ঠিক যেন বনলতা সেন!
পাখির বাসার মতো ডাগর ডাগর দুটি চোখ। শিল্পীর তুলিতে আঁকা তাতে মসৃণ, নিমেষ ভ্রæ যুগল।

ট্রেন উঠে বুঝতে পারি যে আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। আমি আর আমি নই। আর.কে সিং নামের ৪৬ বছরের একটা অশরীরী আমার ওপর ভর করেছে।

আমি সবকিছুই গুছিয়ে নিচ্ছি । ছোট্ট একটা ঘর হবে আমাদের। দেয়াল ভর্তি আমার আকাঁনো ছবি,মাটির রকমারি জিনিস,ফুলের টব।

জয়ের মাথা আজকে প্রচণ্ড গরম। অসম্ভব রকম খিঁচড়ে আছে তার মেজাজ। সবকিছু তার ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে করছে। ইচ্ছে করছে... একবার,

পল্টু ও রঞ্জু দুই বন্ধু। এক সাথে গ্রামের স্কুলে পড়ে। নিজেদের মধ্যে খুব ভাব। যাকে বলে একেবারে গলায় গলায় বন্ধুত্ব। স্কুলের শিক্ষকরা পর্যন্ত তাদের বন্ধুত্ব দেখে মানিকজোড়

গত কয়েকদিন যাবত স্নেহা তৌহিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে । কিন্তু, করা যাচ্ছেনা । কারণ, তৌহিদ যে ফোন নাম্বার দিয়েছিল, তা প্রায় সময়ই বন্দ থাকে ।

সততা ছিল। বিনয় ছিল। আর এখন --- আর এখন এসব কিছুই নেই। সব কিছু যেন কিসের টানে ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। উইপোকার ঢিবির মত।

হঠাৎ বিস্ময়ঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রাতঃভ্রমণ শেষ করে বাসায় ফিরছি। টি এস সি’র পাশের ফুটপাতে দেখি এক কমলাবিক্রেতা এই সাতসকালেই বসে গেছে কমলার ঝুড়ি নিয়ে।

মামা এলেন গ্রাম থেকে শহরে ডাক্তার দেখাবেন বলে। দীর্ঘদিন রোগে আক্রান্ত। বয়সের তুলনায় বেশি বুড়ো হয়ে গেছেন মনে হয়। দেশের বিখ্যাত ডাক্তারদের তালিকা জোগাড় করেছেন।

পৃথিবীর আদি সকালকে রূপাš—র করে ব্যাকুল কামনার আকাক্সখায় ধীরে ধীরে শুভ আর অশুভের স্পর্শে কোলাহল পূর্ণ সকাল জেগে উঠছে। বিচিত্র ফুলের গন্ধে প্রকৃতি জেগে উঠছে।

বাঁধন দেখতে যেমন মিষ্টি, দুষ্টুমিতেও হয়েছে সবার সেরা। খুব রাগ। ইচ্ছের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে যায় না কারণ কান্নাকাটি একবার শুরু করে দিলে দুবেলা

সবাই দৌড়ে যাচ্ছে, চারদিকে হুলস্থুল কাণ্ড। কেউই কিছু বলতে পারছেনা। একজনের দেখাদেখি অন্যজনও ছুটছে। শেষ পর্যন্ত গন্তব্যস্থানে এসে সবার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল!

আমার অফিসের ফ্রেঞ্চ পলিশ করা মেহগনি ডেস্কের উপর তিনটে জিনিস আছে। একটা কমলা রঙের টেলিফোন, একটা কাঁচের পেপার ওয়েট, রেবেকা

এখানে সবাই— আমার মতোই
প্রজ্বলিত স্বার্থপর।

শহরের দুই নামকরা গুণ্ডা তুফান ও সীজার । সাধারণত বিপরীত পক্ষ পরস্পরের মিত্রপক্ষ হয় । কিন্তু এখানে তা নয় ।দুজনে দুজনের চরম স্ত্রু । কে কাদের কত লোক মারতে পারে-- এই নিয়ে প্রতিযোগিতা হরদম