রাত্রির আঁধার ভাঙতে ভাঙতে ভোরের আযান আর সকালের কাঁচারোদ পৃথিবীর পিঠ বেয়ে ধ্বনিত ও জেগে উঠছে। কালো ও গুপ্ত ছায়াবেষ্টিত বৃত্তবানের কল্যাণ

পৃথিবীটা যেন আজ একেবারেই অন্ধকারে ঢেকে গেছে। বাঁচার শেষ নেশাটুকুও ধুলোতে লুটোপুটি খাচ্ছে। নেশা ছুটে যেতে যেতে নাড়া দিয়ে যায় জীবনের গল্প।

হাঁটি হাঁটি পা পা করা শিশুর হাত ধরে বাবা ভুলে যান সারাদিনের শ্রম ক্লান্তি। প্রতিদিন কাজে ছুটেন নতুন উেদ্যাম। মায়াভরা শিশুর মুখটি ফুটে উঠতেই

আবুল কালামের সামনে এখন দুইটা বড় চিন্তা। একটা তার নিজের শরীর নিয়ে। আর একটা ছেলেকে নিয়ে। ছেলে এইবার ম্যাট্টিক দেবে। বাড়তি টাকার দরকার।

ফজর নামাজের আযান ভেসে আসে পাশের মসজিদ থেকে । তারই সাথে ঘুম ভেঙ্গে যায় শরিফার । গতকাল তাকে খুব ভোরে প্রস্তুত থাকতে বলেছিল -

জকি ল্যংড়ার তিন কূলে কেউ নেই! বয়সটাও বেশ হয়েছে পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই! চার হাত পায়ের উপর ভর দিয়ে তাকে চলতে হয়! চলাফেরার সময় হাতে পায়ে

শিশির সিক্ত শুভ্র সকাল। শীতার্ত প্রকৃতি। কুয়াশার ঘোমটায় আবৃত সূর্য। মুক্তির অকৃত্রিম প্রয়াস। ঘুমের রাজ্যে নিমগ্ন ঘুমপুরীর প্রতিটি প্রাণ,সঙ্গে আকাশ ছোঁয়া অট্টালিকা

জমির উদ্দীন কাপড় মেলছে।।।। আমি তাকে বললাম , “চাচা কাপড় মেলছেন ক্যান”? তিনি আমাকে বললেন, “ সবই আমার কপালরে বাবা , সবই আমার কপাল,

হৃদিলা'র গলা দিয়ে স্বর বেরুচ্ছেনা। চোখদুটো বড় বড় করে সে প্রাণপনে চিৎকার করার চেষ্টা করছে কিন্তু তার নরম গলা দু'হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে লোকটা।

মানুষের সব আশা পূরণ হয় না। কোনো কোনো আশা অপূর্ণ থেকেই যায় । তবে আমার বেলাতে এর ব্যতিক্রম হবে কেন? আমারও অধিকাংশ চাওয়াই পূরণ হয়েছে।

ভোর রাতে বিকট একটা শব্দে অলকার ঘুম ভেঙে যায়। অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে শম্ভুকে পায় না। ছেলে মেয়ে দুটো অঘোরে ঘুমোচ্ছে।

ফুটপাতের এক কোণে ঘুমিয়ে থাকে বশির । ভাল জায়গাগুলো বড়রা দখল করে ঘুমায় । ও তো ছোট, আর গায়ে জোরও নেয় যে ওদের সাথে ভিড়বে । এখানেও দখল হয়,

সিগারেটের জন্য পকেটে হাত দিয়ে হতভম্ব হয়ে যায় আতিক। গতকাল তার খোলা প্যাকেটে চারটি সিগারেট ছিল। ইদানিং সিগারেট কমিয়ে দিয়েছে সে দিনে সাত