ছুঁয়ে কান্নার রং... ছুঁয়ে জোছনার ছায়া..

পূর্ণতা (আগষ্ট ২০১৩)

জুয়েল বড়ুয়া বাপ্পু
  • 0
ফাল্গুনের শেষ বিকেলে গোধুলীর আলো নেমেছে। দিনের সূর্যের শেষ আলোক বর্ণটা মেঘেদের আবরনে মেখে আকাশে এক অদ্ভুত আলোর দুৎতি ছড়াচ্ছে ।শান্ত নদীটার উপর আলোর রেখাগুলো মিশেছে।’ এই আলো লাল না গোলাপী নীল আছে কিনা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।চারপাশটা কেমন যেন রঙ্গিন হয়ে উঠেছে । এই সময় কে কবে অপমান করেছিলো, কোন প্রিয় মানুষ কষ্ট দিয়ে চলে গেছে এসব কিছুই মনে পড়ে না’ ট্রেনের জানালার পাশে বসে নদীর পাশ দিয়ে ট্রেন চলে যাওয়ার সময় গোধুলীর এই অদ্ভুত দৃশ্য দেখছিলো নীল। দেখছিলো নদীটাকে ।সিলেটে থাকার সময় এই পাঁচ বছরে অনেকবার দেখেছে নদীটাকে ।পাহাড় সমুদ্রের চেয়ে নদী বেশি কাছে টানে নীলকে।তবে আর হয়তো এই নদীটাকে দেখা হবে না নীলের,সিলেট থেকে এবার একেবারে শিখড়ের কাছে চট্টগ্রামে ফিরে যাচ্ছে নীল।কি অদ্ভুত! পাঁচ বছর আগে অনেকটা পালিয়ে প্রিয় চট্টলা ছেড়েছিলো নীল।প্রিয় কিছু মুখগুলো থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছিলো। শৈশবের বন্ধুদের ,ডি সি হিলের শিরোনামহীন আড্ডা,জোছনা রাতে একা একা রিক্সায় ঘোরা, ,শহরের সোডিয়াম লাইটের আলোয় বৃষ্টিতে ভেজা, একটা স্বপ্নের রং প্রিয় সবকিছুই ছেড়ে গোপনে প্রিয় শহর ছেড়েছিলো নীল।স্মৃতি তো কেবল বেদনা হয়ে রয়ে যায়। নীলেব প্রিয় একটা স্বপ্নের রং ছিলো, মেঘ !! এক নারী। বুকের খুব গভীরে যে নারীকে নিয়ে নীল স্বপ্নের স্কেচ আঁকতো। একটি বৃষ্টি ভেজা দুপুরে স্বপ্নের সেই মেঘ নীলকে বলেছিলো, স্বপ্নের গোধুলীর ক্যানভাসে বৃষ্টি নামিয়ে দিতে।এবং নীল যেন এই শহর ছেড়ে অনেক দূরে চলে যায়। শেষবারের মতো সেদিন নীল মেঘের চোখের দিকে থাকিয়ে বলেছিলো-মেঘ তুমি কথা দিয়েছিলে...!। মেঘ বলেছিলো দেখো নীল , প্রতিদিন পৃথিবী বদলায় ,কথা তো বদলাবে। সত্যি আমি খুব দুঃখিত নীল। আমার কিছু করার নেই। তুমি যদি আমাকে ভালোবেসে থাক তাহলে তুমি এই শহর ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবে।আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ করবে না। নীল সেদিন কেবল চেয়ে চেয়ে দেখলো কত সহজে নীল কথাগুলো বলছে। মেঘ ভেবো না আমি অনেক দূরে চলে যাবো । নীল হারাতে শিখেছে হারতে শিখেনি। নীলের ঝাপসা চোখ বেয়ে কয়েকফোঁটা অশ্র“ ঝরেছিলো সেদিন। কয়েকদিন পরেই নীল শহর ছেড়েছিলো। কি কারনে নীল শহর ছেড়েছিল সেটা কেউ জানতে পারে নি।সিলেটে আসার পর অনেকটা একাই কাটিয়েছে সময়গুলো ।সিলেটে একটা পাহাড়ী এলাকায় একটি বেসরকারী কলেজে অধ্যাপনা করত নীল। এই পাঁচ বছরে মেঘের সাথে একবার ও যোগাযোগ হয় নি নীলের। এই দীর্ঘ সময়ে নীল একবারের জন্য ও চট্টলায় ফিরে নি। চলে যাওয়া সময়গুলো মানুষ ফিরে পায় না তবু কেবল মানূষ সে সময়টাকে কাছে খুঁজে, এটাই জীবন গল্পের ধ্র“ব একটা সত্য । গোধুলীর রং মুছে গিয়ে আস্তে আস্তে সন্ধ্যা নেমে আসছে ,পথের ধারে পড়ে থাকা ঝরা পাতাগুলো দৃষ্টির সীমানায় ঝাপসা হতে শুরু হয়েছে। সে ঝরা পাতার দিকে থাকিয়ে নীলের মনে হলো,সে সারাজীবন দূরে দাঁড়িয়ে পাতা কুড়ানো দেখেছে। কখনো নিজে পাতা কুড়াতে পারে নি। একটা ঝরা পাতার উপর একটা প্রজাপতি এসে বসেছে, নীল সেদিকে থাকালো।কিন্তু চোখের পলকে দৃশ্যটা হারিয়ে গেলো ।ট্রেনটা অনেকটা ফাঁকা ।যাত্রীরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছে। নীল, ব্যাগ থেকে রবীন্দ্রনাথের একটা বই বের করে বইতে মনোনিবেশ করলো। মেঘ ও রবীন্দ্রনাথের দারুন পাঠক ছিলো ।মেয়েটা রবীন্দ্রনাথের নায়িকা চরিত্রের সাথে নিজের জীবনের দর্শন মিলাতো। রবীন্দ্র নারীদের মতো সবসময় শাড়ি পড়তো। রবীন্দ্রনাথের দেবযানী আর নন্দিনী চরিত্র দুটি মেঘের কাছে অসম্বভ রকমের প্রিয় ছিলো।মেঘের আরেকটা গুন নীলকে অসম্বভ রকমের স্পর্শ করতো।মেঘ খুব ভালো রবীন্দ্র সংগীত গাইতে পারতো ।নীল একটু পরে ট্রেনের মাঝে বেহালার সুর শুনতে পেলো।নীল বই থেকে চোখ নামিয়ে দেখলো নীলের সিট থেকে অল্প দূরে একটা সিটে বসে থাকা এক দাড়িওয়ালা বৃদ্ব লোক আপনমনে বেহালা বাজাচ্ছে। এক বিরহের সুর তুলেছে ।নীল নিজের সিট থেকে উঠে গিয়ে বৃদ্বটার পাশে গিয়ে বসলো,বেহালার সুর নীলকে অদ্ভুদভাবে কাছে টানে।সিলেটে থাকার সময় বৃষ্টি ভেজা রাতে নীলের যখন নিজেকে অসম্ভব রকমের একা লাগতো নীল সিডিতে বেহালার সুর ছেড়ে দিয়ে বেলকনিতে দাড়িয়ে বৃষ্টির দিকে থাকিয়ে থাকতো। নীলকে আজ অসম্ভব রকমের নষ্টালজিয়ায় পেয়ে বসছে।পাশের সিটে একটা কালো শাড়িপরা মহিলা বসে আছে।মাথার খোলা চুলগুলো এক আধটু বাতাসে উড়ছে,হাতে নীল রংয়ের চুড়ি,মুখটা দেখা যাচ্ছে না।মুখের সামনে একটা গল্পের বই ধরে আছে মহিলাটা ।্কানের পাশে একটা চশমার ফ্রেম হালকা চোখে পড়ছে।মহিলাটি তারাশঙ্করের ”কবি” উপন্যাসটি পড়ছে।কবি উপন্যাসটি নীলের পড়া আছে।উপন্যাসের চোরের বংশের ছেলে অবশেষে কবি হইয়া উঠিল” লাইনটি নীলের বেশ লাগে।একসময় নীলের ও কবি হওয়ার শখ ছিলো,তারাশঙ্করের চোরের বংশের ছেলে কবি হইয়া উঠিলে ও নীলের আর কখনো কবি হয়ে উঠা হয় নাই। নীল বেহালার সুর শুনতে শুনতে আনমনে আবার জানালার বাহিরের দিকে থাকিয়ে রইলো। ট্রেনের কামড়াটা অনেকটা এখন নীরর। বেহালার সুর থেমে গেছে,বেহালাওয়ালা বৃদ্বটা হয়তো ফেলে আসা কোন স্টেশনে নেমে গেছে। নীলের দুচোখে অনেকটা ঘুম নেমে এসেছে। একসময় নীল শুনতে পেল এক নারী কন্ঠ নীলের নাম ধরে ডাকছে। নীল চোখ খুলে নারী মূর্তিটার অবয়বের দিকে এক দৃষ্টিতে থাকিয়ে রইলো। অস্পুট স্বরে নীলের মুখ থেকে একটা শব্দ বের হলো-মেঘ!মেঘ তুমি! হ্যাঁ নীল ,আমি মেঘ। পাশের সিটে ছিলাম ,হঠাৎ করে তোমাকে দেখতে পেলাম, কত বছর পর দেখছি! কেমন আছ !ভালো আছো তো? নীল চুপচাপ মেঘের চোখের দিকে থাকিয়ে আছে।ভালো থাকা! ভালো আছি কিনা সেটা বলতে পারবো না,তবে জীবন থেকে পালিয়ে মানুষ যেভাবে বেঁচে থাকে আমি ও সেভাবে আছি ।মেঘ এক ধরনের বেদনার্ত মুখ নিয়ে নীলের দিকে থাকিয়ে নিচু গলায় বলল আজ ও কি আমাকে ক্ষমা করতে পারো নি নীল ? থাক না ওসব পেছনের গল্প মেঘ , কে হায় রিদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে। ”আজ ও তুমি একটু ও পাল্টা ও নি নীল।আমি তো সারাজীবন শীতের সকালের শিশির বিন্দুর পেছনে ছুটেছিলাম, কিন্তু আমার জানা থাকতো না,সূর্য উঠলে শিশির বিন্দুটা চিরতরে হারিয়ে যায়।অনেকক্ষন চুপচাপ সময় কাটে। কোথায় যাচ্ছো? তোমার সাথে শেষ দেখার কিছুদিন পরে আমি সিলেটে চলে আসি। এই দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রিয় চট্টলায় ফিরছি। নীল মেঘের চোখের দিকে থাকিয়ে বললো! এবার তোমার কথা বলো, তুমি নিশ্চয় সুখী ? মেঘ নীলের চোখ থেকে চোখ সরিয়ে ট্রেনের জানালা দিয়ে বাহিরে থাকালো। মেঘের চোখে আশ্চর্য এক গভীর বেদনা। আকাশে চাঁদ উঠেছে। চাঁদের হালকা আলো রাতের বুকে নেমেছে। মেঘ চাঁদের দিকে থাকালো। চাঁদের উপর দিয়ে কয়েক টুকরো মেঘ চাঁদকে গ্রাস করে আবার সরে গেলো। কিছু জোছনা এসে মেঘের অবয়বে পড়ছে। মেঘকে এই মুহুর্তে¡ নীলের কাছে অন্য রকম সুন্দর লাগছিলো। মেঘ চাঁদের দিকে থাকিয়ে বললো-কেউ কাউকে কষ্ট দিলে ইশ্বর সে পরিমান কষ্ট ফিরিয়ে দিয়ে সমতা বিধান করে দেয়। আমি তোমার চোখ জলে ভরিয়েছিলাম নীল। তাই ইশ্বর ও আমার চোখ জলে ভরিয়ে দিয়েছে। মেঘের চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্র“ গড়িয়ে পড়ছে। চাঁদের হালকা আলোয় স্পষ্ট দেখতে পেলো নীল। ইশ্বর মানুষের চোখে অশ্র“ দেখে খুব বেশি কি মজা পায়? কেন ইশ্বর বার বার মানুষের চোখ ভরিয়ে দেয় নোনা জলে? মেঘ বলতে লাগলো,তোমার সাথে শেষ দেখার এক মাস পর আমার বিয়ে হয়ে যায় পরিবারের পছন্দের ছেলেটার সাথে। সময়ের প্রয়োজনে সবকিছু ভুলে সংসার করছিলাম। ভালোই চলছিলো সব , আমার কোলজুড়ে একটা মেয়ে সন্তান আসলো ,কিস্তু তিন বছর পর একদিন এক সড়ক দূর্ঘটনায় আমার স্বামী মারা যায়। ট্রেনের গতি আ¯েত আস্তে কমছে, সামনে হয়তো কোন একটা স্টেশন আছে। মেঘ ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করে ঠিকানাটা লিখে নীলের হাতে দিল। সামনে আমি নেমে যাবো নীল। এটা আমার ঠিকানা তুমি কিন্তু অবশ্যই এসো, তোমার সাথে আমার অনেক কথা আছে। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো...। ট্রেনটা থামলো। মেঘ আস্তে আস্তে ট্রেন থেকে নেমে যাচ্ছে। নীল একদৃষ্টিতে থাকিয়ে দেখছে মেঘ চলে যাচ্ছে। একসময় নীলের চোখের আড়াল হয়ে গেলো মেঘ। হঠাৎ এক বিচিত্র নিঃসঙ্গতা নীলকে আছন্ন করে ফেলল। ট্রেনটা আবার চলতে শুরু করেছে। অনেকটা দূরে চলে এসেছে মেঘকে পেছনে ফেলে। রাতের আঁধারের রং আরো ভারী হয়েছে। জোনাক পোকারা ও রাতের বুকে নেমে এসেছে। ফাগুনের শীতল হাওয়াটা নীলকে স্পর্শ করছে। ট্রেনের জানালার পাশে হাত রেখে একদৃষ্টিতে চাঁদের দিকে থাকিয়ে রইলো নীল। আপনমনে একটি রবীন্দ্রসংগীতের কয়েকটা লাইন গেয়ে উঠলো-”আরেকটিবার আইরে সখা প্রানের মাঝে আয় / মোরা সুখের দুঃখের কথা কবো প্রান জুড়াবে তাই / মাঝে হলো ছাড়াছাড়ি গেলাম কে কোথায় / দেখা যখন হলো সখা প্রানের মাঝে আয়...” নীলের দু ,চোখ বেয়ে কোথা থেকে যেন দু,ফোঁটা অশ্র“ নেমে এলো। নীল মেঘের কাছে যাবে। মেঘ থেকে তার হারানো স্বপ্নের রং ফিরে চাইবে । মেঘ হয়তো তাকে আর ফেরাবে না। হঠাৎ বাতাসের একটা দমকা হাওয়ায় নীলের হাত থেকে মেঘের ঠিকানার কাগজটা ছুটে গিয়ে বাতাসে ভেসে আঁধারের মাঝে মিশে গেলো। নীল ঠিক কিছু বুঝে উঠার আগে। নীল তাড়াতাড়ি সিট থেকে উঠে ট্রেনের ছেইনটা টান দিয়ে বগির দরজার দিকে ছুটে গেলো। ট্রেনের বগির বাকি যাত্রীরা নীলের দিকে থাকিয়ে রইলো। অনেকটা দূর সামনে গিয়ে আস্তে আস্তে ট্রেনটা থামলো। ট্রেন থেকে নেমে নীল ফেলে আসা ট্রেনের রাস্তার দিকে ছুটে গেলো। জোছনার আলোয় খুঁজে ফিরলো মেঘের ঠিকানাটা। নীল আঁধারের মাঝে কোথা ও আর খুঁজে পেলো না ছোট কাগজটা। নীলকে ফেলে ট্রেনটা চলে গেছে নিজস্ব গন্তব্যে। জোছনার ছায়ায় ট্রেনের রাস্তার উপর নীল দাঁড়িয়ে রইলো একা। আকাশে জেগে থাকা একলা চাঁদটার মতো।

কিছু কিছু জীবনে অপূর্ণতার প্রাকারে পূর্ণতা ঘুমিয়ে থাকে...|
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
অদিতি ভট্টাচার্য্য প্যারার ব্যাপারে আমি আর একই কথার পুনরাবৃত্তি করছি না। গল্পের নাম সত্যিই খুব সুন্দর, গল্পটাও সুন্দর। লিখতে থাকুন।
জাকিয়া জেসমিন যূথী সবারই এক কথা... প্যারা করে লিখলে গল্প বলে মনে হয়। তা নইলে ডায়রীর পাতায় লেখা জীবনগল্প বলে মনে হয়। গল্পের নামকরণ সুন্দর; নামে মুগ্ধ হয়েই লেখাটি পড়তে এলাম। ভালো লেগেছে।
মিলন বনিক সুন্দর গল্প...আর একটু গুছিয়ে গল্পের বিষয়বস্তুটাকে প্যারা করে ফুটিয়ে তুললে ভালো হতো...ধন্যবাদ...
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন চমতকার একটা গল্প। ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল। (প্যারা করে লিখলে পড়তে বিধা হয়।)

২৬ মার্চ - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪