উত্তরা আট নম্বর রেলগেটের বস্তিতে রাহেলা বেগম তার দুই সন্তান আর শাশুড়িকে নিয়ে থাকে। স্বামী তার অনেক আগেই ছেড়ে চলে গেছে। হয়ত নতুন কোন সম্পর্ক হয়েছে তার। শুধু রাহেলাই ছেড়ে যেতে পারেনি তার পঙ্গু শাশুড়ি আর অসহায় শিশুদের। যুবতী রাহেলাকে আজকাল সবাই ঘেন্না করে। সে কিভাবে সংসার চালাই তা নিয়ে সবার প্রশ্ন। তবে তাতে রাহেলার কিছু যাই আসেনা। প্রতিদিন শাশুড়ির জন্য অনেক টাকার ঔষুধ কিনতে হয় তার। মানুষের বাসায় কাজ করতে চেষ্টা করেছে অনেকবার রাহেলা। কিন্তু বার বারই তার শরীর হয়েছে বড় কাল। সম্মান হারিয়েছে বারবার। তাই এগুলো নিয়ে আর ভয় পায়না রাহেলা।
আজকাল প্রায়ই ছোট্ট ঘরটিতে নানা পুরুষের আনাগোনা দেখা যায়। পাশেই চট দিয়ে ঘেরা ছোট্ট জায়গাটিতে অসুস্থ পঙ্গু শাশুড়ি দিন গোনে মুক্তির। শুনতে পারে সব শব্দ। বুঝতে পারে তার অকৃতজ্ঞ সন্তানটির দায়িত্ব নিতে যেয়ে বউটি প্রতিটিদিন জর্জরিত হয় পশুদের খামচিতে। সবার চোখে সে পতিতা হলেও শাশুড়ির চোখে তার থেকে মহান আর কেউ নেই। শুধু ভয়ে থাকে দুটি নাতিন নিয়ে, বউ যদি তাদের ছেড়ে কোনদিন চলে যায় সেদিন ওদের কি হবে। যখন নিজের ছেলেই দায়িত্ব নিলোনা তখন পরের মেয়ে আর কতদিন নিজেকে নিঃশেষ করে তাদের দেখবে।
মেয়ে দুটি দাদির কাছে শুনেছে অনেকবার, কারা তার মায়ের ঘরে আসে। উত্তরে চোখের পানি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি বৃদ্ধা। রাহেলার ঘর থেকে বস্তির এক মাতবর গোছের মানুষ পান চিবাতে চিবাতে বের হচ্ছে। ইদানিং প্রায়ই লোকটি আসে রাহেলার ঘরে। বিভিন্ন রকম উপহার নিয়েও আসে। লোকটি আসলে রাহেলাও খুব খুশি থাকে। তাই বৃদ্ধার মনে আজকাল বেশিই ভয় হয় বৌটিকে ছেলের মত আবার হারিয়ে ফেলবে নাতো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর
ঘটনা ঠিকই আছে, কিন্তু উপস্থাপনাতে আরেকটু রাকঢাক করা যেত যেন পাঠকে ভাবনায় ফেলা যায় এবং সেটাই হয় লেখার মূর্ত বক্তব্য। আপনিতো সব খোলাসাই করে দিলেন। তবুও অনেক শুভকামনা আর আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।