হাসপাতালের বারান্দায় অসহায়ের মত পায়চারি করছে রায়হান। তার পাশে তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করছে চন্দ্রমল্লিকা। কেউ কোন কথা বলছে না। কি

ফাল্গুনের শেষ বিকেলে গোধুলীর আলো নেমেছে। দিনের সূর্যের শেষ আলোক বর্ণটা মেঘেদের আবরনে মেখে আকাশে এক অদ্ভুত আলোর দুৎতি ছড়াচ্ছে।

স্যার কি সত্যিই এই বাড়িতে থাকবেন? মজনু মিয়ার চোখে জিজ্ঞাসু চাহনি। এইবার আমার প্রায় মেজাজ খারাপ হওয়ার জোগাড়। বিকেল হতে এই প্রশ্ন

এক.
একজন নাকি একটা কংকাল নিয়ে এসেছে, সম্পূর্ন মানব কংকাল।

যতই বেলা গড়িয়ে আসছে ছাফিনের মানসিক যন্ত্রণা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঝে মধ্যেই হৃৎপিন্ডটা কেঁপে উঠতেছে। সূর্য পশ্চিম দিকে পৌঁছেছে ।

লুবনা রোজ দিনের মত আজকেও ব্রেকটাইমে টি-রুমের নির্দিষ্ট সীটটিতে বসে সবেমাত্র লাঞ্চ বক্স খুলেছে, মুখোমুখি দরজায় চোখ পড়তেই উলটো

টেলিফোনের শব্দে হুড়মুড় করে উঠে বসল মিলি। অবেলায় ঘুমিয়ে পড়েছিল সে। বাম পাশের দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকালো ঝাপসা চোখে। সাতটা

ফাহাদ জানালার ধারে চেয়ারে বসে আছে সেই সকাল থেকে । এখন মধ্যদুপুর । আকাশ মেঘলা । সকাল থেকে মেঘ করে আছে । প্রতিমূহুর্তে মনে

আজ হিমার চোখে লাজুক-লাজুক ভাব। একদিন যেই হিমার কাছে যেতে টিকিট কাটা লাগত তিন দিন আগে থেকে, ফন্দি আটা লাগত সাত দিন ধরে,

বাড়ী থেকে ক্রমাগত ফোন আসছে। ধীরে ধীরে আমন্ত্রিতরা বাড়ীতে আসতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে আসল লোকেরই পাত্তা নেই। একটা জরুরী

‘ম্যাডাম জলদি আইয়ে, বারিশ আনেওয়ালি হ্যায়,’ ড্রাইভার শিবপ্রসাদের ডাকে সুনেত্রার নিবিষ্টতা ভঙ্গ হল।

অনাবরত একই শব্দ চয়ন, একই পথে যাতায়াত,পা ফেটে রক্ত ঝরছে,তবূ চলছি, চলছি বন্ধুর পথে ।হৃদয় ঊপুড় হয়ে পড়ছে, পড়ছে যেখানে সেখানে

মানুষের জীবনটা অদ্ভুত।অদ্ভুত কর্মকাণ্ডে ইচ্ছের বাড়াবাড়ি।কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই ভবিষ্যৎ তে পরিণতির ভয়।সব কিছু উপেক্ষা করে প্রমান করতে চায় সে

বাবা বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যে হয়ে যায়। বুক পকেটে থাকে দুটো চকচকে সিকি। মা কুয়ো থেকে পানি তুলে রাখে বাবার জন্য। হাত মুখ ধুবে। বাবা এসেই

কাল্লুজীর বা কাল্লুরামের হিসেব বলা হয়তো ঠিক নয়। বলা উচিৎ পরিপূর্ণ হিসেব বা হিসেবের পূর্ণতা।