ফুটফুটে মেয়েটিকে দেখলেই মায়া লেগে যায়। ইচ্ছে হয় একটু ছুঁয়ে দেখি! পিঠের উপর নিয়ে খেলা করি আর দুষ্টুমিতে মাতিয়ে তুলে তার খিলখিল করা হাসি দেখি সারাক্ষণ! আমি হলফ করে বলতে পারি, এমন নিষ্পাপ সুন্দর ফুটফুটে মেয়েটাকে দেখলে যে কারও আমার মতো ইচ্ছে হবেই। ভাবছি তাকে একটিবার ডেকে দেখি! কিন্তু আমি তো তার নামটাই জানি না! আচ্ছা তার একটা নাম দেওয়া যায় না? কি নাম দেওয়া যায় বলেন তো? শিউলি! হুম। শিশির ভেজা শিউলি ফুলের মতোই দেখতে পিচ্চিটা। কি কিউট! আমি আমার ছোট বোনটাকে যেভাবে ডাকি আদুরে গলায় পিচ্চিটাকেও সেইভাবে ডাকলাম।
-শিউলী আপুউউউ!
মেয়েটা নড়লোও না, চড়লোও না। আশ্চর্য! আমার দিকে ফিরেও তাকালো না!
আমি আবার ডাক দিলাম- শিউলী আপুউউউউউউউ!
নাহ! পিচ্চিটাতো ভারি দেমাগী! এত সুন্দর করে ডাকছি তবু ডাকই শনছে না! আমি আরেকবার ডাকার প্রস্তুতি নিলাম। তখনই আমার ঘাড়ে একটা শীতল হাতের স্পর্শ পেলাম! পিছনে তাকিয়েই চমকে উঠলাম! ওমা একি! এই পিচ্চিটা আবার কে? শিউলীর এক্কেবারে হুবহু কপি! আমি বললাম,
-কী রে পিচ্চি? তোর নাম কি?
-মনে নেই!
আমি হেঁসে দিলাম ফিক করে! বললাম,
-আচ্ছা! তাহলে কি বলে ডাকবো তোকে?
-আমি মানুষ! মানুষের আবার নাম থাকে না কি?
-ওরে বাব্বা! একেবারে দার্শনিকের মতো কথা! কে শিখিয়েছে তোকে এইসব কথা?? আচ্ছা, তার আগে বলতো, ওই পিচ্চিটা আর তুই দুই বোন, না?
-বলবো না!
-কেনো? বলবি না কেনো?
-বললে তোমাদের বাসায় আমাদের নিয়া যাবে?
-তোরা কি সত্যিই যাবি আমার বাসায়? আমি কিন্তু কুঁড়ে ঘরে বাস করি!
-আচ্ছা, তোমাদের আকাশে কি বিমান ওড়ে?
-হ্যাঁ। কেনো, তুই বিমান দেখবি?
-নাহ! অনেক দেখেছি।
-তাই? কোথায় দেখেছিস?
-আমাদের আকাশে।
-আচ্ছা তোর কিউট পিচ্চিটাকে এতো ডাকলাম! কোনো ডাকই শুনলো না! সেই কখন থেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে!
-ঘুমাচ্ছে তো! ওর কোলে আরেকটা কিউট পিচ্চি আছে!
-ওমা! তাই??
-চল তো? দেখে আসি?
-নাহ! যাওয়া যাবে না। ঘুম ভেঙে গেলে মারবে!
আমি হো হো করে হেঁসে উঠলাম। একেবারে শিশুর মতো!
তারপর আমি হঠাত করেই বলে ঊঠলাম, তোদের বাড়ি কোথায় রে? তোদের মা-বাবা, তারা কোথায়?
পিচ্চিটাও হাসছিলো এতক্ষণ। আমার কথা শুনে মুহুর্তেই মুখ মলিন হয়ে গেলো। বিষাদের ছায়া নেমে এলো সারা দেহ জুড়ে। চোখ দুটো পানিতে ভরে উঠলো মুহুর্তেই! ইশ! কি বোকাটাই না আমি! এই ধরণের প্রশ্ন কেনো করতে গেলাম? নাহ! মোটেই সহ্য হচ্ছে না! পিচ্চিটার চোখে পানি! খুব রাগ হতে লাগলো নিজের উপর!
পিচ্চিটা হঠাত করেই কঠিন হয়ে গেলো। যেনো সে কোনো বাচ্চা নয়! বয়স্ক কোনো একজন মানুষ। যে পৃথীবির সকল কিছু বোঝে। আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, বন্ধু-শত্রু-সব-সবকিছু। আমি বললাম, পিচ্চি! কাঁদছিস কেনো? তোর মা-বাবার কথা মনে পড়েছে?
পিচ্চি আমার কথার কোনো উত্তর দিলোনা। কিছুক্ষণ পর বললো, আমার বাবা-মা কে ওরা মেরে ফেলেছে। সেইদিন আকাশে বিমান উড়ছিলো। আমরা দুই বোন উঠোনে খেলা করছিলাম। আমার মা রান্নাঘরে রুটি বানাচ্ছিলো। আকাশে বিমান দেখার সাথে সাথে বাবা চিৎকার দিয়ে আমাদের ডাকলেন। তারপর বাড়ির উঠোনে একটা গর্তের দিকে দৌড়াতে লাগলেন। আমি দেখলাম, আকাশ থেকে ছাতার মতো কি একটা নিচের দিকে নেমে আসতে লাগলো। আমার ছোটো বোন ওটা দেখে খিলখিল করে হেঁসে উঠলো। বাবা আগে আমাদের গর্তে ঢুকিয়ে দিলেন। তারপর যখন নিজে ঢুকতে যাবেন তখনই কি দিয়ে কি হলো! বিশাল একটা শব্দ হলো! আর সেই সাথে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো! মাথার উপর থেকেই বিমান চলে যেতেই বাবা আমাদেরকে নিয়ে দৌড়াতে লাগলেন। সাথে মা-ও দৌড়াচ্ছেন! হঠাত করেই মা রাস্তায় পড়ে গেলেন। বাবা আরো জোরে দৌড়াতে লাগলেন। তারপর একটা হাসপাতালে নিয়ে উঠলেন। ডাক্তার আমাদের দুই বোনের জন্য কি একটা দিলেন! নাকে ধরলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় না। বাবা আমাদের হাসপাতালের এক জায়গায় রেখে ডাক্তারদের কাছ থেকে একটা সেই যন্ত্র নিয়ে দৌড়ে চলে গেলেন, যেই যন্ত্র ডাক্তার আমাদের দিয়েছেন। তার কিছুক্ষণ পর আবার একটা বিরাট শব্দ! হাসপাতালের জানালাগুলো কেঁপে উঠলো। তারপর দেখলাম, একটা গাড়িতে করে আমার বাবা-মা-আরো কতো লোক! সবাইকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। সবার গায়ে রক্ত! আমার বাবার হাত একটা ছিড়ে গিয়েছে দেখলাম। আর মায়ের সারা মুখ রক্তে ভেজা! আমি দৌড়ে গেলাম কাছে! মা আমাদেরকে তার হাত দিয়ে আদর করলেন! কী কোমল ছিলো সেই আদর! কী যে ভালোবাসা ছিলো সেই আদরে! বাবা আমাদের কপালে চুমু খেলো! তখন ডাক্তার এসে আমার বাবা-মা সহ আরো কয়েকজনকে ভিতরে নিয়ে গেলেন। আমি আর আমার কোলের বোন বসে আছি সেই কোনাটায় যেখানে আগে বসে ছিলাম।
আমাদের জন্য মাত্র একটা অক্সিজেন মাস্ক ছিলো। একবার আমি নিচ্ছিলাম তারপর কোলের বোনটাকে দিচ্ছিলাম। এক সময় দেখলাম, আমার ছোট বোনটার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে! তখন আমি দেরী না করে আমার মুখ থেকে মাস্কটা খুলে আমার বোনের মুখে লাগিয়ে দিলাম। তারপর এইভাবে কতক্ষন কেটে গেলো জানিনা।
এক নিঃশ্বাসে বলে গেলো শিউলী। আমি চমকে উঠলাম! এই আবেগ- এই কথা কিভাবে পেলো মেয়েটা? যেনো পুর্ণবয়স্ক কেউ কথা বলছিলো এতক্ষণ। শিউলী কাদছে! আমার চোখটাও পানিতে ভরে উঠেছে! আমি বললাম, এইদিকে আয় তো! তোকে আদর করে দিই? শিউলি আমার কথার কোনো জবাব দিলোনা। কেঁদেই চলেছে! তারপর ও যা বলল আমি সেটা কখনো আশা করিনি। ও আমাকে বললো, ভাইয়া! আমাদের জন্য কি কেউ এগিয়ে আসবে না? আমরা কি এইভাবেই মারা যাবো? আমাদের লাশ কি এইভাবেই পড়ে থাকবে? আমি তো মরেই গেছি! আমার ছোট বোনটাকে কি বাঁচানো যায় না??
আমি শিউলীর দিকে অবাক বিষ্ময়ে তাকালাম। শিউলী মারা গেছে? তাহলে আমার সামনে এইটা কে? সে কথা বলছেই বা কিভাবে? আর যে ওই খানে ঘুমিয়ে আছে সে কে? আমার চোখে পানি আর মনে ভাবনা। তখন শিউলী আমাকে বললো, ভাইয়া! আমাকে আদর করে দেবেনা? ঐ দেখুন ওখানে আমি ঘুমিয়ে আছি!
আমি সামনের দিকে তাকালাম। ছোট বোনটা এখনো বেঁচে আছে! শিউলীকে বলতে গেলাম, কাঁদিস না তো! তোর ভাইয়া আছে না? চল! তখন পিছনে ফিরে দেখলাম শিউলী নেই! তাহলে ওটা কি শিউলীর আত্মা ছিলো? না'কি আমি বিভ্রমের ভিতরে ছিলাম? জানিনা। জানতে চাইও না। আমার এখন অনেক কাজ! বেঁচে যাওয়া ছোট পিচ্চিটাকে বাঁচাতে হবে!
ফুটফুটে মেয়েটিকে দেখলেই মায়া লেগে যায়। ইচ্ছে হয় একটু ছুঁয়ে দেখি! পিঠের উপর নিয়ে খেলা করি আর দুষ্টুমিতে মাতিয়ে তুলে তার খিলখিল করা হাসি দেখি সারাক্ষণ! আমি হলফ করে বলতে পারি, এমন নিষ্পাপ সুন্দর ফুটফুটে মেয়েটাকে দেখলে যে কারও আমার মতো ইচ্ছে হবেই। ভাবছি তাকে একটিবার ডেকে দেখি! কিন্তু আমি তো তার নামটাই জানি না! আচ্ছা তার একটা নাম দেওয়া যায় না? কি নাম দেওয়া যায় বলেন তো? শিউলি! হুম। শিশির ভেজা শিউলি ফুলের মতোই দেখতে পিচ্চিটা। কি কিউট! আমি আমার ছোট বোনটাকে যেভাবে ডাকি আদুরে গলায় পিচ্চিটাকেও সেইভাবে ডাকলাম।
-শিউলী আপুউউউ!
মেয়েটা নড়লোও না, চড়লোও না। আশ্চর্য! আমার দিকে ফিরেও তাকালো না!
আমি আবার ডাক দিলাম- শিউলী আপুউউউউউউউ!
নাহ! পিচ্চিটাতো ভারি দেমাগী! এত সুন্দর করে ডাকছি তবু ডাকই শনছে না! আমি আরেকবার ডাকার প্রস্তুতি নিলাম। তখনই আমার ঘাড়ে একটা শীতল হাতের স্পর্শ পেলাম! পিছনে তাকিয়েই চমকে উঠলাম! ওমা একি! এই পিচ্চিটা আবার কে? শিউলীর এক্কেবারে হুবহু কপি! আমি বললাম,
-কী রে পিচ্চি? তোর নাম কি?
-মনে নেই!
আমি হেঁসে দিলাম ফিক করে! বললাম,
-আচ্ছা! তাহলে কি বলে ডাকবো তোকে?
-আমি মানুষ! মানুষের আবার নাম থাকে না কি?
-ওরে বাব্বা! একেবারে দার্শনিকের মতো কথা! কে শিখিয়েছে তোকে এইসব কথা?? আচ্ছা, তার আগে বলতো, ওই পিচ্চিটা আর তুই দুই বোন, না?
-বলবো না!
-কেনো? বলবি না কেনো?
-বললে তোমাদের বাসায় আমাদের নিয়া যাবে?
-তোরা কি সত্যিই যাবি আমার বাসায়? আমি কিন্তু কুঁড়ে ঘরে বাস করি!
-আচ্ছা, তোমাদের আকাশে কি বিমান ওড়ে?
-হ্যাঁ। কেনো, তুই বিমান দেখবি?
-নাহ! অনেক দেখেছি।
-তাই? কোথায় দেখেছিস?
-আমাদের আকাশে।
-আচ্ছা তোর কিউট পিচ্চিটাকে এতো ডাকলাম! কোনো ডাকই শুনলো না! সেই কখন থেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে!
-ঘুমাচ্ছে তো! ওর কোলে আরেকটা কিউট পিচ্চি আছে!
-ওমা! তাই??
-চল তো? দেখে আসি?
-নাহ! যাওয়া যাবে না। ঘুম ভেঙে গেলে মারবে!
আমি হো হো করে হেঁসে উঠলাম। একেবারে শিশুর মতো!
তারপর আমি হঠাত করেই বলে ঊঠলাম, তোদের বাড়ি কোথায় রে? তোদের মা-বাবা, তারা কোথায়?
পিচ্চিটাও হাসছিলো এতক্ষণ। আমার কথা শুনে মুহুর্তেই মুখ মলিন হয়ে গেলো। বিষাদের ছায়া নেমে এলো সারা দেহ জুড়ে। চোখ দুটো পানিতে ভরে উঠলো মুহুর্তেই! ইশ! কি বোকাটাই না আমি! এই ধরণের প্রশ্ন কেনো করতে গেলাম? নাহ! মোটেই সহ্য হচ্ছে না! পিচ্চিটার চোখে পানি! খুব রাগ হতে লাগলো নিজের উপর!
পিচ্চিটা হঠাত করেই কঠিন হয়ে গেলো। যেনো সে কোনো বাচ্চা নয়! বয়স্ক কোনো একজন মানুষ। যে পৃথীবির সকল কিছু বোঝে। আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, বন্ধু-শত্রু-সব-সবকিছু। আমি বললাম, পিচ্চি! কাঁদছিস কেনো? তোর মা-বাবার কথা মনে পড়েছে?
পিচ্চি আমার কথার কোনো উত্তর দিলোনা। কিছুক্ষণ পর বললো, আমার বাবা-মা কে ওরা মেরে ফেলেছে। সেইদিন আকাশে বিমান উড়ছিলো। আমরা তিন বোন উঠোনে খেলা করছিলাম। আমার মা রান্নাঘরে রুটি বানাচ্ছিলো। আকাশে বিমান দেখার সাথে সাথে বাবা চিৎকার দিয়ে আমাদের ডাকলেন। তারপর বাড়ির উঠোনে একটা গর্তের দিকে দৌড়াতে লাগলেন। আমি দেখলাম, আকাশ থেকে ছাতার মতো কি একটা নিচের দিকে নেমে আসতে লাগলো। আমার ছোটো বোন ওটা দেখে খিলখিল করে হেঁসে উঠলো। বাবা আগে আমাদের গর্তে ঢুকিয়ে দিলেন। তারপর যখন নিজে ঢুকতে যাবেন তখনই কি দিয়ে কি হলো! বিশাল একটা শব্দ হলো! আর সেই সাথে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো! মাথার উপর থেকেই বিমান চলে যেতেই বাবা আমাদেরকে নিয়ে দৌড়াতে লাগলেন। সাথে মা-ও দৌড়াচ্ছেন! হঠাত করেই মা রাস্তায় পড়ে গেলেন। বাবা আরো জোরে দৌড়াতে লাগলেন। তারপর একটা হাসপাতালে নিয়ে উঠলেন। ডাক্তার আমাদের দুই বোনের জন্য কি একটা দিলেন! নাকে ধরলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় না। বাবা আমাদের হাসপাতালের এক জায়গায় রেখে ডাক্তারদের কাছ থেকে একটা সেই যন্ত্র নিয়ে দৌড়ে চলে গেলেন, যেই যন্ত্র ডাক্তার আমাদের দিয়েছেন। তার কিছুক্ষণ পর আবার একটা বিরাট শব্দ! হাসপাতালের জানালাগুলো কেঁপে উঠলো। তারপর দেখলাম, একটা গাড়িতে করে আমার বাবা-মা-আরো কতো লোক! সবাইকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। সবার গায়ে রক্ত! আমার বাবার হাত একটা ছিড়ে গিয়েছে দেখলাম। আর মায়ের সারা মুখ রক্তে ভেজা! আমি দৌড়ে গেলাম কাছে! মা আমাদেরকে তার হাত দিয়ে আদর করলেন! কী কোমল ছিলো সেই আদর! কী যে ভালোবাসা ছিলো সেই আদরে! বাবা আমাদের কপালে চুমু খেলো! তখন ডাক্তার এসে আমার বাবা-মা সহ আরো কয়েকজনকে ভিতরে নিয়ে গেলেন। আমি আর আমার কোলের বোন বসে আছি সেই কোনাটায় যেখানে আগে বসে ছিলাম।
আমাদের জন্য মাত্র একটা অক্সিজেন মাস্ক ছিলো। একবার আমি নিচ্ছিলাম তারপর কোলের বোনটাকে দিচ্ছিলাম। এক সময় দেখলাম, আমার ছোট বোনটার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে! তখন আমি দেরী না করে আমার মুখ থেকে মাস্কটা খুলে আমার বোনের মুখে লাগিয়ে দিলাম। তারপর এইভাবে কতক্ষন কেটে গেলো জানিনা।
এক নিঃশ্বাসে বলে গেলো শিউলী। আমি চমকে উঠলাম! এই আবেগ- এই কথা কিভাবে পেলো মেয়েটা? যেনো পুর্ণবয়স্ক কেউ কথা বলছিলো এতক্ষণ। শিউলী কাদছে! আমার চোখটাও পানিতে ভরে উঠেছে! আমি বললাম, এইদিকে আয় তো! তোকে আদর করে দিই? শিউলি আমার কথার কোনো জবাব দিলোনা। কেঁদেই চলেছে! তারপর ও যা বলল আমি সেটা কখনো আশা করিনি। ও আমাকে বললো, ভাইয়া! আমাদের জন্য কি কেউ এগিয়ে আসবে না? আমরা কি এইভাবেই মারা যাবো? আমাদের লাশ কি এইভাবেই পড়ে থাকবে? আমি তো মরেই গেছি! আমার ছোট বোনটাকে কি বাঁচানো যায় না??
আমি শিউলীর দিকে অবাক বিষ্ময়ে তাকালাম। শিউলী মারা গেছে? তাহলে আমার সামনে এইটা কে? সে কথা বলছেই বা কিভাবে? আর যে ওই খানে ঘুমিয়ে আছে সে কে? আমার চোখে পানি আর মনে ভাবনা। তখন শিউলী আমাকে বললো, ভাইয়া! আমাকে আদর করে দেবেনা? ঐ দেখুন ওখানে আমি ঘুমিয়ে আছি!
আমি সামনের দিকে তাকালাম। ছোট বোনটা এখনো বেঁচে আছে! শিউলীকে বলতে গেলাম, কাঁদিস না তো! তোর ভাইয়া আছে না? চল! তখন পিছনে ফিরে দেখলাম শিউলী নেই! তাহলে ওটা কি শিউলীর আত্মা ছিলো? না'কি আমি বিভ্রমের ভিতরে ছিলাম? জানিনা। জানতে চাইও না। আমার এখন অনেক কাজ! বেঁচে যাওয়া ছোট পিচ্চিটাকে বাঁচাতে হবে!
২৩ জুন - ২০১২
গল্প/কবিতা:
২৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪