মফস্বল শহরে বেড়ে উঠা চঞ্চলা একটি মেয়ে প্রিয়ন্তী। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান, দেখতে খুব মিষ্টি ছিলো, ধীরে ধীরে আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে উঠতে লাগলো।

রাত পেরিয়ে দিন আসা মানে কারও জিবনে অকল্যান বর্জ্যপাতের জিবন শুরু হওয়া। তেমনি রাহুলের জিবনের মর্মকাহিনী কাউকে যে স্তম্ভিত করবে না তাহা বোঝা অসম্ভব কিছু নয়।

আজ বেলা দশ টায়, আমি আর শতরুপ গিয়েছিলাম বর্ধমানে। শতরুপকে ডাক্তার দেখাতে, বাড়ী ফেরার সময় ট্রেন লেট থাকায় স্টোশনের প্লাটফ্রমে একটা ব্রেঞ্চে আমরা বসলাম। হঠাৎ বছর সাত একের একটা ছেলে কথা থেকে বা পা শুধী ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে টাল খেতে খেতে সে এসে বসলো।

কাল ১১টা ৩৮, ফারিন ফোনে সময় দেখল। শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে এই মূহুর্তে ফারিনের আর কিছু করার নেই বললেই চলে। আজ ভ্যালেন্টাইনস ডে। শাহবাগ মোড়েই মনে হচ্ছে সবচেয়ে বড় আয়োজন।

সমিউল এখন পুরোদুস্তর একজন মুদি দোকানদার। পান, বিড়ি-সিগারেটসহ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী যেমন আলু পেয়াজ ইত্যাদি ছাড়াও দোকানের এককোন চুলা জ্বেলে বানানো হচ্ছে গরম গরম রং চা আদা লেবুর মিশ্রনে।

শান বাধান পুকুরঘাটে বসে জমিলা বানু অতীত ঘাটাঘাটি করছেন। হয়ত জীবনের পাওয়া না-পাওয়ার হিসেব কষছেন। আজ তাঁর সুখের দিন। ধন, মান কোন কিছুতেই কমতি নেই। মানুষ যখন সুখে থাকে তখন দুঃখের স্মৃতিচারণ করতে ভালবাসে।

সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। নবীনগরের এদিকটায় ঝিঁঝিঁ পোকারা ডাক শুরু করে দিয়েছে। বাইরে অন্ধকার। দুজন বেরিয়ে পড়লাম বাস ধরার জন্য। নবীনগর পৌঁছাতেই বাস পেয়ে গেলাম।

ক্ষুদ্র বালুকণা হতে মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু সাকার একমাত্র সৃষ্টিকর্তা নিরাকার। তাই আমি স্রষ্টার কাছে মাথা নত করব কোন সৃষ্টির কাছে নয়। স্রষ্টা এক কিন্তু সমস্ত কিছু দুয়ের মধ্যস্থল থেকে সৃষ্টি তাই কামনা করি না, দুয়ের সংঘাতে ধ্বংস হোক কোন জিন্দেগি। আমি যতই বিজ্ঞান আর দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি করি ততই পাকাপোক্ত আমার ঈমান এক ইলাহিতে বিশ্বাসি।

পৃথিলা যখন ওর বাবা-মায়ের দোহাই দিয়ে আমাদের চার বছরের সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে ওর বাবার পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করলো আমার সব শেষ হয়ে গেলো। প্রথমটাতে কেমন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম ,মনে হতো বুঝি দুঃস্বপ্ন দেখছি এখনই ঘুম ভেঙে যাবে। কিন্তু বেশকিছু দিন কেটে যাবার পরও যখন ঘুম ভাঙলো না ,তখন মনে হতো আমি মরে যাবো।

আলিয়া এখন আমাকে আর আগের মতো পছন্দ করেনা। আগে তার হ্রদয় টা ছিলো
শুধু আমার জন্যে।কোন কিছুই আমাকে ছাড়া করত না।এমন কি কিছু খেতে চাইলেও আমার
থেকে মতামত নিত। আর এখন আলিয়া কোথায় থাকে, কি করে সব আমার চিন্তাধারার

বাজিতপুর রেলস্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার পূর্বদিকে গেলেই ভাগলপুর গ্রাম। অবশ্য এখন আর গ্রাম নয়। আধা শহর। কিছুটা গ্রাম আর কিছুটা শহর।

চারদিকে হৈ-হুলোড়, ছোট ছোট বাচ্চাদের আনন্দঘন চেঁচামেচি। বড়রাও ব্যস্ত নানা কাজে। বাড়ীর উঠোনে প্যান্ডেল সাজাতে ব্যস্ত ডেকোরেশনের কর্মীরা। তারা রাত-দিন কাজ করছে। ডেকোরেশনের এক কর্মী সাবরিনের আব্বাকে বলে, আঙ্কেল পিয়ারা গাছের বড় ঢালডা কাইটা ফেলতে হইব-নইলে প্যান্ডেলটা ডক হইব না।

মহাবিশ্বের যিনি প্রতিপালক তিনি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন। আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্ম ইসলাম। আমাদের ধর্মমতে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে আমাদের প্রতিপালককে এক এবং অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সব অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। আল্লাহ্ যেমনটি ইচ্ছা করেন তেমনটিই সৃষ্টি হয়ে যায়।

তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম। সম্পুর্ন নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হয়। তাই সবার পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু চার পাঁচ জনকে আমি খুব ভালো করে চিনতাম। কারন তারা ছিল আমার এলাকার। তার ভিতরে একটা মেয়ে ছিল। তাই মাঝে মাঝে তার সাথে কথা হতো।আস্তে আস্তে সকলের সাথে পরিচিত হতে থাকলাম।

তখন আমি ২য় শ্রেণিতে পড়ি। বাবার চাকুরির সুবাদে আমরা কোয়াটারে থাকি। নিচতলায় আঙ্কেলের ছোট বোন এসেছে বেড়াতে।