হন হন করে হেটে গলিটা পার হয়ে গেলো রন। ওর চোখ দুটো ঢাকা আছে কালো রং এর আইভাইস* এ। এটি একটি ডিভাইস যা তার করোটির সাথে স্থায়ী ভাবে লাগানো আছে। মস্তিষ্কের টেম্পোরাল নামে যে হাড় রয়েছে সেটার সাথে সংযুক্ত।

সেই দিনটার কথা আদৌ মনে আছে আমার, সেদিন প্রথম সে এসেছিলো , আমার আঙ্গিনায় তার সুবাদে বাগ বাগিচায় বনে জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছিলো হরেক রকম ফুল, কারন তখন চলছিলো ফাগুনে নিয়ে আসা বসন্ত।

তবু কখনো সখনো তাকাতে হয় বৈকি আলোর কারিগরের দিকে। হয়তো তাই একদিন মুখোমুখি হই আমরা। দু' বছরের ছেলেটা সেদিন মায়ের অজান্তে লজেন্স কিনতে এসেছিল।

আমি মনে হয় সবথেকে বেশি অবাক হয়েছিলাম যেদিন সৌমিদের নতুন ফ্ল্যাটে গৃহপ্রবেশে সত্যনারায়ণ পুজো ছিল। কয়েকজন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম। সবাই প্রণাম করে প্রসাদ খেলাম। তুলনা কপালে হাত ঠেকিয়ে প্রণামও করল না, প্রসাদও খেল না। বলল সিন্নি খেতে ওর নাকি কেমন যেন লাগে। ঠিক সেই সময়ই লাগল সুমিতের সঙ্গে জয়শ্রীর এক ধাক্কা।

আমার বাচ্চাদুটোর ভালোবাসা সব দুঃসহ স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়। শুধু বছরের একটা দিন আমি নীলিমার নীল চোখ আর অন্ধ নীলিমাকে যেন আবার নতুন করে দেখি। জানি না কতদিন আর এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে আমাকে। হয়তো আমৃত্যু পর্যন্ত!

অসম্ভব সুন্দরভাবে নেচে চলেছে ‘দৃষ্টিকানন’ এর একাংশ। অসাধারণ বললেও কম বলা হয়ে যাবে। দর্শক সারির সবাই বিমোহিত হয়ে তাদের নাচ দেখছেন। মোটামুটি সবার চোখেমুখেই সন্তুষ্টির উপস্থিতি সুস্পষ্ট। একটু বেশি সন্তুষ্টি যার চোখেমুখে স্পষ্ট ছাপ ফেলেছে, সে প্রীতম।

দুহাত দিয়ে মুখটা ঢেকে ফেললাম। এরপর যখন আবার তাকালাম তারপর যা দেখলাম তার জন্য একে বারেই প্রস্তুত ছিলাম না।
চলে যাচ্ছে আমার অনু,

আজ শেষ বিকেলের চৈতের হাওয়াটা আমার কাছে বিলাসিতা লাগছে কেন? শুধু না পাওয়া ব্যাথা যন্ত্রনা কষ্টে ভরা এ জিবন আমার ধুধু মরুভূমি। আচ্ছা তোমার জন্য এই আমিটা হয়তো কিছুই করতে পারিনি?

ছেলে হিসেবে বেশ সাদামাটা জীবন শিশিরের।সে সারাদিন পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।তার এক জমজ ভাই আছে।তার নাম রাজন।সে খুব দুরন্ত।
সে আবার পড়াশুনাটাও ভালভাবে করে।তাদের বাবা সিরাজ সাহেব একজন সরকারী কেরানী।

জীবন থেমে থাকে না। সময়ের স্রোতে বয়ে চলে। কখনো কখনো গ্রীষ্মের ঝড়ো বাতাসে ধূলোর ঘূর্র্ণিপাকের মত পাক খায়। অজানা-অনিন্দ্য গন্তব্যে ধেয়ে চলে এভাবে। খরস্রোতা নদীর মত ভাঙা- গড়ার খেলায় মত্ত হয়ে বাক নেয় যথা-তথা।

পাগলীরে তোর পাগলামীতে
থাকি আমি মুগ্ধ,,,
মনের সাথে করে বেড়াই
দিবানিশি যুদ্ধ ।।

পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গে,সাধারনত এত ভোরে ওঠে না বিমলা।ও কেন এ বাড়ির ঘুম ভাঙ্গে একটু বেলায়।কাল অনেক রাত অবধি মেহফিল চলেছে।সারা শরীরে ক্লান্তি এবং ক্লেদ মাখামাখি।

লেখালেখির জগৎ খুললে দেখা যায় বিভিন্ন ধরণের লেখা, আমার মনে হয় সমস্ত মানুষ যখন এক জন ভাল মানুষ, বইয়ের বা সমচলোনার মাঝে বেড়ে উঠে তখন সে ঠিক এক জন মেধাবী হয়।

এইতো সেই দিনের কথা। সে দিনের সেই ছোট্ট আলো দেখতে দেখতে আজ ষোলতে পা দিয়েছে।আলো সময়ের সাথে সাথে হয়ে উঠেছে অবিশ্বাস্য পরিপূর্ণ সুঠাম দেহের অধিকারী।

টেবিলের ওপর এক রহস্যমানবী বসে আছে। দেখতে ভালই সুন্দর। কপালে একটি টিপ আছে। লালটিপ। পরনে লাল শাড়ি। খোঁপা বেঁধেছে চুলে। চুলগুলো বেশ বড় মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে হাঁটু পর্যন্ত। টানা টানা বড় বড় চোখগুলোতে কাজল মেখেছে।