তাকিয়ে দেখব, পৃথিবীটা কত সুন্দর, কত মনোরম।
বিকেল বেলা সূর্যটা যখন পশ্চিমাকাশে পাড়ি দেয় তখন কত সুন্দর লাগে। আহা! সারাক্ষণ যদি সেই দৃশ্যটা জেগে থাকতো? পৃথিবীর কোন কিছুই যে কেন চিরস্থায়ী হয় না বুঝিনা। সূর্যটা বিদায় নেয়। মেঘ গুলো কত সুন্দর করে সাজিয়ে দেয় পশ্চিমাকাশ। তুলতুলে নরম মখমলের চাদরে নানান রঙ্গের মেলা। লাল, নীল বেগুনি আরো কত রং। মেঘের কোলে সোনার রাজপুত্রকে যেন ঘুমিয়ে রেখেছে পরম যতেœ। মেঘেরা নীরব। যদি ঘুম ভেঙ্গে যায়। সকাল বেলা রাজপুত্রের জাগার সময় হলে আবার রাঙ্গিয়ে দেবে পূর্বাকাশ। নতুন সাজে, নতুন রঙ্গে।
আমার যেতে ইচ্ছে করে, রাজপুত্রকে বলতে ইচ্ছে করে-মেঘগুলো বড় দুঃখী। ওদের একটু বিশ্রাম দাও। ওরা যখন অভিমান করে তখন পৃথিবীর চেহারা পাল্টে যায়। কিছুই আর ভালো লাগেনা। সবকিছুই কেমন যেন শ্রীহীন মনে হয়।
অমি একাকী। নিঃসঙ্গ। এত রাত হলো। মনের মধ্যে অনেক দুঃখ। কাউকে বলতে পারছি না। এভাবে কি কারও কখনও বসে থাকতে ইচ্ছে করে? নাকি বসে থাকা যায়। মনে মনে কত কি ভাবছি। কত বিচিত্র রকমের স্বাদ জাগছে মনে। কিন্তু কিছুই করার নেই। জানলায় মাথা ঠেকিয়ে শুধু বাইরে তাকিয়ে আছি।
একটা জোনাকি মিটি মিটি এদিকে তেড়ে আসছে। কি যেন বলতে চাইছে। কিন্তু ওভাবে তেড়ে আসছে কেন ? আমার বুঝি ভয় করে না। ওদের অনেক দলবল। ঐতো ঝোপের আড়ালে সবাই কি যেন বলাবলি করছে। আর খিলখিলয়ে হাসছে।
জোনাকিটা আমার জানলার পাশে এসে লোহার শিকটার উপর বসল। কিছু বলল না।
আমি ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম-
- কি ভাই, কেন আসছো ? আমাকে এভাবে বসে থাকতে দেখে তোমাদের বুঝি খুব হাসি পাচ্ছে ? কিন্তু কেন ? তোমরা তো সারারাত ঐ মেঘের ভেলায় চড়ে ঘুরে বেড়াতে পারো। আমারও ইচ্ছা হয়। কিন্তু পারি না। তাই তো মুখ ভার করে বসে আছি।
- তাই বুঝি ? - জোনাকি হেসে বললো। তোমার বুঝি মেঘের ভেলায় চড়ার খুব সখ?
- আমি অভিমান করে বললাম-তা নয়তো কি ? সেই কবে থেকে বসে আছি। দেখ না, পৃথিবীর সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি শুধু জেগে আছি। মেঘ ভাইয়াকে ডেকে বললাম-আমাকে একটু নিয়ে চলো, তোমাদের ডানায় ভর করে আমি একটু ঘুরে বেড়াবো।
- জোনাকিটা আমার সামনে এসে আলো মিট মিট একটু আলো জ্বাললো। আমার অভিমানী চেহারাটা বোধ হয় ভালো করে দেখে নিল। তারপর জিজ্ঞাসা করলো-
- তা মেঘ কি বললো ?
- কি আর বলবে ? আমাকে তো নিলোই না। আরো বলল-তারা নাকি আকাশটাকে সারাক্ষণ পাহারা দেয়, একটুও বিশ্রাম নেই, তারাও নাকি খুব কাঁদে। সে কান্না কেউ শুনেনা। আচ্ছা তোমরা ওদের কান্না শুনেছ কখনও ?
জোনাকিটা কয়েকবার আলো জ্বেলে একটু নড়ে চড়ে বললো-
- শুনেছি বৈকি। তাদের অন্তরেও খুব দুঃখ। তাই তারা সারাক্ষণ কাঁদতে পারে। আমরা বাপু অত কাঁদতে পারি না। সারাক্ষণ হাসি আনন্দে কাটিয়ে দিই। সে যাকগে। আর যে সময় নেই ভাই। এবার চলি।
- সে কি ? কোথায় যাবে। আর একটু বসো।
- না ভাই, আর সময় নেই।
- তুমি কোথায় যাবে ?
- ঐ যে সামনে দেখতে পাচ্ছোনা। ঐ ঝোপের মধ্যে আমাদের এ পাড়ার সব বন্ধুরা এসেছে। সভা হচ্ছে। দেখনা সবাই আলো জ্বালিয়ে হৈ চৈ করে আনন্দ করছে।
- তাইতো দেখছি। অসংখ্য আলো দিয়ে সাজিয়েছ বাগানটা। বাঃ কত সুন্দর হয়েছে বাগানটা। কি হবে ওখানে।
জোনাকিটা খুশী হয়ে বললো-
- আজকের আসরে আমাদের রাজা আসবে দেখতে। সভা হবে, নাচ হবে, গান হবে, আরো কত্তো কি হবে! এই দেখো আমরা কত্তো সুন্দর করে সেজেছি। নতুন নতনু গয়না পড়েছি। সবাই কতো ব্যস্ত। তুমি মুখ ভার করে বসে আছো দেখে আমার মন কাঁদলও, তাই ফাঁকি দিয়ে দেখতে এসেছিলাম। তুমি খুশী হওনি।
- সত্যিই আমি খুব খুশী হয়েছি। তোমাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো।
আরো অনেক কথা বলল জোনাকি। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম-
- তারপর কি হবে ?
জোনাকিটা একটা উড়াল দিয়ে আমার কানের কাছে এসে চুপি চুপি বলল-তারপর আর কি ? ভোর হতে না হতেই সবাই চলে যাবো।
- কোথায় যাবে ?
- সে কি ? বিশ্রাম করতে হবে না। আমাদেরও যে সংসার আছে। তাছাড়া দিনের আলোকে আমরা ভয় করি।
- কেন।
- দিনের আলোর কাছে আমাদের সামান্য আলো অতি নগণ্য, তাই।
- ও মা, তাই কেন ? তোমরা তো রাতের আকাশটাকে কত সুন্দর করে সাজিয়ে রাখো। নাচ করো, গান করো কিন্তু রাতে তো কেউ দেখেনা।
- দেখবে না কেন ? এই যে রাত জেগে তুমি দেখছো। আচ্ছা এবার যাই, ওদিকে আবার দেরী হয়ে যাবে।
- আমাকে নেবে তোমাদের সাথে। সারা রাত জেগে তোমাদের সভা দেখব, নাচ গান দেখব, তোমাদের সাথে বন্ধুত্ব করবো। কত মজা হবে। তুমি আমার বন্ধু হবে?
- ও মা! তুমি যাবে কেন ? তুমি ঘুমাবে না ?
- আমার ঘুম আসে না। আমার খুব ইচ্ছে করে তোমাদের মত করে রাতের সৌন্দর্য দেখতে। নাও না ভাই আমাকে।
জোনাকির বুঝি এবার দয়া হল। জানালার কাছে এসে বলল-
- তুমি যখন এত করে বলছো, বেশ চলো। তবে খুব সাবধান। তুমি কিন্তু কোন কথা বলতে পারবে না। তাহলে আমার বন্ধুরা সবাই লজ্জা পাবে। আর নাচবে না, গাইবে না। তুমি শুধু জানলায় বসে দেখবে। আমরা ঐ ঝোপটার মধ্যে সভা করব, আর মাঝে মাঝে তোমাকে এসে দেখে যাবো।
- কিন্তু তুমি কথা বলছো যে, তোমার বুঝি লজ্জা করে না।
- না।
- কেন?
- বারে, তুমি তো আমার বন্ধু, তাই।
- কিন্তু ওরা?
- ওরাও তোমার বন্ধু হবে। তবে ধীরে ধীরে। তোমার কথা আমি ওদের বলবো। যারা বন্ধুত্ব করতে চায় তাদের সবাইকে আমি এখানে নিয়ে আসবো। তারপর থেকে যেতে পারবে।
- আচ্ছা।
আমার মেঘ বন্ধুটির কথা মনে হলো। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম-তোমাদের তো তবু দিনের বেলায় বিশ্রাম আছে। আরাম আয়েশ করে ঘুমাতে পারো। কিন্তু আমার মেঘ বন্ধুটার কোন বিশ্রাম নেয়। আহা! বেচারা কত দুঃখী!
জোনাকিটা চলে যাচ্ছিল। আমি হাত ইশারায় পেছন থেকে ডাকলাম-বন্ধু শোন।
- কি আবার, পেছন থেকে ডাকলে যে।
- আসর শেষ হলে কিন্তু আবার আসবে। তা না হলে কিন্তু রাগ করব।
- আচ্ছা ঠিক আছে। বলেই জোনাকিটা দ্রুত ঝোপের মধ্যে হারিয়ে গেল। অন্য জোনাকিরা সবাই খিল খিল করে হেসে উঠল।
আমি বসে আছি জানালার পাশে। মুখে রা শব্দটি পর্যন্ত নেই। পাছে জোনাকিদের সভা পণ্ড হয়ে যায়। যদি ওরা লজ্জা পায় তবে তো ওদের এই আনন্দ আর দেখতে পাবোনা।
একে একে সবাই আসলো। রাজা, মন্ত্রী, উজির, নাজির, পাত্র মিত্র, সিপাই শাস্ত্রী সবাই। রাজা আসলো সবার শেষে। জোনাকিরা সবাই উলুধ্বনি করলো। আগমনী গান গাইলো। রঙ্গিন পাখনা মেলে আলো জ্বেলে রাজাকে সম্ভাষণ জানালো। রাজা বসলেন বেলি ফুলের পাপড়ির উপর। জরির জামা, মুক্তোর মালা, হীরে জহরত সজ্জিত দামী দামী স্বর্ণালংকার সবই আছে। রাজার চারিদিকে তার পাত্র মিত্র সভাসদবর্গ।
আমার বন্ধুটি চুপি চুপি দৌড়ে এসে বলে গেল-ঐ তো আমাদের রাজা। চুপ করে দেখো, শব্দ করবে না কিন্তু, তাহলে রাজা ভীষণ রাগ করবে।
বাঃ কত সুন্দর! আমিও যদি এরকম পাখনা মেলে ওখানে উড়ে যেতে পারতাম, খুব মজা হতো।
সভা শেষ হলো।
সভা শেষে রাজা মহাশয় বললেন-হে প্রিয় সভাসদবর্গ, আমাদের ক্ষীণ এবং ক্ষণস্থায়ী আলো আর এই স্থূল দেহ নিয়ে হাসি আনন্দে দিন কাটিয়ে দিচ্ছি। রাজ্যে কোন অভাব অভিযোগ নেই। প্রজাদের মধ্যে নিবিড় শান্তি বিরাজ করছে। অথচ দিনের আলোর কাছে আমরা পরাজিত। হলেও অসুবিধা নেই। আমরা আছি, আমাদের নিজস্ব আলো আছে। সে যত ক্ষীণই হোক, আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করব দুঃখ ব্যথা জর্জরিত রাতের আধারটাকে আলো দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে। যাতে কোন দুঃখী দুঃখ ব্যথায় বিনিদ্র রজনী যাপন করলে আমাদের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়। তার দুঃখ ভুলে যায়। এই হোক আমাদের প্রার্থনা। ভগবান সবার মঙ্গল করুক।
রাজা সভা শেষ করলে সবাই জয়ধ্বনি করল। জয় মহারাজার জয়।
এবার সবাই হাসি আনন্দে নাচে গানে মেতে উঠল। ফুল পরীদের দল আসল অতিথি হয়ে। ওরাই নাচল। গাইল কত রকমের গান। রাজা খুব মুগ্ধ হলেন। খুশী হয়ে সবাইকে বকশিস করলেন। জোনাকিরা সবাই যার যার পছন্দমত বকশিস নিল।
এভাবে সভা শেষ হলো। সবাই যার যার ঘরে ফিরছে।
বন্ধুটি আবার দৌড়ে এসে বলল- বন্ধু এবার তবে যায়।
আমি দুঃখ করে বললাম-এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে? এখনও তো অনেক রাত বাকী, আর একটু বসোনা, একটু গল্প করি।
- না না দেখছো না, পূব আকাশটা কেমন লাল হয়ে আসছে।
- সত্যিই তোমরা খুব খুশী। হাসি আনন্দে আমার দুঃখ ভোলাতে পেরেছ। তোমাকে এবং তোমার বন্ধুদের অনেক ধন্যবাদ। কাল যখন আসবে আমাকে অবশ্যই ডেকে নেবে। আমি প্রতিদিন তোমাদের নাচ গান দেখবো। আমি জেগে থাকবো সারা রাত। কথা দাও তুমি আসবে।
- বেশ কথা দিলাম। কাল অবশ্যই আসবো। আজ তবে বিদায়।
- আচ্ছা। কাল আবার এসো। আমি এই জানালায় প্রতিদিন অপেক্ষা করবো। যদি কখনও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি তবে তুমি আমায় জাগিয়ে দিও।
- ও হ্যাঁ, আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। আমাদের রাজার কাছ থেকে তোমার জন্য একটা উপহার এনেছি। এই নাও।
আমি খুশী হয়ে হাত বাড়িয়ে বললাম- কি ওটা?
- ঘুম পরী।
আমার বন্ধুটি চলে গেলো আর অমনি আমার চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে এলো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
চঞ্চল কুমার ঘুম পরীর গল্প অনেক ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইলো কবিকে।
ভালো লাগেনি ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫
পবিত্র বিশ্বাস ভাল লাগল ! আমার কবিতা ও গল্পটাও সময় করে পড়বেন...............।
ভালো লাগেনি ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫
অনেক ধন্যবাদ ভাই...অবশ্যই পড়বো...
ভালো লাগেনি ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি কল্পকাহিনী... অত্যন্ত সুখপাঠ্য হয়েছে...কব্জির কারুকাজ আগের মতই দৃষ্টি নন্দন ...সব মিলিয়ে খুব ভাল....দাদা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ....
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫
জ্যোতি ভাই...অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা....
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫
মোঃ আক্তারুজ্জামান দাদা, ঘুম পরীর গল্প ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২২ জানুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ দাদা...কেমন আছেন...
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫
শেখ শরফুদ্দীন মীম নামকরনটা ভালো লেগেছে দাদা। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ২২ জানুয়ারী, ২০১৫
অনেক ধন্যবাদ মীম ভাই...
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫
নীরবতার প্রহর অনেক ভাল লাগলো। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ১৭ জানুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ ভাই...
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫
ফরহাদ সিকদার সুজন বেশ হয়েছে।
ভালো লাগেনি ১৪ জানুয়ারী, ২০১৫
ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন বা\ চমতকার লিখেছেন। ভাল লাগেল। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ৯ জানুয়ারী, ২০১৫
দাদা অনেক অনেক ধন্যবাদ....
ভালো লাগেনি ১১ জানুয়ারী, ২০১৫
Arif Billah ঘুম পরীদর মতই গল্পের মাঝে ঘুমিয়ে যেতে হয়। ধন্যবাদ লেখককে। শুভ কামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ....
ভালো লাগেনি ১১ জানুয়ারী, ২০১৫
সৃজন শারফিনুল অসাধারণ ভাবনা, সত্যি তো মেঘদের কষ্টগুলো আমরা বুঝতে পারিনা। হয়তো কোনদিন সেভাবে চিন্তা করিনি। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্পের জন্য। শ্রদ্ধা সদা চিরন্তন।
ভালো লাগেনি ৬ জানুয়ারী, ২০১৫
সুন্দর মন্তব্যের জন্য দন্যবাদ এবং শুভকামনা....
ভালো লাগেনি ৭ জানুয়ারী, ২০১৫

০৭ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১১৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪