কষ্ট যা নিজেরই থাকবে বুঝবে না তো কেউ
কষ্ট দেওয়ার মানুষ আছে, নেওয়ার নেই কেউ ।
চোখের পানি কেউ দেখে ,কেউ দেখেও দেখে না
সুখ সবাইকে দেখাতে হয় ,হৃদয়ের কষ্ট না।
কষ্ট যা নিজেরই থাকবে বুঝবে না তো কেউ
কষ্ট দেওয়ার মানুষ আছে, নেওয়ার নেই কেউ ।
চোখের পানি কেউ দেখে ,কেউ দেখেও দেখে না
সুখ সবাইকে দেখাতে হয় ,হৃদয়ের কষ্ট না।
রাতের নীল খাম পুরে
এক বক সাদা জোসনা রেখে দিয়েছি
তোমার জন্যে,
অবগুন্ঠন ফেলে আসতে পারো তুমি
অনিবার্য সফল সংগ্রামে।
জরাজীর্ণ হয়ে গুটিয়ে নেই মনের ভুলকে,
বোঝাতে চাই যেটা ভুলের পরিসীমায় আবদ্ধ,
সেটাকে ক্ষেত্রফলের অস্তিত্বে-
ধারণ করাটা কষ্ট ছাড়া কিছু নয়,
বৃদ্ধাবাসে জানলা ধরে ঝাপসা চোখ দাঁড়িয়ে একা,
টালমাটাল দুখানি পা, আসে যদি মায়ের খোকা।
এটাই করে লালন পালন, টিমটিমে এক বাঁচার নেশা,
ভিতর ঘরে বইছে স্মৃতি, তরঙ্গিণী খরস্রোতা।
যে ভালোবাসায় ঠকে কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছে,
কাঁদো কাঁদো চোখে ঘুমিয়ে পড়ে প্রতিরাতে,
চুপসে বিবর্ণমুখী হয় প্রতিক্ষণে,
আমার এমনই নিষ্প্রাণ আত্মার দরকার।
সেই পথে তুমি ছিলে, ছিলাম আমিও,
শত সহস্র বছর আগে।
বিচিত্র ফুলে রাঙা পাহাড়ি সে পথ,
উত্তাল প্রপাতের রেণু, ছিল ছড়ানো।
গিয়েছিলে কোনো এক মন্দিরে,
পরনে সফেদ বসন।
জানিনা তোমার হৃদয়ে ছিল,
কোন দেবতার আসন।
অনেকদিন দেখা নেই তোর সাথে।
কথা নেই,নেই চলাচল।
মহাকালের বালুচরে ঢাকা পড়েছে
সকল হারানো দিন রাত্রিগুলি।
ঠাৎ একটা ঝড় আসে, একটা গর্জন সৃষ্টি হয়; পুরোটা আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়, খুব বৃষ্টি হয়
চমকে উঠি, অবাক দৃষ্টিতে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকি___
আহা কি আশ্চর্য এই পৃথিবী!
কষ্ট তুমি কি অতল সায়র?
যে সায়রে ডুবে জলে পেট পূরলেও
তরী খুঁজে না পাওয়ার আকুলতা।
নাকি মেঘের আড়ালে ঢেকে থাকা চাঁদ?
যে চাঁদের আলো থাকা স্বত্ত্বেও
পৃথিবীকে আলোকিত করতে না পারার ব্যার্থতা।
কষ্টরা যেন কুহক; অদৃশ্য মায়াজালে
আচ্ছন্ন করে রাখে বিসৃত বোধের অলি গলি;
মুক্তির পথ পায়না বিদগ্ধ মন, ছিঁড়তে পারেনা
তার কুহক জাল।