ভয়

ভৌতিক (নভেম্বর ২০১৪)

আমির ইশতিয়াক
আমি তখন ক্লাশ সেভেন এ পড়ি। তখন ছিল বর্ষাকাল। আমাদের গ্রামের পাশেই ছিল হাই স্কুল। সেই স্কুলে এক সাথে লেখাপড়া করতাম আমি ও শিহাব। আমরা এক সাথে সব সময় থাকতাম। শিহাবের বাড়ী আমাদের বাড়ী থেকে বেশী দূরে নয়। ওদের বাড়ি ছিল ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায়। আমাদের গ্রামে এসে তারা বাড়ী করেছে। বর্ষাকাল এলেই আমি ও শিহাব এক সাথে ঘুরাঘুরি করতাম। খেলাধূলা করতাম। মাছ ধরতাম। অনেক মজা করতাম। আমাদের গ্রামের পাশেই ছিল এক বিল। বিলের উত্তর পাশে আমাদের গ্রাম ও দক্ষিণ পাশে ঝিকাতলা গ্রাম। সেই বিলে আমি ও শিহাব মাঝে মাঝে রাতের বেলায় মাছ ধরতে বের হতাম। আরো অনেকেই তখন বর্ষাকালে মাছ ধরত। টেটা দিয়ে আমরা মাছ ধরতাম।
একদিন বিকাল বেলা আমি শিহাবদের বাড়ীতে গেলাম। তাকে বলে আসলাম আজ রাতে মাছ ধরতে যাব। তুই রেডি থাকিস।
শিহাব বলল, ঠিক আছে দোস্ত।
তখন রাত দশটা বাজে। শিহাব আসল আমাদের বাড়ীতে। আমি টেটা, টস লাইট ও ডুলা নিয়ে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। দু’জনে মাছ ধরার জন্য বিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। বিলের পাশে এসে আমি টস লাইট ও ডুলা হাতে নিলাম আর শিহাব টেটা নিয়ে মাছ ধরছে। অনেকক্ষণ হলো কোন মাছ পাচ্ছি না। প্রতিদিনই মাছ ধরতে এসেই শুরুতে আমরা মাছ পেয়ে যায় কিন্তু আজ দীর্ঘ দুঘন্টা যাবত কোন মাছ পাচ্ছি না। আমার কাছে ব্যাপারটা কেমন জানি মনে হচ্ছে। আরো অনেকেই এখানে মাছ ধরছে। তারা মাছ পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু আমরা পাচ্ছি না।
তখন আমি বললাম, শিহাব চল্। আজ মনে হয় কোন মাছ পাব না। এদিকে রাত বারটা বেজে গেছে। আর থাকা যাবে না।
শিহাব বলল, আরেকটু দেখি দোস্ত। কোনদিনতো খালি হাতে বাড়ি ফিরিনি। আজ খালি হাতে যাব।
ঠিক আছে আরো আধঘন্টা দেখি।
তারপর আমরা আবার সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। হাঁটতে হাঁটতে আমরা একেবারে বিলের শেষ প্রান্তে চলে আসলাম। শেষ মূহূর্তে আমরা একটি বোয়াল মাছ পেয়ে গেলাম। প্রায় দেড় কেজি হবে। তারপর আমি শিহাবকে বললাম, চল দোস্ত মাছতো একটা হলোই। এবার চলি।
শিহাবও বলল, ঠিক আছে দোস্ত চল।
এই বলেই আমরা হাঁটা শুরু করলাম। হাটঁতে হাঁটতে আমারা গ্রামের ত্রিরাস্তার মাথায় আসলাম। এখান থেকে উত্তর দিকে শিহাবদের বাড়ী যার দূরত্ব ৫ মিনিটের রাস্তা হবে। শিহাবদের বাড়ীতে যাওয়ার পথে একটু দূরেই একটি মন্দির অবস্থিত। মন্দিরের পাশেই একটি বিরাট বড় বটগাছ আছে। এর পাশেই ছিল হিন্দুদের চিতা। হিন্দুধর্মের অনুসারীদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে এখানে পোড়ানো হয়। সন্ধ্যার পর এ রাস্তায় গ্রামের লোকজন চলাফেরা কম করে। আর দক্ষিণ দিকে আমাদের বাড়ী। এখান থেকে আমাদের বাড়ীও ৫ মিনিটের রাস্তা হবে। আর পূর্ব দিকে একটি রাস্তা বাজারের দিকে চলে গেছে। আমরা দু’বন্ধু মাছ ধরে ত্রিরাস্তায় এসে হাজির হলাম। তখন রাত ১টা বাজে। এবার দুজন দুই রাস্তা দিয়ে চলে আসব। এমন সময় শিহাব বলল, সুজন তুই মাছটা নিয়ে যা।
আমি বললাম, না তুই অনেক কষ্ট করেছিস? তুই নিয়ে যা।
না আমি নেব না। তুই নিয়ে যা। আমি অন্যদিন নেব।
শিহাব আমাকে মাছটি দেয়ার জন্য জোরাজোরি করছে। আমি তখন জোর করেই তাকে মাছটি দিয়ে বললাম। ঠিক আছে তুই নে। আমি সকাল বেলায় তোদের বাড়ীতে গিয়ে মাছের তরকারী খেয়ে আসব। এই বলে দু’জন বিদায় নিয়ে দুদিকে রওয়ানা হলাম।
শিহাব কিছুক্ষণ যাওয়ার পর সে শুনতে পেল পিছন থেকে আমার কণ্ঠে কে যেন ওকে ডাকছে, এই শিহাব দাঁড়া। আমাকে মাছটা দিয়ে যা।
তখন শিহাব পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখল কেউ নেই। কাউকে না দেখে শিহাব ভয় পেয়ে গেল। ভাবল, সুজন তো এখানে নেই। সে চলে গেছে কিন্তু তার কণ্ঠে ডাকছে। শিহাব আবার সামনের দিকে হাঁটতে লাগল।
আবার পিছন থেকে ডাকছে, এই শোন তুই মাথাটা নিয়ে যা আমাকে মাছটা দিয়ে যা।
শিহাব আবার পিছনে তাকাল দেখল কেউ নেই। তখন ভয়ে তার সারা শরীরের লোম খাড়া হয়ে গেল। এমতাবস্থায় শিহাব বলল, না তুই পুরো মাছটাই নিয়ে যা। এই বলে সামনের দিকে পা বাড়াল কিন্তু তখনও কাউকে দেখতে পেল না। তখন তার ভয় আরো বেড়ে গেল। এবার সে আর পিছনে তাকাল না। বাড়ীর উদ্দেশ্যে দৌঁড় দিল। আর পিছন থেকে বলছে শিহাব দাঁড়া। শিহাব দাঁ...ড়া...
অনেক দূর পর্যন্ত শিহাব ঐ ডাকটি শুনছে। আস্তে আস্তে সেই শব্দটা মিলিয়ে গেল। আর শিহাব বাড়ীতে চলে আসল। ভয়ে তার সারা শরীর ঘেমে একাকার হয়ে গেল। ভাবছে সে, এ কি দেখলাম, কার কথা শুনলাম। এম হল কেন? এখন যদি কাউকে ডেকে বলি কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না। তারচে বরং ঘুমিয়ে পড়ি।
মাছটা ঘরের এক কোনায় রেখে শিহাব তার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল। সারারাত আজে বাজে চিন্তা করল। বিছানার এপাশ ও পাশ করল। কিন্তু ঘুম আসল না।
সকাল বেলা নয়টা বাজে এখনও শিহাব ঘুম থেকে উঠছে না। এ বিষয়টা লক্ষ্য করল শিহাবের মা। স্কুলের সময় হয়ে গেছে এখনও ঘুম থেকে উঠছে না। শিহাবের মা তার রুমে গিয়ে দেখে সে শুয়ে আছে এবং কাৎরাচ্ছে। নাকে মুখে ফেনা উঠে আছে। কোন কথা বলতে পারছে না। এ দৃশ্য দেখে তো মা ভয় পেয়ে গেল। চিৎকার চেচামেচি করতে লাগল। বাড়ীর লোকজন ছুটে চলে আসল।
এদিকে আমি স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে শিহাবদের বাড়ীতে গেলাম তাকে ডাক দেয়ার জন্য। গিয়ে দেখি তার এই অবস্থা। তখন সে আমাকে দেখে হাউ মাউ করে কিছু বলার চেষ্টা করল। অস্পষ্ট ভাষায় সে তখন রাতে ঘটনাটা আমাকে খুলে বলল।
আমি তখন তার আব্বাকে বললাম, চাচা শিহাব ভয় পেয়েছে। হুজুর ডেকে পড়াপানি খাওয়ান। আর আজ তার স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। আমি চলে গেলাম। এই বলে আমি তখন তাদের বাড়ী থেকে চলে আসলাম।
আমি আবার বিকাল বেলা শিহাবদের বাড়ীতে গেলাম। তখন গিয়ে দেখি শিহাব আগের মতো বোবা হয়ে গেছে। কিছুই বলতে পারছে না।
শিহাবের বাবা আমাকে বলল, তুমি যতক্ষণ ছিলে ততক্ষণ ও স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছে। তুমি যাওয়ার পরই সে আগের মতো অস্বাভাবিক হয়ে গেছে।
এরপর থেকেই আমি যতবারই শিহাবদের বাড়ীতে গেছি সে আমাকে দেখে বড় বড় চোখ করে তাকাত। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কবিরাজ দেখানো হল। কিন্তু কোন উন্নতি হয় নি।
প্রায় রাতেই চিৎকার দিয়ে সজাগ হয়ে শিহাব বলতে থাকে। ঐ যে কে যেন আমাকে ডাকছে। শিহাবের চিৎকার শুনে তার বাবা মা দৌঁড়ে আসত কিন্তু কাউকে খুঁজে পেত না।
মাঝে মাঝে গভীর রাতে ঐ মন্দিরের কাছে দৌঁড়ে যেত শিহাব। তখন বাড়ির সবাই মিলে তাকে ধরে আনত।
এভাবে চলল অনেকদিন।
একদিন আমি গেলাম শিহাবদের বাড়িতে তখন শিহাব আমাকে অস্পষ্ট ভাষায় বলল, দেখ সুজন আমাকে ঐ ভিটা থেকে কে যেন ডাকছে। ওরা আমাকে নিয়ে যাবে। তুই সাবধানে থাকিস!
শিহাবের মুখে এ কথা শুনে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আর ভাবলাম, মাছটা যদি আমি নিতাম তাহলে হয়তো এ ঘটনাটা আমার সাথে হতো। তাই সেদিনের পর থেকে শিহাবদের বাড়িতে বেশি যাইনি এবং রাতের বেলা বাড়ি থেকে বের হয়নি।
শিহাবের বাবা এবার ভাবল এভাবে ছেলেকে কতদিন বাঁচিয়ে রাখব। ভাল কবিরাজ ডেকে আনতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। একদিন তিনি এক কবিরাজকে ঢেকে আনলেন।
কবিরাজ তাকে দেখে বলল, আপনার ছেলেকে জিনে ধরেছে। তার উপর দুষ্টু জিন ভর করেছে। তাকে সরাতে হবে।
শিহাবের বাবা বলল, আমরা এগুলো বুঝিনা। সেভাবে পাড়–ন আপনি আমার ছেলেকে বাঁচান।
আচ্ছা ঠিক আছে চিন্তা করবেন না।
কবিরাজ কিছু মন্ত্র পড়ে শিহাবের উপর ভর করে জিন হাজির করল।
কবিরাজ এবার জিনকে বলল, কে তুমি? এই বাচ্চা ছেলেটার উপর ভর করে আছ?
জিন অদৃশ্য থেকে বলছে, আমি করিমন জিন।
কি চাও তুমি?
আমরা জমজ দুই বোন। নসিমন ও করিমন। সবসময় ঐ শ্বশানের কাছে আমরা খেলাধূলা করি। ঐদিন রাতে সে আমাদের উপর লাথি মারে। তাই ওকে আমরা ধরেছি।
তোমরাতো অদৃশ্য হয়ে থাক। তোমাদেরকেতো কেউ দেখে না। তাই ও না দেখে তোমাদেরকে লাথি মেরেছে। তোমরা চলে যাও।
না আমরা যাব না। ওকে ছাড়ব না। ওরে ভাল লাগছে। ওরে নিয়েই যাব।
করিবাজ অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও কোনক্রমেই জিনদেরকে তার কাছ থেকে সরাতে পারেনি। তাই ব্যর্থ হয়ে কবিরাজ চলে গেল।
দিন যত যায় শিহাবের অবস্থা ততই অবনতি হয়। পরে আবার ঐ কবিরাজকে ডেকে আনল। কবিরাজ আবার জিন হাজির করল।
জিন বলল, তোর রুগীকে মেরে ফেলব।
কবিরাজ বলল, না মারবি না। তোর যা লাগে তাই দিব। কি চাস তুই? তবুও তুই ওকে ছেড়ে যা।
ঠিক আছে একটা খাসি ও এক মন চাউল দিবি।
ঠিক আছে তাই দিব। কোথায় দিব?
ঐ শ্বশানঘাটে।
ঠিক আছে।
পরের দিন শিহাবের বাবা তার নামে একটা খাসি ও এক মন চাউল দিল। এর পর থেকে সাতদিন শিহাব খুব ভাল ছিল। সবার সাথে খেলাধূলা করছে। কথাবার্তা বলছে। কোন সমস্যাবোধ করেনি।
সাতদিন পর হঠাৎ সন্ধ্যার সময় শিহাবের আব্বা আসল আমাদের বাড়িতে। আমাকে ওনি বললেন, সুজন শিহাবতো আবার আগের মতো হয়ে গেছে। শুধু তোমাকে খুঁজে।
আমি তখন তাদের বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি ঐ করিবাজ শিহাবকে নিয়ে উঠানে বসে আছে। বাড়ির সবাই তাকে ঘিরে বসে আছে।
আমাকে দেখে তখন শিহাব বলল, সুজন আমিতো যাইতেছি গা তুই ভালমতো থাকিস।
আমি বললাম, কি বলিস এগুলো। তুই ঘুমা। আমি চলি। আবার কাল আসব।
না যাবি না। আমাকে আর পাবিনা। আমি সত্যিই চলে যাব।
কিন্তু তখন আমি শিহাবের কোন কথাই শুনিনি। আমি বাড়িতে চলে আসলাম। আসার দুইঘন্টা পরই শুনতে পেলাম শিহাব মারা গেছে।
তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তৎক্ষণাত ছুটে চলে যাই তাদের বাড়িতে। তার মৃত্যুতে আমি খুবই ব্যথা পাই। তারপর তার জানাযায় অংশগ্রহণ করি। তাকে মাটি দেওয়া হয়। রাতে আর আমার ঘুম আসে না। শুধু তার কথা মনে পড়ে। এমন একটি অদ্ভুদ ঘটনার মধ্যে সে মারা গেল। তাও আবার আমার সাথেই ঘটনাটি ঘটে।
শিহাবের মৃত্যুর এক মাস পর একদিন আমার এক কাকা বলল, চল ঘুরে আসি। ঘুরতে ঘুরতে আমরা শিহাবের কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এর পাশেই ছিল বাঁশ ঝাড়। তখন ছিল রাত প্রায় আটটা। হঠাৎ করে ঐ বাঁশ ঝাড় থেকে একটি আওয়াজ আসল। সুজন কৈ যাস?
আমি হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম। একটু খেয়াল করে দেখলাম এ যেন শিহাবের কণ্ঠ! কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আবার হাঁটতে লাগলাম। আবার আমাকে ঐ বাঁশ ঝাড় থেকে বলছে, সুজন কৈ যাস? এ দিকে আয়।
আমি ও কাকা আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম। কিন্তু কাউকে না পাওয়ায় আমি আরো ভয় পেয়ে গেলাম। তারপর পিছনে না থাকিয়ে তাড়াতাড়ি আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম।
শীতের রাতে একদিন বাজার থেকে বাড়ি ফিরছি। বাড়ীতে আসার পূর্বে একটি খালি পতিত জমি আছে। সেখানে আসার সাথে সাথে আমি সামনের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম শিহাবের মতো অবিকল এক ব্যক্তি হেঁটে আসছে। পরনে সাদা ধূতি। আমি তাকে দেখে চমকে উঠলাম। এ কি করে সম্ভব! শিহাবতো মারা গেছে। সে এখানে আসল কি করে। আমি আরেকটু সামনে গিয়ে তাকে ষ্পষ্ট দেখে শিহাব বলে ডাক দিলাম। ডাক দেয়ার সাথে সাথে সে ওধাও হয়ে গেল। আমি ভয় পেয়ে যাই। ভয়ে দ্রুত সামনের দিকে হাঁটতে থাকি। এবার পিছন দিক থেকে ডাকছে, সুজন কৈ যাস! চলে আয় আমার কাছে। আমি ঘাড় ফিরে পিছনে তাকালাম কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না। ভয়ে আমার শরীর ঘেমে যাচ্ছে। প্রচন্ড শীতের মধ্যে আমি ঘেমে গেলাম। আবার সামনের দিকে তাকিয়ে দ্রুত হাটঁতে লাগলাম। আমি দ্রুত হাঁটছি কিন্তু রাস্তা শেষ হচ্ছে না। আবার পিছন থেকে শিহাব আমাকে ডাকছে। এবার আর আমি পেছন ফিরে তাকালাম না। একবার দুবার তিনবার ডাকার পরও আমি পিছনে তাকালাম না। আমি চোখ বন্ধ দৌঁড়াচ্ছি। তখন শিহাব আমার সামনে চলে আসল। হঠাৎ চোখ খুলে দেখি শিহাব সাদা ধূতি পড়ে আমার সামনে দুহাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে রইল। এ দৃশ্য দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু শোনা যায় যে রাতে মাছ নিয়ে গেলে ভূত তার পিছু নেয়। তাই হয়তো শিহাবের পিছু নিয়েছিল ভূত। তার মৃত্যুটা খুব দুঃখজনক। তবে গল্পটা খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
এমনটা হতে পারে।
ভালো লাগেনি ২৩ জানুয়ারী, ২০১৫
ruma hamid আমার ওস্তাদ ঈমাম হুজুরের মুখে শুনেছিলাম ।তিনি রাতে যখন মাছ ধরে মাছ পেতেন তখন শুন্যে দাঁড়িয়ে নাকি সুরে কেউ মাছ খুঁজত । হুজুরের সাথে ব্যাপারটি অনেকবার ঘটেছে তাই তিনি ভয় না পেয়ে সব সময় সাথে একটা লাঠি রাখতেন । আর যখনি মাছ খুঁজত হুজুর লাঠি মারার ভয় দেখাতেন ।সেই পেত্নী বা ভূত যাই বলি হুজুরের কাছে হার মেনে চলে যেত একসময় । আসলে ভয় মানুষকে শেষ করে দেয় ।আর সাহস অসম্ভবকে সম্ভব করে জানার পরও প্রতিটি মানুষের উচিৎ ভৌতুক বা যে কোন ভয়কে এড়িয়ে চলা । ভৌতিক সংখ্যাই সবকটি গল্প পড়লেই অভিজ্ঞতা হবে ভয় পাবার পরেই যত অঘটন ঘটেছে । তাই ভয় নয় , অদ্ভূত সে রাতচরি কিনবা সাদা ধূতি পড়া শিহাবের সাথে কথা বললে কি হয় ? বলেই দেখুননা । মনে রাখতে হবে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব । ভালো থাকবেন ।
ধন্যবাদ রুমা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মাহমুদ হাসান পারভেজ ভয়-জিন ভূতের অাছর- কবিরাজ- মানসিক ভারসাম্যহীনতা এবং একটি মৃত্যু ----গল্পটি পড়তে ভেতরের পাঠকটি বারবার চাচ্ছিল যে..শিহাবকে অন্তত একবার ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাওয়া হোক- কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত হলোনা। --লেখক সুন্দরভাবে গল্পছলে অামাদের সমাজের কুসংস্কারটিকেও তুলে এনেছেন চেতনে বা অবচেতনে। শুভকামনা সবসময়। ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই গল্পটি পড়ার জন্য।
গোবিন্দ বীন বেশ ভাল চমৎকার।। "আমার চলতি সংখ্যায় কবিতা গুলো পড়ার আমন্ত্রণ করে গেলাম। আশা করি আমার পাতায় আসবেন
ধন্যবাদ ভাই। চেষ্টা করব আপনার কবিতা পড়তে।
Arif Billah অনেক সুন্দর হয়েছে। শ্রদ্ধা জানবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনন্তের আগন্তুক সুন্দর লিখেছেন...
ধন্যবাদ আগন্তুক ভাই।
নাজনীন পলি আমার গল্পের নামও ভয় আপনার গল্পের নাম ও ভয় , ঘটনাটা কি বলেন তো ?
ঘটনাতো একটা আছেই। সেটা এবারের বিষয় কিন্তু ভৌতিক। আর ভয় না পেলে কি ভৌতিক হয়। তাইতো নাম রেখেছি ভয়। আপনিও নিশ্চয় ভয় পেয়েছেন তাইতো কাকতালীয় মিল।
আফরান মোল্লা ভালো লিখেছেন।শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আফরান মোল্লা ভাই।
শামীম খান ভাল লিখেছেন । শুভকামনা রইল ।
ধন্যবাদ শামীম খান। শুভ কামনা রইল।

১৬ আগষ্ট - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী