জালালের দুঃখ

দুঃখ (অক্টোবর ২০১৫)

মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
  • ৪৯
জালাল সাহেবের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আফজাল সাহেব । তিনি বর্তমানে একটা এতিম খানার সুপার । তার রুমেই বসে কথা চলছিল দু’বন্ধুর মধ্যে । পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল আব্দুল । তার মতই এতিম খানার আর সব বসতি তাকে আবাল বলেই ডাকে । এবারেই সে এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছে । ছাত্র মধ্যম মানের হলেও বুদ্ধি-সুদ্ধি একটু কম, তবে সে খুবই সরল-সহজ প্রকৃতির । রাগটা একটু বেশী কিন্তু খুব সত্যবাদী । এরকম একজন ছেলেরই দরকার জালাল সাহেবের । এতিম খানার এই অনিশ্চিত একঘেয়ে জীবনটা আব্দুলের কাছেও অসহ্য মনে হচ্ছিল । রাজধানীর চাকচিক্যময় জীবনের হাতছানী তাই আব্দুলকে ভীষণ উৎসাহী করে তুললো । তাই জালাল সাহেবের কথা না ফিরিয়ে রাজী হয়ে গেল আব্দুল ।
যাক বাঁচা গেল ! জালাল সাহেব আর স্বপ্নার অনেক দিনের স্বপ্ন এবার সফল হতে চলেছে । তারা এবার তিন ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসিন্দা হবে ! যদিও জালাল সাহেব মাসের প্রায় বেশীর ভাগ সময়ই রাজধানী সহ বাইরে বাইরেই কাটায় । তবু পরিবার নিয়ে রাজধানীর বাসিন্দা হবার সাধটা তাদের স্বপ্নই থেকে গিয়েছিল ! আব্দুলের বিষয়টা জালাল সাহেব স্বপ্নাকে বলাতে স্বপ্না খুবই খুশি । অল্প বয়সে স্বপ্নার বিয়ে হয়েছিল । তাই তিন ছেলের মা হলেও বয়স চব্বিশ-পঁচিশের বেশী নয় । যেমন দুধে আলতা গায়ের রঙ, তেমনি সুন্দরীও কম নয় ! তাইতো জালাল সাহেব দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন, ঢাকার বাসায় কিভাবে ছোট ছোট তিনটি বাচ্চা নিয়ে তার স্ত্রী থাকবে ! একেবারেই অচেনা পরিবেশ, তার উপর নতুন জায়গা । বন্ধু আফজালের কথামত আব্দুলের মত একটা বিশ্বাসী ছেলে পেয়ে জালাল সাহেব এবার হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন ! আর কিছু না হোক, বাজার করা আর তার পরিবার কে অন্তত পাহাড়া দিয়ে তো রাখতে পারবে আব্দুল, এটাই আপাতত যথেষ্ট । পরের হিসেবটা পরে করা যাবে । এখন তো তিনি নিশ্চিন্তে ব্যবসা-বানিজ্য করতে পারবেন ! এটাই বা কম কিসে ।
জালাল সাহেব নানান দোষে দুষ্ট এক ধুরন্ধর প্রকৃতির মানুষ ! বেশ কিছুদিন হয় তিনি একটা সরকারী প্রতিষ্ঠানের ষ্টোর ক্লার্কের চাকুরী ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছেন । চাকুরীতে থাকা কালীনই তিনি দেখেছেন, কী ভাবে দুই নম্বর-তিন নম্বর-চার নম্বরকে এক নম্বরে পরিণত করতে হয় ! কোথায়, কী মশলার, কী পরিমাণ এবং কিভাবে প্রযোগ করতে হয়, সে অভিজ্ঞতা অর্জন করেই তিনি মাঠে নেমেছেন ! আর তার স্ত্রী স্বপ্না ! তার যেন স্বপ্নের আর শেষ নেই ! যেমন উচ্চাভিলাসী তেমনি ঈর্ষা পরায়ণ আর পরশ্রীকাতর ! তার চাইতে কেউ একটু বেশী ভাল থাকুক, কেউ একটু বেশী উপরে উঠে যাক, সেটা তার মোটেই পছন্দ নয় ! আর লোভ-লালসার তো হিসেবই নেই ! শুধু স্বার্থপরই নয়, কার্পণ্য দোষেও সে যথেষ্ট দুষ্ট ! পিছন দিক দিয়ে হাতি-ঘোড়া চলে গেলেও চোখের সামনে দিয়ে মশাও যেতে দিতে রাজি নয় ! তাই বলে নিজেদের বেলায় কিন্তু সে রকম নয়, বরং ঠিক তার উল্টো ! স্বামীর দু’হাতের উপার্জন, পারে তো সে দশ হাতে খরচ করতেও কোন দ্বিধা নেই !
আব্দুল ! রাজধানীর বাসিন্দা হয়ে এখন সে বেশ ভালই আছে । জালাল সাহেবের পুরাতন কাপড়-চোপড় কেটে-কুটে আবালের গায়ে চড়িয়ে দিয়েছে, সেই সাথে জালাল সাহেবের পুরাতন জুতা-চপ্পল-ছ্যান্ডেলও আবালের পায়ে বেশ মানিয়েছে । আবালও নিজেকে বেশ সাহেব সাহেব ভাবতে শুরু করেছে ! ভীষণ খুশি আবাল ওরফে আব্দুল ! বাবা-মার কথা ওর মনেই নেই ! জীবন সংসার আর মেয়ে মানুষের সঙ্গ বা সাহচর্য ওর জীবনে একেবারেই নতুন সংযোজন ! তাই নতুন এই বিষয় দু’টোকে মানিয়ে নিয়ে চলবার চেষ্টায় সে যারপর নাই মরিয়া ! কোন কাজে তার না নেই ! বলতে যা সময়, শেষ করতে তার কোন বিলম্বও নেই, ত্রুটিও নেই ! দারুন করিৎকর্মা ! সংসারের যাবতীয় ফাই-ফরমাস, বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেয়া, বাজার-সদাই, যখন যা হুকুম, বান্দা হাজির ! মালকিনের সংসারে খাবার যে বাহার, প্রতিদিন না হলেও আট-দশ পদের আয়োজন ! এক টেবিলে বসে খাওয়া ! সে এক অন্য রকম জীবন ! মালকিন কে ভাবী বলেই ডাকে আবাল !
বছর খানেক হয়ে এলো প্রায়, জালাল সাহেব পরিবার নিয়ে ঢাকায় এসেছেন, এরই মধ্যে আবাল- জালাল সাহেবের ব্যবসার কাজেও বেশ যোগান দিতে শুরু করেছে ! জালাল সাহেবের মোটর সাইকেল এখন বেশীর ভাগ সময় আবালের পাছার তলেই থাকে ! জালাল সাহেবের ব্যবসা-বানিজ্যের বেশীর ভাগ কর্ম-কান্ড পুরান ঢাকাতেই । তখন অবশ্য ঢাকা শহর এত জনবহুল ছিল না । তাই জালাল সাহেবকে পিছনে বসিয়ে নিয়ে আবাল বেশ স্বাচ্ছন্দে এবং মনের আনন্দেই সারা ঢাকা শহর চষে বেড়াতো । অল্প দিনের মধ্যেই ঢাকার অলি-গলি তার নখ-দর্পনে চলে এলো, আর বাড়তি হিসেবে সে জালাল সাহেবের ব্যবসা-বানিজ্যের খুটিনাটি অনেক কিছুই অল্প অল্প করে বুঝতে শুরু করলো ! জালাল সাহেবও খুব খুশি ! তখনও ঢাকার শহরে কর্মচারী খাটাবার মত সামর্থ তিনি অর্জন করেন নাই । তাই পেটে-ভাতের কর্মচারী হিসেবে আবাল যারপর নাই যুৎসই ! সে জন্যেই আবাল কে খুশি রাখতে মাঝে-মধ্যেই গুলিস্তানের ফুটপাথ মার্কেট থেকে এটা-সেটা কিনে দিতে জালাল সাহেব দারুন আন্তরিক ! তাতে আবালও মহাখুশি !
ইতোমধ্যে জালাল সাহেব তার স্থলে আবালকেই ঢাকার বাইরে তার ব্যবসা স্থলে পাঠানো শুরু করেছে । আবালও তার যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পেয়েছে । ধীরে ধীরে পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে, অনেক স্থানেই তার জায়গায় আবাল কে পাঠানোই লাভজনক মনে হতে থাকলো । কারণ আবালের হাতে কয়েকটা হলুদ খাম সহ পাঠালেই অল্প খরচেই কাজ হয়ে যায় । কোয়ালিটি সার্টিফাই করার জন্য কেমিষ্ট অথবা ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের হাতে দু’টো খাম আর অ্যাকাউন্টস সেকশনে দু’টো খাম ! ব্যাস ! অজুহাত একটাই, জালাল সাহেব অসুস্থ, তাই আব্দুলকে পাঠানো ! আর কোন কিছুর প্রয়োজন আছে কী ? ফটাফট মালামালের কোয়ালিটি চেক, বিল পাশ ও চেক হাতে পাওয়া কোন ব্যাপারই নয় ! ব্যাংকের লোকাল শাখায় চেক জমা দিয়ে কখনও ডি ডি আবার কখনও ব্ল্যাঙ্ক চেকে টাকার অঙ্কটা বসিয়ে দিয়ে ব্রিফ কেস ভর্তি ক্যাশ টাকা নিয়ে অভ্যান্তরীন ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে দে ছুট্ । আবালের দারুন পারফরমেন্সে জালাল সাহেব এবং তার বিবি ভীষণ খুশি এবং আশ্বস্তও বটে !
ব্যবসার সুবাদেই চিটাগাং, সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অভ্যন্তরীন রুটে বিমানের যাত্রী হওয়াটা আবালের কাছে এখন ডাল-ভাতের মত ! আবালকে আর পায় কে ! কুয়োর ব্যাঙ সাগরে পড়ে আবালের এখন তাল-বেতাল অবস্থা ! ভুলে গেল তার অতীত জীবনের সকল পাওয়া-না পাওয়ার বেদনা । এখন তার প্রায় স্বর্গবাস সম জিন্দেগীকেই সে বড় করে দেখছে । ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববার ফুরসৎ কোথায় তার ! মাঝে-মধ্যে দুই একটা সিনেমা দেখা আর সিগারেট বাবদ দুই-চার পয়সা ছাড়া তার তো কোন খরচই নেই ! তার কাপড়-চোপর, জুতা-ছ্যান্ডেলের জন্য তো মালিক-মালকিনের গুলিস্তানের ফুটপাত শপিং মল আছেই !
সব কিছুই বেশ ঠিকঠাকই চলছিল । কিন্তু ধুরন্ধর জালাল সাহেব আর তার কুচক্রী বেগম সাহেবা আবাল কে আরও কৃতজ্ঞতা পাশে আষ্টে -পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার জন্য ছোট্র একটা সাজানো ঝামেলায় ফেলে দিয়ে ঢুকিয়ে দিল চৌদ্দ শিকের ভেতরে ! আবার নিজেরাই কিছু খরচা-পাতি করে আবালকে বের করে নিয়ে এসে আবালের কাছে রিতিমত হয়ে গেল মহা-মানব ! এতে করে এমন কাজ হলো যে, তাদের প্রতি আবালের কৃতঞ্জতা প্রকাশের ধরণই পাল্টে গেল ! আবালের কাছে এখন এমন অনেক কাজই এতটাই সহজ হয়ে গেল, যা মেম সাহেবার পেটের ছেলের কাছেও অসম্ভব বলে মনে হ’তো ! তাদের পরিকল্পনার সফলতা দেখে মালিক-মালকিনও দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত হ’লো ! এতদিনে জালাল সাহেব অনুভব করলেন, বাড়ীর কাজের কোন ঝামেলা আবালের উপর না চাপিয়ে অন্য কাউকে সে সব কাজের দায়িত্ব দেওয়াই শ্রেয় । কেননা ইতোমধ্যেই জালাল সাহেবের কর্মচারী খাটানোর মত সামর্থ হয়ে গেছে । তা ছাড়া আব্দুল আবাল হলেও এখন আর সে ‘র’ ম্যাটেরিয়ালস নয়, রিতিমত ‘ফিনিশড গুডস !’
ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে জালাল সাহেবের ব্যবসা-বানিজ্য ! দেশী পণ্য-কিনে হও ধন্য, শ্লোগানের অজুহাতে এমন কিছু কিছু ব্যবসার উপর এখন তিনি একচেটিয়া ভাবে আধিপত্য বিস্তার করে বসেছেন, যেখান থেকে মাসে মাসে লক্ষ-লক্ষ টাকা উপার্জন করা তার কাছে কোন ব্যাপারই নয় ! কারণ এসব ব্যাবসায় এখনও তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী গড়ে ওঠেনি ! ফলে জালাল সাহেব এখন ছাই ধরলেও সোনা হয়ে যায় । কোন কোন মানুষের জীবনে এরকম সময়ও কখনও কখনও আসে, যেমন এসেছে জালাল সাহেবের জীবনে ! কোন পণ্যের আমদানী কারক না হয়েও আমদানী কারকদের চাইতে কম মূল্যে জালাল সাহেব যখন আমদানী কৃত পণ্য আমদানীকারকদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোথাও সরবরাহ করেন, তখন আর আমদানীকারকগণ অবাক না হয়ে পারেন না । কিন্তু আফসোস করা ছাড়া তাদের আর কিছু করার থাকে না । কারণ এর ভেদ বা রহস্য কেবল উপরওয়ালা, জালাল সাহেব আর আবাল ছাড়া অন্য কারো জানা নেই ! এ কারণেই দিনে দিনে জালাল সাহেবের ভেতরে আবালকে হারাবার ভয় পেয়ে বসতে থাকে ! কিন্তু জালাল সাহেব কিছুতেই তা হতে দিতে রাজি নন । ফলে শুরু হয় মালিক-মালকিনের নতুন ষড়যন্ত্র ! আবাল যেন আমৃত্যু তাদের সেবাদাস হয়ে থাকে তারই ব্লু প্রিন্ট তৈরী করে ফেলে জালাল সাহেব আর তার প্রিয়তমা বেগম সাহেবা !
এতিম খানায় বেড়ে ওঠা আব্দুলের কোন স্বপ্ন ছিল না ! স্বপ্ন কী বা কেমন করে দেখতে হয় তাও তার জানা ছিল না বলেই তো সে আব্দুল থেকে আবালে পরিণত হয়েছিল । তার জন্যে স্বপ্ন দেখা যে পাপ, এতদিনে আব্দুল সেটাই অনুভব করলো, যখন নতুন করে স্বপ্ন দেখার শক্তি, সাহস আর উৎসাহ তার অবশিষ্ট রইলো না । আবাল আরও যা অনুভব করলো তা হ’লো, আব্দুল রা পৃথিবীতে আসেই শুধু আবালের মত সাহেবদের আব্দুল হবার জন্যে, সাহেব হবার জন্যে নয় !
জালাল সাহেব আর তার মূর্খ বেগম ভেবেছিল, তাদের এবারের পরিকল্পনাও সফল হবে । কিন্তু মানুষ একের পর এক সফলতা অর্জন করতে করতে এক সময় বুঝি নিজেকেই স্রষ্টা ভাবতে শুরু করে আর সেটাই হয়ে যায় তার জন্য কাল ! ন্যায়-অন্যায় বাদ-বিচার করার মত ক্ষমতাও তাদের আর অবশিষ্ট থাকে না । ফলে এমন কিছু কিছু কর্ম-কান্ড তারা তাদের নিজেদের অজান্তেই করে বসে যা হয়তো স্রষ্টার কাছে তার সৃষ্টির সীমা লঙ্ঘন বলেই মনে হয় ! যে কারণেই হয়তো সৃষ্টি পেতে থাকে তার অপকর্মের বিরূপ ফল ! যদিও আব্দুলের মত নির্বোধেরাও অপরাধ না করেও আমরণ যন্ত্রণার শিকার হতেই থাকে ! এটাও হয়তো মহান স্রষ্টারই সৃষ্টির গভীর রহস্যেরই কোন নিরব প্রকাশ !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পন্ডিত মাহী শেষে একটা পরিকল্পনার কথা ছিলো। কিন্তু সেটা কি? অতি নাটুকে উপস্থাপনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে।
আপনার দারুন মন্তব্যে ভীষণ ভাবে প্রীত হলাম , সেই সাথে অনুপ্রাণিতও । শেষের পরিকল্পনা নিয়ে না হয় আরেকটা গল্প লেখা যাবে । আপনার প্রতি রইল অফুরন্ত ভালবাসা আর শুভ কামনা ।
রেজওয়ানা আলী তনিমা ভালো লাগলো।শেষেরটা আরেকটু বিস্তারিত হলে আরো ভালো লাগতো। কিভাবে পতন হলো আব্দুলের সাহেবের?
আপনি আমার গল্পটা খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছেন, এ জন্য আপনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ ।আর বিস্তারিত লিখতে গেলে তো আসলে আরেকটা গল্প হয়ে যাবে । তবে সংক্ষেপে এটুকু বলা যায় যে. গল্প তো গল্পই, তারপরও আমরা জানি, অহঙ্কারই পতনের মূল এবং ষড়যন্ত্রকারীকে আল্লাহ মোটেই পছন্দ করেন না । পরিশেষে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা ।
এফ, আই , জুয়েল # বেশ ভালো---, অনেক সুন্দর গল্প ।।
আপনার মন্তব্যটাও ভারী সুন্দর ! অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল ।
শামীম খান সুন্দর গল্প লিখেছেন । বক্তব্যপ্রধান । হাজারো জালালে সমাজটা ছেয়ে গেছে .....................।ভোট দিয়ে গেলাম । সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ।
আপনার ধারাবাহিক অনুপ্রেরণা আমাকে আরও সমৃদ্ধ করুক, এই আশায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আপনার মঙ্গল কামনা করছি ।
মোজাম্মেল কবির শেষ পর্যন্ত জালালের দুঃখের পরিণতি খুঁজেছি... খুঁজেছি দুঃখটাও... । অসমাপ্ত মনে হয়েছে গল্পটা। ভোট এবং শুভ কামনা রইলো।
আমার গল্পটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার মন্তব্যের মাঝে পেলাম অন্যরকম একটা অনুপ্রেরণার স্বাদ । খুব ভাল লাগল । আপনার জন্য রইল শুভ কামনা এবং কৃতজ্ঞতা ।
ফয়সল সৈয়দ বেশ ভাল লিখেছেন। লিখতে লিখতে ভাবছিলাম কোথায় গিয়ে থামবে কিংবা মোড় ঘুরবে। মাঝখানে প্যারাগুলো উল্লেখ করা মতোন কিভাবে ক্রমে ক্রমে একজন লোক সিঁড়ি বেয়ে উঠছে শিকড় থেকে শিরে। বানান ভুলের ব্যাপারে আরো যত্ন হলে ভাল হবে; পাহাড়া /পাহারা, রিতিমত/রীতিমত। শুভ কামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার লেখাটি কষ্ট করে পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য । সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বানান সংশোধন করে দেবার জন্য । ভাল থাকবেন সব সময় ।

০৭ সেপ্টেম্বর - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী