অদ্ভুত তুমি হীনতায় ভূগছি

ঐশ্বরিক (মার্চ ২০১৭)

ক্লান্ত পথিক
তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম। সম্পুর্ন নতুন একটা স্কুলে ভর্তি হয়। তাই সবার পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু চার পাঁচ জনকে আমি খুব ভালো করে চিনতাম। কারন তারা ছিল আমার এলাকার। তার ভিতরে একটা মেয়ে ছিল। তাই মাঝে মাঝে তার সাথে কথা হতো।আস্তে আস্তে সকলের সাথে পরিচিত হতে থাকলাম। এই রকম করতে করতে চার পাঁচ মাস কেটে যায়। আমি সবসময় ফাস্ট টেবিলের একদম ফাস্টে বসতাম। একদিন আমি মন দিয়ে অঙ্ক করতেছি ঠিক সেই সময় এক রমনি বলছে, আমি কি আসতে পারি স্যার। কেন জানি হঠ্যৎ আমার হৃদয়ের স্পন্দন থেমে গেল। তার কণ্ঠ শুনার পর আমার আর অঙ্ক করতে মন চাইছে না।
তাই আমি বাধ্য হয়ে মাথা টা উপরে তুললাম। দেখলাম যে আমাদের ক্লাসের দরজায় অবিরাম স্রোতে ঝরনা বইছে আর তার ভিতরে যেন উপরের উয়ালা নিজের হাতে রংধনুর সাতটি রঙ গুনে গুনে মেখে রেখেছে। সবাই তার দিকে তাকাতেই সেই নারভাস ফিল করতে লাগলো। তাই তার নাকের আগায় সামান্য ঘাম দেখা দিচ্ছে আর সেই দৃশ্য দেখার মতো। স্যার অঙ্ক শেষ করে বলতে লাগলো-- কে তুমি
সেই বললো আমি **** ।
(কি নাম দেখা যাচ্ছে না, তাহলে থামেন থামেন নাম বলিয়া আমি নিজে নিজে বাঁশ খামু। অতোটা বোকা আমি না। এইখানে আমি হচ্ছে লেখক) আচ্ছা গল্প শুরু করা যাক।
আমি ****। আমি এই স্কুলের নতুন একজন ছাত্রী।
স্যার -- আচ্ছা আসো আসো।
ক্লাসে ঢুকতেই সেই নার্ভাসের কারনে বেন্ঞ্চের সাথে লেগে পড়ে যেতে লাগলো আর আমি পুরু কাহিনী টা দেখে দেখে হাসতে লাগলাম সেই আমার হাসি দেখে আরো নার্ভাস হচ্ছে।
এক দিন আমি আর আমার বন্ধুরা বারান্দায় দারিয়ে আছি। যেই মেয়েটা আমাদের এলাকার সেই দুষ্টামি করে আমাকে বরই বিচি মারে সেইটা সোজা আমার মাথায় পড়ে আমি পিছন দিকে তাকাতে সেই সরে যায় এবং স্কুলের নতুন মেয়েটা দারিয়ে আছে।

তার পর থেকে আমি প্রায় প্রতি ঘন্টায় তার দিকে তাকাতাম, সেই এইটা বুজতে পারতো যে, আমি তার উপর দুর্বল।সেই ও আমার দিকে তাকাতো। এইভাবে করতে করতে প্রায় চার মাস হয়ে গেছে।সামনে SSC পরিক্ষা তাই সব ভূত মাথা থেকে ঝেঁড়ে ফেলে পড়ালেখায় মন দেই।
বিদায়ের দিন আজ। তাই আজ সবাই স্কুলে উপস্থিত। কিন্তু সেই আসচেনা দেখে আমার মন প্রথম বার কারো জন্য মিসিং ফিল করতেছে।
বন্ধুরা সবাই মজা করলেও আমার একদম ভালো লাগতেছে না, কিন্তু হঠ্যাৎ কে যেন আসতেছে,দূর থেকে হালকা হালকা দেখা যাচ্ছে। আমি সেই দিন কালো শার্ট পড়ে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখি সেই তখন কি যে আনন্দ হচ্ছে আমার বলে বুজাতে পারবো না। দেখলাম সেই হলুদ একটা জামা পড়ে এসেছিল।
SSC পরিক্ষার রেজাল্টের পর দূরভাগ্যক্রমে আমরা দুইজন দুই কলেজে ভর্তি হই।

Hsc পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি কচিং এ ভর্তি হলাম সেখানেই তার সাথে আমার আবার দেখা হয় । আর তখন থেকেই গ্রুপ করে স্টাডি করা, বিভিন্ন সাজেসন আর শীট আদান প্রদান করা। এই সব আদান প্রদান করতে গিয়ে কখন যে আমাদের মনটা আদান প্রদান করে ফেললাম তা বুঝতেই পারিনি।
ওর স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়া আর আমার স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। কিন্তু আমি প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় সফল হতে না পেরে আর পড়া লেখা বন্ধ করার চিন্তা করি। আর ও প্রথম বার চান্স না পেয়ে সেকেন্ড বারের জন্যে চেষ্টা করতে থাকে। এই সব ঝামেলার মধ্য দিয়েও আমাদের সম্পর্কটা খুব ভালই চলছিল। এভাবেই কেটে গেল আরোও কিছু সময়। অবশেষে সে একটা বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয় তার পাইলট হবার স্বপ্ন পূরনের জন্যে।
তখন থেকেই আমাদের মধ্যে দূরত্ত্ব বাড়তে শুরু করে। ওকে ফোন দিলে ঠিক মতো কথা বলার সময় পেত না, দেখা করার কথা বললে ও রাজি হতো না। যেন মনে হতো পৃথিবীর যত ব্যস্ততা সব যেন তার। একদিন সে আমাকে দেখা করতে বলে, আর সেদিন আমি জানতে পারি ও আর আমার সাথে রিলেশন রাখতে চায় না। আমি যাতে আজকের পর ওকে আর বিরক্ত না করি। আমি তখন নির্বাক হয়ে গেছিলাম বলতে পারিনি কিছু।
সেদিন খালি হাতে ফিরে আসার পর আমি ওর সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করি কিন্তু সে আমাকে তার জীবন থেকে ব্লক করে দেয়। তবু আমি ওর জন্যে অপেক্ষা করে থাকতাম হয়তো সে একদিন আবার ফিরে আসবে আমার কাছে। কিন্তু তা আর কোনদিন হলো না সে আর ফিরে আসেনি। অনেক দিন পর কারও কাছে শুনতে পেলাম ১ মাস আগে নাকি ওর বিয়ে হয়ে গেছে। সেদিন আমি অনেক কেঁদেছিলাম কিন্তু করার ছিল না কিছুই। এখনো কাদঁতে চাই কিন্তু এখন আগের মতো চোখ দিয়ে পানি পড়ে না। নির্বাক হয়ে গেছি। এখন আমার সঙ্গি অন্ধকার আর রাতের চাঁদের আলো প্রতিদিন আমি চাঁদের সাথে কথা বলি। কিন্তু চাঁদও তার মতো নিষ্ঠুর হয়ে গেছে সেই আর আগের মতো আমার সাথে কথা বলতে চায় না। তাই আমি তাকে বলি,
"ঐ চাঁদ আমারও তোমার মতো একটি চাঁদ আছে, কিন্তু তুমি থাকো বহুদুরে আর সেই থাকে হৃদয় জুড়ে।"
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নিজাম গাজী অনেক সুন্দর লিখেছেন । ভোট রেখে গেলাম হে কবি । আমার পাতায় আমন্ত্রন ।
এম ইমন ইসলাম নির্ধারিত বিষয়ের সাথে লেখার বিষয়টি মিল আছে কোথায় বুঝলাম না। এখানে "বাশ" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে! আসলে কিভাবে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ভেবে কিছুটা অবাক হলাম! ভালো শব্দ প্রয়োগ & ভালো গল্প আশা করছি।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী কবি আরও বড় গল্প আশা করছি। বেশ লিখেছেন কবি। পুরো গল্পটা পড়ে খুব ভাল লাগলো। ভোট রেখে গেলাম।

০৬ ফেব্রুয়ারী - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অভিমান”
কবিতার বিষয় "অভিমান”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মার্চ,২০২৪