জীবনের শেষ সময়ে এসে বড়ই অসহায় লাগে নাজিম প্রামানিকের । স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে থেকে একেবারে চুপ করে পরে থাকে । অন্ধকার একাকি কবরের মত ঘরে যেন

দুজনে উঠে দাঁড়াল, রেল লাইনের পাশ ঘেঁসে নির্বাক দুটি মানুষ হেটে যাচ্ছে। সোয়েব তখনো ভাবছে এ যেন এক স্বপ্ন! স্বপ্নের পথ ধরে ও হেটে চলেছে এতক্ষণ ধরে। এত বছরের চাওয়া আজ স্বপ্নের মত করেই যেন ধরা দিল।

এসির বাতাসটা ঠিক ভালো লাগেনা সাদেকের। বদ্ধ জায়গায় ও জিনিসটা কেমন যেন মাথা গুলিয়ে দেয় তার। জানালা খুলে রেখেই সে সবসময় গাড়ি চালায়। কিন্তু কতক্ষন জ্যামে পড়ে সে একেবারে ঘেমে অস্থির। এত গরম পড়েছে এবার!

মানব মনের রসায়ন বোঝা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ।এই রসে কখন প্রেম আর কখন নির্দয়তা ভর করে, বোঝা দায়।বিচিত্র এক খেলায় সারাক্ষন ডুবে থাকে মানুষ, কোন এক অনিয়ন্ত্রিত

সকাল ৬ টা। তারাতারি ফ্রেস হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সাথে কিছু কাগজ! সার্টিফিকেট গুলো নিয়ে প্রতিদিনের মত আজও বেড়িয়ে পড়লাম! আজকেও প্রতিদিনের মত ৩ টা ইন্টারভিউ আছে!জানি কাজ হবে না তবুও ব্যর্থ চেষ্টা আর জুতার তলা ক্ষয় করা!

ছেলেটা সাহিত্যানুরাগী। মেয়েটাও সাহিত্য চর্চা করে। এ পথে ও পথে ঘুরে ঘুরে বহু খাতায়, বইয়ের পাতায় চোখ মেলে অবশেষে দুজনার দেখা হয়ে যায়। এক সাহিত্যমঞ্চে। মেয়েটি সেখানে নিয়মিত হাত মেলে ধরে।

রাত প্রায় বার টা। ঘুম নেই কারো চোখে। ফারিহা ও ফারিয়া খুবই টেনশিত। অফিসের একটু ঝামেলায় বাবা ঘরে ফিরে নি এখনো। জিসরিন শহরে রাত দশটার পরে বাইরে থাকা নিরাপদ নয়। সাত আট বছর থেকে যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়।

তোমার কোমল হাতে আমাকে ধরে রাখতে পারবে তো! অনেক আগে অনিরুদ্ধ বলেছিল অনিমাকে। অনিমা বলেছিল কোমল হাত দিয়ে নয় তোমাকে বাঁধবো আমার কোমল হৃদয় দিয়ে।

বেশ কিছুদিন ধরেই মনটা খুব আনছান করছে। কেন জানিনা মনটা খুব খারাপ।কারোর সাথে কথা বলতে ভালো লাগছেনা,কোথাও বেরাতে ভালো লাগছেনা।টেবিলের এক কোনে সেল ফোনটা পরে রয়েছে দুদিন ধরে কতবার রিং হয়েছে কটা এসএমএস এসেছে দেখিইনি।

ঐ কি হইছেরে, অমন কইরা চিৎকার দিলি ক্যান
- দেখ দেখ একই ব্যাডা ঘুমের ভান কইরা আছে, আবার পিট পিট কইরা আমার দিকে তাকায়
- ঐ ব্যাডা, তর লগে মুখ নাই। ট্যাহা না দিলে মুখ দিয়া না কইরা দিবি, অমন বেকনা করছ কেন, অন্য একটি হিজরা মেয়ে বলে
- ট্যাকা না থাকলে আমার কাছ থিইকা নিয়া যা, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি মেয়ে বলে

যখন চরম মুহুর্তে মৃত্যুর সাথে সাক্ষাৎ করে বাঁচার শেষ নিঃশ্বাসটুকু নিয়ে হাঁসফাঁস করছি! অজানা অচেনা অ্যামেরিকান ডাক্তার আমার নাকে অক্সিজেন দিতে দিতে বলছে -

প্রতি দিনের মত আজও সুই সুতা নিয়ে জয়িতা সেলাইয়ের কাজ করছে আর আমি পূবের জানালাটার পাশে চেয়ারটায় বসে আছি । খালা আজ বাড়ীতে নেই, ডাক্তার দেখাতে গেছেন। হঠাৎ জয়িতা আমার কাছে দৌড়ে এসে দুহাতে আমার গাল চেপে ধরে, মুখের কাছে মুখ এনে বলে কিরে বকুল আমাকে দেখলে তুই এত ভাল হয়ে যাস্ কেন?
তোকে খুব ভাললাগে।

আজ ২৬ শে ডিসেম্বার মাধবীলতার জন্মদিন। শ্যামলবাবুর মন ভাল নেই। গত বছর ঠিক একই দিনে মাধু সকলকে ছেড়ে চলে যায়। মাধুর যখন ৪ বছর বয়স তখন গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে শ্যামলবাবুর স্ত্রিও মারা যান।

সত্যের প্রতি বিচলিত আজ
মুসলিম নামের জাতি,
দ্বীনের পথে বিমুখ থেকে পালন করে
শয়তানের ঐ রীতি।

জোৎস্না রাত। তারারা মিটমিট করে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে পৃথিবীময়। ঝিরঝির বাতাসে হেলেদুলে উঠছে গাছের পাতাগুলো। মনে হচ্ছে কোন এক দুনিয়াতে অতিথি হয়ে এসেছি সামান্য সময়ের জন্য। হারিয়ে যাচ্ছি এক স্বপ্নীল ভুবনে।