মায়ের পায়ে কড়া পড়ে গেছে। বেঁকে গেছে শরীর। বাম দিকে কোন শক্তি নেই। ডান পায়ে ভর দিয়ে অন্য হাতে লাঠি ধরে কোনমতে শরীরের ভর সামলেছেন মা। কোমরে এখন আর বল নেই। এ কয়েক বছর আগের কথা। এখনকার কথা বলব! মা আমার বিছানায় শয্যাশায়ী টানা এক বছরের বেশি। শুয়ে থাকতে থাকতে তার কোমরে চামড়া কুঁচকে গেছে। কোমড় তুলতে পারেন না। দিন-রাত সারাটা সময় বিছানায় শোয়া। এ নিয়েই আমার গল্প
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাসরিন চৌধুরী
আপলোড অপশনে না দিয়ে বিস্তারিত ঘরে ওয়ার্ড থেকে লেখা কপি পেস্ট করুন।তাহলে সমস্যা হবেনা।
মোহাম্মদ আবুল হোসেন
আমার মূল লখোটি এখানে প্রকাশ করা হয় ন।ি এটি শুধু ‘গল্প/কবতিার বণনা। মূল লখোটি ‘ফাইল আপলোড করুন’-এ আপলোড করা হয়ছেলি। জানি না কনে এমনটা হলো। স্বল্প সময় আমি যােগ দয়িছেি এই সাইট।ে এ রকম আচরণ ইচ্ছাকৃত করা হলে আমি আর লখিতে উৎসাহ হারাবো। এখানে আমি মূল লখোটি পস্টে
নিস্বাথর্ শ্রমিকের গল্প
মোহাম্মদ আবুল হোসনে
মায়রে পায়ে কড়া পড়ে গছে।ে বঁেকে গছেে শরীর। বাম দকিে কোন শক্তি নইে। ডান পায়ে ভর দয়িে অন্য হাতে লাঠি ধরে কোনমতে শরীররে ভর সামলছেনে মা। কোমরে এখন আর বল নইে। এ কয়কে বছর আগরে কথা। এখনকার কথা বলব! মা আমার বছিানায় শয্যাশায়ী টানা এক বছররে বশে।ি শুয়ে থাকতে থাকতে তার কোমরে চামড়া কুঁচকে গছে।ে কোমড় তুলতে পারনে না। দনি-রাত সারাটা সময় বছিানায় শোয়া। খাওয়া, নামাজ আদায়, এর ওর মুখ দখোÑ সবই ওই বছিানায় শুয়।ে এর চয়েে আর কষ্ট কসিে হতে পার!ে আমি মার কথা বলছ।ি কনে আজ তার এমন অবস্থা, জানতে চাইবে না?
আমাদরে সংসার ছলি প্রচ- অভাবী। কল্পনাও করা যায় না কি এক ধ্বংসস্তূপরে ভতির থকেে উঠে এসছে।ি আমার পতিামাতার জমি বলতে একমাত্র বসতভটি।ে তাও মাত্র ১৩ শতাংশরে। এর বাইরে জমি বলতে আমাদরে আর কছিুই ছলি না। বাবা অন্যরে খতেে কাজ করতনে। দনিমজুরি দয়িে যা কামাই করতনে তাতে কোনমতে সংসার চলতো। কন্তিু তনিি একদনি কাজে না গলে,ে অসুস্থ থাকলে আমাদরে আর মুখে হাত যতে না। অনাহারে কাটাতে হতো দনিরে পর দনি। বশ্বিাস হচ্ছে না! নরিটে সত্য কথা। এভাবে যখন আমার পতিা সুজন ময়িা একবোরে অসুস্থ হয়ে পড়নে তখন আমাদরে আর কোন উপায় থাকে না। অনাহারে দনি কাটতে থাক।ে উপায় না পয়েে ঘন্টায় ঘন্টায় টউিবওয়লে থকেে পানি পান কর।ি অতরিক্তি পানি পান করলে তা স্বাস্থ্যরে জন্য ক্ষতকির তা তখন জানা ছলি না। তো ওইভাবে পানি পান করতে গয়িে একদনি বমি হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ে থাক।ি এ অবস্থা দখেে মা আলয়ো আর বসে থাকতে পারলনে না। ওদকিে আমরা তনি ভাইবোন স্কুলে পড়।ি বড়ভাই ইকবাল ভীষণ মধোবী। বাড়তিে খাবার সঙ্কট। তাই তনিি চলে যান লজংিয়।ে পাশরে গ্রামে লজংি থকেে পড়াশোনা করতে থাকনে। এক র্পযায়ে প্রাথমকি বৃত্তি লাভ করলনে ভাই আমার। তার নাম ছড়য়িে পড়ল অজপাড়া গাঁয়।ে চারদকি থকেে লোকজন তাকে দখেতে এল। তা দখেে আমাদরেও উৎসাহ বড়েে গলে। পড়াশোনা করলে মানুষ এত সম্মান কর!ে এত ভালবাস!ে তাই আমরাও আঁটোসাঁটো পড়াশোনা শুরু কর।ি আমওি প্রাথমকিে বৃত্তি পয়েে যাই। যখন এ খবর পলোম তখন বুকরে ভতিরটা কয়কে মনিটি স্তব্ধ হয়ে গয়িছেলি। দম টানতে পারছলিাম না। হাসবো না কাঁদবো ভাবতে পারছলিাম না। বাবা সুজন ময়িাকে এ খবর বাজার থকেে প্রধান শক্ষিক রশদি খান জানয়িে দয়িছেনে। সদেনি বাবার চোখে মুখে যে হাস,ি যে চঞ্চলতা, যে অস্থরিতা দখেছেি তা র্বণনা করার ভাষা আমার নইে। বাড়ি ফরিে মাকে যখন বললাম বৃত্তরি খবর। মা কঁেদে ফলেলনে। এই যখন অবস্থা তখন আমাদরে পড়ালখো যাতে বন্ধ না হয় তাই মা আলয়ো একদনি অন্যরে বাড়ি কাজ নলিনে। গ্রামরে মাতব্বর আলম। তার বাড়তিে ঝয়িরে কাজ। তাতে লাভ হলো না। এ কাজ করে শুধু তনি বলো তনিমুঠ খাবার পান। তা বাড়ি এনে ভাগ করে সবার মুখে যা জোটে তাতে ক্ষুধা আরও তীব্র হয়। মা উপায় খুঁজতে লাগলনে। তনিি দখেলনে মাতুব্বর বাড়রি সদ্ধি ধান বাজারে নচ্ছিে ভাঙয়িে চাল করত।ে মা বললনে, এগুলো আমাকে দনে। আমি ঢকেতিে ভনেে দইে।
মাতুব্বররে বউ রূপবান রাজি হয়ে গলেনে। এক ধামা ধান ভনেে দলিে বতেে সরেরে আধা সরে চাল দবেনে। এই চুক্ততিে মা আলয়ো মাতুব্বর বাড়রি ধান ভানা শুরু করলনে। সইে সকাল বলো বরেয়িে যান। সারাদনি ধান ভাননে। ক্ষুধায় তার শরীর বঁেকে আস।ে কন্তিু তনিি হলেনে না। একরে পর এক পা চালাতে থাকনে ঢকেতি।ে চোখে তার স্বপ্ন। তনিি বমর্িূত পদায় দখেনে তার ছলেরো দশেরে সরো শক্ষিতি। ভাল চাকরি করছ।ে শহরে থাক।ে কারো কাছে হাত পাততে হয় না তাদরে।
ধান ভনেে সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফরেনে একসরে বা দু’সরে চাল নয়িে তখন তার চোখ দুটো অক্ষকিোটর থকেে যনে বরেয়িে আসছ।ে দাঁড়াতে পারছনে না ঠকিমতো। শুকনো কলার পাতার মতো তার দহে দুলছে এদকি ওদকি। সইে অবস্থায় খালি পটেে গোসল সরেে আসনে। আবার বসনে চুলার পাশ।ে যে চাল নয়িে এসছেনে তার র্অধকেটা ধুয়ে দনে চুলায়। মাতুব্বর বাড়ি থকেে ফরোর পথে দুটি ধুন্দল এনছেনে চয়ে।ে তা এক পাতলি পানতিে দয়িে ঝোল করে রান্না করনে। কোন মাছ নয়, কোন মাংস নয়, ডমি নয়Ñ শুধু সাদা পানরি ঝোল। তা দয়িে রাতে আমাদরে পাতে খাবার তুলে দনে। আমরা হাপুস হুপুস করে তা খতেে থাক।ি মা তাকয়িে থাকনে মুখরে দকি।ে নজিরে জন্য তনিি ভাত রখেছেনে কনিা তাও তখন খােঁজ রাখার মতো বুদ্ধি হয় ন।ি কি র্স্বাথপর আমরা তাই না! এভাবইে রাত যায়, দনি আস।ে র্সূয্য ডোব।ে র্সূয্য ওঠ।ে মা-ও একইভাবে খটেে যতেে থাকনে। মাতুব্বর বাড়ি যদেনি ধান ভানা থাকে না সদেনি অনকে কষ্ট হয়। আগরে দনি যে চাল জমা করছেলিনে তার সঙ্গে কলার থোড় কুঁচি কুঁচি করে কটেে সদ্ধি করনে। সঙ্গে একটু হলুদ আর মরচি। এর নাম দয়ো হলো খচিুর।ি সইে খচিুরি তখনকার দনিে কত যে মজা লাগতো, আহা! সইে খচিুরতিে চাল বা ভাত খুঁজে পাওয়া ছলি কঠনি। যদেনি কলার থোড় না পতেনে সদেনি ছঁেচি শাকরে সঙ্গে মশিয়িে একই রকম খচিুর।ি
একবার প্রচ- অভাব। ভীষণ অভাব।
কোন কাজ নইে। মা আমাদরে সঙ্গে করে নয়িে গলেনে আক্কাচদরে ভটিায়। সঙ্গে একটি ঝুড়।ি সবার হাতে টঙ্গে।ি টঙ্গেি দয়িে আমরা মাটি কুপয়িে কুপয়িে কচু তুললাম। এক সময় তাতে ঝুঁরি ভরে গলে। তা নয়িে বাড়ি এলনে মা। সদ্ধি করলনে কচু। তারপর উপররে খোসা ছাড়য়িে বরে করে আনা হলো কচুর মুল অংশ। এবার পাতলিে পানি দয়িে জ্বালানো হলো। পানি ফুটতে শুরু করলে ছাল ছাড়ানো কচু আলু র্ভতার মতো করে সইে পানতিে ছড়েে দয়ো হলো। সঙ্গে দয়ো হলো হলুদ ও মরচি। মা একটি চামচ দয়িে ভাল করে নাড়তে লাগলনে। নাড়ার ফলে পানরি সঙ্গে একবোরে মশিে গলে কচু। ভাল করে ফুটানো হলো তা। এরপর লবণ দখেে তা নামানো হলো। এই খাবারটরি নাম হলো খাটা। কচুর খাটা। আমাদরে সামনে মা পরবিশেন করলনে তা। আমরা খলোম। তবে গলা চুলকানো শুরু হলো ভীষণ। তাই পাশরে বাড়রি তঁেতুল গাছ থকেে তঁেতুল পড়েে আনা হলো। তা খয়েে গলা চুলকানো কমলো। এমনি করইে কটেছেে আমাদরে দনি। আর কত বলব বন্ধু!
হাটবারে বাবা হাটে যয়েে মুখে হাত দয়িে বসে থাকতনে। তার কাছে টাকা নইে। মানুষ ধামার্ভতি বাজার নয়িে বাড়ি যায়। আর আমার বাবা খালি ব্যাগে চোখ মোছনে। বাড়তিে মা আশায় বসে আছনে কোন না কোন একটা ব্যবস্থা তো করইে বাবা ঘরে ফরিবনে। কন্তিু রাত যখন গাঢ় হয়ে এসছেে তখন বাবা ঘরে ফরেনে। রাগে ক্ষোভে ভাজ করা খালি ব্যাগটা বারান্দায় ফলেে দয়িে হাতমুখ ধুতে চলে যান। তার বুকরে ভতির তখন যে কি ঝড় বইছে তা কোন ব্যারোমটিার দয়িে মাপা সম্ভব নয়। মার আশার বলেুন এতক্ষণে ফুটো হয়ে গছে।ে মা কোন কথা বলনে না। ব্যাগটি তুলে নয়িে রখেে দনে ঘর।ে তখন পাশরে বাড়ি থকেে টাটকা ইলশি ভাজার ঘ্রাণ ভসেে আসে বাতাস।ে রাতে ঘুমাতে গয়িে বাবা তার মনরে দুঃখরে কথা খুলে বলনে মার কাছ।ে বাবাকে মা বোঝানÑ আপনি কাইন্দনে না তো! ছলেরো বড় হলি আমাগার দুঃখ আর থাকপনে না।
সে র্পযন্ত তো আমাগার বাঁচতি হব!ি
আল্লাহ-ই বাঁচাবনে।ে আল্লাহ তার বান্দার মনরে খবর রাহ।ে
তাই যনে হয় বউ।
আমি কই কি আপনি বদিশেে যান।
বদিশেে যাব?
হ। বদিশেে যায়ে এক মাস থাহে আসনে।
আমি এক মাস বদিশেে থাকলি তোমরা ক্যামনে বাঁচবা?
সে ভার আল্লাহর ওপর, তারপর আমার ওপর ছাড়ে দনে।
মার কথায় রাজি হয়ে যান মা। বদিশে মানে দূররে কোন গাঁয়ে দনিমজুরি দয়ো। আমাদরে এলাকার বড় হাট কানাইপুর বাজার। সইে হাট বসে শুক্রবার ও মঙ্গলবার। সখোনে একপ্রান্তে বসে মানুষ কনোবচোর হাট। সখোনে দনিমজুররা জড়ো হন। গরেস্থ বাড়রি র্কতা গয়িে সখোন থকেে শক্ত সার্মথ দখেে দনিমজুর নয়িে ননে কন্টাক্ট।ে কন্টাক্ট মানে তনি বলো খাওয়া, থাকা ফ্র।ি কাজ করার বনিমিয়ে প্রতদিনি নর্ধিারতি পরমিাণ মজুর।ি এমনই এক বাজারে গয়িে একদনি আমার বাবা সুজন ময়িা বক্রিি হয়ে চলে যান পদ্মার চর।ে তারপর থকেে এক মাস তার কোন খবর জানতে পারি না আমরা।
এদকিে বাড়তিে মা আমাদরে নয়িে লড়াই করতে থাকনে। একবার যান তার মামা বাড়।ি একবার যান আমার নানা বাড়,ি মানে মার বাবার বাড়।ি তাদরে কাছ থকেে চয়েে চন্তিে আননে ধান বা চাল বা গম। তা দয়িে আমাদরেকে কোনমতে বাঁচয়িে রাখনে। এদকিে আমাদরে পড়াশোনার খরচ টানতে পারনে না। তাই স্কুল থকেে আমাদরেকে বনিা বতেনে পড়ার সুযোগ করে দয়ো হয়ছে।ে তাই বলে খাতা কলম কনোর টাকা পাব কোথায়! শুরু করলাম প্রাথমকি বদ্যিালয়ে থাকতইে টউিশন।ি টউিশন থকেে যা পাই তা দয়িে নজিরে খাতা কলম কনি।ি খাতায় প্রথমবার লখিি পন্সেলি দয়ি।ে তারপর তার ওপর দ্বতিীয়বার কলম দয়িে লখিে ব্যবহার কর।ি এতে একই খাতার দুইবার ব্যবহার হয়।
একমাস পরে বাবা যখন ফরিলনে সদেনি যনে আমাদরে ঈদরে আনন্দ। পদ্মার চর থকেে লুঙ্গতিে বঁেধে এনছেনে মষ্টিি আলু। এই আলু কাঁচাও খাওয়া যায়। বশে মষ্টিি লাগ।ে মা সখোন থকেে কতগুলো নয়িে সদ্ধি করলনে। তা আমাদরেকে খতেে দলিনে। আমি আলুর উপররে খোসা না ছাড়য়িইে খতেে লাগলাম- আমার পরষ্কিার মনে আছ।ে তা নয়িে আমাকে অন্য ভাইবোন বশে খপোতে লাগলো। আমি বললামÑ আমাকে খপোও কনে? আব্বা কষ্ট করে আলু কনিে এনছে।ে খোসা ফলেে দলিে তো তা বাদ হয়ে যাব।ে খয়েে ফলেলে তাতে পটে ভরব।ে আমার এ কথায় ওরা হাসলো। হাসলনে বাবাও। খোসা সমতে সইে আলু খয়েে আমার বশে পটে ব্যথা হয়ছেলি মনে আছ।ে
আজ সসেব কথা বড্ড মনে পড়।ে
আমার সঙ্গরে, আমার বয়সী গ্রামরে অন্যরা এখন দনিমজুর, অন্যরে জমতিে খটেে সংসার চালায়। আর আম?ি আমি বদ্যিরে জোরে একজন চাকুর।ে ভাল না হোক যা বতেন পাই তা দয়িে কোনমতে এই কষ্টরে বাজারে দনি কটেে যায়। সন্তানরে পড়ালখো, সংসাররে খরচ বাদ দলিে হাতে বাড়তি কোন পয়সা থাকে না। মা এখন শয্যাশায়ী। তার প্রতি মাসে তনি হাজার টাকার ওষুধ লাগ।ে তাকে হরলক্সি দতিে হয়। ফল দতিে হয়। ভাল পথ্য দয়োর চষ্টো কর।ি কন্তিু খরচ যোগাতে গয়িে হমিশমি খতে।ে কপালও ভাল। অকস্মাৎ একদনি প্রশাসন থকেে ডাক পড়ল। ভয়ে ভয়ে গলোম। জানি না চাকরচ্যিুতরি নোটশি দয়ো হবে কনিা। কন্তিু প্রশাসনকি র্কমর্কতার সামনে যতেইে তনিি একগাল হাসি দলিনে। আমার ভতিররে গুমোট ভাবটা একটু কটেে গলে তাত।ে আমাকে বসতে বললনে তনি।ি তার সামনে রডরে চয়োর। আমি বসলাম। তনিি আমার দকিে একটি হলুদ খাম ধরয়িে দলিনে। আমি হাতে নয়িে তখনও বুঝতে পারলাম না কসিরে খাম সটে।ি তনিি বললনে, কি হলো রণবীর। খাম খোলনে!
খুলব?
হ্যাঁ, ভয় নইে। খোলনে।
আমি ত্রস্ত্র হাতে খামটি খুললাম। বশ্বিাস হচ্ছলি না। আমার প্রমোশন হয়ছে।ে বতেন বড়েছে।ে এখন দ্বগিুন বতেন আমার। সবার আগে আল্লাহর দরবারে শুকরয়িা আদায় করলাম। মনরে র্পদায় ভসেে উঠল মার মুখটা। তনিি যনে বলছনে- আল্লাহ তোমার কাছে আমানত আমার সন্তানরা। তুমইি ওগার জম্মিাদার। মনে হলো মার র্প্রাথনা কবুল করছেনে আল্লাহ। যে মা তার সন্তানরে পড়াশোনার জন্য অন্যরে বাড়তিে ঝয়িরে কাজ করনে, বাড়া ভাননে তার র্প্রাথনা, তার শ্রম বৃথা যতেে পারে না।
এবার আমি একটু চালাকি করলাম। বতেন বাড়ার খবরটি বাসায় আমার স্ত্রীকে জানালাম না। আমার পরকিল্পনা- বাড়তি টাকাটা আমি মাকে পাঠাবো। এ কথা বউকে জানালে হয়তো সে বাগড়া দতিে পার।ে ময়েে মানুষরে মন। বলা তো যায় না। যদি বাগড়া দয়িে বসে তাহলে আমি মায়রে অধকিার আদায় করতে পারবো না। বাবার প্রতি র্কতব্য পালন করতে পারবো না। এতে সংসারে অশান্তি নমেে আসব।ে আমি তা চাই না। তাই স্ত্রীর কাছ থকেে গোপন করলাম বষিয়টা। সইে গোপন গোপন রখেে আমি মায়রে সবো করে চলছে।ি মা আমার, বাবা আমার যে কষ্ট কর,ে যে শ্রম দয়িে আমাদরে মানুষ করছেনে তার কাছে এই গোপনীয়তার মাধ্যমে যে অন্যায় আমি করছি তা কছিুই না। এখন এই যে আম-ি আমত্বি। সবই আমার মা-বাবার শ্রম, উচ্চ মানসকিতার ফসল। এ শ্রমরে মূল্য কোনদনি শোধ করতে পারবো না। মা তুমি আমাকে ক্ষমা করো। বাবা আমাকে ক্ষমা করো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।