বিস্ময় বিমান

কোমলতা (জুলাই ২০১৫)

হাবিব রহমান
  • ৪০
বিস্ময় বিমানঃ

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। বিমান বন্দরের কন্ট্রোল প্যানেল। একটা বিমান অবতরণের জন্য নির্দেশনা চাইল। এখন কোন বিমানের শিডিউল ছিল না। তথ্য ঘাটতে গিয়ে যা পেল তাতে তার চক্ষু ছানাবড়া, অফিসার শুধু বলল, ও মাই গড! আচমকা মালয়েশিয়া ইয়ারের ফ্লাইট নম্বর এম এইড ৩৭০ যে বিমানটা যোগাযোগ করল যার শিডিউল ছিল পাঁচ বছর আগে, এই সময়েই। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে যাত্রাপথে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল এটা। হারিয়ে যাওয়ার পর তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছিল কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি অদ্যাবধি। প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লুকিয়ে ছিল এটা। মানুষ বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের শিখরে এসে হঠাৎ করে যেন অসহায় বনে গেল। ধারনা করা হচ্ছিল এর এয়ারক্রাফট এড্রেসিং এন্ড রিপোর্টিং সিস্টেম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কোন ঘাগু বৈমানিক, বা বিমান প্রকৌশলীর হাতে কিডন্যাপ হয়েছিল ওটা, পরে অসীম সমুদ্র তলে ভূপাতিত হয়ে হারিয়ে গেছে। গল্প, গুজব ডালপালা ছড়িয়েছে অনেক। বিজ্ঞান এটাকে খুঁজে পায়নি। সেই সময়ে অন্ধ ধার্মিকরা মানুষকে বিজ্ঞানের ক্ষমতা না দেখানোর জন্য পরামর্শ দান করেছে, এবং এসব ছেড়ে ধর্মকর্ম করার জন্য প্রেরণা জুগিয়েছে।
বিমানটাকে প্রাথমিক নির্দেশনা দিয়ে, কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করল অফিসার। যা হবার তাই হল। মূহুর্তের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিত সবাই কন্ট্রোল রুমে চলে এসেছে। একজন কর্মকর্তা বলে উঠল, "পাঁচ বছর, কোথায় ছিল এটা? বিস্ময়কর!" বিমানটি যথাযথ ভাবে যোগাযোগ রেখেই অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দক্ষ পাইলট, তার জন্য মামুলি ব্যাপার। সবাই আরও অবাক হচ্ছে বিমান চালকের কথা শুনে। তার কণ্ঠ স্বাভাবিক, যেন কিছুই হয়নি কোথাও। যেন নিয়ম মাফিক রওয়ানা দিয়ে অবতরণ করছে, সে। কন্ট্রোল প্যানেল থেকেও তার সাথে স্বাভাবিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। কোন ধরনের কৈফিয়ত চাওয়া হচ্ছে না। তারাও বোঝাতে চাইছে যে এটা একটা স্বাভাবিক অবতরণ।
এতক্ষণে খবর ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে। রহস্যের ঝাঁপি নিয়ে নামছে বিমানটা। বিদ্যুৎ বেগে উৎসুক মানুষে বিমানবন্দর এলাকা ছেয়ে গেছে। পুরো বিমান বন্দর ঘিরে ফেলেছে, পুলিশ, সাংবাদিক, উৎসুক জনগণ আর বিমানে থাকা যাত্রীর স্বজনেরা। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতবিহবল। পরিস্থিতি সামলাতে ভীষণ বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে।
বিমানটি সফলতার সাথেই অবতরণ করলো, বেশ কিছু এম্বুলেন্স ছুটল বিমানটা যেখানে থামানো হবে সেখানে। সাইরেন বেজে চলছে ওগুলোর। সকল যাত্রীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। শারীরিক সহায়তা দিয়ে তারপর নিয়ে যাওয়া হবে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। বিস্তর পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। বিমানটা রানওয়ে থেকে ধীর গতিতে এগিয়ে এসে থামল। সবার মনে উৎকণ্ঠা, অনুসন্ধিৎসা, কি হচ্ছে এসব? কোথা হতে উদয় হল বিমানটা? কোথায় ছিল এটা? এটা কি সেই বিমান, নাকি অন্যকোন কিছু? কারা আছে এই বিমানে?

বৈমানিকঃ

বিমানটা থেকে এক এক করে যাত্রীরা নেমে আসছে। সবাই স্বাভাবিক। কিন্তু ওদের ঘিরে এত এম্বুলেন্স, মানুষজন দেখে যেন ঘাবড়ে গেল ওরা। কি হচ্ছে এসব, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেনা। বিমানের পাইলট জাহারি আহমদ তার মোবাইল ফোনটা অন করলেন। মোবাইল ফোনটাতে সময় ও তারিখ স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপডেট হয়। ভ্রু কুচকে তারিখটা দেখছে সে, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯! সেটিংসে প্রবলেম হয়েছে হয়তো, ভেবে ফোনটা পকেটে পুরল।
বিমান থেকে নামার আগেই একটা দল তাকে ঘিরে ধরল, সে বিব্রত হয়ে জানতে চাইল, “আপনারা কি চান? বিমানে উঠেছেন কেন?”
"অস্থির হবেন না। সব কিছু ঠিক আছে। কয়েকটি রুটিন চেকআপের জন্য আমাদের সাথে যেতে হবে, ওদের মধ্যে একজন জানাল। ওকে বিমান থেকে নামিয়ে একটা এম্বুলেন্সে ওঠাল ওরা। একজন ডাক্তার ওর প্রেশার, পালস্ চেক করছে। "কি করছেন আপনারা আমি সুস্থ আছি, আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?" লোক গুলো তার কথার উত্তর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করলনা। শুধু বলল, আপনি শান্ত হোন।
বৈমানিক আহমদের অভিজ্ঞতায় এমন ঘটনার অনুসন্ধান নেই। ও একটু বিভ্রান্ত হয়ে বলল, “আপনারা দয়া করে বলবেন সমস্যা টা কোথায়? আগামী কাল আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে। আমাকে এখনই আমার হোটেলে ফিরতে হবে।” বয়স্ক তিক্ষ্ম চেহারার একজন বলল, আগামীকাল কত তারিখ তা কি আপনি বলতে পারবেন? এমন ভাবে জানতে চাইলো যেন তারিখ মনে রাখা বা বলতে পারা অতিশয় কষ্ট সাধ্য একটা বিষয়।
আহমদ, বুড়োর চোখের দিকে তাকালো। লোকটা কি সত্যি মনে করে তারিখ বলতে পারা খুবই দুরূহ কাজ, সবাই মনে রাখতে পারে না? নয়তো এমন অহেতুক প্রশ্ন করার মানে কি? সে বলল, বলতে পারবো না কেন? আগামীকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি।
: কত সাল?
আহমদের শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত নেমে গেল, তবে কি তার মোবাইল সঠিক সাল দেখিয়েছে? ওর চোখ বিস্ময়ে বড় বড় হয়ে গেল। বলল, "এটা কি ২০১৪ নয়?"

কাল মেঘঃ

: জাহারি সাহেব কেমন আছেন?
জাহারি মাঝ বয়েসি লোকটার দিকে তাকালো। চৌকশ চেহারা। তার সাথেই বসে আছে বয়স্ক একজন লোক, প্রফেসর টাইপ ভাবভঙ্গি। বয়স হলেও তার শক্তপোক্ত শরীর। রিডিং গ্লাসের উপর দিয়ে জাহারিকে যেন পড়ছে বুড়ো। একটা ঘরের ভেতরে শুধু একটা টেবিল আর তিনটে চেয়ার। এক পাশে জাহারি অন্য পাশে ওরা দুইজন বসেছে। জাহারির শরীরে কিছু সেন্সর লাগানো আছে। কয়েকটা ক্যামেরা চারদিক দিয়ে ওকে কাস্ট করছে।
: জ্বি আমি ভাল আছি, বলল জাহারি।
: আমি স্টেফান, নাসায় কাজ করি। উনি প্রফেসর লেন্সলট। নিজের পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধকে পরিচয় করিয়ে দিল স্টেফান।
: আমরা আপনাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো কিছু মনে করবেন না, এবার কথা বলল বৃদ্ধ প্রফেসর। কিচ্ছুক্ষণ থেমে আবার বালল, “আপনি হয়তো ইতোমধ্যে বুঝতে পারছেন আপনারা যাত্রা দেয়ার পর পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে?”
: না আমি বুঝতে পারছি না। এটা সম্ভব নয়।
: আমরাও বুঝতে পারছি এটা সম্ভব না। কিন্তু এমনটাই হয়েছে। আমরা বুঝতে চেষ্টা করছি সেটা কিভাবে ঘটেছে। এজন্য আপনার সহায়তা দরকার।
: বলুন আমি কি করতে পারি।
: আপনি আমাদের কিছু প্রশ্নের জবাব দিন।
: বলুন কি জানতে চান?
: আপনারা রওয়ানা দেয়ার পর যাত্রা পথে অস্বাভাবিক কোন কিছু হয়েছিল?
: বলার মতো তেমন কিছুই নয়।
: কিছুই নয়?
: বিষয়টা আপনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিনা বুঝতে পারছিনা, তবে আসার সময় স্বচ্ছ আকাশে এক পুঞ্জ কাল মেঘ হঠাৎ আমার চোখে পড়ে আমি মেঘটাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ছিলাম কিন্তু পারিনি। আমার মনে হয়েছিল কয়েক সেকেন্ডর জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
নড়েচড়ে বসল বৃদ্ধ, উদগ্রীব হয়ে জনতে চাইল, মেঘটাতে প্রবেশ করার পর মেঘ কাটিয়ে সরে আসতে কত সময় নিয়ে ছিল?
: দশ-পনের সেকেন্ডের মত হবে মনে হয়।
: যাত্রীদের মধ্যে কারো কোন অস্বাভাবিক কোন কিছু আপনাকে নোটিস করা হয়েছিল?
: না। মাথা নেড়ে জাহারির উত্তর।
: পুরো যাত্রা পথেই আপনি টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ রেখেই এসেছেন?
: হ্যাঁ।
: কত সময় ফ্লাই করেছেন?
: ৩ ঘণ্টা ২৩ মিনিট।
লেন্সলট একটু দ্বন্দ্বে পড়ে গেল। বিমানটি যাত্রার প্রায় ১ ঘণ্টা পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এর পর আর যোগাযোগ করা যায়নি, তবে জাহারি কোন টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ রাখছিল? এবার প্রসঙ্গ পাল্টালো বুড়ো।
: ছোট বেলায় আপনি একবার পানিতে ডুবে যাচ্ছিলেন সেই স্মৃতিটা আমাদেরকে একটু বলবেন?
: আমি? কবে?
: ঠিক আছে আপনি আজ বিশ্রাম করুন, আমাদের আপাতত কোন প্রশ্ন নেই, তবে আপনাকে আমাদের আরো কিছু সহায়তা করতে হবে।
: ততক্ষণ কি আমাকে বন্দি থাকতে হবে? আমি আমার পরিবারের কাছে যেতে চাই।
: দুঃখিত। বলল স্টেফান, আমাদের আরো কিছু কাজ বাকি আছে, তাছাড়া আপনি বন্দি হতে যাবেন কেন? আপনি বুঝতে পারছেন বিষয়টা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং গুরুত্ববহ।
হতাশার একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো জাহারি।

ডিকয়ঃ

সাক্ষাতকারের ভিডিওটি বারবার দেখছিল লেন্সলট। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে জাহারির পরিবর্তন লক্ষ্য করছে মনোযোগ দিয়ে, সেই সাথে রক্তচাপ পরিমাপ, হার্ট বিট গুলো পরীক্ষা করছে।
:তুমি কি একটা জিনিষ লক্ষ্য করেছো, স্টেফানকে জিজ্ঞেস করলো প্রফেসর।
: কোন জিনিষটা স্যার?
: পুরো সাক্ষাৎকারে জাহারির রক্তচাপ আর হার্ট বিট প্রায় একই রকম ছিল। কিন্তু যখন তার পুরানো স্মৃতির কথা বলা হল ওর হার্ট বিট রক্তচাপ কেমন বেড়ে গেল? এই স্মৃতিটা সব সময় বলতো। তার কাছের বন্ধু বান্ধবী সবাইকে সে ঘটনাটা শেয়ার করেছে। এটা ভুলে যাওয়ার মত স্মৃতি নয়। ঐ ঘটনার পর থেকে সে কখনোই পানিতে নামেনি। বাথ টাব পর্যন্ত ও এড়িয়ে চলে। এমন স্মৃতি ভুলে যাওয়ার কারণ কি হতে পারে?
: এমন কি হতে পারে ওরা কোন শূন্য সময় জোনে ঢুকে পড়েছিল। পরে সেখান থেকে বের হতে পেরেছে কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ায় তাদের মাথার উপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে, ফলে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছে।
: এটা একটা ব্যাখ্যা হতে পারে তবে এক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এরকম কিছু হলে ওরা বিষয়টি আমাদের বলতে পারার কথা অথবা এই স্মৃতিটাও হারিয়ে গিয়ে থাকলে অন্য একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জাহারি বলছে পুরো যাত্রা পথে সে টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছে। সে আসলে কার সাথে যোগাযোগ রেখে চলছিল?
: আপনার কি মনে হচ্ছে?
: আমি তোমার শূন্য সময়ের ব্যাখ্যার সাথে আর কিছু যোগ করতে চাই। ওরা কাল মেঘ যেটাকে বলছে সেটা অন্য একটা স্পেসের গেটওয়ে। ওরা অন্য একটা স্পেসে চলে গেছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যারা যাবে তারা বেঁচে থাকতে পারে না, তারা সবাই আলোতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।
: তা হলে এরা কারা? সকল যাত্রী বহাল তবিয়তে ফিরে এসেছে।
: এরা সবাই ডিকয়। এদেরকে পুনরায় তৈরি করা হয়েছে। ওদের স্মৃতি গুলোকে বিন্যস্ত করে মস্তিষ্কে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পুনঃপতিস্থাপিত করার সময় স্মৃতি গুলো ওলট পালট হয়েছে ফলে স্পষ্ট স্মৃতিকে অস্পষ্ট করে ফেলেছে। ওরা হয়তো এমন একটা স্মৃতিকে সহজে বলতে পারবে যা বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিল।

ইনফিনিটিঃ
লেন্সলটের ব্যাখ্যায় স্টেফানের মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো অবস্থা। বলল, আপনি নিশ্চিত?
: না। আমি একটা যৌক্তিক সম্ভাবনার কথা বলছি। তুমি যুক্তি দিয়ে এর অসংগতিটা বের করার চেষ্টা কর। আমিও ভাবছি।
: কে ওদেরকে ফের তৈরি করল?
: কে এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছে?
: সঞ্চিত প্রসার মান শক্তি! বিগ ব্যাং....।
: তুমি নিশ্চিত?
: তবে কি আপনি বলছেন ঈশ্বর?
: সেটাও নিশ্চিত ব্যাখ্যা নয়।
: তবে?
: ইনফিনিটি, মানে অসীম। ব্যাখ্যা না করে ওটাকে ঈশ্বর নাম দেয়া যেতে পারে।
: তার মানে ওরা কোন টাওয়ারের সাথে নয় ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ করছিল। স্পেস অতিক্রম করায় সকল মৃত যাত্রীদেরকে ঈশ্বর পুনরায় তৈরি করে ফেরত পাঠিয়েছে কিন্তু একটা খটকা থেকেই যাচ্ছে, ঈশ্বর চাইলে তাদেরকে ২০১৪ তেই ফেরত দিতে পারতো। পাঁচ বছর পরে কেন?
: ঈশ্বর চাইলে পারতো, কিন্তু লক্ষ্য কর এই বিশ্ব মণ্ডল যে নিয়মে বিস্তার করা হয়েছে ঈশ্বর তার ব্যত্যয় কখনোই ঘটান না। সময় এবং স্থান পরম নয়, কিন্তু স্থানকে অতিক্রম করলে সময় লাগবেই। তাই সময়কে স্থির রাখা হচ্ছে নিয়মের ব্যত্যয়। হয়তো ঈশ্বর চাননি যেমন কখনোই চান না।
: ঈশ্বর কেন ওদেরকে ফেরত দিল? কি দরকার ছিল?
: আমরা কেন ঈশ্বরকে ভাবছি, কেন ভাবছি এটা ঈশ্বরের কাজ? আমরাতো জানি না সে আছে কি নেই?
: আপনি আবার শূন্য ফলাফলের দিকে যাচ্ছেন। আছে নেইতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
: এটা আসলে শূন্যই... সৃষ্টির আদি, সৃষ্টির শুরু।
নিজের রুমে এসে কাপড় না বদলেই বিছানায় শুয়ে পড়ল, স্টেফান। মাথাটা কেমন ভারি হয়ে আছে। সমস্যাটার যৌক্তিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিস্তার নেই। তার উপর পাগলা লেন্সলট। লোকটা সমাধানের এক একটা দরজা খুলে আবার বন্ধ করে দেয়। পাগল হওয়ার আগে ল্যান্সলটের সঙ্গ ছাড়তে হবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শামীম খান জমজমাট সায়েন্স ফিকশন । অফুরন্ত ভাল লাগা রেখে গেলাম । শুভ কামনা রইল । ( পড়ে মনে হয়েছে শেষ হয়নি । প্লিজ আরও কিছু লিখে শেষ করে ফেলুন । )
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক ভালো লাগালো । আমার কবিতা ও গল্পের পাতায় আমন্ত্রণ রইলো ।
তৌহিদুর রহমান সায়েন্স ফিকশান...বেশ ভাল লাগলো...ভোট দিয়ে গেলাম...পাতায় আমন্ত্রন রইল...আমার গল্প বা কবিতা ভালো লাগলে ভোট করবেন...প্লিজ...
নাঈম দারুন কল্পনা, খুব সুন্দর বর্ননা ও সমাপ্তি ভাল লাগল। আমার পাতায় আমন্ত্রন রইল।
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।পাতায় আমন্ত্রন রইল।
Salma Siddika মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্স কে নিয়ে আপনার কল্প গল্প বেশ ভালই লাগলো। শেষ হয়েও যেন শেষ হলো না।
একদম ঠিক বলেছেন...আপু...

১৬ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪