নাজনীন সুলতানার মনে হলো ছেলেমেয়ে দুটো এখানে এসে কি সুন্দর খেলছে খোলামেলা জায়গায় ৷ আমরা তো ওদের খেলার জায়গা দিতে পারি নি , সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠার জন্য তো খেলাধুলো করার দরকার ৷ কয়েকটা দিন বেশ ভালো কাটল ৷ কালকে ওরা ঢাকায় চলে যাবে , আবার শুরু হবে যান্ত্রিক জীবন ৷সকালে সে একাই কুয়াশা ভেজা মেঠো পথ দিয়ে কিছুক্ষন হেটে বেড়াল ৷
-
গল্পশীতের গল্পএলিজা রহমান
-
গল্প“শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শুধুই মানুষ”nani das
সেই রাতটা এখনও মনে পড়ে; উনিশ দশকের শেষ দিকে, বরিশাল সদর থেকে মা আমাকে নিয়ে হেঁটেই রওনা দিল, তাঁর বাড়ির দিকে। একটা নদী পাড় হতে হবে। তারপর পাঁচ মাইল হাঁটা লাগবে। তখন আমি ক্লাস টু’তে পড়ি। আমরা যখন রওনা দিলাম তখনও বিকেলের রোদ ছিল। মাঝ বয়সি পৌষালী শীত। তেমন কোন গরম কাপড়ও মায়ের শরীরে নেই, যা একটা পাতলা চাঁদর ছিল সেটাও আমাকে জড়িয়ে দিল।
-
গল্পমাখন পাগলার প্রয়াণJamal Uddin Ahmed
কালীপদ ভয়ে ঠিকই শিউরে উঠেছিল, কিন্তু পরক্ষণে সাহস সঞ্চয় করে সামনে এগিয়ে যায় এটা বুঝতে যে লোকটি কি তখনও বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। যখন সে নিশ্চিত হল যে লোকটি আর বেঁচে নেই তখনই সে ভীষণ ভয় পেয়ে ‘রাম রাম’ বলে লাফ দিয়ে ওঠল। আশেপাশে তখন আর কোনো লোক ছিলনা।
-
গল্পকাকতালীয় কালো শীতHasan ibn Nazrul
কালাম কাশতে কাশতে দোকানীকে বলল, ভাই এক প্যাকেট গোল্ডলিফ সিগারেট দাও।
-এই নেন। আগুন লাগবো স্যার?
-উহুম, লাইটার আছে।
সিগারেট ধরিয়ে কালাম; রিপনকে নিয়ে ওভারব্রীজের উপরে চলে গেল। বাংলা বাজার, সদরঘাট, পাটুয়াটুলির চার রাস্তার মোড়ের এই ওভারব্রীজ সাধারনত কেউ ব্যবহার করে না। শুধু কিছু টোকাই আর ভিটামাটি-হীন দুএকটি লোক থাকে। নিচে প্রচন্ড কোলাহল আর জনগণের ভিড় থাকলেও উপরে বেশ নিরিবিলি। নিচের দিকে তাকিয়ে কালাম দেখল, হরেক রকম গাড়িতে হরেক রকম বাতি জ্বলছে আর রাস্তায় জ্বলছে সোডিয়াম লাইটের আলো। -
গল্পশীত ও শূন্যতাঅনিক আহমেদ
কনকনে ঠান্ডা বাতাসে যেন আমার আত্মা কেঁপে উঠলো। জ্যাকেটের চেইন গলা পর্যন্ত টেনে। আবার হাঁটতে লাগলাম। সূর্য হয়ত আর কিছুক্ষন পরই ডুব দিবে, শীত আরো তীব্রভাবে চেপে বসবে এই নিথর-নিঃসঙ্গ করবস্থানে।
লালচে ইট বিছানো রাস্তা দিয়ে তার দিকে আমি হেঁটে চলেছি একটু একটু করে। -
গল্পশীতের সকালমোঃ বুলবুল হোসেন
মামি খাবার রেডি করে আমাদেরকে ডাকতে ছিল। গ্রামে শীতের সকালে নানা ধরনের খাবার তৈরি হয়। গ্রামের ঘরে ঘরে পিঠা পায়েস তৈরি করা হয়। মামীও তাদের মতো ভোরবেলাতে উঠে। চাউল ঢেঁকিতে গুড়া করে মামি রান্না ঘরে বসেই পিঠা পায়েস তৈরি করে ।তেলের পিঠা ভাপা পিঠা রসের পিঠা পাটিসাপটা নানান ধরনের পিঠার মিষ্টি গন্ধে বাতাস ছড়িয়ে পড়ছিল। শীতের সকালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মিষ্টি রোদে বসে আনন্দে পিঠা খেলাম এ যেন অন্যরকম অনুভূতি।
-
গল্পপ্রহরীMD. MOHIDUR RAHMAN
শীতের আয়োজন চলছে চারে দিকে। রাস্তার মোরে ছোট চুলা নিয়ে ভাপা পিঠার দোকান বসেছে। বাজারে খেজুরের গুড় আসতে শুরু করেছে, খেজুর গুড়ের পিঠার নানান রেসিপি অনলাইনে, সাথে ভেজাল খেজুরের গুড়ের খবরও আছে । খেজুরের গাছ নাই, রস নাই, কিন্তু বাজারে গুড়ের অভাব নাই।
-
গল্পএক পাগল ফকির এসেছিল খালমাগড়ায়Gazi Saiful Islam
গুঞ্জর আলী গ্লাস হাতে কাঁপতে কাঁপতে হিজলতলা ত্যাগ করে।
কিন্তু কিছুটা দূরে এসে হঠাৎ তার মনে হলো পানিতে ফকিরের ফুঁ ঠিকমত লাগে নি। এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই এ ধারণাটা তার মাথায় বদ্ধমূল হয়। সে আবার পেছনে ফিরে যায়...।
ফকির সাহেব...।
-আরে গুঞ্জর, পানি লইয়া তুমি গেছ না? যাও, দৌড় দেও। -
গল্পআর্তনাদের হাওয়াSultan
নবান্নের উৎসব শেষ হতে না হতেই উত্তরের হিমেল হাওয়া ভর করে শীত নেমে আসে বাংলা প্রকৃতির মাঝে।কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে হাড়কাপুনি শীত পড়ে।রাতে কুয়াশা যেন বাড়তে থাকে।তখন ও রাত এগারটা বাজে নি।আামার গায়ে মোটা সুয়েটার,হাতে পায়ে মৌজা থাকার সত্বেও শীত লাগছে।আাস্তে আস্তে গ্রামের মেঠো পথ ধরে বাড়ির দিকে যাচ্ছি।চারদিক যেন কুয়াশা বেধ করে রেখেছে।গাছের পাতায় জমে থাকা কুয়াশার পানি ঝরে,গায়ের কাপড় মনে হয় ভিজে যাচ্ছে।কুয়াশার জন্য কিছুই দেখা যাচ্ছে না।রাস্তায় কোন লোকজন নেই।আমার হাতের কাছে একটি মেস লাইট ছিল। তা দিয়ে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু সাদা ধোয়া দেখা যাচ্ছে।
-
গল্পগল্পটা অন্যরকম...সাজ্জাদুর রহমান
ছেলেটির নাম রুবেল।
বয়স কত হবে?খুব বেশি হলে ১২ বা ১৩?
রুবেলের সাথে আমার পরিচয় স্কুলের পাশের গলিতে।একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে সে আমার পথ আটকে মুখ কাচুমাচু করে বলল,”স্যার,দুইটা টাকা দিবেন?আমার মা নাই স্যার...ভাত খামু?”
আমি হেসে বলি,”দুইটাকায় ভাত হয় নাকি রে ব্যাটা?”সে আমার রসিকতা ধরতে পারল বলেই মনে হয়,কেননা হাত দিয়ে সে মুখের হাসি আড়াল করল।
-চল তোকে সিংগারা খাওয়াই,ভাত তো খাওয়াতে পারব না...
জানুয়ারী ২০২০ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।