ধীমান দূরদর্শী মানব সৃষ্টির
শ্রেষ্ঠত্বের বড়ই অহংকার,
ইহকাল পরকাল ব্যাপিয়া
এ মনুষের বোধের বিস্তার।
কবিতা
ধীমান দূরদর্শী মানব সৃষ্টির
শ্রেষ্ঠত্বের বড়ই অহংকার,
ইহকাল পরকাল ব্যাপিয়া
এ মনুষের বোধের বিস্তার।
কবিতা
ঘোমটা দিছে বিশ্ববাসি ঢাকতে নিজের দুঃখ।
কেমন করে দেখাবে সে তার পাপি মুখ।
সভ্যতাকে করতে ধারন পশুর আচরন!
আসলটাকে বন্ধিকরে নকল জাগরন।
কবিতা
অসহায় চোখের তাকানো দেখলে কলিজা শুকিয়ে যায়,
পরনির্ভরশীল আগাছা আজ!
শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণহারা মানুষগুলোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে,
এবার তবে অপেক্ষা, শেষ খেয়া ধরার আশে মুহুর্ত গুনা।
কবিতা
যাবে?
কাশফুল দেখাব।
কয়েকটি ঘুড়ি কিনে দেব।
তুমি উড়াবে।
আর আমি! ও মুখপানে চেয়ে থাকবো।
কবিতা
একটি পথশিশু
হয়তোবা আমি বুঝেছি অন্যভাবে
কতটা রাত কেটে যায় নির্ঘুম অনাহারে
কতটা সবুজ বিকেল বিলীন হয় কালো ধোঁয়ায়
কতটা আকুল আবেদন মনের গহীনে অসহায়ে বন্দী হয়ে রয় ।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় দাঁড়ানোর এক ব্যর্থ স্বপ্ন চোখে
রাতের পর রাত রক্তচক্ষু হয়ে পেরিয়ে যায়
তবুও মনের তৃষ্ণা বিশ্বে কোন জলেই মেটে না,
অহায়ত্ব গ্রাস করে গুটিয়ে ফেলে অন্তরকে
কবিতা
সামনে উচু নিচু আর মধ্যবিত্ত-
নামের তিনটি শ্রেনি বিদ্যামান।
তাতে, উচু শ্রেনি নিশ্চিত নিরাপদে,
সব কিছু তাদের নাগালে।
কবিতা
ধনী-গরিব রাজা-প্রজা
কেউ কারো নয় ভরসা
সবাই যেন বাকরুদ্ধ
সকলের একটাই প্রার্থনা
কবিতা
ডাকলেইকি আসতে পারি বল!
এখনওতো ব্যস্ত উঠোন
অবেলাতেও তীক্ষ্ণ শকুন
দিচ্ছে উড়াল..
আকাশ জুড়ে রক্তপাতের
চিহ্নটুকু চুঁইয়ে দিয়ে
ব্যস্ত শকুন করছে কোলাহল।
কবিতা
দু’টি চোখের পাপড়ি ভিজে গেছে আমি নিস্পলক তোমার অবনত মুখের দিকে চেয়ে।
অবাক হয়েছি সব শুনে এতোদিন পর নগরীর নিথর বুকে আজ তোমার সাথে দেখা।
সময়ের উত্তরঙ্গ তপ্ততা ছুঁয়ে নীরব বিদগ্ধ বাঁকে মৌন পুড়ে হৃদয় ডানা।