তখন দুপুরবেলা , " উরেন " স্টেশনে নেমে ভ্যান রিকশায় চেপে " ধানকুট্টি " গ্রামের রোশন পন্ডিতের নাম বলতেই বোঝা গেল , রোশন পন্ডিতকে এই অঞ্চলের সবাই চেনে ।

অনেক আগেই শুরু হয়েছিলো এই স্বপ্নের ব্যাপারটা।আজকাল প্রায়ই দেখছি। অসম্ভব যন্ত্রনা আর ভীতিকর। জানিনা কবে আর কিভাবে মুক্তি পাব এই

মাহিনের কবিতা লেখার অভ্যাস থাকলে এই মুহূর্তে নিশ্চয় সে একটা কবিতা লিখতো। মাথার উপর রুপালী চাঁদ,ঝিরিঝিরি হাওয়া সাথে ভেসে আসা নানা

সেদিন রাতেও বৃষ্টি ছিল!!
অন্ধকার ভরা রাত। মাঝে মধ্যে দু’একটা অদ্ভুত শব্দ ‘সঙ্গে আলোকিত ঝিলিক।

ম্যানেজার এর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে অহনা এবং জীবনে প্রথমবারের মত চা বাগানে ঢোকার দিনই ফ্যাকটরির ফটকে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থেকে

আসাদ ঘুমাচ্ছে।
গভীর ঘুম।

সপ্তাহ খানেক পরে রূপা নিজেই এলো আমার কাছে। চোখ দুটো ভীষণ রকম লাল। কিছুক্ষণ আগে বোধহয় কোথাও প্রচুর কেঁদেছে এ মেয়েটি। দেখলেই বুঝা যায়। অবশ্য কি কারণে মেয়েরা কাঁদে তা অনেক সময় মেয়েরাও তা ভালো করে জানে না।
- কি হচ্ছে এসব?

প্র‌তি র‌বিবার ছু‌টির দি‌নে সি‌নেমা দেখ‌তে যাওয়া তন্ময়ের অভ্যা‌সে প‌রিনত হ‌য়ে‌ছে। র‌বিবার সকা‌লে বের হ‌য়ে দুপুর পর্যন্ত সি‌নেমা দে‌খে অব‌ন্তির সা‌থে লান্স ক‌রে তারপর বাসায় ফে‌রে।

খোলা ছাদ। একান্তে পায়চারি করতে মন্দ লাগছিল না। ফুরফুরে বাতাস দিচ্ছে। স্যান্ডোগেঞ্জি পরিহিত কেদারের মন মেজাজ বেশ প্রসন্ন হয়ে উঠল। চারিদিকে বরফের চাঁইয়ের মতো জমাট নিটোল অন্ধকার।

এক টানা গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছে মনন। বাঙ্গালী আইরিশ,বয়স বিশ কি একুশ,পেশায় ক্রিকেটার , ডাবলিন কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে খেলে। জাতীয় দলে

আমি রীতিমতো কাঁপা হাতে টেলিফোনে নাম্বার ডায়াল করলাম। ওপ্রান্ত থেকে কেউ রিসিভারটা তুলতেই আমি নিজের পরিচয় জানালাম।

থানা থেকে যিনি টেলিফোনটি রিসিভ করলেন উনি বললেন-জ্বী, বলুন কী জানতে চান।
-আন্ধারমানিকের খুনের ব্যাপার জানতে চাইছিলাম।

এর পরের ঘটনাটা ঘটল ঠিক এক সপ্তাহ পর। পাঁচ দিনের অফিস-টুর থেকে ফিরে সবে ঘরে ঢুকতেই এলো ফোনটা, বলল কুণাল নামে কাউকে চিনি কি না? হ্যাঁ বলতেই, ওপার থেকে বলে উঠল কুণালের বাড়িতে একবার দেখা করতে। কারণ জানতে চাইলে বলল, কুণাল আজ তিন দিন থেকে মিসিং।

"বান আইলোরে!
উঠ সবাই। আর কতো ঘুমাবি? মরার ঘুমেইতো তোগোরে বানে ভাসাইয়া লইয়া যাইবো!" বলতে বলতে ধরফর করে উঠে বসে গিয়াস উদ্দিন। মেঝেতে তাকিয়ে দেখে রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছে আর বানের পানিতে সেই রক্ত মিশে পানসে লাল হয়ে যাচ্ছে।

একটা বদ্ধ ঘর। দেয়ালগুলো নোংরা। আবছা আলোতে ঘরটাকে কেমন যেন ভৌতিক লাগছে। কিছুই চোখে পড়ছে না। এই পর্যন্তই। চোখ মেলে তাকায় শাহেদ।

মিতু বিকেলে বাগানে ধীর পায়ে হাঁটছে আর এদিক ওদিক তাকিয়ে নানা রংয়ের ফুল ও নানা ধরণের গাছগাছালী দেখে পুলকিত চিত্তে ওদের প্রশংসা করছে।