মহাবিশ্বের যিনি প্রতিপালক তিনি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন। আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্ম ইসলাম। আমাদের ধর্মমতে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে আমাদের প্রতিপালককে এক এবং অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সব অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। আল্লাহ্ যেমনটি ইচ্ছা করেন তেমনটিই সৃষ্টি হয়ে যায়।
এ মহাবিশ্ব¦ তারই ইশারায় চলে। জন্ম, মৃত্যু, উত্থান, সভ্যতা, বর্বরতা এই সব কিছুই আল্লাহ্ পাকের ইচ্ছে শক্তিতেই সংঘটিত হয়। এই সবের বহু প্রমাণ আল্লাহ্ পাক আদম থেকে শুরু করে আজকের পৃথিবী পর্যন্ত রেখেছেন। এর সবি অলৌকিক। অর্র্থাত যা কিনা লৌকিক বিশ্বের কোন মানুষ দ্বারা সংঘটিত করা সম্ভব নয়। এই অলৌকিক ঘটনাবলী ঘটাতে পারেন যিনি তিনি “ঈশ্বর”। আর তিনি যা ঘটান তাই ঐশ্বরিক। মানুষ শুধু নিজ নিজ ভুল বা শুদ্ধ কর্মকান্ডের যোগান দিয়ে শুভ বা অশুভ পরিণতি দিয়ে থাকে। এখানে একটি বিষয় অবশ্য প্রণিধানযোগ্য, তা হল এরকম, আমাদের ধর্মের পুর্ণাঙ্গ বিধান আসার আগে, অর্থাৎ প্রাচীন যুগে আল্লাহ্ পাককে ডাকা হতো বিভিন্ন নামে, যেমন- ইলোহি, ইলাহ্, মাবুদ, খোদা ইত্যাদি নামে । আল্লাহ্ পাকের গুণাবলী সম্পন্ন নামগুলি একসঙ্গে সম্বোধন করার শব্দ শিখিয়ে দিলেন, “আল্লাহ্”, এই শব্দটিতেই নিহিত আছে যে, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। ঐ সম্বোধনগুলোও কিন্তু আল্লাহ্ পাকের একেক রকম করুণা, পানলকর্তা, সৃজনকর্তা এই গুণগুলোই বুঝায়। এ সবই ঐশ্বরীক।
হিন্দুমতে সৃষ্টি, স্থিতি, লয়কারি, আধিপত্য, সামর্থ, স্বামিত্বরূপ ঐশ্বর্যের অধিকারি যিনি, তিনি “ঈশ্বর”। ঈশ্বরের যা গুণ আছে তাই ঐশ্বরিক। আর তিনি যা করেন তাই ঐশ্বরিক বা অলৌকিক।
আমরা মুসলিম বিশ্বাসে এবং আমাদের ধর্মিয় ভাষায় আমরা বলে থাকি “কুদরাত”, এবং আল্লাহ্ তালার অসীম ক্ষমতা ও রহমত বরকত সমৃদ্ধগুণের নিরানব্বইটি নাম মোবারক আছে। “কায়েনাত” অর্থাত “মহাবিশ্ব¦” আমরা এ দুটো শব্দ উচ্চারণ করতে বা বলতে পারি। কিন্তু “বƒক্ষ্মাণ্ড” বলতে পারিনা বা বলা ঠিক হবে না, কারণ প্রকারান্তরে পরোক্ষভাবে “ব্রক্ষ্মা” এর উপরে বিশ্বাসের মত “অংশিবাদ” ঘটে যায়।
অতএব, আল্লাহ্ পাকের ভাষাতেই আমরা আল্লাহ্র গুণগান প্রশংসার সাথে আনুগত্য প্রকাশ করবো। তিনিই অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারি। অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান যা কিছু আছে সবই তার দৃষ্টিগোচর ও সব তার আজ্ঞাবহ। তিনি তার যে সৃষ্টির জন্য যেমনটি অলৌকিকভাবে করে থাকেন তাই আমরা ঐশ্বরিক বলে দৃঢ় বিশ্বাস করি। শেষ নবী (সঃ) আসার পর আল্লাহ্পাক প্রত্যক্ষে ঘটমান বিষয়াবলী বন্ধ করে দিয়েছেন। যেমন নবী, পয়গম্বর, রাসুল, সাহাবা তা’বে তা’বেঈনদের পৃথিবীতে আসা বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি ছিল পীর, আউলিয়া, গাওস, কুতুব। একসময় তাও বন্ধ হয়ে গেল, সেই সাথে সকল রকম মো’যেযা অর্থাত ঐশ্বরিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে গেল। এখন যাঁরা আছেন তারা মোমিন মুসলমান ও নায়েবে রসুল, অর্থাত রসুলের প্রতিনিধি আলেমগণ আছেন।
এখনও ঐশ্বরিক ঘটনা ঘটে, তবে তা লোক চক্ষুর অন্তরালে। আল্লাহ্পাক তার মহাবিশ্ব পরিচালনা করছেন তার মতো করেই। আমরা পাপিষ্ঠ মানব তা বুঝতে পারিনা। মোমেন ব্যক্তি ও আলেমগণ বুঝতে পারেন। এবার একটি অলৌকিক বা ঐশ্বরিক ঘটনা বলে এ লেখা শেষ করছি।
রাসুলে পাক (সঃ) এর শৈশবের কথা। তিনি যখন “তায়েফ” অঞ্চলে ধাত্রিমাতা বিবি হালিমার ঘরে ছিলেন, তখন একদিন মেষ চরাতে মাঠে গেলেন। সে সময় এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটলো। দুজন সুদর্শন লোক সাদা পোশাকে এসে সবার অগোচরে ওনাকে একটু আড়ালে নিয়ে তার বক্ষবিদারণ (অর্থাত ওপেন হার্ট সার্জারী) করে কিছুটা কালো বস্তু ফেলে দিয়ে আবার আগের মতো ঠিক ঠাক করে ওনাকে বললেন যাও। এভাবেই আল্লাহ্ পাক তার রাসুলের হƒদয় পরিস্কার করে দিয়েছিলেন যাতে তাঁর হƒদয়ে কোন মালিন্য থাকে না। যদিও আড়ালে ঘটনাটা ঘটেছিলো কিন্তু তার দুধভাই তা দেখে ফেলেছিলো। রাসুলে পাক (সঃ) এর এই ওপেন হার্ট সার্জারি ৩ বার হয়েছিলো মতান্তরে ৪ বার। এটি ঐশ্বরিকভাবেই হয়েছিলো। পৃথ্বিলোকের কোন সার্জন তা করেনি। নবী রসুলদের জীবনে অগনিত ঘটনাবলী আছে যা ছিল ঐশ্বরিক।
০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
২০ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪