নবান্নের উৎসব শেষ হতে না হতেই উত্তরের হিমেল হাওয়া ভর করে শীত নেমে আসে বাংলা প্রকৃতির মাঝে।কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে হাড়কাপুনি শীত পড়ে।রাতে কুয়াশা যেন বাড়তে থাকে।তখন ও রাত এগারটা বাজে নি।আামার গায়ে মোটা সুয়েটার,হাতে পায়ে মৌজা থাকার সত্বেও শীত লাগছে।আাস্তে আস্তে গ্রামের মেঠো পথ ধরে বাড়ির দিকে যাচ্ছি।চারদিক যেন কুয়াশা বেধ করে রেখেছে।গাছের পাতায় জমে থাকা কুয়াশার পানি ঝরে,গায়ের কাপড় মনে হয় ভিজে যাচ্ছে।কুয়াশার জন্য কিছুই দেখা যাচ্ছে না।রাস্তায় কোন লোকজন নেই।আমার হাতের কাছে একটি মেস লাইট ছিল। তা দিয়ে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু সাদা ধোয়া দেখা যাচ্ছে।
-
গল্প
আর্তনাদের হাওয়াSultan -
গল্প
টানমোঃ মোখলেছুর রহমানএকদিন হঠাৎ গ্রামে নতুন হট্টোগোল শুরু হলো। আইজুদের বাড়ির সম্মুখ রাস্তা দিয়ে একদল নতুন মানুষকে যেতে দেখা গেল, সুন্দর পা তুলে পা মিলিয়ে যাচ্ছে তারা। গায়ে ফিটফাট পোষাক ; দেখতে ভালই লাগল আইজুর।কাঁধে নাকি ওটা বন্দুক পরে বাবার কাছে জেনেছিল আইজু। মাঝে মাঝে ওদের গাড়ীতে গরু ছাগল দেখে অবাক হয়েছিল,তারও উঠতে মন চাইতো।
-
গল্প
শীতের সকাল রাত গভীরেMs Ahmadপ্রায় রাতের ন্যায় এক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল। সেদিন একটু আগেই যেন ঘুম ভাঙ্গল। অবশ্য এর একটি কারণ আছে। স্বপ্ন দেখছিলাম ভয়ঙ্কর স্বপ্ন। কে যেন আমাকে হত্যা করতে তাড়া করছে। আমি দৌড়তেছি আর অস্ত্র হাতে লোকটি আমার পিছনে পিছনে আসছে। বিভিন্ন স্থানে লুকোচ্ছি কিন্তু লোকটি আমাকে দেখে ফেলে আবার ধরার জন্য এগিয়ে আসছে। আর আমি তখনই আবার দৌড়াচ্ছি। লোকটির সাথে দৌড়ে আমি পারছিলাম না।
-
গল্প
শীত ও শূন্যতাঅনিক আহমেদকনকনে ঠান্ডা বাতাসে যেন আমার আত্মা কেঁপে উঠলো। জ্যাকেটের চেইন গলা পর্যন্ত টেনে। আবার হাঁটতে লাগলাম। সূর্য হয়ত আর কিছুক্ষন পরই ডুব দিবে, শীত আরো তীব্রভাবে চেপে বসবে এই নিথর-নিঃসঙ্গ করবস্থানে।
লালচে ইট বিছানো রাস্তা দিয়ে তার দিকে আমি হেঁটে চলেছি একটু একটু করে। -
গল্প
একটি শীতের রাতের গল্প ।Lubna Negarঅভিজাত এলাকার অধিকার যেমন বিত্তশালীদের, ডাস্টবিনের দখল তেমন কুকুর- বিড়ালের । কয়েকটা গালি দিয়ে জরিনা উঠে পড়ে । আর তখনই চোখে পড়ে কাপড়ে জড়ানো একটা পোটলা ধরে কয়েকটা কুকুর কামড়া কামড়ি করছে । আর সেই পোটলা থেকে ভেসে আসছে শিশুর কান্না ।
-
গল্প
মিনুর গ্রামে প্রত্যাবর্তনশাহনাজ বেগমনিরব নিস্তব্ধ নিসর্গ । একে তো শীতের রাত তাতে আবার কুয়াশার ঘন আচ্ছাদন । যেন ঝিঝি ঝিমিনিরাও ঘুমিয়ে গেছে ।কোন সাড়া শব্দ নেই ।গাছের পাতার কাঁপুনিও শুনতে পাওয়ার কথা নয় । কেননা জানালায় লাগানো আছে থাই কাচ ।তবুও কেন যেন হঠাৎ মিনুর ঘুম ভেঙ্গে যায় ।
প্রথমে সে মনে করে সকাল হয়েছে। একটু পরেই দিনের আলো ফুটবে । আবার শুরু হবে রোবটের মত কাজ টানা। কিন্তু না অনেক ক্ষণ হয়ে গেল সকাল হচ্ছে না ।দেয়াল ঘড়িটা যদিও বা তার মাথার উপরে টাঙ্গানো আছে ঠান্ডার ভয়ে মাথা বের করে দেখার ইচ্ছা হচ্ছে না । -
গল্প
পাতাশরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানএরপরে দুজনে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে রইল।তাদের হারানো ভালোবাসার কষ্টে দুজনেই নিথর নিশ্চুপ হয়ে আপনার মনে আপনি কষ্ট উপভোগ করল।এত বছর পরে অজান্তেই দেখা হয়ে গেল তুহিনের পাতার সাথে এই ওয়েটিং রুমে।যা তারা দুজনে জীবনে কখনো আশাও করেনি।কিন্তু ভাগ্যচক্রে তাদের দেখা হয়ে গেল।
-
গল্প
এক পাগল ফকির এসেছিল খালমাগড়ায়Gazi Saiful Islamগুঞ্জর আলী গ্লাস হাতে কাঁপতে কাঁপতে হিজলতলা ত্যাগ করে।
কিন্তু কিছুটা দূরে এসে হঠাৎ তার মনে হলো পানিতে ফকিরের ফুঁ ঠিকমত লাগে নি। এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই এ ধারণাটা তার মাথায় বদ্ধমূল হয়। সে আবার পেছনে ফিরে যায়...।
ফকির সাহেব...।
-আরে গুঞ্জর, পানি লইয়া তুমি গেছ না? যাও, দৌড় দেও। -
গল্প
কুয়াশার দেয়ালমোঃ আব্দুল মুক্তাদিরবিস্ময়ে চারিদিক দেখতে লাগলো। 'শুধু সাদা আর সাদা! এ যেন এক মায়াময়, রহস্যময় জগত। মাটিতে বসে আছি নাকি মেঘের ভিতর ঢুকে গেছি!। কাছের কোন জিনিসই দেখা যাচ্ছেনা। আমি কি কোন মায়াপুরীতে ঢুকে গেলাম!'
ছুপ...ছুপ...ছুপ...ছুপ--শুভর দিবাস্বপ্ন ভেঙে গেল। তার পাশে কে একজন এসে দাঁড়িয়েছে!। তার হার্টবিট বেড়ে গেল। ব্যাপার কি! -
গল্প
“শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শুধুই মানুষ”nani dasসেই রাতটা এখনও মনে পড়ে; উনিশ দশকের শেষ দিকে, বরিশাল সদর থেকে মা আমাকে নিয়ে হেঁটেই রওনা দিল, তাঁর বাড়ির দিকে। একটা নদী পাড় হতে হবে। তারপর পাঁচ মাইল হাঁটা লাগবে। তখন আমি ক্লাস টু’তে পড়ি। আমরা যখন রওনা দিলাম তখনও বিকেলের রোদ ছিল। মাঝ বয়সি পৌষালী শীত। তেমন কোন গরম কাপড়ও মায়ের শরীরে নেই, যা একটা পাতলা চাঁদর ছিল সেটাও আমাকে জড়িয়ে দিল।
জানুয়ারী ২০২০ সংখ্যা
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৬” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলীএ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
