লোকটার বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে তামান্না আমার কষ্টটা কমিয়ে দিয়েছিল। ওর স্পর্শ আমার মন থেকে কষ্টের কথা পুরোপুরি উধাও করে দিল।

সুলোচনা সমুদ্রের ধারে বসে আনমনা হয়ে ঢেউ এর পর ঢেউ দেখছে।একটানা ঢেউ দেখতে দেখতে কেমন যেন একটা নেশা হয়ে যায়। ওর গায়ের পাতলা চাদর ওর গা থেকে খুলে বালিতে লুটোচ্ছে।পড়ন্ত বিকেলের লাল আভা এসে পড়েছে স্থির মুখটায়।

ঠিকানাহীন হওয়া বড়ই বেদনার, অত্যন্ত কষ্টের, ভীষণ দুঃখের। কারো স্থায়ী ঠিকানা না থাকা অপরাধের পর্যায়ে পড়েনা, এটি একটি সামাজিক এবং রাষ্ট্রিয় ব্যর্থঁতা। দেশে আমাদের পূর্বপুরুষের ভিটে ছিল, বাড়ি ছিল, স্থায়ী ঠিকানা ছিল। সামাজিক এবং ধর্মীয় বৈষম্যের কষাঘাতে সে ঠিকানা বেদখল হয়ে গেছে।

আজ অবদি একটা পশুর দেহে আবদ্ধ থাকা তোর প্রাণটা এখন আত্মা হয়ে কোথায় গেছে কে জানে, আত্মা তো আর পশু নয়! তুই ভালো থাকিস্, নিশ্চই আমার সাথে তোর আবার দেখা হবে। দুঃখ করিসনা, তবে হ্যাঁ; আজকের দিনের জন্যে আমাকে ক্ষমা করে দিস্ ...

পৃথিবীর তাবৎ দুঃখমালা আমার বালিশে এসে ঠাই নিল ।
জীবনের সবচে অসহায় সময় আমায় আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেধে ফেলল ।।

সে পরিবারের সন্তান খেয়ে না খেয়ে, অন্যের ছেলে মেয়েকে পড়ায়ে নিজের পড়াশুনা চালিয়ে যায়, ভালো একটা ডিগ্রী নিয়ে সে কি করবে। এই প্রশ্নের জবাব দিবে কে?

সে তখন জানতে চেয়েছিল এখনো ছেলেটি আগের মতো স্বপ্ন দেখে কি না । অনেক কষ্ট অভিমান নিয়ে ছেলেটি বলেছিল “ স্বপ্ন দেখার দিনগুলো হারিয়ে গেছে তার” ।

ডায়রী লেখার শখ সাব্বিরের অনেকদিন থেকেই। বাবার উৎসাহে সে ডায়রী লেখা শুরু করে। আজও সাব্বির লিখতে বসেছে বাবার দেয়া কলমটি দিয়ে.....

পূর্ণিমা রাতের কেমন যেন আলাদা একটা অনুভূতি আছে। এখন আবার শরতকাল, চারদিক থেকে মাদকতা পূর্ণ একটা আবেশ আসে। সবাই খোলা আকাশের নিচে আড্ডা দিচ্ছে, একসাথে গান ধরছে,

কতো কথা কতো স্মৃতি
ভালোবাসা প্রেম প্রীতি
সব কিছু আজ যেন মিথ্যে,
পাগল করা হাসি যে তার
দেখতে চাইনা আমি আর
আগুন ধরিয়ে দেয় চিত্তে।

বারান্দায় চেয়ার পেতে বসে তাকিয়ে আছি বাইরের দিকে। বর্ষার শেষ মুহূর্ত। কাল থেকে শুরু হবে শরৎ। যদিও বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই। মৃদু বায়ে যেন বইছে শরতের স্নিগ্ধ হাওয়া। সে হাওয়া ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার প্রতিটি শিরা-উপশিরাগুলোকে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। চোখগুলো ঝাপসা হয়ে আছে ভেতরে ভেতরে।

গত দুই দিন হলো লতার মনটা ভালোনা। শুধু অতীতের স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে। মামুনের সাথে তার পূর্বের স্মৃতিগুলো ধরে রাখার তেমন কোন ছবি নাই। সেই প্রথম বিবাহিত জীবনের মাত্র একটি বা দুটি ছবি আছে।

আচ্ছা , আম্মু তুমি না আগের মত হাসোও না। তুমি হাসলে কিন্তু আমি টের পাই। আচ্ছা তুমি কি এখনো প্লান কর নাই , আমি আসলে তুমি আমার জন্যে কি রঙের চাদর কিনবে। আমার কিন্তু লাল খুব প্রিয়। কেন জানো আম্মু , কারণ আমি ঐ একটা রঙই সারাদিন দেখি – লাল।

রুহুম ঋজু কাধে হাত রেখে বলে - এনি প্রবলেম?
ঋজু রুহুমের দিকে অপলোক দৃষ্টিতে তাকায় কিছু একটা বলার চেষ্টা করে , কিন্তু বলতে পারেনা

দুঃখ-
ভবের হাটে এসেছিলাম
তিষ্ঠ ক্ষণকাল কাটিয়ে গেলাম
রেখে গেলাম ধনরত্ন
নিয়ে গেলাম ছাই ভস্ম...