প্রতি দিনের মত আজও সুই সুতা নিয়ে জয়িতা সেলাইয়ের কাজ করছে আর আমি পূবের জানালাটার পাশে চেয়ারটায় বসে আছি । খালা আজ বাড়ীতে নেই, ডাক্তার দেখাতে গেছেন। হঠাৎ জয়িতা আমার কাছে দৌড়ে এসে দুহাতে আমার গাল চেপে ধরে, মুখের কাছে মুখ এনে বলে কিরে বকুল আমাকে দেখলে তুই এত ভাল হয়ে যাস্ কেন?
তোকে খুব ভাললাগে।

প্রভাতের রোদ ঝরায় না ক্ষোভ ভুবন মাঝে,জড়াতে বুকে তোমায়
পড়ন্ত বিকেল হাওয়া হিমেল আসে অতিলাজে,বুলাতে তব গায়
রাজবিহঙ্গ দেয় সঙ্গ শুনায় কাহিনী কল্প,ভরাতে তোমার মন
ময়ূর পেখম তুলে তখন দোলায় অঙ্গ অল্প,জুড়াতে তোমার প্রাণ।

লাল-সাদা-কালো পল্লীবালার ‘এক ঝাক পায়রা
আকাশে উড়ে গ্রাম বাংলা ‘ভ্রমন করে তারা,
প্রিয়ার সাথে মিলাতে গিয়ে মিলল লাল কালো চুল
পৃথিবীর বয়োসীনী হবে যখন, সাদা বলা হবে না ভুল।

প্রতিবার তোফায়রাই আর্কিমিডিসের ইউরেকার মতো জানান দিত বিড়ালের খোঁজ- জুতোর বাক্স, লোহার গাইল, আধভাঙা তবলা, পুরনো দোলনা, টব, বালতি, পেঁয়াজের টুকরি, মুড়ি ভাঁজার হাঁড়ি।

সাগরের নিলাভ জলরাশির দিকে তাকিয়ে মহিন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে আর বলতেছে “তিশা তুমি আমার সাথে এমন কেন করলে, কি দোষ ছিল আমার”।

অসীমের শূন্যে বা শূন্যের অসীমে
মিল্কিওয়ের প্রতিটি বালুকণায়
বা অখেয়ালের দেয়ালে, খসে যাওয়া রংয়ে
তীরহীন নদীর মোহনায় বা অবহেলার ভাঙা কাঁচের টুকরোয়
বেঁচে থাকুক তোর ঘৃণা

তনয়ার মনে ভয় হল। সন্ধ্যা বেলা অচেনা শহরে। রিক্সায় ওঠার আগে একটা দোকানে জিজ্ঞেস করে নিলে ভালো হত। রিক্সা হর্ন বাজিয়ে চলছে।
‘ভাই, আর কতদূর? আধ মাইল তো পার হয়ে গেছে’।

তখন আমার ছোটবোন দোয়েল পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী,
আমি খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে তার বিদ্যালয়ে হলাম যাত্রী।
শ্রেনীকক্ষে হলো অনেক রসালাপ,হলো অনেক কথা,
সকল শিশুদের দেখে মুছে গেলো মোর হৃদয়ের সকল ব্যাথা।।

সময় কত সুন্দর।
সাবলীল তাঁর বিচরণ
বহমান নদীর মতো
সকাল থেকে সন্ধ্যা
টিক টিক টিক ।

চিত্ত আমার প্রেমময় করো
জগতের মাঝে প্রভু!
মানুষের তরে কর্ম সাধনে
ক্লান্ত না হই কভু।

তোমার কোমল সুখদ পললে ডুবে
শুয়ে আছি কবে থেকে শোকে ও উৎসবে।
অতঃপর ওই মায়াবি নীলাভ বিষ
গিলে দেহ ঠায় নীলকন্ঠী অহর্নীশ।

সত্যের প্রতি বিচলিত আজ
মুসলিম নামের জাতি,
দ্বীনের পথে বিমুখ থেকে পালন করে
শয়তানের ঐ রীতি।

বেলা বাড়ছিলো ভাটার টানে সমুদ্র দূরে সরে যাচ্ছিলো । তিরের ভেতরে যে রংবেরঙের কোরালগুলো একটা মোহময় স্বর্গীয় পরিবেশের রচনা করেছিলো এই মুহুর্তে তারা যেন নিরাবরন, নিরাভরন হয়ে পরে । একটু আগেই যে ঢেউগুলো সেই রঙ্গিন কোরালের টুকরোগুলো আচল ভরে এনে বারংবার ক্লান্ত সৈকতকে উপহার দিচ্ছিলো, অন্তরা সেইগুলোই একমনে সংগ্রহ করতে ব্যস্ত ।

বিষণ্ণতার কিছু লাল-নীল ট্যাবলেট আমাকে দিও
কথা দিচ্ছি বর্ণমালার ক্রমানুসারে নিয়মিত গিলে খাবো
কোনো প্রকার ভুলচুক করবো না

গভীর রাত পূন:জন্মের পাপ বুকে নিয়ে কয়েকটি ¶ুধার্ত কুকুর সারারত ঘেউ ঘেউ করে ডাকছে। বৃত্তবানদের প্রাসাদের নীচে বি¯—ীর্ণ ব¯ি—র বসবাস। প্রাসাদ থেকে ফেলে দেওয়া মাংশের