এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে?’... এ রকম একটি গান শুনেছিলাম। সুবীর নন্দীর গাওয়া। তবে গানটি খুব ভালো লেগেছিল কথা ও সুরের কারনে।
কথা ও সুর...একে অপরের পরিপুরক।
সব কিছুরই দুই আছে। শুধুমাত্র এই সৃস্টিকর্তা এক।
সব জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি হয়েছে।

তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম। সম্পুর্ন নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হয়। তাই সবার পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু চার পাঁচ জনকে আমি খুব ভালো করে চিনতাম। কারন তারা ছিল আমার এলাকার। তার ভিতরে একটা মেয়ে ছিল। তাই মাঝে মাঝে তার সাথে কথা হতো।আস্তে আস্তে সকলের সাথে পরিচিত হতে থাকলাম।

কাল ১১টা ৩৮, ফারিন ফোনে সময় দেখল। শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে এই মূহুর্তে ফারিনের আর কিছু করার নেই বললেই চলে। আজ ভ্যালেন্টাইনস ডে। শাহবাগ মোড়েই মনে হচ্ছে সবচেয়ে বড় আয়োজন।

তখন আমি ২য় শ্রেণিতে পড়ি। বাবার চাকুরির সুবাদে আমরা কোয়াটারে থাকি। নিচতলায় আঙ্কেলের ছোট বোন এসেছে বেড়াতে।

রাত খুব বেশি হয়নি তবুও রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা । বিরোধীদলের ডাকা একটানা অবরোধে রাতটা বয়সের তুলনায় একটু বেশিই বুড়িয়ে গেছে । রাতুল শাহবাগের আড্ডা শেষে বাসায় ফিরছে রিক্সায় করে ,

মফস্বল শহরে বেড়ে উঠা চঞ্চলা একটি মেয়ে প্রিয়ন্তী। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান, দেখতে খুব মিষ্টি ছিলো, ধীরে ধীরে আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে উঠতে লাগলো।

আজ পহেলা ফাল্গুন।রমনায়,রবীন্দ্রসরোবরে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বসন্ত বরণের মহা উৎসব।
সকলে এসেছে তাদের প্রিয়জনের সাথে।অনেক ফাগুন ই জীবনে গেল আসল কিন্তু ফাগুনের মাহাত্ম্য আর ভালবাসার যে নিবিড় এক সম্পর্ক সেটা তুমি আমার জীবনে না আসলে বুঝতাম না।

আজ বেলা দশ টায়, আমি আর শতরুপ গিয়েছিলাম বর্ধমানে। শতরুপকে ডাক্তার দেখাতে, বাড়ী ফেরার সময় ট্রেন লেট থাকায় স্টোশনের প্লাটফ্রমে একটা ব্রেঞ্চে আমরা বসলাম। হঠাৎ বছর সাত একের একটা ছেলে কথা থেকে বা পা শুধী ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে টাল খেতে খেতে সে এসে বসলো।

মাঝ পথে এই ভাবে আগে চলে যাবে সেটা আগে বললেই তো পারতে..শুধু শুধু এতো খোজা খুজি করতাম না...আচ্ছা শুনলাম নাকি মেয়ে দেখতে গিয়েছিলে..তা পছন্দ হলো..? কী পরে গিয়েছিলে..?

মহাবিশ্বের যিনি প্রতিপালক তিনি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন। আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্ম ইসলাম। আমাদের ধর্মমতে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে আমাদের প্রতিপালককে এক এবং অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সব অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। আল্লাহ্ যেমনটি ইচ্ছা করেন তেমনটিই সৃষ্টি হয়ে যায়।

--সকাল ৭টা বাজে। এলার্ম বাজতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। হাত মুখ ধোয়ে ফ্রেশ হতে গেলাম,ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানাতে লাগলাম ।নাস্তা বানাতে বানাতে প্রায় ৮ টা বেজে গেল।হালকা নাস্তা করে এককাপ কফি নিয়ে বারান্দায় আসলাম। এসে আমার প্রিয় দোলনি চেয়ারটার উপর আরাম করে বসলাম।

অবিরাম কেঁদে চলেছে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকটি। কেবিনে বসে থাকা প্রতিটি শোককাতর মানুষের মুখ কষ্ট আর উৎকণ্ঠায় বিবর্ণ। কেউ থামাতে পারছে না তাকে। জন্ম মুহুর্তেই তার সাথে ঘটে যাওয়া নির্মম দূর্ঘটনায় সে সর্বশক্তি জড়ো করে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে ঈশ্বরকে।

শীতের সকালে স্কুলে পড়তে যেতো ধানের আইল ধরে ধরে।
সে আইলের উপরে দুর্বা ঘাঁসের উপরে শিশির পরে থাকতো।
সে শিশির দেখতে হিরোর মত লাগতো।সেই দুর্বা ঘাসের শিতল শিশির আফজালের পায়ে এসে পরতো।আর আফজাল তখন শিউরে উঠতো।দৌড়ে দৌড়ে স্কুলে চলে যেত।এভাবেই তার শিক্ষাজীবন পাড়ি দেয় আফজাল সাহেব।ছিল না কোন সঙ্গী।১৯৯০ সালে

রাত পেরিয়ে দিন আসা মানে কারও জিবনে অকল্যান বর্জ্যপাতের জিবন শুরু হওয়া। তেমনি রাহুলের জিবনের মর্মকাহিনী কাউকে যে স্তম্ভিত করবে না তাহা বোঝা অসম্ভব কিছু নয়।

আমি যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই? অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও প্রতিটি মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁদের মনটাকে পড়ার চেষ্টা করি। এটা যেন একটা বদাভ্যাসে পরিণত হয়েছে! মাঝে মাঝেই কপাল কুঁচকে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সী সবার চোখে চোখ রাখি।