আজকের দিনটি অন্যান্য আটপৌরে দিনগুলোর মতোই শুরু হয়েছিল ঠিক এইভাবে:
আমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলাম। তখন মিলি টেবিলে প্রাতরাশ সারছিল।

কয়েকদিন যাবৎ মোবাইল বাজলেই মিথিলার বুকের মধ্যে ছ্যাৎ করে ওঠে। শুধু মিথিলা নয়, বাড়ির প্রতিটি লোকই এখন মোবাইলাতংকে দিন কাটাচ্ছে। বাড়ীর মধ্যে মিথিলার মা রাহেলা বেগমই ফোন রিসিভ করেন। এ-বাড়ীর লোকজন ভয়ে কল রিসিভ করাই ছেড়ে দিয়েছে!

ঝিঁঝিঁ পোকাদের ঘুম ভাঙলো তাহলে। কী যে ওরা! ছেড়ে যায় না যেন কিছুই।
আজকাল আমার বড্ড বিরক্তি লাগে কেন জানি! অন্ধকারের প্রতি!
মনুষ্য সম্প্রদায়ের কেমন লাগে? অন্ধকারকে! কিংবা আমাকেই!

‘বাহ‍‍‍! তুমি দেখছি এলাহি কাণ্ড ঘটিয়ে বসে আছো! গ্রামের মধ্যেই এত বড় কাজ আর আমরা জানিই না! কাগজে তোমার ছবি দেখে তো চোখের পলক আর পড়ে না...’
‘আসলে স্যার গ্রামের শেষ মাথায় তো, আর আসতেও নদী পাড় হতে হয়... বসুন স্যার, গাছ-তলাতেই। খুব ঠাণ্ডা-ছায়া লিচু গাছের। আমি সারাদিন এখানেই কাটিয়ে দেই।’

অফিস ফাঁকা হয়ে গেলেও শমিতা যায় নি। হাতের কাজ পুরো না করে ওঠেই বা কি করে।বসের যা মেজাজ!কম্পিউটারের স্ক্রিনটার দিকে তাকিয়ে সময় ভুলে গেছে!
- কী গো শমিতাদি,বাড়ি যাবে না? অফিস তো ফাঁকা হয়ে গেল! চলো,বাড়ি চ,আমি তোমাকে লিফট দিয়ে দিচ্ছি।

রাত্রি। পৃথিবীতে পরিচয় দেবার মতো তার এখন আর কিছুই নেই। একসময় ছিল। মা-বোনের সাথে সুন্দর একটা জীবন ছিল। ধন-দৌলত, টাকা পয়সা না থাকলেও নিজের নামটা কাউকে বলতে গর্ব হতো রাত্রির।

তু‌মি আমা‌কে এত ‌ভালবাস‌ো?
‌মি‌লির কপ‌া‌লের অবাধ্য চুলগুলাে সরি‌য়ে দি‌তে দি‌তে বল‌লো আনিস।

মোহাম্মদ মতিউর রহমান। সবাই ডাকে মতি স্যার বলে। একটি বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মতি স্যারের নানাবিধ সমস্যা থাকলেও বর্তমানে দু’টি সমস্যা তাকে ভয়ানক কষ্ট দিচ্ছে। একটি হচ্ছে- সেদিন দশম শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রীদের নদী বিষয়ে রচনা লেখার অবস্থা দেখে তিনি দারুন মর্মাহত।

অনুপমা কিরে মা অনেক সকাল হয়ে গেলো উঠবিত। হে তোমর আদরের মেয়ে আজ খুব সকালে উঠছে। কিরে অনুপমা তুই আজ এত সকাল সকাল উঠেছিস? মা ফুলের সাজি হাতে এগিয়ে এলো ওর কাছে। আকাশে সূর্যের হালকা উঁকিঝুঁকি, নীলচে কার্পেটে যেন কমলার ছোপ।

রত্না তেতালার জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো। বাস,রিক্সা,প্রাইভেট কার গায়ে গায়ে লেগে গলিত লাভার মত একটা প্রবাহ তৈরি করেছে।

পৃথিবীতে এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সব মানুষ নগ্নাবস্থায় থাকে, নগ্নতার জন্য আন্দোলন করে।পিপলু ইন্টারনেট থেকে এসব জেনেছে। এসব কথা রাসেলের বিশ্বাস হয় না। রাসেল পিপলুর ভালো বন্ধু।

এক নারী তার কষ্ট গুলো শেয়ার করতে চাইলো এক মধ্যরাতে। যখন চারিধার নিশ্চুপ। নৈশব্দের তীব্র একাকীত্ব মাঝে নিজের দেহের উষ্ণতা ধার দিতে চাইলো সে।

উত্তরা আট নম্বর রেল‌গে‌টের ব‌স্তি‌তে রা‌হেলা বেগম তার দুই সন্তান আর শাশু‌ড়িকে নি‌য়ে থা‌কে। স্বামী তার অ‌নেক আগেই ছে‌ড়ে চ‌লে গে‌ছে। হয়ত নতুন কোন সম্পর্ক হ‌য়ে‌ছে তার।