রাত্রি। পৃথিবীতে পরিচয় দেবার মতো তার এখন আর কিছুই নেই। একসময় ছিল। মা-বোনের সাথে সুন্দর একটা জীবন ছিল। ধন-দৌলত, টাকা পয়সা না থাকলেও নিজের নামটা কাউকে বলতে গর্ব হতো রাত্রির। রাত্রি তখন ক্লাস ৯ এর ছাত্রী। পথে কোনো ইংরেজী পত্রিকার পাতা কুড়িয়ে নিয়ে আসতো। অন্যের বাড়িতে কাজ করে যখন রাত্রির মা-বোন ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরতো, তখন সেই পত্রিকার পাতা থেকে ফটফট ইংরেজী পড়ে মা-বোনকে আনন্দ দিত রাত্রি। খুব স্বপ্ন ছিল পড়াশুনা শেষ করে একটা বিরাট চাকরী করে মা-বোনের কষ্ট লাঘব করবে একদিন। নিজের একটা বাড়ি হবে। তবে সে বাড়িতে কোনো কাজের লোক রাখবেনা। নিজেদের কাজ নিজেরাই করবে। কারন মা-বোনকে দেখে রাত্রি জানে, অন্যের বাড়িতে যারা কাজ করে তাদের কস্টের পরিমান কত। আজ রাত্রির কাছে এসব শুধুই নিহত স্বপ্ন। কারন রাত্রি জানেনা যে চার দেয়ালের মাঝে বিছানায় রাত্রি বসে আছে, এ বিছানা কখনও রাত্রিকে ছাড়বে কিনা ! তবে রাত্রি এটা জানে, কিছুক্ষণের মধ্যেই দরজা ঠেলে ঘরে প্রবেশ করবে কোনো এক নতুন খদ্দের। নগ্ন করবে রাত্রিকে। কারন নগ্নতায় ছেয়ে আছে এ পুরো পতিতালয়। যেখানে রাত্রির মানুষ নামক জানোয়ার পিতা রাত্রিকে বিক্রি করে রেখে গেছে নিজের জুয়া আর বাংলা মদের টাকা জোগাড়ের জন্য। রাত্রি জানেনা তার ভবিষ্যৎ কি, তবে বর্তমান বলে এই নগ্নতাময় পতিতালয়েই কাটবে রাত্রির একেকটি দিনরাত্রি।।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।