ছেলে হিসেবে বেশ সাদামাটা জীবন শিশিরের।সে সারাদিন পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।তার এক জমজ ভাই আছে।তার নাম রাজন।সে খুব দুরন্ত। সে আবার পড়াশুনাটাও ভালভাবে করে।তাদের বাবা সিরাজ সাহেব একজন সরকারী কেরানী। কেরানী হলেও তিনি খুব নীতিবান।কারো কাছ থেকে এক টাকা ঘুষ নেননা।এজন্য তাকে অভাব অনটনেও থাকতে হয় বটে।সিরাজ সাহেবের স্ত্রী সালেহা খাতুন তার দুই ছেলেকে খুব ভালবাসেন।এ ভালবাসা অধিক মাতৃস্নেহ বলা চলে।তিনি তাদের সন্তানদের কোন দোষ দেখতে পাননা।রাজন প্রায়ই বাইরে গিয়ে ধূমপান করে।এ বিষয়ে তার কাছে একাধিকবার প্রতিবেদন এলেও তিনি তা হেসে উড়িয়ে দেন। সিরাজ সাহেব তাই তার স্ত্রীর উপর মাঝে মাঝে রাগ করে থাকেন।রাজন ধূমপান করতে করতে একদিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বাসার থেকে টাকা না পাওয়ায় সে চুরি করা শুরু করে।একদিন তার মায়ের গহনা চুরি করে।তার মা তাতে শুধু ক্রন্দনই করে।একদিন রাজন এক দোকান থেকে কিছু মালামাল নিয়ে পালায়।তাকে এলাকার লোকজন ধরার চেষ্টা করেও ধরতে পারেনা।তার ভাই শিশির বাইরে গেলে এলাকার লোক তাকে রাজন ভেবে মারধর করে ও পুলিশে দেয়।সিরাজ সাহেবের কাছে খবর গেলে তিনি পুলিশের কাছে ও এলাকাবাসীর কাছে সব খবর খুলে বলেন। রাজনের এক বন্ধু রাজনকে সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালাতে সাহায্য করে।পুলিশ কিন্তু তাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে।তাকে এক রেললাইনের ধারে পাওয়া যায়।সে পুলিশ দেখে পালাতে পালাতে নিজ বাড়িতে এসে পড়ে।বাড়িতে এসে সে তার আপন ভাইয়ের গলায় চাকু ধরে ও বলে যদি পুলিশ না চলে যায় তবে সে তার ভাইকে খুন করবে।আসলে তখন সে নেশায় পড়ে তার পরিবারের মায়া একদম শেষ করে ফেলে।অবশেষে সে পুলিশের মনযোগ তার থেকে সরানোর জন্য ভাইয়ের গলায় চাকু বসিয়ে পালাতে যায় ও পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।তার ভাইকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে বোবা ঘোষণা করে।সালেহা খাতুন তখন নিজেকে দুষতে থাকে তার ছেলে রাজনের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসের কারণে।তিনি তার দুই ছেলের জন্য ক্রন্দন করতে করতে নিজের এক চোখই একদিন নষ্ট করে ফেলেন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মৌরি হক দোলা
অন্ধ বিশ্বাস সত্যিই খুব খারাপ... ভালো লাগল... আরো সুন্দর গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম.... শুভকামনা...
প্রজ্ঞা মৌসুমী
গল্পের শুরুটা পড়তে ভালো লাগছিল। কিন্তু একটা সময় গিয়ে ঘেঁটে গেল মনে হলো। একটা সাদামাটা গল্প বর্ণনার জোরে উতরে যায়। আবার কখনো কাহিনীর জোরে। এখানে কোনটাই তেমন জোরালো নয়। লিখতে লিখতে অবশ্য একদিন হয়ে যাবে। দোকান থেকে কি এমন মালামাল নিয়ে পালিয়েছিল যে পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে জানালে স্পষ্ট হতো। তবে থিমটা ভালো। আমার সন্তান খারাপ মা হয়ে ভাবা যায়! মায়েদের প্রত্যাশা যে অনেক। অনেক শুভকামনা।
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া
যত কষ্ট মায়েদের। তাই প্রত্যেক বাবা-মায়েরই উচিত সন্তানেরা যেন সুসন্তান হয়। গল্পটি ছোট; কিন্তু গল্পের থিমটা সমসাময়িক সমাজেরই চিত্র-যেটি লেখক তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। পছন্দ, ভোট ও শুভকামনা রইল। আরো বেশী বেশী লিখবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।