অমানিশা

কোমল (এপ্রিল ২০১৮)

মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
  • ১৮
মেঘেরও নাকি অভিমান থাকে। অভিমান ধরে রাখতে না পেরে এক সময় বৃষ্টি হয়ে জড়ে। পাহাড় যেমন অঝোর শ্রাবণে নিরিবিলিতে কাঁদে। কে বুঝে পাহাড়ের কতটা কষ্ট? কে জানে মেঘের কেন এতটা অভিমান? কেউ কখনও মেঘকে প্রশ্ন করেনি, পাহাড়ের কাছ থেকে কেউ শুনতে চায়নি! শুনেছি চাঁদেরও নাকি কলঙ্ক লাগে, যেমন আমারও একদিন লেগেছিল। তবে এখানে আগুন লাগেনি; বলতে গেলে তার চেয়েও কম না। আমি আগুনে পুড়িনি, আগুন আমাকে পুড়িয়েছে নীরব আঘাতে। হাত দিতে চাইনি কভু, দমকা বাতাস এসে আমাকে সাহারা মরুভূমি থেকে নীচে ফেলেছে। ভাগ্যের বিরম্বনা অনেকটা বেঁচে উঠেছি। হয় তো মুরুব্বিদের দোয়া ছিল। মনে হয় আমার মৃত্যুটা আমাদের বিড়ালের উপর দিয়ে গিয়েছিল। খুব শখ করে একটি বিড়াল পালন করেছিলাম। কত না প্রেম- প্রণয় দিয়ে তাকে পোষ মানিয়েছিলাম। শুনেছি বিড়ালকে বেশি আদর করলে নাকি মাথায় উঠে, অনেকদিন আমারও মাথায় উঠেছিল। তবে কোন সমস্যা হয়নি। ভেবেছি মাথায় ইদুরে মনে হয় বাসা করেছে, তাই ইদুরকে ধরতে গিয়ে মাথায় উঠেছিল। ভাগ্যের পরিহাস ইদুরের বাসা ভাঙ্গেনি।

(এক)
তখনো শীতকাল। বসন্তকে বরণ করার জন্য বাগানে বাসন্তী কোন ফুল ফুটেনি। পড়ন্ত বিকেল। সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়েছে। আমি আর রাফিয়া ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ অনেকদিন। একদিকে ছল ছল কুয়াশা নেমে আসছে, অন্যদিকে পানকৌড়ির সন্ধ্যাবেলা ফিরছে। ফেরারি দু’নয়ন তার দিকে ফিরে নিমেষে অনেক স্বপ্ন এঁকেছে। বলা বাহুল্য, বিস্মিত হয়েছি তার কথা!
এই যে আকাশ যদি সমতলে আসে আর মাটি যদি আকাশে মিশে, এই যে নদী যদি ভালোবাসা হয়ে দু’চোখে ভাসে আর স্বপ্ন যদি ভেঙে মুহূর্তে কালো রঙের আবেশ ছড়িয়ে দেয়; আর সেখানে যদি আমি আঁধারে এসিডের পানিতে হাবুডুবু খাই কিংবা খাঁচায় বন্দী হই, শুধু কফিনে লাশ হয়ে না উঠা পর্যন্ত আমি ফের তোমাকেই চাইবো। তুমি যদি অভিষ্যন্দ গান গাও, আমি তার সুর ধরবো। পাহাড় যদি নদীর ভালোবাসা না চাই, মেঘ যদি সূর্যের ভালোবাসা না চাই, আর সূর্য যদি পৃথিবীকে ভালো না বাসে; তবুও আমি তোমাকে ভালোবাসবো। কারণে অকারণে যদি পদ্মফুলের মত সাঁতার কাটো, নিমগ্নে যদি দাবানলে পুড়তে থাকো; ভয় নেই তোমার! আমি আছি পাশে, চিরকাল থাকবো। তোমার কষ্টের বন্ধু হবো। পরজীবনেও প্রভুর কাছে দোয়া করবো। যেন সেখানেও তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে পারি।
(দুই)
আমিও কিছুটা আবেগী টাইপের মানুষ। যে যা বলে তার প্রতি নিরুৎসাহিত নয়। আবার কাউকে সহজে মনের ভিতর আপন করে নিতেও দ্বিধাবোধ করি না। বুকে ভালোবাসা জমে রেখেছি অনেক। ফুল ফোটার স্বপ্ন আর ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার অপেক্ষায় দীর্ঘশ্বাস ফেলি। তুচ্ছ করি না কিছু। মেঘকে বলি বৃষ্টি দাও, আর ঋতুকে বলি আর কতদিন বসন্ত। আমার প্রেয়সি যে বসে আছে তোমার অপেক্ষায়। কামিনী, কৃষ্ণচূড়া, বকুল আর দোলনচাঁপা ফুল বেনীতে গুঁজে দিয়ে বলবো দ্যাখো না কত ভালোবাসি তোমায়! জেগে থেকেও সে স্বপ্ন সাজায়। ঘুমের ঘরেও সে স্বপ্ন দেখে। আবার জানালা খুলেও সে চিরহরিৎ, এলিচা আর সরিষার দিকে চেয়ে চেয়ে বাড়ায় অভিমান। শিকেলে বাঁধা তার স্বপ্ন, ছুট পেলে দৌড়!!
একদিন তার প্রতি অভিযোগ রচনা করে বললাম, ভুলে যাও ভালোবাসা। ভুলে যাও অবগুণ্ঠিত স্বপ্ন। পাথুরি চোখ কখনও স্বপ্ন দ্যাখে না। আবেগী মন কখনও স্বপ্নের জোগান দিয়ে ঘোলাটে আরশির বুকে সুখ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে না। প্রতিউত্তরে সে বলল-
হেমলকের বিষ এনে দাও। চিরদিনের জন্য ভুলে যাবো নিয়ন বাতির বুকে ফোঁটা ফোঁটা করে জমানো ভালোবাসা। হোক না কাঁঠফাটা অপেক্ষার প্রহর, হোক না আলোর পিছনে ছায়ার মত উদভ্রান্ত সময়। টাইটানিকের মত মুহূর্তে যদি নেমে আসে ভিষণ আঁধার, ইউক্যালিপটাসের ঝড়ে পড়া ছালের মত হোক না ব্যাঙাচির মত জীবন। হোক না পৃথিবী কাটাযুক্ত; তবুও সমতলে কাটার উপরে হেটে যাবো অনেকদূর। শত কায়ক্লেশে জমে নিবো উপমা, শব্দের ভান্ডার, বাক্য। এরপর বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, প্রেম- প্রণয়।
তার এমন নির্লোভী প্রক্ষেপণ আমাকে দিয়েছে আশ্বাস। শুধু আশ্বাসই নয়, চোখের কটেজের ভিতরে জেগে উঠা স্বপ্নের মানচিত্র।

(তিন)
তার বাবা ছিলেন মাস্টার মশাই। পাহাড়ের কাছে থাকতেন। নষ্ট সমাজের হর্তাকর্তার ভালো মেহমানদারি করতে জানেন। ইচ্ছা- অনিচ্ছা শকুনির মত। থাবা দিবে আর কাজ সেড়ে ফেলবে এটাই তার সভ্যতার ইতিহাস। একদিন তৃষ্ণাত্ব দুপুরবেলা জল চেয়েছিলাম। বড় বড় লাল চোখ দেখে খামচে দিয়েছে বুকের ভেতর। ফিরতি আর জল খেতে ইচ্ছে করলো না। বারবার মনে পড়ে যায় তার জল্লাদী আচরণের কথা। রক্ত পিয়াসীর মত তার এক একটি কথা। মৃত্যুর পেখমে দাঁঁড়িয়ে আছে তার প্রতিটি খুনীর বিরামহীন পানাহ। শূন্যতার দেওয়াল ফাঁক করে, মাস্টার মশাইর চোখ গভীর রাতের আঁধারের সাঁই দিয়ে পালিয়ে আসলো রাফিয়া। সেদিন সকাল ছিল। সূর্যের রূপোলী আলোয় ঝিকমিক করে শিশিরের গায়ে। নৌকা ভ্রমণে তার বড্ড ইচ্ছে ছিল। নদী খুব শান্ত। নদীর বুক থেকে জন্ম নেওয়া এক একটি খাল শুকিয়ে গেছে। বকেরা ছোট ছোট পায়ে হেটে মাছ খোঁজছে। গাংচিলের ভয়ে উঠে আর ডুব দেয় পুকুরের মাছগুলো। মাছরাঙা উঁকি মেরে চেয়ে আছে। নৌকার গলিতে বসে বসে নিদারুণ দেখছে খালের দু’পাড়ের অফুরান দৃশ্য। কাজল কালো চোখে সৃষ্টিকর্তা কি যেন জাদু মেখে দিয়েছেন। সিথিকাঁটা চুলোর পেছনে জমানো খোঁপায় গোলাপ ফুলের ডাটা। যেন অধরে জমানো সব প্রেম তার মাঝেই খুঁজে পাই। বৈঠা রেখে এক দৃশ্যে তাকিয়ে আছি তার দিকে। নদীতে ভাটা ছিল। যে দিক থেকে এসেছি সেদিকে নৌকা আবার চলে যাচ্ছে। হঠাৎ তার মিহি কণ্ঠে বলে উঠেছিল, আর কতদূর মাঝি? থমকে উঠেছি । আবার বৈঠা হাতে নিয়ে বাইতে লাগলাম। বিশাল ফসলের মাঠ পেরিয়ে খুজে পেলাম কুঞ্জলতার এক বাগান। ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে আর পাখির কিচির মিচির ডাকে আকুল মন-প্রাণ। সেদিনও সে বলেছিল-
এই ভালোবাসা থাকে যেন চির অম্লান। এই নদী, এই খাল আর এই চির সবুজ ফসলের মাঠ সাক্ষী রেখে তোমাকেই অর্পণ করলাম আমার সবটুকু ভালোবাসা। যত কষ্টই দাও তুমি, তবুও তোমাকে ছেড়ে মোটেও দূরে থাকতে পারবো না।
নিশ্চিন্তে তার মনোহারিনী কথাগুলো সহজে বিশ্বাস করে নিলাম। কি আছে আর একজীবনে। তোমার মাঝেই আমাকে বাঁচতে দিও। তোমার মাঝে থেকেই যেন ঘুমিয়ে যেতে পারি চিরদিনের জন্য।

(চার)
একদিন রাত গভীর থেকে আরও গভীরে হেলে পড়েছে। আকাশে নক্ষত্রেরা মিটমিট করে আলো দিচ্ছে। পৃথিবী চাঁদনিতে ভরপুর। মনে হয় চাঁদও তখন বড্ড ক্লান্ত। সন্ধ্যের প্রহরে ঘুম দিয়ে রাতের দ্বিতীয়াংশে জেগে উঠেছিলাম। একটি বই নিয়ে দীঘির পাড়ে বসে বসে পড়ছি। একসময় রাফিয়া চলে আসলো। যেন ভালোবাসার অমোঘ মধ্যটান। যেন কত বছর আমাকে দেখেনি! যেন না দেখার অভিমানে কত দুঃখে পুষিয়ে নিয়েছে নিশ্চল বুকের ভেতর। নির্বিকার একাকী, চাদরে ঢাকা শরীর। তার ঘুমঘুম চোখ। পরীর মত চেহারা। জিঙ্গেস করতে- উথাল পাথাল দু’চোখের জল ভিজিয়ে দিলো তার প্রেম পিয়াসী মুখখানি। আষাঢ়-শ্রাবণ যায়, আর ভাঙা নায়ে উছলায় পরাণখানি। নৈবেদ্য অশ্রুজল রুমালে মুছে দিয়ে জড়িয়ে নিলাম বুকের ভেতর। রাতের বাকি অংশ কেটে দিলাম নির্জন গল্পের মাঝে। সকালে ঠাঁই দাঁড়াতে হয়েছে নিজের সংসারের কাঠগাড়ায়! নিকষ কালো অভিশাপ ঢেলে দিয়েছে বাবা। আহাজারি মায়ের কণ্ঠ। ভালোর ঘরে কেন পাপি ছেলে! আমি অপরাধী নয় বললেই কি আর হলো। ভালোবাসি বললেই কি আর সব মাফ হয়ে গেলো।
রাতের আঁধারে একজন মেয়ে একজন পরপুরুষের সাথে কিসের এত আয়োজন? লোক সম্মুখে মুখ দেখানো মা বাবার আজ বড় হিসাব-কিতাব। বাবা অপরাধীকে শাস্থি দিতেই দু’জনকে মাস্টার মশাইয়ের হাতে তুলে দিলো। আজ আবার মাস্টার মশাইয়ের কাঠগাড়াই দাঁড়াতে হয়েছে। অপরাধীর শাস্থি মৃত্যুদন্ড। যিনি সমাজের হর্তাকর্তার ভালো মেহমানদারি, যার ইচ্ছা অনিচ্ছা শকুনের মত তার হাত থেকে রেহাই পাওয়া কোন সহজ কথা নয়। র্থর্থ শরীর কাঁপছে। রাফিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েছে। যত প্রশ্ন; উত্তর একটাই “ভালোবাসি”। সমাজে ভালোবাসা অটুট রাখতে, ভালোবাসার মর্যাদা দিতে ভালোবাসার বিজয় ঘোষণা করে দিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে যেন বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা হয় এ জন্যে বাবাকে বলা হয়েছে।
(পাঁচ)
অতঃপর শীত পেরিয়ে বসন্ত এলো। আঙিনায় কামিনী, বকুল, কৃষ্ণচূড়া আর দোলনচাঁপা ফুল ফুটলো। পাখির কলতান আর ভ্রমরের গানে মাতাল পরিবেশ। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে মন ছুটে যায় ব্যাকুলতায়। ঠিক এমন দিনে বড্ড ইচ্ছে জেগেছিল রাফিয়াকে বরণ করে নিতে। আর দূরে দূরে নয়। এবার কাছেই হবে ভালোবাসার জয়।
হঠাৎ একটি খবর কানে এসে পৌছলো রাফিয়ার বিয়ে তার মামাতো ভাই রাতুলের সাথে। আমি যেন তখন শ্রাবণের নদীতে গড়াগড়ি খাচ্ছি। তুষারপাতে ভিজে ভিজে হাপিত্যেশ। আমার আকাশ যেন মেঘমালাকে ঘিরে রেখেছে। পাহাড়ের বুক থেকে খসে পড়া ¯্রােত যেন আজ আমার মাথার উপরে।
আর শুনতে চাইনি কারও পিছুটান। উতাল-পাতাল মেঘের বর্ষণ আর বাতাসকে নির্ভয়ে দৌড় দিলাম তার বাড়ি। মাস্টার মশাই দেখে চমকে উঠেছিলেন। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আমি বৃষ্টিতে ভিজছি। রাফিয়ার মা এসে হাজির। তুমি কি সেই, “যে রাফিয়াকে ভালোবেসেছো”! ভালোবাসা কি জানো! মনের সাথে মনের মিলন তা কি বুঝো!! আজো ভালোবাসতে শেখোনি, ভালোবাসতে জানোনি!!
তার কথা শুনে আমি হতভম্ব! ইচ্ছে করে পায়ের মাটিগুলো অনেকদূরে সরে দিতে। সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে নিজেকে শুয়ে দিতে। চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে যেতে।
হঠাৎ বারান্দার একপাশ থেকে রাফিয়ার ডাক কানে আসলো। সেখানে যেতেই কয়েকটা বাক্য ছুড়ে মারলো-
ভালোবাসতে শিখোনি আজো, শুধু ছলনা করতে শিখেছো। কেন এসেছো? এখানে তোমার কিছু নেই, ফিরে যাও।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। যেন কোনদিন তাকে ভালোবাসিনি, কোনদিন সে আমাকে কিছু বলেনি। আজ যেন সে আমাকে ছিটকে আগ্নেয়গিরিতে ফেলে দিতে চেয়েছে।
সেখানে তার মা, বাবা, বড় ভাই ছিলেন। একটুপর তার মামাতো ভাই রাতুল এসে হাজির, যার সাথে তার বিয়ের কথোপকথন চলছে।
তার বড় ভাই জানে আমাদের মাঝে কত সম্পর্ক। রাফিয়াকে একটি থাপ্পর মেরে আমার হাতে তুলে দিলো। মুহূর্তে রাফিয়া আমার হাত ছেড়ে তার মামাতো ভাইয়ের হাত ধরে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলো। পরপরই তার বড় ভাই তোষামদ করে বুঝিয়ে দিলো- জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না। আর ভালোবাসা বলতে কিছু নেই। যা আছে তার সব হাসি-কান্না, অভিনয় আর ছলনা। একজন তোমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে তাতে কি, নিজেকে গড়তে শিখো অনেক বড় হতে পারবে। তখন তোমার জন্য কতজন ব্যাকুল হয়ে ফিরবে।

ভালো থাকুক ভালোবাসার মানুষ। যদিও কাউকে কষ্ট দিয়ে কেউ সুখি হতে পারে না, তবুও শান্তি কামনা করে, সুখের আর্শিবাদ করে ভালোবাসাকে ছাই চাঁপা দিয়ে ফের আমাকে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজল বেশ সুন্দর একটি গল্প। আসবেন আমার কবিতাটি পড়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ। আপনার কবিতাটিও খুব সুন্দর হয়েছে। আমি পড়ছি....
ওয়াহিদ মামুন লাভলু মেঘের অভিমান, পাহাড়ের কান্না, চাঁদের কলঙ্ক, এগুলো খুব ভাল লেগেছে। আর গল্পের নায়কের কলঙ্কের বিষয়টায় আনন্দ পেলাম। --- গভীর রাতে নক্ষত্রের মিটিমিটি আলোয় রাফিয়া দীঘির কাছে চলে এলো, বাকি রাতটা কাটিয়ে দিলো গল্প করে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েও রাফিয়া বললো, "ভালোবাসি।" বিয়ে সম্পূর্ণ করার সিদ্ধান্তও হলো, কিন্তু অবশেষে রাফিয়া হাত ছেড়ে দিয়ে তার মামাতো ভাইয়ের হাত ধরলো। এটা খুবই দুঃখজনক ও আশ্চর্যজনক। রাফিয়ার ভালোবাসা ছিল আসলে অভিনয় ও ছলনা। খুবই ভালো লাগলো আপনার গল্পটি। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। :) আজ পবিত্র শবে বরাতের রাতে আমাদের জন্য দোয়া করবেন। শুভকামনা....
কাজী জাহাঙ্গীর ২য় বার আসলাম মুছে যাওয়া শুভেচ্ছাটাকে আবার জাগিয়ে দিতে। মন্দগুলোকে পেছনে ফেলে ভাবনাগুলোকে প্রেম মদিরায় গ্রথিত করে এগিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশায় ভোট রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। :) চেষ্টা করছি, একদিন হবে আশা করি।
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া একটু দেরী হয়ে গেল গল্পটির স্বাদ গ্রহন করতে। ৩০শে চৈত্রের পর ১লা বৈশাখ। পাশাপাশি দু’টো দিন; অথচ বৈচিত্র, স্বাদ আর আবাহনে কতো পার্থক্য! গত বারের লেখা আর এবারের লেখার মধ্যে তেমনি গল্পের রূপ, গন্ধ আর বৈচিত্রের পার্থক্য কবি। এবার ভালো লিখেছেন। ভোট, শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। আজকের পবিত্র এ শবে বরাতের রাতে আমার জন্য দোয়া করবেন। শুভকামনা...
সাদিক ইসলাম প্রকৃতি, বিমূর্ত ভাবনা জীবনের বেদনা। রাফিয়াকে হারানোর কষ্ট ভালো লাগলো। শুভ কামনা।
অফুরান কৃতজ্ঞতা ভাই। :) ভালো থাকুন
সাদিক ইসলাম প্রকৃতি, বিমূর্ত ভাবনা জীবনের বেদনা। রাফিয়াকে হারানোর কষ্ট ভালো লাগলো। শুভ কামনা।
মনজুরুল ইসলাম Got a lot pain after deleting the comments i shared. Just have read again your story.Very artistic the words you use here. And ofcourse simple,static and attractive. The dialectic suspense among three characters has been drawn perfectly in the story. stay fine forever.
মৌরি হক দোলা এক তারিখে আমি দুটো কবিতা আর এগারোটা গল্প পড়েছিলাম। এবারের সংখ্যায় সবাই অনেক ভালো লিখেছে। এগারোটা গল্পের মধ্যে অন্তত আট থেকে নয়টা গল্প আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছে। তার মধ্যে আপনার গল্পটি আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে। কিন্তু দেখুন, মন্তব্য, ভোট সবই উধাও। যাক, আবারো বলছি, খুব সুন্দর গল্প। এরকম আরো সুন্দর সুন্দর গল্প পড়ার প্রতীক্ষায় রইলাম। শুভকামনা চিরন্তন........
অনেক ধন্যবাদ। :) ভালো থাকবেন, শুভকামনা নিশ্চয়ই...

২২ ডিসেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪