অসহায় হরিণের মতো বাঘের মুখে স্থির,
দিন-রাত যেমন ছিল তেমনি আছে অধীর
সুদিনের হাতছানি মাঝে মাঝে চোখে ভাসে
পরক্ষণেই বিদ্যুৎ ঝলকানি হৃদয় আকাশে
ভাবি, সব বুঝি স্মৃতিভ্রম; জারি নষ্ট কাব্য
মানুষের পৃথিবীতে আজ মানুষ অসহায়।
অসহায় হরিণের মতো বাঘের মুখে স্থির,
দিন-রাত যেমন ছিল তেমনি আছে অধীর
সুদিনের হাতছানি মাঝে মাঝে চোখে ভাসে
পরক্ষণেই বিদ্যুৎ ঝলকানি হৃদয় আকাশে
ভাবি, সব বুঝি স্মৃতিভ্রম; জারি নষ্ট কাব্য
মানুষের পৃথিবীতে আজ মানুষ অসহায়।
ধনী-গরিব রাজা-প্রজা
কেউ কারো নয় ভরসা
সবাই যেন বাকরুদ্ধ
সকলের একটাই প্রার্থনা
যাবে?
কাশফুল দেখাব।
কয়েকটি ঘুড়ি কিনে দেব।
তুমি উড়াবে।
আর আমি! ও মুখপানে চেয়ে থাকবো।
যে জন ভবে অসহায় ভাবে -
ভয়ে ভয়ে চলে আজীবন,
সে জন তবে অভাগায় রবে-
কাপুরুষ চিত্তের আবরন।
ছোট্ট করোনা ভাইরাস বিশ্বে দিল হানা,
অসহায়! কেউ ডাকে বাবা, কেউ ডাকে নানা!
পূর্ব- পশ্চিম সবখানে সমভাবে তার বিস্তার,
ধনী - গরিব, সাদা - কালো নেই কারও নিস্তার।
কারফিউ, হোম কোয়ারান্টাইন চলছে সমান তালে ,
সামনে উচু নিচু আর মধ্যবিত্ত-
নামের তিনটি শ্রেনি বিদ্যামান।
তাতে, উচু শ্রেনি নিশ্চিত নিরাপদে,
সব কিছু তাদের নাগালে।
আমাদের মাষ্টার মশাই নাম তার তাহের আলম
জাতি গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে হাতে তুলে নিল বই-খাতা-কলম
আজীবন সে শিক্ষার্থী শিক্ষাও দিতে চায় সবাইকে
বেছে নিলো মহৎ পেশা ছুটি দিলো আর সব চাকুরীকে
শিক্ষকতার চেয়ে মহৎ আর কিছু নেই এই দুনিয়াতে
গৌধুলীর কান্না
অবশেষে সেও মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো
অথচ দুদিন আগেও তার এ মোহমায়ায় দূর্নিবার আকর্ষনে
জেগেছিল স্বপ্নরথের ঘুম,
পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় দাঁড়ানোর এক ব্যর্থ স্বপ্ন চোখে
রাতের পর রাত রক্তচক্ষু হয়ে পেরিয়ে যায়
তবুও মনের তৃষ্ণা বিশ্বে কোন জলেই মেটে না,
অহায়ত্ব গ্রাস করে গুটিয়ে ফেলে অন্তরকে
দু’টি চোখের পাপড়ি ভিজে গেছে আমি নিস্পলক তোমার অবনত মুখের দিকে চেয়ে।
অবাক হয়েছি সব শুনে এতোদিন পর নগরীর নিথর বুকে আজ তোমার সাথে দেখা।
সময়ের উত্তরঙ্গ তপ্ততা ছুঁয়ে নীরব বিদগ্ধ বাঁকে মৌন পুড়ে হৃদয় ডানা।