এমন কি আকাশে চাঁদও নেই। আধা ঘণ্টা ধরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি, একটা চিকন হওয়া এসে বার বার আমার গায়ে ধাক্কা দিচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে আমার চিৎকারে মনে হয় পুর ঢাকা জেগে গিয়েছিল, শায়েলা জেগে জিজ্ঞাস করল কি? আবার সেই স্বপ্ন,

আইজ আসুক তোর বাপ। আইজ তর একদিন কী আমার একদিন। সন্ধ্যাপূজার থালাবাটিগুলো ধুতে ধুতে রাগে ক্ষোভে গজ গজ করছিল টুকুর মা। টুকুর দেখা নাই। টুকু কোথায় কে জানে।

বাস থেকে নেমে খানিকটা থেমে থেমে পথ চললাম। চারদিক শোঁ শোঁ বাতাস। ঝিম.... ঝিম... ঝো.. ঝো.. শব্দ আর ভয়ংকর শেয়ালের ডাক।

"আরে আমরাও দেশে এলাম আর তুইও ফ্লাই করছিস! এইটা কোন কথা হল?"

এই প্রথম আমি এমন একটা অনুষ্ঠানে এলাম। এলাম বললে ভুল বলা হবে,আমাকে এক রকম জোর করেই নিয়ে এসেছে আমার অফিস কলিগ জারা। বয়সে মেয়েটা আমার মেয়ের থেকে

রাত তখন দুইটা  । বাইরে জোনাকি পোকা উড়ছে । শীতে আমার শরীর হিম হয়ে গেছে । আর মাত্র কয়েক মিনিট পরেই আমি মুখোমুখি হতে যাচ্ছি তার । কথাটা মনে হতেই শরীরটা কেমন জানি ঝাকি দিয়ে উঠল । চারিদিক নিরব নিঃস্তব্দ । পৃথিবীটা যেন ঘুমিয়ে আছে ।

রাত বারটা।
চারদিকে নীরব নিস্তদ্ধতা। কোথাও কেউ নেই। এ মুহূর্তে গ্রামের কেউ এখন জেগে নেই।

গ্রামটি শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নাম কাঞ্চনপুর। গ্রামের ছোট্ট কাঁচা রাস্তাটি এঁকেবেঁকে তিন গ্রামের মাঝ দিয়ে বড়লেখা-সিলেট মহাসড়কের সাথে মিলিত হয়েছে।

"আরে আমরাও দেশে এলাম আর তুইও ফ্লাই করছিস! এইটা কোন কথা হল?"

বৃষ্টির দিনে যদি কোন কাজ না থাকে তাহলে আমাদের মেসের প্রায় প্রতিটি সদস্য খোশগল্পে মেতে ওঠেন। রাজীব ভাইয়া আমাদের মধ্যে সবার বড়।

ম্যানেজার এর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে অহনা এবং জীবনে প্রথমবারের মত চা বাগানে ঢোকার দিনই ফ্যাকটরির ফটকে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থেকে

খোলা ছাদ। একান্তে পায়চারি করতে মন্দ লাগছিল না। ফুরফুরে বাতাস দিচ্ছে। স্যান্ডোগেঞ্জি পরিহিত কেদারের মন মেজাজ বেশ প্রসন্ন হয়ে উঠল। চারিদিকে বরফের চাঁইয়ের মতো জমাট নিটোল অন্ধকার।

রাসেল বসে পড়লো এই কি হলো রাহুল এখানে আর ফাঁস কেন লাগালো কখন লাগালো বা কেন লাগালো এই সব ভাবার সময় ও যেন পাচ্ছেনা কি করবে ভাবতে পারছে না, রাহুলের পা ধরে উপরের দিকে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছে,

পার্কের বেঞ্চিতে বসে আড় চোখে নিজের বক্রাকার ছায়াটির দিকে তাকিয়ে আছেন বদর সাহেব। সূর্য এখন মধ্য গণনে বুকের সব উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীর বুকে।

জ্যান্ত লাশ..... মানুষের দেওয়া নাম। আসলে নাম নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা নেই। সে মাত্র কয়েকজন কে তার প্রকৃত নাম বলেছে। বছির উদ্দিন.....