হঠাৎ জোড়ে একটা চিৎকার শুনলাম আর মুহুর্তেই দেখলাম ইরানী আপু গাছের একদম ওপরে ওই কাটাওয়ালা গাছটাকে এলোমেলো ভাবে কামড়াচ্ছে,

কাঠুরিয়া সদানন্দ মিশ্র।
সাঙ্গু নদীর পাড়ে পাহাড়ের কোল ঘেষে একটুকরো জমি। তাতে ছনের একচালা কুঁড়েঘর।

আমার বিয়ের দেড় বছর পরের কথা। ২০১৬’র জানুয়ারী প্রমোশন পেয়ে আমার পোষ্টিং হলো কারওনার ব্রাঞ্চে। তখনও আমাদের বাসা মিরপুর। বেতন কম বলে বড় বাসা নিতে পারিনি। বিয়ের পর থেকেই সাবলেট আছি। জেসমিন প্রতিদিন বাসা ছাড়ার জন্য ট্যা ট্যা করে।

পার্শ্ববর্তী বরশিলা গ্রাম থেকে দাওয়াৎ খেয়ে নির্জন মাঠের মধ্য দিয়ে রাত্রে একা বাড়ি ফিরছেন ছিয়াম মল্লিক। বরশিলা গ্রামের উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় এক

রাসেল বসে পড়লো এই কি হলো রাহুল এখানে আর ফাঁস কেন লাগালো কখন লাগালো বা কেন লাগালো এই সব ভাবার সময় ও যেন পাচ্ছেনা কি করবে ভাবতে পারছে না, রাহুলের পা ধরে উপরের দিকে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছে,

সেদিন রাতেও বৃষ্টি ছিল!!
অন্ধকার ভরা রাত। মাঝে মধ্যে দু’একটা অদ্ভুত শব্দ ‘সঙ্গে আলোকিত ঝিলিক।

প্রখর রৌদ্র , উতপ্ত রাস্তা , গরম বাতাস বইছে । চোখের পাতাটাও ভারী হয়ে আসছিলো । হয়তো মরিচীকার দিকে ধ্যান মগ্ন হয়ে তাকিয়ে থাকার ফল ।

আমাদের গ্রামের বাড়িতে একজন মাস্টার মশাই পড়াতে আসতেন, উনার নাম কান্তীপ্রসাদ শীল। উনার পড়া একদিন ও শিখতাম না বলে, প্রতিদিন কান ধরে উঠবস করতে হতো। প্রতিনিয়ত এই কান ধরা আর ভালো লাগেনা।

একটা সাধারণ সন্ধ্যারাত। শীতের সন্ধ্যা। চারপাশ ঘেষে কুয়াশা থাকার কথা, যথারীতি তাই আছে।গাম্ভীর্য ভর করে আছে সে কুয়াশার পিঠের উপর। সিএনজিটা স্বাভাবিক গতিতেই কুয়াশার কোমল ঢেউ কেটে কেটে সামনে এগোচ্ছে। কী যেন ভাবছিলাম মাথাটা নিচু করে, বহু দূরের অন্ধকারে তাকিয়ে। ভাবনাটা নিজের জন্যই ছিল।

কেন যেন কিছুদূর গিয়ে ট্রেনটা থেমে গেছে। চাঁদের আলোয় লাল পর্দা দেয়া জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি-একটা বাস উল্টে খাঁদে পড়ে আছে। বোঝায় যাচ্ছে দুর্ঘটনাটা বেশ মারাত্মকই ছিল! 'আল্লাহ জানে কত জনকে লাশ হতে হয়েছে!' একটা দীর্ঘশ্বাস ধীরে ধীরে বুক চিরে বের হয়ে গেলো!

বৃষ্টির দিনে যদি কোন কাজ না থাকে তাহলে আমাদের মেসের প্রায় প্রতিটি সদস্য খোশগল্পে মেতে ওঠেন। রাজীব ভাইয়া আমাদের মধ্যে সবার বড়।

হঠাৎ নিষাদ খেয়াল করল, ঐ পুকুর পাড়ের জঙ্গলের ভেতর থেকে দু’টো তির্যক আলোকরশ্মি তার চোখ বরাবর এসে পরছে। কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছে না নিষাদ। সে মুখ ফুটে কথাও বলতে পারছে না। হঠাৎ ভয় পেলে যেমন মানুষের কথা বন্ধ হয়ে যায়,

বাড়িটা যেন রূপকথার বই থেকে উঠে আসা কোনো দত্যিপুরি। এইরকম জায়গাতে এমন একটা বাড়ি দেখে যথেষ্ট বিস্ময় ফুটে উঠলো তন্ময়ের চোখে মুখে। আচমকা একটা সম্ভাবনা মাথায় আসতেই গাড়িটাকে সেখানে রেখেই সামনে এগিয়ে গেল তন্ময়।

মিতু বিকেলে বাগানে ধীর পায়ে হাঁটছে আর এদিক ওদিক তাকিয়ে নানা রংয়ের ফুল ও নানা ধরণের গাছগাছালী দেখে পুলকিত চিত্তে ওদের প্রশংসা করছে।

ফজলু মামা খুব সাহসী মানুষ। বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলো। ভুত প্রেতে বিশ্বাস নাই তার। কথায় কথায় বিজ্ঞানের উদাহরণ টেনে বুঝাতে চেষ্টা করেন -বুঝলি,