গুঞ্জর আলী গ্লাস হাতে কাঁপতে কাঁপতে হিজলতলা ত্যাগ করে।
কিন্তু কিছুটা দূরে এসে হঠাৎ তার মনে হলো পানিতে ফকিরের ফুঁ ঠিকমত লাগে নি। এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই এ ধারণাটা তার মাথায় বদ্ধমূল হয়। সে আবার পেছনে ফিরে যায়...।
ফকির সাহেব...।
-আরে গুঞ্জর, পানি লইয়া তুমি গেছ না? যাও, দৌড় দেও।
-
গল্প
এক পাগল ফকির এসেছিল খালমাগড়ায়Gazi Saiful Islam -
গল্প
মনের উঠোনে রোদপুলক আরাফাতবিল্লাল ছোটবেলা থেকেই ভালো ছাত্র ছিল। খুব ভালো আঁকাআঁকিও করতে পারতো। বিল্লালের বাবা ছিলেন জেলা প্রশাসনে কর্মরত। নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বিল্লাল ভর্তি হয় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে। ওর বাবা-মা’র ইচ্ছেই ছিল ডাক্তারি পড়াবে। সরকারি মেডিক্যালে অল্পের জন্য সুযোগ পায়নি। ডাক্তারি পড়ার সময় থেকেই বিল্লাল কিছু কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করে।
-
গল্প
শীতের গল্পএলিজা রহমাননাজনীন সুলতানার মনে হলো ছেলেমেয়ে দুটো এখানে এসে কি সুন্দর খেলছে খোলামেলা জায়গায় ৷ আমরা তো ওদের খেলার জায়গা দিতে পারি নি , সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠার জন্য তো খেলাধুলো করার দরকার ৷ কয়েকটা দিন বেশ ভালো কাটল ৷ কালকে ওরা ঢাকায় চলে যাবে , আবার শুরু হবে যান্ত্রিক জীবন ৷সকালে সে একাই কুয়াশা ভেজা মেঠো পথ দিয়ে কিছুক্ষন হেটে বেড়াল ৷
-
গল্প
কাকতালীয় কালো শীতHasan ibn Nazrulকালাম কাশতে কাশতে দোকানীকে বলল, ভাই এক প্যাকেট গোল্ডলিফ সিগারেট দাও।
-এই নেন। আগুন লাগবো স্যার?
-উহুম, লাইটার আছে।
সিগারেট ধরিয়ে কালাম; রিপনকে নিয়ে ওভারব্রীজের উপরে চলে গেল। বাংলা বাজার, সদরঘাট, পাটুয়াটুলির চার রাস্তার মোড়ের এই ওভারব্রীজ সাধারনত কেউ ব্যবহার করে না। শুধু কিছু টোকাই আর ভিটামাটি-হীন দুএকটি লোক থাকে। নিচে প্রচন্ড কোলাহল আর জনগণের ভিড় থাকলেও উপরে বেশ নিরিবিলি। নিচের দিকে তাকিয়ে কালাম দেখল, হরেক রকম গাড়িতে হরেক রকম বাতি জ্বলছে আর রাস্তায় জ্বলছে সোডিয়াম লাইটের আলো। -
গল্প
পাতাশরীফ মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানএরপরে দুজনে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে রইল।তাদের হারানো ভালোবাসার কষ্টে দুজনেই নিথর নিশ্চুপ হয়ে আপনার মনে আপনি কষ্ট উপভোগ করল।এত বছর পরে অজান্তেই দেখা হয়ে গেল তুহিনের পাতার সাথে এই ওয়েটিং রুমে।যা তারা দুজনে জীবনে কখনো আশাও করেনি।কিন্তু ভাগ্যচক্রে তাদের দেখা হয়ে গেল।
-
গল্প
পাহাড়ের শৈত সলিলAbdul Hannanকোন সিদ্ধান্ত নির্ধারণ হলোনা কোথায় যাবো।শীতের রাতে বন্ধুরা মিলে টিভি শো দেখছিলাম,পার্বত্য উপজাতীয়দের বাংলা গানের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নুতন শিল্পি কল্পনাকে দেখেই হঠাৎ হিরকের চীৎকার হাতে তালি আমরা সবাই বেকুব বনে গেলাম কিরে?
-
গল্প
মিনুর গ্রামে প্রত্যাবর্তনশাহনাজ বেগমনিরব নিস্তব্ধ নিসর্গ । একে তো শীতের রাত তাতে আবার কুয়াশার ঘন আচ্ছাদন । যেন ঝিঝি ঝিমিনিরাও ঘুমিয়ে গেছে ।কোন সাড়া শব্দ নেই ।গাছের পাতার কাঁপুনিও শুনতে পাওয়ার কথা নয় । কেননা জানালায় লাগানো আছে থাই কাচ ।তবুও কেন যেন হঠাৎ মিনুর ঘুম ভেঙ্গে যায় ।
প্রথমে সে মনে করে সকাল হয়েছে। একটু পরেই দিনের আলো ফুটবে । আবার শুরু হবে রোবটের মত কাজ টানা। কিন্তু না অনেক ক্ষণ হয়ে গেল সকাল হচ্ছে না ।দেয়াল ঘড়িটা যদিও বা তার মাথার উপরে টাঙ্গানো আছে ঠান্ডার ভয়ে মাথা বের করে দেখার ইচ্ছা হচ্ছে না । -
গল্প
শীত ও শূন্যতাঅনিক আহমেদকনকনে ঠান্ডা বাতাসে যেন আমার আত্মা কেঁপে উঠলো। জ্যাকেটের চেইন গলা পর্যন্ত টেনে। আবার হাঁটতে লাগলাম। সূর্য হয়ত আর কিছুক্ষন পরই ডুব দিবে, শীত আরো তীব্রভাবে চেপে বসবে এই নিথর-নিঃসঙ্গ করবস্থানে।
লালচে ইট বিছানো রাস্তা দিয়ে তার দিকে আমি হেঁটে চলেছি একটু একটু করে। -
গল্প
একটি শীতের রাতের গল্প ।Lubna Negarঅভিজাত এলাকার অধিকার যেমন বিত্তশালীদের, ডাস্টবিনের দখল তেমন কুকুর- বিড়ালের । কয়েকটা গালি দিয়ে জরিনা উঠে পড়ে । আর তখনই চোখে পড়ে কাপড়ে জড়ানো একটা পোটলা ধরে কয়েকটা কুকুর কামড়া কামড়ি করছে । আর সেই পোটলা থেকে ভেসে আসছে শিশুর কান্না ।
-
গল্প
কুয়াশার দেয়ালমোঃ আব্দুল মুক্তাদিরবিস্ময়ে চারিদিক দেখতে লাগলো। 'শুধু সাদা আর সাদা! এ যেন এক মায়াময়, রহস্যময় জগত। মাটিতে বসে আছি নাকি মেঘের ভিতর ঢুকে গেছি!। কাছের কোন জিনিসই দেখা যাচ্ছেনা। আমি কি কোন মায়াপুরীতে ঢুকে গেলাম!'
ছুপ...ছুপ...ছুপ...ছুপ--শুভর দিবাস্বপ্ন ভেঙে গেল। তার পাশে কে একজন এসে দাঁড়িয়েছে!। তার হার্টবিট বেড়ে গেল। ব্যাপার কি!
জানুয়ারী ২০২০ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
গল্পের বিষয় "মুক্তিযুদ্ধ”
কবিতার বিষয় "মুক্তিযুদ্ধ”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
