সততা ছিল। বিনয় ছিল। আর এখন --- আর এখন এসব কিছুই নেই। সব কিছু যেন কিসের টানে ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। উইপোকার ঢিবির মত।

বাঁধন ছিঁড় না বন্ধু।
কথা দিচ্ছি তোমায়-

বৈরি হাওয়ার মাঝে জমে উঠেছিলো প্রেম ...
দুই দেশের ভাঙনের মাঝে যুদ্ধে ওঠে জমে সেই ভালোবাসা

আজ এয়ারপোর্ট রোডটা একদম ফাঁকা মনে হচ্ছে। বুলেট ট্রেনের গতিতে এগিয়ে চলেছে আমাদের সিএনজি। কাজীর দেউড়ি হয়ে লালখান বাজার ক্রস

তোমার সাথে আমার পরিচয় ছিল
এ বিষয়টা ভুলে যেতে চাইছি,

শেষাংশে এখনো চৈত্রের লেলিহান স্রোত
সেখানে বৈশাখী মেঘে ডুব দেয়া

দিকভ্রষ্ট কোন না কোন দিকেই বালুকা সঞ্চয় করে
তাতেই পাহাড় প্রমাণ চোখ রাঙানি দিগন্ত গড়ে নেয়

জীবনালেখ্যর নাতিদীর্ঘ খতিয়ান মূলে
এখন ও জীবন প্রদীপ জ্বলে জোনাকীর মত

আমিহতাশ-নিরুপায়,
একঅদ্ভুদঅজানাভয়ার্তভাবনায়।

পল্টু ও রঞ্জু দুই বন্ধু। এক সাথে গ্রামের স্কুলে পড়ে। নিজেদের মধ্যে খুব ভাব। যাকে বলে একেবারে গলায় গলায় বন্ধুত্ব। স্কুলের শিক্ষকরা পর্যন্ত তাদের বন্ধুত্ব দেখে মানিকজোড়

দ্বিমুখীতার কোন সুত্র নেই আমার মাঝে
কূলমান কিংবা জাতের ধার ধারিনী কখনো

সত্যি এমন একজন মানুষ হয় না। একসাথে আন্দোলন করেছি। সমান অধিকারের আন্দোলন। একসাথে জেল খেটেছি। দাদা স্বপ্ন দেখিয়েছে
-দেখিস মোল্লা এই দেশে একদিন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবে না।

যেদিকে চোখ যায় আমার ; দেখি শুধু –
বৈরিতা । বৈরিতা করে ভূবনে যে কেউ,

মস্তিষ্কের হার্ডডিক্স থেকে
সব মুছে দিয়েছি

টিনের বাক্্রটা পড়েছিল একরকম ফাঁকা। মধ্যে একটা টুপি, তজবিহ্ আর লম্বা পাঞ্জাবিটা ছিল ফিতে ছাড়া। বাক্্রটা ছিল মসজিদের ঈমামের । যিনি পালিয়েছিলেন ভয়ে।