ঐশ্বরিক

ঐশ্বরিক (মার্চ ২০১৭)

নয়ন আহমেদ
  • ১২
  • ১৯
আজ বেলা দশ টায়, আমি আর শতরুপ গিয়েছিলাম বর্ধমানে। শতরুপকে ডাক্তার দেখাতে, বাড়ী ফেরার সময় ট্রেন লেট থাকায় স্টোশনের প্লাটফ্রমে একটা ব্রেঞ্চে আমরা বসলাম। হঠাৎ বছর সাত একের একটা ছেলে কথা থেকে বা পা শুধী ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে টাল খেতে খেতে সে এসে বসলো। বসার ভঙ্গিটা কেমন অন্যরকম যেন। এক হাতে হাটুর কাচটা ধরে, তারপর ধপাশ করে বসলো। দেখে যেন কেমন মনে হলো? সে বলে উঠলো দিদি মণি এ্য আপনার জুতোটা পালিশ করে দেব? তারপর আমি ওকে জিগ্গেস করলাম? কি হয়েছে তোমার পায়ে? ও ও কিছু নয় দিদি মণি। আসলে কত্ত তাবিজ কবজ করলাম। তারপরো কোনো কাজ হলো না। পরে পলিও হয়েছে আর কি ডাক্তার দেখাবার পয়সা নাইতো তাই। ও ! তোমার মা বাবা নেই কোথায় থাকো? আহাহ্রা শুধী মা আছেন। তবে বাবা উপরে যাওয়ার পর আমাকে একা রেখে চলে গেছেন। আর বাড়ী ঐ যে দেখছেন না ব্রিজের কাছে সাখো, আরে ঐ গাছ টার নিচেই আমরা থাকি। তারপর আবার ভর হতে না হতেই চলে আসি স্টোশনে। ওর কথা শুনে আমার গলার কাচে কেমন একটা বাস্প জমা হলো। এই টুকু ছেলের এই অবস্থা? একটা সময় জুতো পালিশ করা হয়ে গেল, ওকে কুঁড়িঁ টাকা নোট দিয়ে বললাম? এটা তোমার কাছে রাখো। তখন সে বলে উঠলো এ্যহে দিদি মণি জুতো পালিশ করার মূল্যতো পাঁচ টাকা। এ্য আপনাকে ফেরৎ দিতে হবে পনেরো টাকা। এত টাকা আমার কাছে তো নেই? তোমাকে ফেরৎ দিতে হবে না কেমন? এটা তোমার কাছে রেখে দাও। ছেলেটি বললো এ্য কিন্তু এর বেশি দাম তো আমি নিতে পারবোনা। এতটা আত্বসম্মান এই টুকু বয়সেই? তখন আমি অবাক হয়ে গেলাম। ওর দিকে চেয়ে থাকলাম ফেল ফেল করে। এ সময়েই হঠাৎ বছর দশে একের একটা মে ছেড়া ময়লা জামা পড়া। তার একদিকে ছেড়া আদ ময়রা ওরনা শুকনো আলো ধালো অবস্থা। সামনে এসে সন্ধিকদ্ধো চখে এদিক সেদিক দেখে তারপর ছেলেটিকে বলে উঠলো? এই সেই কখন থেকে তোকে খুঁজে বেড়াচ্ছি এ প্লাট ফ্রম ও প্লাট ফ্রম, আর তুই এখানে বসে। কতোবার যে তোকে বললাম আজ বেরুবী না? কাল সারাদিন তোর না জ্বর ছিলো। এ দিকে আয়তো কই এই দেখি দেখি ইস তরতো জ্বরে গাঁ পুড়ে যাচ্ছে। এই বলে ওর ওরনাটা গাঁয়ে চাপিয়ে দিলো। বললো এই এই ধর এই বিস্কুটটা ধোর। ওই বাবুটা দিলেন, কাল থেকে তোর পেটে তো কিছুই পড়েনি। ছেলেটা কামড়ে আধ খানা বিস্কুট খেয়ে মেটিকে দিয়ে বললো? এ্যায়া এই নে আর বাকিটা তুইও খা। তুইতো কাল আমার পাশে সারারাত জেগেছিলি? তুই ভাবছিছ আমি জ্বরের ঘরে কিছুই টের পাইনি। তখন ছেলেটিকে বললাম আচ্ছা ও তোমার কে হয় গো? বললো আহ্ ও আমার বন্ধু আছে। জানেন? ওর বাবা আর সৎ মা ওকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে। মে টি হঠাৎ বলে উঠলো? এই চলে আয় এই প্লাট ফ্রমে। ওর হাত ধরে কোনোরকম খোড়াতে খোড়াতে সেই ছেলেটিকে নিয়ে চললো। তারপর আমি আর শতরুপ চেয়ে রইলাম ওদের দিকে। যতক্ষন না দৃষ্টির আড়াল হয়। অনেক বছর পার হবার পর হয়তো ওরা দুজনে সংসার পাতবে। ওদের সন্তান কে নিয়ে সুখে থাকবে। ওরা আমাদের সংসারকে বিদ্রুপ করে লাইনের ধারে গোল পাতার ছাউনির তোলায় ওদের পৃথীবি ভরে উঠবে। তখন আমার দু'চোখ জলে ঝাপশা হয়ে আসছে। ওমনি ট্রেন আসার ঘোষণা শুনলাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহা রুবন খুব ভাল একটি গল্প হতে পারত। অসংখ্য বানান ভুল, অযত্নের ছাপ লেখায়। সতর্ক হবেন আশা করি। শুভেচ্ছা।
আল মোমিন করুন সত্য, ভালো লাগলো। শুভকামনা নিবেন।
ভূবন Good, very good... amar kobita porar jonno amontran....
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) Shobder banan r para kora, edike drishti rakhle lekha aro sundor hobe vai.
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী অন্যের গল্প কবিতা গুলো একটু পড়তে চেষ্টা করুন। ভালো লাগার উপরে ভিত্তি করে তাকে মন্তব্য করুন এবং ভোট দিন। দেখবেন নিজের লেখার মান বাড়বে এবং এক সময় তরুন প্রজন্মকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন। শুভকামনা রইলো।
মোঃ নিজাম গাজী অনেক সুন্দর লিখেছেন । ভোট রেখে গেলাম হে কবি । আমার পাতায় আমন্ত্রন ।
এম ইমন ইসলাম গল্পটি যেন নিমিশেই শেষ হয়ে গেলো। ভোট দিলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
মো শামীম রেজা পড়তে পড়তে কখন যে শেষ নিরাশ করলেন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী আরও বড় গল্প আসা করছি কবি। অসাধারন লিখছেন।

০৪ আগষ্ট - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অভিমান”
কবিতার বিষয় "অভিমান”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মার্চ,২০২৪