সারাটা দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির পর সন্ধ্যার একটু আগেই বৃষ্টির ধারা হঠাৎ থেমে গেল।

কখনও নিজেই জানি না কতটুকু দুঃখ ধরা থাকে বুকে ! অজান্তে কখনও তা ফেটে পড়ে--অশ্রুময় হয়ে ওঠে দুটি গাল।

শিহাব এখন স্বরচিত ব্যথার পাহাড়ের চুড়ায দাঁড়িয়ে যবনিকার চুড়ান্ত প্রহরের অপেক্ষায়! জীবন যে উত্থান আর পতনের সমন্বিত রূপ শিহাবের জীবন ই তার উৎকৃষ্ট

আজ মোটর সাইকেল চালানো শিখতে যাবে সিফাত। আগেও দু’বার গিয়েছিলো। তেমন সফল হয়নি। শিখার তেমন তাগাদাও ছিলো না তখন। তবে আজ

কয়েক দিন হলো শরমীর সাথে রাজীবের কথা হয় না। রাজীব কল দিলেও শরমী জানায় সে খুব অসুস্থ তাই কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। প্রায় দু’বছর ধরে শরমী আর

খাদিজা বেগমের ঘুম ভেঙ্গে যায় কতগুলো মানুষের সম্মিলিত চিৎকারে। দুপুরে খাওয়ার পর প্রতিদিনের মত আজও ছোট খোকনকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।

চাওয়া না চাওয়া কিংবা যুক্তি তর্ক-অত কিছু মিশিয়ে হালকা জীবনটাকে জটিল করিনি ছাত্রী জীবনে। একটা রাতের ঘুম, তারপর ঘুম থেকে উঠে সকালেই

-কিরে, চুপ করে আছিস কেন? কিছু বল!
-ও হ্যাঁ কি যেন বললে?

মা
আমার লেখা এই চিঠি যখন তোমরা পাবে ততদিনে আমি আর এই দুনিয়া ছেড়ে অন্য ভুবনে।

আজকাল ঘুনে ধরা মন অকারণেই অস্থির থাকে। সুন্দর পৃথিবীর সব কিছুই অসুন্দর লাগে। ভাল লাগার অনুভুতি কখনো কিঞ্চিতের জন্য ফিরে আসে।

জানালার ধারে চুপ করে বসে বাইরের দিকে তাকিয়েই ছিলাম । বাইরে অঝোরে বৃষ্টি পড়ায় বেশি দূর নজরই চলে না । মাঝে মধ্যে বৃষ্টির ঝাপটা এসে আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল

মানিকের সবচেয়ে প্রিয় ও কাছের মানুষ ছিল শেফালী।
আর সে এই সুযোগটারই সদ্ব্যব্যবহার করত সব সময়। ৫ বছর আগেও যেটা করেছিল।

পৃথিবী শুধু ভালোবাসার কথা শুনতে চায়। প্রেম আর বিরহকে স্মৃতি করে রাখতে চায়। তারপরও পৃথিবী বার বার প্রশ্ন করে। জ্ঞানের জিজ্ঞাসায় হেঁটে যায় নিজেকে

স্মৃতিগুলো ঝাপ্সা হয়ে যায়। নীরব ক্লান্ত শ্রান্ত শরিরে রাজশাহি রেল স্টেশনের ২ নং প্লাটফর্মের দক্ষিন দিকের ফাকা জায়গায় বসে পরে হতাস হয়েই।

থেমে আছে ট্রেন।
সাইরেন বাজিয়ে একটি পুলিশ গাড়ি এসে থামে কানের উপর। আমার কান তখন আরশ