আলো ছায়া

পূর্ণতা (আগষ্ট ২০১৩)

সালেহ মাহমুদ
  • ১৩
হাসপাতালের বারান্দায় অসহায়ের মত পায়চারি করছে রায়হান। তার পাশে তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করছে চন্দ্রমল্লিকা। কেউ কোন কথা বলছে না। কি ভেবে হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় রায়হান। চন্দ্রমল্লিকা মুখোমুখি হয়। রায়হান জিজ্ঞেস করে, তুমি তো ওটিতে ঢুকেছিলে। শেষ মুহূর্তে কেমন দেখলে রেশমাকে?
আমার খুব ভয় করছে টুকু। কি যে হবে বৌদির জানি না। তুমি কি বাড়িতে ফোন করেছিলে?
হ্যা, সবাই আসছে। হয়তো চলেই এলো। কেবিনে কেউ আছে?
না, কেউ নেই। আমি দরজা ভিড়িয়ে এসেছি। সমস্যা নেই, পাশেই ডিউটি নার্সদের রুম।
না ঠিক হলো না। কেউ এসে পড়লে কেবিনে খুঁজবে প্রথমে। তুমি ওখানে যাও।
আচ্ছা, আমি যাচ্ছি। তুমি কিন্তু ঘাবড়ে যেও না। আল্লাকে ডাকো কায়মনোবাক্যে। তিনিই উদ্ধার করার মালিক।
রায়হান হঠাৎ থমকে যায় চন্দ্র-র কথায়। সে সৃষ্টিকর্তা বা ভগবান না বলে এমনভাবে আল্লাকে ডাকার কথা বললো যে মনে হয় সেও বুঝি মনে মনে আল্লাকে ডাকছে।
চন্দ্র কেবিনের দিকে যেতে থাকে। রায়হান খেয়াল করে হিন্দু হলেও একেবারে মুসলিম মেয়ের মতই ঢেকেঢুকে আছে চন্দ্র। বোঝাই যায় না ও হিন্দু। সে ভাবে- চিরায়ত বাঙালী রমনীরা তো এমনই। আর ও তো খুব ভদ্র এবং পরিপাটি মেয়ে। যে কোন পরিবেশেই সে মানানসই। রায়হান চন্দ্রকে গভীর ভালোবাসে, সে ভালোবাসা শুধু যে বন্ধুত্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তেমনটি নয়, বরং তারও চেয়ে বেশী। চন্দ্র তা বোঝে কি না কে জানে! বুঝুক না বুঝুক সেটা বিবেচ্য নয়, এখন একমাত্র চিন্তা রেশমাকে নিয়ে।
ডাক্তারদের ভাষ্যমতে গভীর সংকটে রেশমা ও তার সন্তানের জীবন। ডাক্তার সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন না করলে মা-সন্তান কারোই বাঁচার সম্ভাবনা নেই। অপারেশন করলে দু’জনই বেঁচে যেতে পারে অথবা যে কোন একজন। আর কিছু ভাবতে পারে না সে। তার মাথার ভেতর বনবন করে যেন প্রপেলার ঘুরতে শুরু করে। দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে সে। পাশের দেয়াল ধরে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।

টুকুর মা আসমা বেগম কেবিনের ভেজানো দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই থ’ মেরে যান। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেন না তিনি। তার থ’ মেরে যাওয়া দেখে বড় বউ ইসরাত পাশ কেটে ভেতরে ঢুকে সে-ও পুরো বোকা বনে যায়। অভূতপূর্ব আশ্চর্য কোন কিছু দেখে থমকে যায় সে-ও। বড় ছেলে হামিদ আলী বিষয়টা বোঝার জন্য স্ত্রীকে ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে। কিন্তু অবাক বিস্ময়ে সে দৃশ্য দেখা ছাড়া তারও কিছুই করার থাকে না। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে চেয়ে থাকে সে ও।
বেশ কিছুক্ষণ এভাবে কাটার পর আসমা বেগম এগিয়ে যান চন্দ্রমল্লিকার দিকে। সে তখন কেবিনের এক কোনায় জায়নামাজ পেতে কেবলামুখী হয়ে দু’হাত তুলে অঝোর নয়নে কাঁদছিল। প্রার্থনায় এতটাই মগ্ন হয়ে গিয়েছিল সে যে কারো উপস্থিতি টেরই পায় নি। আসমা বেগম এসে তার কাঁধে হাত রাখলে তার ধ্যান ভাঙ্গে। রুমে সবাইকে দেখে থতমত খেয়ে তাড়াহুড়ো করে উঠতে যায় সে। কাঁধে চেপে ধরে থামিয়ে দেন আসমা বেগম। বলেন, কে বলবে তুমি হিন্দু? আমার পুত্রবধুর জন্য যে নারী জায়নামাযে বসে এভাবে আল্লাহর কাছে কাঁদতে পারে তাকে তো আমি হিন্দু ভাবতেই পারি না? আচ্ছা মা সত্যি করে বলো তো তুমি কি সত্যি সত্যি মুসলমান হয়ে গেছো? না কি আবেগের বশে তোমার বন্ধুপত্নীর জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছ?
আসমা বেগমের প্রশ্নে বিচলিত হয়ে পড়ে চন্দ্রমল্লিকা। কি বলবে না বলবে ঠিক বুঝে উঠতে না পেরে অধোবদনে বসে থাকে। উপস্থিত সবাই রাজ্যের ঔৎসুক্য নিয়ে তাকিয়ে থাকে চন্দ্রমল্লিকার দিকে। সবার দিকে একবার তাকিয়ে সে আমতা আমতা করে বলতে থাকে,
আসলে রায়হানের সাথে পরিচয়ের পর আপনাদের পরিবারের সাথে মিশে ইসলাম ধর্মের প্রতি আমার আগ্রহ জন্মে। আর ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গীতেও আমরা তেমন গোঁড়া হিন্দু না। আমার এক কাকাসহ আরো অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে এরই মধ্যে। আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ইসলাম নিয়ে অনেক স্টাডি করেছি। ইসলাম ধর্মের উপাসনার ধরণ এবং পদ্ধতিগুলো গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছে। সেই ভালো লাগা থেকেই মাঝে মাঝে মুসলমানী ইবাদতের অভিনয় করি নিজে নিজে। আজ বৌদির জন্য খুব ইচ্ছা করলো প্রার্থনা করি। তাই এখানে জায়নামাজ বিছিয়ে মুসলমানদের মতোই প্রার্থনা করলাম। কোন অন্যায় কিছু করি নি তো আমি?
চন্দ্রমল্লিকার কথা শুনে আসমা বেগম তাকে জড়িয়ে ধরে বুকে টেনে নেন। আদর করে কপালে চুমু এঁকে দেন। বলেন, আমার অনেক সৌভাগ্য রে মা। তুই তো মুসলমান হয়েই গেছিস। একদিন তোর স্যারের কাছে গিয়ে কলেমা পড়ে মুসলমান হয়ে যাস, তাহলেই সব দ্বন্দ্ব ঘুচে যাবে। তুই অনেক সৌভাগ্যবতী মেয়ে। আমি তোকে দোয়া করি।
আসমা বেগমের এ রকম অযাচিত আহ্লাদে গলে যায় চন্দ্রমল্লিকা। হেসে ফেলে বলে, আপনার আশীর্বাদ শিরোধার্য।
এতক্ষণে গলা খাকারি দেয় হামিদ আলী। উৎকণ্ঠিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে- টুকু কোথায় চন্দ্র? রেশমার খবর কি?
টুকু তো ও.টি-র সামনে। আর বৌদিকে ঘন্টাখানেক আগে ও.টি-তে নিয়ে গেছে। আমিও ডাক্তারের সাথে আলাপ করে ভেতরে গিয়েছিলাম। এনেসথেসিয়া পর্যন্ত ছিলাম। চলেন, আমরা ওদিকে যাই।

ও.টি-র সামনে যেতেই মা’কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে রায়হান। মা তার মাথায়-পিঠে হাত বুলিয়ে দেন। সসেণহে বলেন, আল্লাকে ডাক বাবা, তিনিই উদ্ধারের মালিক।
এমন সময় ও.টি-র দরজা সামান্য ফাঁক করে নার্স জিজ্ঞেস করে, রেশমা’র লোক আপনারা?
জ্বি, কি অবস্থা ওর? সমস্বরে সবাই জিজ্ঞেস করে।
মিষ্টি করে হেসে ফেলে নার্স। সহাস্যে আসমা বেগমকে লক্ষ্য করে বলে, নিশ্চয়ই আপনি বাবুর দাদী। দিন বখশিশ দিন। আপনার নাতি হয়েছে, ওই যে দেখুন এদিকেই আসছে।
বলতে বলতেই আর এক নার্স নবজাতককে কোলে করে এনে আসমা বেগমের সামনে দাঁড়ায়। আসমা বেগম এক প্রকার লুফে নেন নাতিকে। নবজাতকের মুখের দিকে তাকিয়েই বলে ওঠেন, কিরে টুকু তরে বদলাইয়া আইছে, দেখ দেখ কেমনে পিট পিট কইরা চায়। বাপরে খোজতাছে মনে হয়।
নার্স শশব্যস্ত হয়ে পড়ে। আরে আরে আপনারা আমার চাকরী খাইবেন দেখি। দেন দেন বাবুরে দেন। ডাক্তার বলছে খালি এক নজর দেখাইয়াই লইয়া যাইতে।
নার্স বাবুকে নিয়ে যেতে উদ্যত হতেই আসমা বেগম জিজ্ঞেস করেন, ওর মার জ্ঞান ফিরছে?
না খালাম্মা এখনো ফিরে নাই। দোয়া করেন, ডাক্তাররা জ্ঞান না ফিরা পর্যন্ত পাশেই থাকবে।

নবজাতককে দেখে সবার মন ভরে যায়। সবাই নবজাতকের মিল-অমিল নিয়ে কথা বলতে থাকে। চন্দ্রমল্লিকা ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে ও.টি ড্রেস গায়ে চাপিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। কেন যেন ওর ভালো লাগে না কিছুই। কেবলই অমঙ্গল আশঙ্কায় শিউরে শিউরে ওঠে সে।
নবজাতককে সিজার করে বের করে আনার পর এক ঘন্টা হয়ে গেল তবু জ্ঞান ফিরছে না রেশমার। এতক্ষণ তো লাগার কথা নয়। তবে কি খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে? কথাটা মনের মাঝে উঁকি দিতেই কেঁপে ওঠে সে।
রোগীর কাছে যেতেই প্রফেসর শমসের তাকে ইশারায় ডাকেন। কাছে যেতেই খুব নীচু স্বরে তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি যেন কে?
আমি চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যের হাসি’তে কাজ করি স্যার।
রোগীর সাথে কে কে আছেন বলতে পারেন?
জ্বি স্যার, রোগীর শ্বশুর ছাড়া সবাই আছেন।
আপনি এক কাজ করুন, সবাইকে নিয়ে কেবিনে যান। বেবিকেও নেয়ার ব্যবস্থা করুন। আমি দশ মিনিটের মধ্যে কেবিনে আসছি।

নবজাতককে নিয়ে কেবিনে ঢুকে গোছাতে না গোছাতেই ডাঃ শমসের এসে উপস্থিত হন। আসমা বেগমকে দেখেই হেসে সালাম দেন। একটু সুস্থির হয়ে বলেন, ভাবি কিভাবে বলব বুঝতে পারছি না। আমি আমার জীবনে এত ক্রিটিক্যাল রুগী দেখি নি। গতকাল আপনি ফোন করার সাথে সাথেই এখানে চলে আসি। এরপর ডাক্তার সুরাইয়া আমাকে সবকিছু ব্রিফ করেন। আমি নিজেও সমস্ত কিছু চেকআপ করি।
একটু দম নেন ডাঃ শমসের। সবাই একদম চুপ মেরে যায়। যেন কোন ভয়ংকর সত্য কথা শুনতে চাচ্ছে দম বন্ধ করে। আবার বলতে শুরু করেন ডাক্তার-
খুব কম সংখ্যক ডাক্তার নাস্তিক হন। কারণ হলো, জীবন-মৃত্যুর যেই ঘটনাগুলো আমাদের হাতে ঘটে তাতে আমাদের হাত থাকে খুব সামান্যই। আমরা আমাদের কাজ করে যাই আর মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে জপতে থাকি। আমাদের হাতের উপর দিয়েই কোথা দিয়ে প্রাণবায়ু বের হয়ে যায় আমরা বুঝতেই পারি না। সবই একমাত্র সেই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। আমি জানি না আপনার পুত্রবধুর শেষ পরিণতি কি হবে? হয়তো কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরবে। কিন্তু তারপর সে আর কতক্ষণ টিকে থাকবে তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। আপনারা মন শক্ত করুন। আর আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
ডাক্তার সাহেব আবার থামেন। কেমন অপ্রস্ত্তত মনে হয় তাকে। হাসার চেষ্টা করেন, কিন্তু তা যেন কান্নার চেয়েও করুণ আকার ধারণ করে। বলেন, আপনার বেয়াই বাড়ি থেকে কেউ আসে নি?
হ্যা, ওরা তো গতকাল ছিল সারাদিন। আমরা আসার সময় ফোনে কথা হয়েছে, হয়তো এক্ষুনি এসে পড়বে।
ডাক্তারের কথা শুনতে শুনতে চন্দ্রমল্লিকা নবজাতকের কাছে চলে যায়। বিছানায় পদ্মাসনে বসে বাবুকে কোলে নিয়ে পরম মমতায় আলগোছে জড়িয়ে ধরে। তার চোখ বেয়ে নেমে আসে অশ্রম্নর ধারা।
সে জানে ডাক্তারের কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। হয়তো আর কিছুক্ষণের ভিতরই মৃত্যু সংবাদ নিয়ে ছুটে আসবে নার্স। হয়তো শোকের মাতম উঠবে হাসপাতাল জুড়ে। ডাক্তারকে শাপশাপান্ত করতে থাকবে রুগীর আত্মীয়-স্বজনেরা। কিন্তু কি হবে এই নিষ্পাপ শিশুটির? ওর মুখে খাবার তুলে দেবে কে? ওকে মায়ের সেণহ-মমতা দিয়ে কোলে পিঠে করে গড়ে তুলবে কে?
এতসব কিছু ভাবতে ভাবতে নিরবে হু হু করে কেঁদে ফেলে চন্দ্রমল্লিকা। আর মনে মনে আওড়াতে থাকে, এমন কিছু হলে আমিই হব ওর মা। আমি ওকে দেবো না কারে কাছে। কাউকে ছুঁতেও দেবো না।
ডাক্তার রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সবার নজরে পড়ে ব্যাপারটা। আসমা বেগম কাছে এসে বসে চন্দ্রমল্লিকার মাথায় সেণহের হাত রেখে স্বান্তবনা দেন। সেই স্বান্তবনায় যেন সে আরো আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠে। কোলের শিশুকে পরম মমতায় জড়িয়ে ধরে বলে, মাগো, বৌদির যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে এই বাবুকে আমি কারো কাছে দেব না। আমি ওকে আমার কাছে রাখব। আমি ওকে বড় করে তুলব। আপনারা কেউ আমাকে বাধা দেবেন না প্লিজ। ওকে আমি কোনদিন বুঝতে দেব না ওর মা নেই। আমিই ওর মা হয়ে যাব।
উপস্থিত সবাই বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যায়। আসমা বেগম আশ্চর্য কণ্ঠে বলেন, এ তুই কি বলছিস মা? তুই কি বুঝতে পারছিস কি বলছিস তুই? তুই যদি ওর মা হতে চাস তাহলে তো ওর বাবাকেও ওর প্রয়োজন, ভেবেছিস সেই কথা?
ইঙ্গিতময় এই কথায় একটুও দমে যায় না চন্দ্রমল্লিকা । বরং ফোঁপাতে ফোঁপাতেই বলে, আমি কিচ্ছু বুঝি না মা। আমি এই বাবুকে কাউকে ছুঁতে দেবো না। দরকার হলে কলেমা পড়ে ওর জন্য মুসলমান হয়ে যাব। তারপর মুসলমান হিসেবেই জীবন যাপন করব। আপনারা আপত্তি না করলে ওর বাবার সাথেই ঘর বাঁধব। তবুও ওকে আমি ছাড়ব না। আমিই ওর মা।
বলতে বলতে হু হু করে কেঁদে ফেলে চন্দ্রমল্লিকা।
এ রকম কঠিন সময়েও উপস্থিত সবাই প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে যায়। তারপর পরম প্রশান্তি নেমে আসে সবার মাঝে।
কেবিনের বারান্দায় হাত-পা ছড়িয়ে বসে থাকা রায়হানকে লজ্জা পেয়ে বসে হঠাৎ। আবার রেশমার জীবনাশংকার কথা মনে হতেই কেঁপে ওঠে সে। দূর আকাশের দিকে তাকায়। দুটো চিল পাখা মেলে বাতাসে ভেসে যাচ্ছে সমান্তরাল। আবার ঘুরপাক খাচ্ছে।
ভয়-লজ্জা-পিতৃত্ব সব মিলিয়ে এক অদ্ভূত মনোজাগতিক বিশৃংখলার মধ্যে সেই চিলের দৃশ্য ছাড়িয়ে তার দৃষ্টি চলে যায় দূর নীলিমায়। নিঃসীম শূন্যতায় কি যেন খুঁজে বেড়ায় সে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এশরার লতিফ ভালো লাগলো গল্পটি, হৃদয়ের কাছে ধর্ম কখনো কখনো তুচ্ছ হয়ে যায়।
তানি হক অনেক ভালো লাগলো সালেহ ভাই এবারের পর্ব টি ... অবশেষে রায়হান- রেশমার জীবনে কাংখিত সেই সন্তান এলো ... তবে রেশমা জীবন মরন সন্ধিক্ষণটাতে আবেগে চোখে পানি এসে গেলো ... কামনা করি সন্তান জেনো মায়ের বুকেই থাকে ... আর একজন সত্যি কারের বন্ধু রুপে দুখে সুখে যে পাশে থাকে সে তো মহান হৃদয়ের মানুষ । গল্পের শেষটা এখনো রহস্যই হয়ে রইলো ... আগামীতে আরও পার্ট আশাকরি পাব ... আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো । গল্পটি আরও আগেই পড়েছিলাম । আজ মতামত দিলাম । শুভেচ্ছা রইলো আবার ও
অদিতি ভট্টাচার্য্য চন্দ্রমল্লিকার গল্প এই নিয়ে ২য় বার পড়লাম, ভাল লাগল এবারো।
মিলন বনিক অসমাপ্ত গল্পটার যতটুকু পেয়েছি খুব ভালো লেগেছে...একজনের চলে যাওয়া নিয়ে আরেকজনের উত্থানের ইংগিত...শেষ পর্য ন্ত কি হলো বুঝতে পারলাম না..শেষ হয়েও যেন শেষ হলোনা...চমৎকার উপস্থাপনা....
হোসেন মোশাররফ val lagl golpota /// shuvaechha roil.
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন খুব ভাল গল্প, ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
হিমেল চৌধুরী গল্পের প্লট এবং বর্ণনা দুটোই সুন্দর। অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ হিমেল চৌধুরী।
জায়েদ রশীদ সাধারনের মধ্য থেকে অতিপ্রাকৃত মুহূর্তকে ছিনিয়ে এনেছেন। অনেক ভাল লাগল।
ধন্যবাদ জায়েদ মোঃ রশীদ।

২৫ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪