'অনেক প্রহর নিঃসঙ্গ
সাঁওতালি গানের সুরে

ভোর রাত থেকে একটানা বৃষ্টি। তুমুল মুষলধারে। আকাশ ফুটা হয়ে গেছে মনে হয়। ঝম ঝম ঝম ঝম। সেই সংগে কান ফাটানো শব্দে বজ্রপাত। চৈত্রের মাঝামাঝি।

ছোটন নবম শ্রেণীতে পড়ে, ন্যাশনাল আইডিইয়াল স্কুলে। স্কুলের ছুটি চলছে। ঘরমের ছুটি শুরু হয়েছে। স্কুলের ছুটির মধ্যে ঘরমের ছুটিই সবচেয়ে বড় হয়।

স্কুল জীবনে থাকাকালীন অবস্থায় দেখতাম ছাত্রদের মাঝে অন্যতম আলোচিত বিষয় আমাদের স্কুলের ছাত্রাবাস।যদিও নামে ছাত্রাবাস,কিন্তু প্রকৃতপক্ষে

সেই কবে সূর্য অস্ত গেছে - দিগন্তের আকাশে মেঘে মেঘে লাল আবিরে অপূর্ব এক মায়া যেন ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে ।

“ও মাগো” চিৎকার দিয়ে অটো ফেলেই ক্ষেতের মাঝ দিয়ে দিলো একটা ভো-দৌড়। নাঈম হকচকিয়ে ডেকে উঠলো- “এই এই, আমাকে ফেলে কোথায় যাচ্ছো?” কিন্তু কে শোনে কার কথা। ছেলেটি যেন পালাতে পারলেই বাঁচে। এদিকে তার বুকের মাঝে হৃদপিন্ডটাকে কে যেন হাতুড়ি পেটানো শুরু করছে। কোন দিকে সস্তি নিয়ে তাকানোর সাহসও পাচ্ছে না সে।

জামিল খুব ভালো স্টুডেন্ট । বিশেষ করে গণিত বিষয়টা তার খুব পছন্দের । সবসময় মনে মনে গণিতের লজিক চিন্তা করতে থাকে । কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ

জ্যান্ত লাশ..... মানুষের দেওয়া নাম। আসলে নাম নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা নেই। সে মাত্র কয়েকজন কে তার প্রকৃত নাম বলেছে। বছির উদ্দিন.....

ডাক্তার এবার আর্তচিৎকার দিয়ে উঠলেন, “কী--মানে কে আপনি?”
হলুদ দাঁতের পাটি বের করে রোগী বলল, “ছার, আমি ছালেকুদ্দিন।”
“আপনার বুকের ভেতরে ডান পাশে ওটা কী?”

"শুভ্রা, শুভ্রা" ডাক শুনেই আৎকে উঠলেন "তোমায় ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট চলনা আমার সাথে রথেকরে তুমি আর আমি আর কিছু দিন পরে শান্ত!! চলনা চলনা!! শুভদ্রা দেবী কোন প্রতি উত্তর শুধু তার চোখে চোখ রেখে মনে হল নিরব সম্মতি দিল হাত ধরে তার স্বামীর চির অসীমের পথে যাত্রা মনে হল

এই প্রথম আমি এমন একটা অনুষ্ঠানে এলাম। এলাম বললে ভুল বলা হবে,আমাকে এক রকম জোর করেই নিয়ে এসেছে আমার অফিস কলিগ জারা। বয়সে মেয়েটা আমার মেয়ের থেকে

হঠাৎ নিষাদ খেয়াল করল, ঐ পুকুর পাড়ের জঙ্গলের ভেতর থেকে দু’টো তির্যক আলোকরশ্মি তার চোখ বরাবর এসে পরছে। কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছে না নিষাদ। সে মুখ ফুটে কথাও বলতে পারছে না। হঠাৎ ভয় পেলে যেমন মানুষের কথা বন্ধ হয়ে যায়,

প্রখর রৌদ্র , উতপ্ত রাস্তা , গরম বাতাস বইছে । চোখের পাতাটাও ভারী হয়ে আসছিলো । হয়তো মরিচীকার দিকে ধ্যান মগ্ন হয়ে তাকিয়ে থাকার ফল ।

একটা বদ্ধ ঘর। দেয়ালগুলো নোংরা। আবছা আলোতে ঘরটাকে কেমন যেন ভৌতিক লাগছে। কিছুই চোখে পড়ছে না। এই পর্যন্তই। চোখ মেলে তাকায় শাহেদ।

নিরাশা আবার বিয়ে করেছে। নিরাশা খুব ফর্সা মিড়মিড়ে সিরসিরে এক ছেলে। তার কিশোর ছেলেকে রেখে হরিয়ালী বৌ নাকি কার সঙ্গে পালিয়ে গেছে।