দুই মাস আগে এই ঘরে একটা মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ইন্দোনেশীয়ান খাদ্দামা জামী ছিলো অবিবাহিতা। সামনের ছুটিতে দেশে গেলে তার

মায়ের পায়ে কড়া পড়ে গেছে। বেঁকে গেছে শরীর। বাম দিকে কোন শক্তি নেই। ডান পায়ে ভর দিয়ে অন্য হাতে লাঠি ধরে কোনমতে শরীরের ভর সামলেছেন মা।

হৃদিলা'র গলা দিয়ে স্বর বেরুচ্ছেনা। চোখদুটো বড় বড় করে সে প্রাণপনে চিৎকার করার চেষ্টা করছে কিন্তু তার নরম গলা দু'হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে লোকটা।

বিতি বিরক্তিতে ডাকল – দেখো না বাবা এইটুকু জায়গায় , পা ফেলা যাচ্ছে না তাও কত পিঁপড়ে । তিলতলায় এরা এল কি করে ?

ফুটপাতের এক কোণে ঘুমিয়ে থাকে বশির । ভাল জায়গাগুলো বড়রা দখল করে ঘুমায় । ও তো ছোট, আর গায়ে জোরও নেয় যে ওদের সাথে ভিড়বে । এখানেও দখল হয়,

কানিজের হাতটা খুব ঠাণ্ডা ঠেকলো আজ। প্রতিদিনের চেয়ে একটু বেশি। আজ কি রুমের তাপমাত্রা অনেক কম করে রাখা হয়েছে? না। এসি'র তাপমাত্রা প্রতিদিনের মতো

ডাইনিং রুম আর ড্রয়িং রুমের মাঝামাঝিতে রেখে দেওয়া সুদৃশ্য দেয়ালঘড়িটায় চোখ পড়ল সায়মার। তিতা হয়ে গেল মেজাজটা। সময়ের সাথে কি তার যুদ্ধ শুরু হলো?

আবুল কালামের সামনে এখন দুইটা বড় চিন্তা। একটা তার নিজের শরীর নিয়ে। আর একটা ছেলেকে নিয়ে। ছেলে এইবার ম্যাট্টিক দেবে। বাড়তি টাকার দরকার।

জকি ল্যংড়ার তিন কূলে কেউ নেই! বয়সটাও বেশ হয়েছে পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই! চার হাত পায়ের উপর ভর দিয়ে তাকে চলতে হয়! চলাফেরার সময় হাতে পায়ে

রাত্রির আঁধার ভাঙতে ভাঙতে ভোরের আযান আর সকালের কাঁচারোদ পৃথিবীর পিঠ বেয়ে ধ্বনিত ও জেগে উঠছে। কালো ও গুপ্ত ছায়াবেষ্টিত বৃত্তবানের কল্যাণ

ভোর রাতে বিকট একটা শব্দে অলকার ঘুম ভেঙে যায়। অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে শম্ভুকে পায় না। ছেলে মেয়ে দুটো অঘোরে ঘুমোচ্ছে।

গত নভেম্বরে ঢাকায় এসেছিলাম চাকুরীর সন্ধানে। এর আগের মাসের ১১ তারিখ ‘হ্যাপী’ বাড়ি চলে গিয়েছিল। খবর পেয়েছিলাম তিন মাস পর বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে আবার আসবে।

হাঁটি হাঁটি পা পা করা শিশুর হাত ধরে বাবা ভুলে যান সারাদিনের শ্রম ক্লান্তি। প্রতিদিন কাজে ছুটেন নতুন উেদ্যাম। মায়াভরা শিশুর মুখটি ফুটে উঠতেই