হৃদয়হীন এবং একজন ফুলবউ

ঐশ্বরিক (মার্চ ২০১৭)

আল মামুন খান
মোট ভোট ১৮ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.৪৭
  • ২২
  • ১৫
১.
‘এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে?’... এ রকম একটি গান শুনেছিলাম। সুবীর নন্দীর গাওয়া। তবে গানটি খুব ভালো লেগেছিল কথা ও সুরের কারনে।
কথা ও সুর...একে অপরের পরিপুরক।
সব কিছুরই দুই আছে। শুধুমাত্র এই সৃস্টিকর্তা এক।
সব জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি হয়েছে।
নর ও নারী... পশুদের ভিতরে... পাখীদের... অদৃশ্য জীন জাতির ভিতরে
সব যায়গায় ই এই কেবলি দুই এর ছড়াছড়ি।
বস্তজগতে ও সব ভেঙ্গে ভেঙ্গে শেষে কি পেলাম?
ইলেক্ট্রন-প্রোটন ও নিউট্রন... তারপর? পজিটিভ আর নেগেটিভ (+ এবং -)।
আমার এই লেখায় ও শুধু একজন হৃদয়হীন ও এক ফুল বউ।
কিন্তু কে পজিটিভ আর কে নেগেটিভ সেটার বিচার রইলো সকল ফেসবুক বন্ধুদের উপর।
একটু এলোমেলো লাগলে ও আমার মনে হয় তেমন খারাপ লাগবে না।

কাহিনী এগিয়ে যাবে ‘ডায়ালেক্টিক্যাল মেথডে’।
একজন বিবাহিত পুরুষ ও একজন বিবাহিত নারী।
যারা জীবনের অনেকগুলো বছর নিজ নিজ জোড়ার সাথে সংসার সংসার খেলা করে হঠাৎ উপলব্ধি করলো যে তাদের নিজেদের ভিতর আসলে ভালোবাসা নেই। এখন যে খেলাটা তারা খেলে চলেছে সেটা আসলে একত্রে থাকার ফলে সৃষ্টি হয়েছে।
কিছুটা অনেক দিনের থাকার অভ্যাসের ফলে...
একটু হয়েছে সময়ের প্রেক্ষাপটে একজন আর একজনের অসুখ- বিশুখে টেক কেয়ার করার ফলে...
সন্তানদের ভূমিকাটা এখানে অনেক বড় ফ্যাক্টর হলেও সেটাই মুখ্য কারন মানতে তারা রাজী না।
আর সমাজের ও লোক-লজ্জার ভয়?
এই ডিজিটাল যুগে এখন সেটা আর ওদের কাছে কোনো কিছু ই মনে হয় না।
এখন জীবন একাধারে অনেক জটিল-একমুখী ও সরল।
জটিল এই কারনে মানুষের চিন্তাধারা জটিলতার রোগে আক্রান্ত।
আর কাউকে দেখার কারো সময় নাই... এটা জীবনকে একমুখী করেছে।
আর এই সময় না থাকাই অন্যদিকে জীবনকে সরল করে তুলেছে।
আমাদের গল্পের চরিত্র দুটিও এমন এক ত্রিধা-বিভক্ত জীবনে প্রায় ১৭/১৮ বছর তাদের নিজস্ব পারিবারিক জীবন নিয়ে অভ্যস্ত।
তবে দুজন দুই মেরুতে থাকার কারণে কারো সাথে কারো যোগাযোগ ছিলো না।
হৃদয়হীন তার পরিবারের কাছে এক বিশাল হৃদয়ের অধিকারী(?)...
আর ফুল বউ তার ফ্যামিলিতে কেবলি একজন বউ (?)...
একদিন নিয়তির পুর্ব নির্ধারিত এপয়েন্টমেন্টের জন্যই এই দুজনের দেখা হয়।
তারা তাদের এতোদিনের চেনা গন্ডী থেকে বের হয়ে আসে।
দুজন দুজনের কাছাকাছি এসে হৃদয়বান পুরুষটি এক হৃদয়হীন এ পরিণত হয়।
মিষ্টি বউটি হয়ে যায় সেই হৃদয়হীনের ফুল বউ এ ।
দিন চলতে থাকে তার নিয়মে...
ওরা ও নিয়তির হাতে নিজেদেরকে ভাসিয়ে দিয়ে যে ভালোবাসার স্বরূপ নির্ণয়ে তারা অপারগ হয়েছিল- সেই জিনিসের সন্ধানে সকল লোকলৌকিকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
দুজনের ভিতর কথোপকথনের মাধ্যমে অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ হবে যা আমাদেরকে চিন্তার খোরাক জোগাবে।
তাহলে চলুন শোনা যাক এক হৃদয়হীন ও এক ফুলবউ এর ভালবাসার কিছু হৃদয় নিংড়ানো অনুভুতির কথা...

মনে করি ওরা দুজন এই ঢাকাতেই সংসদ ভবনের যে কোনো এক যায়গায় বসে আছে। আশেপাশে অনেক মানুষের ভীড়। কিন্তু কেউ কারো না হওয়াতে ওদেরকে আলাদা ভাবে দেখছে বলে মনে হলনা।
কয়েকদিন ধরে ওরা এখানে দেখা করছে।
কিভাবে ওদের দুজনের দেখা হল সেই ইতিহাস টানার কোন প্রয়োজন দেখি না। ওদের ভিতর যেভাবেই হোক দেখা হয়েছে এবং দুজন দুজনকে ফীল করতে শুরু করেছে। তবে এই ফীল গতানুগতিক ভালোবাসাকে বুঝাবে না। কি বুঝাবে সেটা জানার জন্যই তো এতো পাচালী...

হৃদয়হীন: ‘কেমন আছ?’
ফুলবউ: ভাল।
‘শুধুই ভাল?’
- হ্যা, শুধুই ভাল। এর থেকে আর কি ভাল রেখেছ তোমরা হৃদয়হীনেরা?
‘ এতো টেম্পার দেখাচ্ছো কেন? কিছু কি করেছি আমি?’
- কিছু করছো না কেন তুমি? এভাবেই কি চলবে?
‘ একই কথা আর কতভাবে তুমি জানতে চাবে ফুলবউ? কতবার ই তো বলেছি...’
- আর ঢং করা লাগবে না। ফুলবউ! আমি তোমার ফুলবউ হলাম কিভাবে?
‘ তুমি আমার কাছে ফুলের মত!’
- ব্যস! এটুকুই?
‘ তুমি শুধু এটুকুই দেখলে এই শব্দটার ভিতরে? তুমি আমার কাছে ফুলের তো...তোমাকে দেখে আনন্দ পাওয়া যায়, তোমার ঘ্রাণ নিয়ে চিত্তে ফ্রেশনেস আনা যায়... কিন্ত’
- কিন্ত কি?
‘ তোমাকে কাছে টানা যায় না। তোমাকে পেতে চাইলে... নিজের কাছে আনতে পারলেও বেশীক্ষণ রাখতে পারবো না।‘
- কেন?
‘ ফুলকে ছিড়লে সেটা কতক্ষণ আর তাজা থাকে। তার সউন্দর্য নস্ট হয়ে যায়, বিবর্ণ হয়ে যায়!’
- আমি ফুল না। আমি নারী... একজন প্রেমিকা!
‘ অন্যের তুমি... ‘অন্যের হয়ে গেলে খুব সহজে’
- আবার গান? এবারে একটু সিরিয়াস হও।
‘ সিরিয়াস কিভাবে হয়ে হয় ফুলবউ?’
- এতো বউ বউ করো নাতো। বউ বলছ, কিন্তু বউ এর জন্য কি করছ?
‘ আমি তোমাকে আগেই বলেছি, আমি তোমার হতে পারব না। আমার সংসার আছে!’
- আর আমি মনে হয় সংসার ত্যাগী এক বাউল?
‘ ঝগড়া করতে এসেছ?’
- না, গতকালের তোমার প্রশ্নের জবাব দিতে এসেছি।
‘ তাহলে শুরু কর। এখন অনেক কিছু ক্লীয়ার করা বাকী আছে।‘
- কিছু খাবে?
‘ এনেছ কিছু?’
- হ্যাঁ। চলো ওই দিকটায় গিয়ে বসি।
‘ বেশ, চল।‘

খাওয়ার পরে হৃদয়হীন বলে-
‘ শোনো, আমি এবং তুমি কি আমাদের দুজনের পরিবারের সদস্যদেরকে ধোকা দিচ্ছি? ধোকা এই অর্থে- আমরা দুজন- ই কি তাদের হতে পেরেছি?
- আমি তার সাথে ভালো ব্যবহার করি , তার কাছে ভালো ব্যবহার আশা করি , ভালোবাসি বলি না । আদর করি , অনেক । তবু নির্দয় মানসিক একটা বিচ্ছেদ আমাদের হয়ে গেছে এটা দুজনেই জানি । মেনেও নিয়েছি । বন্ধুর মতো পাশাপাশি থাকি । ধর্ম অনুমতি দেয় বলে শারীরিক লেনদেন । এটা ও এক ধরণের ভালোবাসা । শুধু দায়িত্ব না। একটা সময়ে দুজন দুজন কে পাগলের মতো ভালবেসেছিলাম । শরীরে তার রেশ থেকে গেছে । এটা তো পরিচ্ছন্ন ব্যাপার মনে হয়। ধোঁকা তো অপরিষ্কার জিনিস ।
‘ আমরা দুজন ই কি তাদের হতে পেরেছি?’
- আমি একজনের কথা বলি । আমার । আমি তার হয়েছিলাম । বছরের পর বছর তার বিবাহিতা হয়েও তার মন , অনেক সময় শরীর পাবার জন্য অসহ্য যন্ত্রণা সয়েছি । যতবার নিজেকে তার হাতে তুলে দিয়েছি , সে আমার মনটাকে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে আছড়ে আছড়ে ভেঙ্গেছে প্রতিবার । আমার পক্ষে আর কোনদিন তার হওয়া সম্ভব না। আর যে কোন কিছুই সম্ভব ।
‘ প্রশ্নের অন্য অংশের উত্তর তুমি জানো । বললে আমিও জানবো ।‘
‘-আমার সেদিনের লেখা চিঠিটার ব্যাপারে কি বলবে?
‘ তুমি লিখেছিলে ,"আমার শরীরে এখন শুধু ই বউ এর ঘ্রান" এই জাতীয় হবে। আমার হৃদয়ে ও কি ওর ঘ্রান? তোমার হৃদয়ে ও কি তোমার হাজবেন্ডের ঘ্রাণ? - আমার নাই , আগেই বলেছি । সেও এটা ভালো করে জানে । ও নিজেই বছরের পর বছর জোর করে সম্পর্কটাকে এই অবস্থায় এনেছে । আমার কিছু করার ছিলোনা । এখনো নাই । ভবিষ্যৎ খুব আলাদা হবে মনে হয় না ।‘
- তোমার মনে ও কাছাকাছি কোন সমস্যা থাকতে পারে ।
ফ্যামিলিকে তো তুমি ভালোবাসো । এটা আমার ধোঁকা মনে হয় না । কোথাও একটা অভিযোগ আছে তোমার মনে তোমার বউয়ের কোন কিছুর প্রতি । খুঁজে দেখা যেতে পারে সেটা।
‘ বাব্বা! তুমি তো অনেক জ্ঞানী। সব কিছুরই তো ব্যাখ্যা আছে তোমার কাছে।‘
- উপহাস করছ?
:’ না, তুমি আমার ফুলবউ না! ভালবাসতে পারি, উপহাস করতে পারি না।‘
- কিন্তু আঘাত করতে পারো। কস্ট দিতে পারো। নিজের করে নিতে পারো না। আসলে তুমি আমাকে একটু ও ভালবাস না।
‘ তার আগে বলো, ভালোবাসা কি?’
- এটা অনেক অনেক বার তোমাকে বলেছি।
‘ আমার মনে নাই, ফুলবউ! আবার বলো।‘
- মনে থাকতে হবে না । আর পারবো না বলতে ।
‘ একবারের বেশী দিতে চাও না কেন?’
- মানে?
‘ একবার বললে কি আবার বলা যায় না?’
- না, তুমি এটা বলো নাই। প্রথমবার কি বলেছিলে?
‘ তুমি তো বুঝতেই পেরেছো। তাহলে সেভাবে চললে ই হয়।‘
- তুমি কি কখনো ই সিরিয়াস হবে না?
‘ হলাম। তার আগে বলো, আমাকে হৃদয়হীন বলার কারণ কি?’
- যার হৃদয় নাই সেতো হৃদয়হীন ই।
‘ তোমাকে আমি কয়েকটা প্রশ্ন করেছিলাম, আজ সেগুলোর উত্তর দিবে আমায়?’
- কোনগুলো?
‘ ওই যে কেন ভালবাসি আমার বউ কিংবা তোমার বরকে তুমি?’
- কেন ভালবাস? সেটা কি এক সাথে থাকার ফলে শরীরের সাথে শরীরের মিল থেকে ভালোবাসা? নাকি সন্তানদের জন্য জোর করে ভালোবাসা? নাকি একটা বিপরীত লিঙ্গের জন্য ভালোবাসা? নাকি নিরাপত্তার জন্য, সমাজের চাহিদার জন্য, একা থাকা ঠিক হবে না তার জন্য?-আমি এই প্রশ্ন গুলির উত্তর না দিয়ে আরেকটা উত্তর দিই?
‘ দাও।‘
- প্রশ্ন হলো কেন এই সংসারে থাকা?
‘ কেন? আগের যে উত্তরগুলি দিয়েছ, তা কি বাদ?’
- হ্যা। সব কিছু আমার কাছে এক সমান । কোথাও জীবনটা কাটিয়ে দিলেই হয় । সে ক্ষেত্রে সব চেয়ে কম ঝামেলায় আমি এখানে বাঁচতে পারি ।
‘ ভালো।‘
- হ্যা। "ভালোবাসা কি? এর উত্তর চাচ্ছিলে বোধ হয় ?
‘ হুম। আর এই যে এক ভালোবাসাহীন বিবাহিত জীবন, এর একটা সমাধান বের করতে হবে। মিলে থাকার সমাধান।
- হৃদয়হীন, তোমার কি হৃদয় আছে?
‘ থাকলে কি এই নামে ডাকতে?’
- তুমি বুঝ না?
‘ কি বুঝি না ?
- তোমার ভিতরে তো আর আমি যেতে পারি না
‘ ভিতরে যেতে চাও নাকি?’
- হ্যা!
‘ নামকরণের আগে বৈশিষ্ট্য যাচাই করে বুদ্ধিমান লোকে । তোমার যথেস্ট বুদ্ধি।‘
- না আমি বোকা
‘ নাম দেবার পর কেন জানতে চাও ?
- যাও, আর জানলাম না।
‘এখন বল, কেন ভালোবাস?
- এক 'তুমি বাসো বলে । এর প্রমাণ সারা দুনিয়ায় করেছ তুমি। দুই, তোমার কিছু ভালো ব্যাপার আছে ।মন্দ একটু আছে ।দোষ খুঁজে কী লাভ ?
‘ মন্দটা আগে বল।‘
- বন্যার ধাঁচ আছে তোমার অবশ্য , পলি পড়বে।
‘ সরাসরি বলো’
- তার চেয়ে তুমি 'বন্যা ' রচনা পড়ে নাও। সহজ হবে।এক সাথে এতো কিছুতে মন দিও না । সময় যাচ্ছে ।
‘ হ্যা, এবার কালকের কথা টা বলো। তুমিই শুরু কর।
- চিঠিতে লেখার ব্যাপারে কষ্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেমকী কষ্ট পেলাম জানতে চাও নি ।
‘ বলো।‘
- তোমার সাথে না আমার পরকীয়া? সাথে প্রেম...
‘ আমার সাথে না, এক হৃদয়হীনের সাথে এক ফুলবউ এর।‘
- একই তো কথা হল
‘ কি চাও?’
- তুমি কী চাও ?
‘ আমি কি চাই তা জানি না।‘
- তোমাকে জানতে হবে!
‘ জানাও’
- আমি জানাব! ?
‘ আমি তো জানি না, তাই তুমি জানাবে?’
- আমি শুধু আমি কী জানি সেটা বলতে পারি ।
‘ বল... কি হল?’
- আমাকে নিয়ে তোমার আচরণ বন্যার মতো করে তোমার ভালোলাগা আর কিছু ইচ্ছা সারা দুনিয়ায় জাহির করেছে । কেন করেছিলে ?
‘ সারা দুনিয়ায় কি করেছে?’
- সারা দুনিয়ায় ছড়িয়েছে । ভাসিয়েছে বললে ভালো বুঝা যায়
‘ কার ব্যাপারে ভালো লাগা? তোমার ?’
- হ্যাঁ!
‘ কই? আমি তো বুঝলাম না।‘
- সত্য বলাই ভালো ।
‘ তোমার কি মনে হয়? আমাদের আগে কখনো দেখা হয় নি। কি এমন হল যে হঠাৎ আমি এই বয়সে দুর্বল হয়ে পড়তে পারি?
- আমার মনে হয় না ভালোলাগার জন্যই তোমার এতো সব এক্সপেরিমেন্ট । সেই জন্যই বললাম , তোমার সাথে আমার পরকীয়া ।
‘ কষ্ট পেয়েছ ?’
- না। আমার আরও মনে হয় , তোমার কষ্ট গুলি কমানোর পথ খুঁজে পাচ্ছি না। বিশৃঙ্খলায় পড়ে যাচ্ছ কেন ? ভালোবাসা না থাকলে দেখানো যায় না । থাকলে গোপন করা যায় না ।তুমি আমার বাসায় যেদিন এসেছিলি সেদিনের একটা মুহূর্ত আমার মনে বিশ্বাস তৈরি করেছিলো ... আমায় হয়তো ভালবাস । পরে তোমার এক্সপেরিমেন্ট গুলি দেখে আহত হয়ে আবিষ্কার করেছি , এ শুধু খেয়ালি খেলা ।কিন্তু যখন কষ্ট পাও , তখন মনে হয় , কষ্টের উৎস ভালবাসাই ।পরকীয়া আর ভালোবাসা এক নয় ।ভালবাসার জন্য অনুমতি , নিয়ম কানুন কিছু লাগে না ।পরকীয়ার সাথে নিয়মের সম্পর্ক আছে । আইন , নীতি , ধর্ম অনেক কিছু জড়িত এর সাথে ।অনেক নিয়ম লঙ্ঘন করে এই সম্পর্ক হয় । এটা মানসিক ব্যাপার না। তোমার সাথে আমার অফুরন্ত ভালবাসার সম্পর্ক । তুমি বুঝ নাই ? তোমার সব ইচ্ছা অনিচ্ছা কিভাবে মেনে নিচ্ছি... ভালো না বাসলে নিতাম ?
মন খারাপ করিয়ে দিয়েছি জানি ।
‘ না , বলে যাও।‘

ফুলবউ একটু থামে। কি বলবে গুছিয়ে নেয় মনে মনে। ওরা দুজন যেখানে বসে আছে সংসদ ভবনের এই দিকটা নীরব হয়ে এসেছে। আর কতক্ষণ থাকবে চিন্তা করল। বলল,
- কিছু জিজ্ঞেস করো । আমার বলা সহজ হবে ।
‘ কিন্তু আমার এখন মনে হচ্ছে তোমার সাথে পরকিয়া ই করতে হবে। বন্ধুর মত করে সাথে থেকে দেখি কেমন লাগে। গতানুগতিক প্রেমের মত হবে না। আমরা আমাদের দুই পরিবারের সাথে থেকেও এক সাথে থাকবো। গল্পের মত।‘
- কিভাবে করবে ?
‘ তুই আবুল বাশারের ফুল বউ উপন্যাসটা পড়ে নিও। এখানে এক যুবক ছেলের সৎ মা যে ওর থেকেও কম বয়সের। এক পর্যায়ে সেই মায়ের সাথে ছেলের প্রেম হয়। আমি আসলে ঠিক বোঝাতে পারছি না। তুমিই ভেবে বের কর। সব কিছু তুমিই ই কর না।‘
- কেন ? আমি ই সব করব কেন?
‘ ভালবাসিস তাই!’
- তুমি বাস না?
‘ বাসি তো। 'ভালবাসি ... ভালবাসি'
- হইছে।... বইটা পড়েছিলাম
‘ তাহলে আমাকে বুঝাও’
- কী বুঝ নি আগে বলবে তো ?
‘ কিভাবে প্রেম টা হয়। আর সেই প্রেমকে কোন সংগায় ফেলা যায়।‘
- বইয়ে কী লেখা আছে ?
‘ আমি অনেক আগে পড়েছি... আজ আমার ও মনে নাই। আমি ও অনেক আগে পড়েছি।সেই ১৯৯১ এ। আবার বইটা পড়ে নেই?’
- হ্যাঁ।
‘ তাহলে তুমি হৃদয়হীনা না।আগে তোমাকে তাই ভাবতাম। এবার তোমার নাম ফুলবউ। যার হৃদয় আছে, কিন্ত সে সেটা অন্যকে দিয়ে বসে আছে যে সেটা বাদ দিয়ে তার শরীরকে নিয়ে ব্যস্ত । অথচ যে হৃদয়কে চায়, তার কাছে যাবার জো নাই। একটু নুড হয়ে গেলো কি?’
- আমার সঙ্গে কীভাবে তোমার পরকীয়া হবে ? আমরা মনের দিক থেকে এবং বাসস্থানের দিক থেকেও অনেক দূরে থাকি । মানসিক সম্পর্ক পরকীয়ার পর্যায়ে পড়ে না।
‘ এক কাজ কর বরং , আগে তুমি এই হৃদয়হীনকে নিয়ে একটা লেখা লিখ। আর আমি সেটা শেষ করব ফুলবউকে দিয়ে। এখন বলো কোন সম্পর্ক পরকীয়ার পর্যায়ে পড়ে? আমাদের তো শারিরিক সম্পর্কের প্রয়োজন নাই। সেটা তো আছে- ই। আর অনেক- ই হয়েছে।‘
- ঠিক করে বল। কবে তোমার সাথে আমার...
‘ হাহ হা হা। তবে কেন সেটা করছ না? ‘
- তুমি ভাল করেই জান। তুমি সব পেতে চাইছ... কিন্তু দায়িত্ব না নিয়ে। ভোগ করা আর ভালবাসা কি এক জিনিস?
‘ না। শোনো তবে, আমার আর তোমার পরকিয়া হবে ভাবের জগতে... মানসিক ভাবে দুটি নর ও নারীর ভিতর। মানসিক পরকিয়া করব। একজন ফুলবউ এর অনুভুতির সাথে এক হৃদয়হীনের চিন্তার প্রেম। এটাকে চিন্তা শেয়ার করা কিংবা 'চিন্তা চুরি' ও বলতে পার।‘
- ভালই বললে। তাতে করে কার কি লাভ হবে?
‘ লাভ খুঁজো কেন এতো? তুমি কি শরীরের সুখের জন্য উতলা ? Are you crying for sex?’
- না। আমাকে কি এখন তোমার খারাপ লাগছে? আমার সেই ফ্রেন্ড মোবাইলে যার কথা শুনে আমার কান গরম হয়ে গেছিলো, তার মত লাগছে? আমি সে রকম না। আসলে তোমাকে বোঝাতে পারছি না। তুমি কি আমাকে ফেলে চলে যাবে?
‘ গেলে তো অনেক আগেই যেতে পারতাম। তুমি কি তখন এই গানটা ই বেশী বেশী শুনবে না?’
- কোনটা?
'... চলে গেলে কেন একা ফেলে... আমাকে' ... এতো নিষ্ঠুর কেন হলে?' হাহ হা হা’

দুজন নর ও নারী যারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনে সুখী নয়, হাসির ভিতর দিয়ে নিজেদের অতৃপ্তিকে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে। হাত ধরাধরি করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
যে হাতকে তারা তাদের জীবনে পরম নির্ভরতায় ধরে ছিলো , জীবনের এই প্রান্তে এসে দেখে সেটি ভুল হাত ছিল। কোনটি সঠিক হাত তবে?
আদৌ কি কোনো সঠিক হাত আছে?


২.
এর পরে প্রায় এক সপ্তাহ হৃদয়হীন তার অফিসের কাজে এত ব্যস্ত থাকে যে ফুলবউ এর সাথে দেখা করা হয়ে উঠে না। মোবাইলে কথা আর ব্যস্ততার মাঝে পাঠানো ম্যাসেজ এ কি আর নয়নের তৃপ্তি মেটে? সাথে রয়ে গেছে শরীরেরও ক্ষুধা। বছরের পর বছর একই ঘরে থেকেও শুধুমাত্র মনের মিল না হওয়াতে শরীর তার স্বাভাবিক আবেদন হারিয়েছে সেই অনেক বছর আগে। এখন শুধু রোবোটিক প্রেম যেখানে যন্ত্রের চাহিদা একটা নির্দিস্ট সময়কে পার করানো।

ফুল বউ আজ একটু উত্তেজিত। সেই সকাল থেকে। হৃদয়হীনের সাথে আজ শীতলক্ষ্যায় নৌকা ভ্রমনে যাবে। হঠাৎ করে সকালে মোবাইলে পরিচিত নাম্বারটি প্রিয়জনের ঘ্রাণ নিয়ে এলো। সাথে এমন এক অফার যেটা সেই কবে থেকে ফুলবউ মনের গভীরে লুকিয়ে রেখেছিল।
নিজেকে খুব খারাপ লাগল ফুলবউ এর এই চিন্তাটা মাথায় আসাতে। খুব খারাপ একটা চিন্তা যা তার সামাজিক মর্যাদার সাথে খাপ খায় না। এটা শুধুমাত্র বাজারের মেয়েদের ভিতর দেখা যায়। তবে কি সে বাজারের মেয়েছেলে হয়ে গেল?

নাহ! বাজারের মেয়েরাও শরীরের তৃপ্তি পায়। যেটা সে এই এতোগুলো বছরে তার নপুংসক স্বামীর কাছ থেকে পায় নি। সে এদিক থেকে বাজারের মেয়েছেলেদের থেকেও নিঃস্ব। ভালোভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ ও একরোখা এক মেয়েতে পরিনত হয়েছে আজ ফুলবউ!

নৌকায় করে দুজনে অনেক সময় নিয়ে ঘুরে বেড়ালো। একটা নির্জন যায়গায় থামিয়ে দুজনে ছই এর ভিতর থেকে সামনের দিকে এসে বসে। মাঝি সামনের একটা চা’এর দোকানে যায় ওদেরকে কিছুটা সময় পাইয়ে দিতে। তা প্রায় আধা-ঘন্টা হল সে গেছে।
পানিতে ফুলবউ নিজেকে দেখে। ফুলবউ এর ছায়া-সঙ্গিনিকে দেখে। এতোদিন ওর ছায়াটাও ওর সাথে ছিল না। আজ সব কিছুই সে পেয়েছে। চরম প্রাপ্তি আর সুখ ওর পানিতে আবছা হয়ে ফুটে উঠা মুখচ্ছবিতেও ধরা পড়ছে। অকারণেই লাল হয় ফুল বউ।
কিভাবে যেন ফুলবউ পরিণত হয় লালবউ এ!

হৃদয়হীন জিজ্ঞেস করে,
‘ চুপ করে কি ভাবছ জান!’
- হঠাৎ এই পরিবর্তন যে? সম্বোধনের কথা বলছি আমি।
‘ চেঞ্জ হবার কারণ কি ঘটেনি?’
- তোমার মনে হয়?
‘ কেন তোমার হয় না?’
- জানি না।
‘ তোমার মনটা কি খারাপ করে দিলাম ?’
- না।
‘ তাহলে মন খারাপ করে আছ কেন?
- মন খারাপ কে বলল ? ভাবছি ।
‘ ভাবো’
- কিছু জানতে চাচ্ছ ?
‘ তুমি কি ভাল আছ?
- কি নিয়ে ?
‘ তোমাকে নিয়ে!’
- আমাকে নিয়ে কি ব্যাপারে ?
‘ তোমাকে নিয়ে তোমার ভাল থাকা।‘
- ভালো আছি । চিন্তা করতে হবে না। তুমি আছ?
‘ হ্যা, আমি ও আছি। ফুলবউ! তুমি আজ আমার বউ হলে আজ!’
- আমি কার বউ তুমি জান না?
‘ না, বলো।‘
- আমি আমার জামাই এর বউ। কয়েক বাচ্চার মা।
‘ তবে এখানে কি করছ?’
- তাই ভাবছি। আমি এখানে কি করছি!
‘ আমার মাথা ব্যথা তুলে দিও না।‘
- আমারটা তুলে দিয়েছ। এখন তোমারটা তুলে দিবো।
‘ কেন ? কি করলাম ?’
- নিজে কে জিজ্ঞেস করো।
‘ আমি তো মিথ্যা। মিথ্যার কাছ থেকে কি আশা কর?’
- সত্য
‘ মিথ্যা সত্যের পথ দেখায় ?’
- না। তবে কি তোমার থেকে কি আমাকে দূরে থাকতে বলছো?
‘ না’
- কোনটা না?
‘ দূরে কেন যেতে হবে ?’
- আগে মনে হয় নি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তুমি ধংসাত্তক!
‘ এটাই বলতে চাচ্ছিলাম’
- আমার ভিতরে একটা শয়তান থাকে এটা জানো। তোমার ভিতরে ও আছে।
‘ তো এখন কি করতে হবে?’
- তো এই শয়তানকে সুযোগ দেয়া যাবে না।
‘ হাহ হা হা!’
- হাসলে যে বড়?
‘ সব কিছু দিয়ে টিয়ে এখন বলছো শয়তানকে সুযোগ দেয়া যাবে না!’
- যতই আমরা মনে করি ঠিক আছি, কিন্তু মন এর ভিতরের কালো সাপ আমাকে দংশন করছে... এটা ভালো না।
‘ একটু সতর্ক থাকা ভালো।‘
- হ্যা, ভালো। এ জন্য কি করবো এখন?
‘ বুঝেছ তো । তুমিই ঠিক কর কী করবে।‘
- তুমি কি করবি?
‘ তুমিই বল?’
- বিদায়?
‘ ফুল বউ থেকে বিদায়?’
- তাইই তো বললে!
‘ সব ই যদি আমি বলি, তোমার কাজ কি?’
- শোনা
‘ আমাকে দিয়ে কেন বলাও?’
- সিওর থাকার জন্য
‘ না, এবার তুমি বল।‘
- কি বিষয়ে?
‘ যেটা নিয়ে বলছি। ফুল বউ কি মারা যাবে? নাকি হৃদয়হীন মারা যাবে? নাকি দুজনই?’
- ফুল বউ মরে যাওয়াই ভালো
‘ না কি দুজন এক হয়ে যাবে?’
‘ কিভাবে?’
- জানি না।
‘ দুই মেরুতে থেকেও এক হয়ে যেতে পারে না?’
- পারে।
‘ তাহলে তাই হোক।‘
- আচ্ছা
‘ ফুল বউ হৃদয়হীনের ই থেকে যাক... হৃদয়ে। তবে যার যার পরিবারের ভিতর থেকে।‘
- তুমি সত্য আর মিথ্যা এক জায়গায় করে ফেলো না।
‘ সত্য কোনটা? আর মিথ্যা কোনটা?’
- সত্য তুমি, সত্য আমি। সত্য ঈশ্বর। প্রেম ঐশ্বরিক, তাই নয় কি?
‘ আর মিথ্যা কে?’
- গল্পটাই মিথ্যা
‘ ফুলবউ নাকি হৃদয়হীন? তুমি ‘তুমি’ হয়ে যাও। আমি আমি হয়ে যাই।‘
- সত্যই ভালো হয় তাহলে!
‘ হ্যা, চলো। আমাদের ভিতরেই আমরা থেকে যাই।‘

দুজনে যে নতুন জীবনের স্বাদ আজ পেলো, সেটা তাদের নিজেদের পারিবারিক জীবনকে সহজ না করে আরও অনেক জটিল করে তুলল। দুজনে এটা ভালো করেই বুঝেছে। তারপরও অনেকটা দূর পথ তারা পাড়ি দিয়ে ফেলেছে। এখন তাদের জীবনের সাঁঝবেলায় উপনীত হয়েছে। এখান থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। ভুল বা ভুল না- কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক সেটার যেহেতু কোনো নির্ধারিত মানদন্ড নেই- একজন হৃদয়হীন এই মুহুর্তে তার ভিতরে হৃদয়ের উপস্থিতি অনুভব করে। তবে সেটা কেবলমাত্র এই ফুলবউ এর জন্য নয়। ওর বাসার লাল বউ এবং ছোট বাচ্চাদের জ্ন্যও সেখানে ভালবাসার অফুরন্ত এক ফল্গুধারা বয়ে চলেছে টের পেলো।

ফুলবউও হৃদয়হীনের হাত ধরে নৌকার ভিতরে যাবার আগে নিজেকে ওর সেই বাসার মানুষটির বউ হিসেবে নিজেকে দেখতে পায়। অবাক হয়ে টের পায় সেই নপুংশক মানুষটির জন্য এখনো ওর মনের ভিতরে ভালবাসা রয়ে গেছে। বাচ্চাদের জন্যও কেমন লেগে উঠে।

কিন্তু হৃদয়হীনের হাত ছেড়ে নপুংশকের বউ হয়ে ঊঠা কি ওর দ্বারা সম্ভব হবে?
ফুলবউ এর শরীরের ঘ্রান কে অগ্রাহ্য করে কি হৃদয়হীন ফিরে যেতে পারবে ওর লাল বউ এর কাছে?

কঠিন মনে হলেও আসলেও কি খুবই কঠিন?

কেন এই সমস্যা? সমাজব্যবস্থার কোন সে অবক্ষয়ের দরুন লাল বউয়েরা ফুলবউতে পরিণত হচ্ছে? আর লাল বউদের ছেড়ে হৃদয়বানেরা কেন হৃদয়হীনে পরিণত হয়ে ফুলবউতে আসক্ত হচ্ছে?

খুব শিঘ্রই আমাদেরকে এর মূল খুঁজে বের করতে হবে। নচেৎ পারিবারিক জীবন বলে আর কিছু থাকবে না।
আমাদের সন্তানেরা বেড়ে উঠবে এক একজন ভবিষ্যৎ হৃদয়হীন ও ফুলবউ হবার জন্য।
আমরা নিজেরাই তাদেরকে সেই পরিবেশ ই কি দিয়ে যাচ্ছি না???

[শেষ? না... এটাই তো শুরু...]
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Raj Islam Shanto আরো কিছু গল্প লিখার জন্য অনুরোধ রইলো ভাইয়া
Raj Islam Shanto ওয়াও সুপার হয়েছে ভাইয়া
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া বাহ্‌, চমৎকারতো গল্পটি। অভিনন্দন আপনাকে। আরো লিখবেন মিতা।
কেতকী অভিনন্দন রইল।
মিলন বনিক অভিনন্দন জানবেন.....
Fahmida Bari Bipu অভিনন্দন রইলো।
সেলিনা ইসলাম অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আরও অনেক ভালো ভালো বিষয়ভিত্তিক গল্প লিখুন এই শুভকামনা নিরন্তর।
জাফর পাঠাণ জীবন চরিত্রের দিকগুলি খুব জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন গল্পটিতে । ভালো লেগেছে । আর বিজয়ী হওয়ার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা । শুভাশীর্বাদ । ভালো থাকুন সতত।
Lutful Bari Panna অভিনন্দন ভাই
রাকিব মাহমুদ তৃতীয় স্থান বিজয়ীকে অভিনন্দন! রইলো বাংলা শুভ নববর্ষে ফুলের শুভেচ্ছা!

২৫ সেপ্টেম্বর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৩০ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.৪৭

বিচারক স্কোরঃ ৩.১৭ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.৩ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪