ভয় কাটিয়ে

ভয় (এপ্রিল ২০১৫)

দীপঙ্কর বেরা
  • ১৭
  • ১৯
নবীতের খুব ভয় স্কুলে রেজাল্টের দিন যদি গিয়ে এবার সে তার নিজের পজিশন ধরে রাখতে পারে নি তাহলে মনে খুব কষ্ট পাবে । কেউ তাকে কিছু বলবে না কারণ সবাই জানে নবীত বেশ ভালই । খারাপ ভাবার প্রশ্নই নেই । তবুও নবীত একটু দেরিতে পেছনে বেঞ্চিতে বসত । মুখ চোরা ছিল বলে খেপাত কিন্তু কিছুই মনে করত না । ফেল করা দীপন বলত – কি রে , আজ তুই যদি পেছনে বসিস তাহলে আমরা কোথায় বসব ?
নবীত হাসি হাসি মুখে উত্তর দিত আর মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করত । এই ভয়ের জন্য বইয়ের সব পড়ে ফেলত । সময় দিত । সাজেশন করে পড়া শিখতেই পারল না । ভয় থাকত যদি দিয়ে দেয় আন্দাজে লেখার চেয়ে পড়েই লেখা ভাল । তাছাড়া নবীনও শিওর জানত এবার এই প্রশ্ন দেবেই না । তবুও ভাল করে পড়ে নিত । পরীক্ষায় হয়তো থাকল না কিন্তু ভাল করে জেনে নিতে ক্ষতি কি ? পরীক্ষার শুরুতে যে ভয়টা পায় কিছুটা লিখতে লিখতে সে ভয় কেটে যেত । অন্য অনেকের মত কেন যে বিন্দাস থাকতে পারে না কে জানে ? স্কুলের অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে আবৃত্তি বক্তৃতা দিতেও খুব ভয় পেত ।
বাড়ি ফিরে স্কুলের সব কথা তাই মা বাবাকে বলে দিত । একবার বলে নি কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কিছুদিন বাদে ঠিক জেনে গিয়েছিল মা । তাতে খুব কষ্ট পেয়েছিল । সেই কষ্টের চিত্র সংসারে দৈনন্দিন । স্কুল ছেড়ে সেই নবীত যখন কষ্ট গায় মাখতে শুরু করল তখন কত কিছু সহ্য করতে শিখে গেল । আর শিখতে চেষ্টা করল ভয়কে জয় করা ।
অন্ধকারে পথ হাঁটতে ভয় করেই । সাপখোপ পোকামাকড় রাস্তার উঁচুনিচু আর ভূতের ভয় । বেকার জীবনে অলিগলিতে এ সব টপকাতে গিয়ে দেখেছে এগুলো কিছুই সব না , এক পা এক পা করে এগিয়ে গেলে ভয় আর থাকেই না ।
রাতের আঁধারে প্রায়ই রে রে হৈ হৈ চিৎকার কান্না উৎকট উল্লাসে নবীতের আরো বেশি ভয়ে করে । মানুষের এই ভয় থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েও পারে না নবীত ।
একটা কাজ জুটিয়েছে । সেই কাজেও সহজ পথে জীবনের জন্য কাজ করার ইচ্ছাতে কত রকমের ভয় নবীতকে আরো গভীর সংকটে গুটিয়ে রেখেছে তা বলার নয় ।
স্কুলের সেই সব দিনে ভয় কাটিয়ে উত্তীর্ণ হতে পেরেছে । ভাল ফলও করেছে । কিছু এখানে প্রতি পদে কত রকম ভয় । কিছুতেই প্রাণখোলা বাঁচা বাঁচতেই পারছে না । এ ভয় ক্রমাগত
বাড়ছে ।
তবুও মানুষ হতে ভয় কাটিয়ে ওই দেখুন আপনার সামনে নবীত সোজা হেঁটে চলেছে । এবার ও মঞ্চে উঠে পুরস্কার নিয়ে সমস্ত ভয় কাটিয়ে সোচ্চার গলায় জীবনকথা বলবেই বলবে
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ONIRUDDHO BULBUL খুব সুন্দর হয়েছে কবি। শুভেচ্ছা জানবেন।
তাপস এস তপু থিমটাই সুন্দর "ভয় কে জয়" ভালো লিখেছেন দাদা।
সেলিনা ইসলাম জীবনে সফলতা পেতে গেলে মনে ভয় থাকলে চলবে না,ভয়কে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে তবেই সাফল্য ধরা দিবে- লেখায় ম্যাসেজটি বেশ শিক্ষণীয়! শুভকামনা রইল।
সোহানুজ্জামান মেহরান অনেক অনেক শুভ কামনা,দারুন গল্প।ভোট রেখে গেলাম।
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ ভয়কে জয় করার গল্প। দারুণ হয়েছে। শুভকামনা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
Fahmida Bari Bipu ভয়কে জয় করার আহবান শুনতে পেলাম যেন। শুভকামনা।
অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন
ফরহাদ সিকদার সুজন ভালো লাগলো ভাই চালিয়ে যান........ ভোট রইল। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো ভাই।
নিশ্চয় । ভাল থাকবেন
হাসনা হেনা ভয়কে জয় করেই সম্মুখে এগুতে হয়। ভাল। ভাল থাকবেন।
আপনিও ভাল থাকবেন
নাসরিন চৌধুরী ভয় কাটিয়ে উঠতে পারলেই মানুষের জন্য অনেক কিছু হজম করা সহজ হয়ে যায়।আমি নিজে ও একটা ভীতু---।ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন
ছন্দদীপ বেরা বাহ বাহ ভাল লাগল

১৫ জুন - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৬৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী