একদিন হঠাৎ গ্রামে নতুন হট্টোগোল শুরু হলো। আইজুদের বাড়ির সম্মুখ রাস্তা দিয়ে একদল নতুন মানুষকে যেতে দেখা গেল, সুন্দর পা তুলে পা মিলিয়ে যাচ্ছে তারা। গায়ে ফিটফাট পোষাক ; দেখতে ভালই লাগল আইজুর।কাঁধে নাকি ওটা বন্দুক পরে বাবার কাছে জেনেছিল আইজু। মাঝে মাঝে ওদের গাড়ীতে গরু ছাগল দেখে অবাক হয়েছিল,তারও উঠতে মন চাইতো।
-
গল্প
টানমোঃ মোখলেছুর রহমান -
গল্প
হিয়ার মাঝে তুমি রওTanvir Ahmed Rifat: স্যার চা দিমু?
: তিন কাপ দাও।
ঘাসের উপর ফ্লাক্স ভর্তি চা। ছেলেটা চা ঢালছে কাপে; চিপা চা, ফ্লাক্সের মাথা চিপে চিপে বের করা হচ্ছে সেই চা।
: তোমার নাম কিন্তু এখনো বল নি।
ফাঁটা ঠোঁটে হাসি- -
গল্প
শীতের ঋতু নয় আমার ঋতুহারুন-অর-রশিদঋতুর চিঠি পরে আমি সত্যি সত্যি চমকে গেলাম। আমি কত চিঠি ছাড়তাম কোনটি উত্তর পাইনা বলে আমার আর গ্রামে যাওয়া হয়না। চিঠিটি সত্যি আমাকে চমকে দিল, অভিমানি ঋতু আমার জন্যও লিখে।
খেজুরের গুরদ্বারা তৈরী ভাপা পিঠা গরম গরম সন্ধ্যা রাতে চুলার পাশে বসে খেতে ভারি মজাই লাগে। সেই সাথে আগুনের লেলিহা পাশে বসে আছে ঋতু। ঋতুকে দেখতে ভালই লাগে। ঋতু মা বলে, বাবা তুমি আসাতে আমি খুব খুশি হয়েছি। তুমি আগের ঋতুতে আসনি বলে ঋতুও কোন শীতের খাবার খায়নি। -
গল্প
মিনুর গ্রামে প্রত্যাবর্তনশাহনাজ বেগমনিরব নিস্তব্ধ নিসর্গ । একে তো শীতের রাত তাতে আবার কুয়াশার ঘন আচ্ছাদন । যেন ঝিঝি ঝিমিনিরাও ঘুমিয়ে গেছে ।কোন সাড়া শব্দ নেই ।গাছের পাতার কাঁপুনিও শুনতে পাওয়ার কথা নয় । কেননা জানালায় লাগানো আছে থাই কাচ ।তবুও কেন যেন হঠাৎ মিনুর ঘুম ভেঙ্গে যায় ।
প্রথমে সে মনে করে সকাল হয়েছে। একটু পরেই দিনের আলো ফুটবে । আবার শুরু হবে রোবটের মত কাজ টানা। কিন্তু না অনেক ক্ষণ হয়ে গেল সকাল হচ্ছে না ।দেয়াল ঘড়িটা যদিও বা তার মাথার উপরে টাঙ্গানো আছে ঠান্ডার ভয়ে মাথা বের করে দেখার ইচ্ছা হচ্ছে না । -
গল্প
আর্তনাদের হাওয়াSultanনবান্নের উৎসব শেষ হতে না হতেই উত্তরের হিমেল হাওয়া ভর করে শীত নেমে আসে বাংলা প্রকৃতির মাঝে।কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে হাড়কাপুনি শীত পড়ে।রাতে কুয়াশা যেন বাড়তে থাকে।তখন ও রাত এগারটা বাজে নি।আামার গায়ে মোটা সুয়েটার,হাতে পায়ে মৌজা থাকার সত্বেও শীত লাগছে।আাস্তে আস্তে গ্রামের মেঠো পথ ধরে বাড়ির দিকে যাচ্ছি।চারদিক যেন কুয়াশা বেধ করে রেখেছে।গাছের পাতায় জমে থাকা কুয়াশার পানি ঝরে,গায়ের কাপড় মনে হয় ভিজে যাচ্ছে।কুয়াশার জন্য কিছুই দেখা যাচ্ছে না।রাস্তায় কোন লোকজন নেই।আমার হাতের কাছে একটি মেস লাইট ছিল। তা দিয়ে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু সাদা ধোয়া দেখা যাচ্ছে।
-
গল্প
মাখন পাগলার প্রয়াণJamal Uddin Ahmedকালীপদ ভয়ে ঠিকই শিউরে উঠেছিল, কিন্তু পরক্ষণে সাহস সঞ্চয় করে সামনে এগিয়ে যায় এটা বুঝতে যে লোকটি কি তখনও বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। যখন সে নিশ্চিত হল যে লোকটি আর বেঁচে নেই তখনই সে ভীষণ ভয় পেয়ে ‘রাম রাম’ বলে লাফ দিয়ে ওঠল। আশেপাশে তখন আর কোনো লোক ছিলনা।
-
গল্প
শীতের সকাল রাত গভীরেMs Ahmadপ্রায় রাতের ন্যায় এক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল। সেদিন একটু আগেই যেন ঘুম ভাঙ্গল। অবশ্য এর একটি কারণ আছে। স্বপ্ন দেখছিলাম ভয়ঙ্কর স্বপ্ন। কে যেন আমাকে হত্যা করতে তাড়া করছে। আমি দৌড়তেছি আর অস্ত্র হাতে লোকটি আমার পিছনে পিছনে আসছে। বিভিন্ন স্থানে লুকোচ্ছি কিন্তু লোকটি আমাকে দেখে ফেলে আবার ধরার জন্য এগিয়ে আসছে। আর আমি তখনই আবার দৌড়াচ্ছি। লোকটির সাথে দৌড়ে আমি পারছিলাম না।
-
গল্প
পাহাড়ের শৈত সলিলAbdul Hannanকোন সিদ্ধান্ত নির্ধারণ হলোনা কোথায় যাবো।শীতের রাতে বন্ধুরা মিলে টিভি শো দেখছিলাম,পার্বত্য উপজাতীয়দের বাংলা গানের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নুতন শিল্পি কল্পনাকে দেখেই হঠাৎ হিরকের চীৎকার হাতে তালি আমরা সবাই বেকুব বনে গেলাম কিরে?
-
গল্প
শীতের গল্পএলিজা রহমাননাজনীন সুলতানার মনে হলো ছেলেমেয়ে দুটো এখানে এসে কি সুন্দর খেলছে খোলামেলা জায়গায় ৷ আমরা তো ওদের খেলার জায়গা দিতে পারি নি , সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠার জন্য তো খেলাধুলো করার দরকার ৷ কয়েকটা দিন বেশ ভালো কাটল ৷ কালকে ওরা ঢাকায় চলে যাবে , আবার শুরু হবে যান্ত্রিক জীবন ৷সকালে সে একাই কুয়াশা ভেজা মেঠো পথ দিয়ে কিছুক্ষন হেটে বেড়াল ৷
-
গল্প
“শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শুধুই মানুষ”nani dasসেই রাতটা এখনও মনে পড়ে; উনিশ দশকের শেষ দিকে, বরিশাল সদর থেকে মা আমাকে নিয়ে হেঁটেই রওনা দিল, তাঁর বাড়ির দিকে। একটা নদী পাড় হতে হবে। তারপর পাঁচ মাইল হাঁটা লাগবে। তখন আমি ক্লাস টু’তে পড়ি। আমরা যখন রওনা দিলাম তখনও বিকেলের রোদ ছিল। মাঝ বয়সি পৌষালী শীত। তেমন কোন গরম কাপড়ও মায়ের শরীরে নেই, যা একটা পাতলা চাঁদর ছিল সেটাও আমাকে জড়িয়ে দিল।
জানুয়ারী ২০২০ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
