আমি আজ আমার জীবনের একটি ভালোবাসার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বেশ অনেকদিন আগের কথা তবুও আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে ভাল লাগছে না।
তাহলে এবার শুরু করি...

দেইখা লাভ কি ? বাড়ির থেইকাই কাটা ব্যাগ নিয়া আসছেন। এই ধান্দা অনেকেই করে। চোরের দেশ। ভাড়া দেন, নাইলে নামায়ে দিমু।
- আমি এমন কিছু করি নাই মামা। আপনে একটু দেখেন না মামা, চোর বাসেই থাকতে পারে।

নাম তার রহিম। একটি সমস্যার কারনে সে অবহেলিত। তার দু'মণি দু'হাতের বেশি দূরুত্ব দৃষ্টিগোচর হয়না। খেলা - ধুলা, লেখা- পড়ায় সে পিছিয়ে। যখন সে পঞ্চম শ্রেনী পাস করে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হল বাড়ি থেকে দূরে থানা শহরে। তখন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়।

"তমাল সাহেব একজন সধারন মনের মানুষ। একটা বেসরকারি কলেজে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কাজ করে। তারপরেও নিজের প্রতি অনেক বিশ্বাস, আর যে বেতন পায় তাই দিয়ে সংসারের ভার ছেলেমেয়েকে পড়ালেখা বেশ ভালোই চলে।

বুঝছেন ভাই, মায়া মানুষ হইলো তরল পদার্থ। আপনে যে পাত্রে রাখবেন সেই পাত্রেরই আকার ধারণ করবে। এই জন্য এদের সাথে খুব বুঝে শুনে চলতে হয়। বুঝেন নাই?'

ঝকঝকে সাদা মার্বেলের মেঝের উপর শিমুর রুক্ষ শুষ্ক পায়ে কম দামি স্যান্ডেল জোড়া কি বেমানান লাগছে! নিজের পা দেখে নিজেই হঠাৎ চমকে ওঠে শিমু, গোড়ালির চামড়া ফেটে আছে । চট করে শাড়ির নিচে পা দুটো লুকিয়ে ফেললো সে ।

হঠাৎ দেখা সেই মুহুর্ত, পড়ন্ত বিকাল আর কিছু পরেই সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করবে। শীতের দিনে আরও তাড়াতাড়ি হয়। কেন যেন এখনি মনে হচ্ছে সোনালী হয়ে গেছে সুর্যটা। আছরের আজান হয়ে গেছে

সন্ধ্যে ৭টা, সাউথ সিটি তে আসতে আসতে ভিড় বাড়ছে। সালমা বার বার ঘড়ি দেখছে, তনিমা আস্বস্ত করল, “আরে চাপ নিচ্ছিস কেন? আসবে যখন বলেছে ঠিকই আসবে! চল আমরা ভিতরে যায়”। কে.এফ.সি থেকে দু-প্লেট চিকেন নিয়ে একটা টেবিলে দুই বন্ধুতে গল্প করতে লাগল। এর আগেও দুই বন্ধুতে এসেছে কিন্তু আজ সালমার কিছু ভাল লাগছে না।

কিরে পেত্নী! তোকে না বলেছিলাম দুই বেণি করে চুল বাঁধবি; তারপর ধুতুরাফুল বাঁধবি ঝুঁটিতে...
-দেখ সজলভাই, তুমি খুব জ্বালাচ্ছো ইদানীং। টুম্পা দু’চোখের তারা ডানেবাঁয়ে ঘুরিয়ে, মাথার পেছনের স্বাস্থ্যবান বেণিটা ঝটকা মেরে বুকের উপর ফেলে, হাত দুটি কটিদেশের দু’পাশে বসিয়ে, ঝগড়ার ভঙ্গিমায় সজলের কথার উত্তর দিলো।

সব ঠিক ঠাক থাকলে সামনের মাসের ২২শে অগ্রহায়নে দিনমজুর বাবার জ্যৈষ্ঠ কন্যা ফরিদার বিয়ে। পাশের গ্রামের মইজ ব্যাপারীর দ্বিতীয় ছেলে রাজমিস্ত্রি করিমের সাথে। এ বিয়েতে ফরিদার বাবা পন হিসেবে নগদ দশ হাজার টাকা ও একটা সাইকেল দেওয়ার কথা। বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসে।

বারান্দার ইজিচেয়ারটাতে বসে ছোলামুড়ি খাচ্ছি।
ছুটির বিকেল। রিনার সাথে এটা আমার একরকমের অলিখিত চুক্তি। অন্যদিন বিকেলে নাস্তা হিসেবে চা বিস্কিট যাই দিক না কেন, ছুটির দিনগুলোতে অবশ্যই ছোলামুড়ি চাই আমার। আর সাথে যদি একটু বাদামভাজা ছড়িয়ে দেওয়া যায়...ওহ! তোফা!

আজ রবিবার, তাই দিবার অফিস যাওয়ার তাড়া নেই। সাত সকালে বিছানা ছাড়তে হবেনা, শাওয়ারের ঠান্ডা জলের নীচে দাঁড়াতে হবেনা, মজাই মজা।শীত গ্রীষ্ম বলে কোন কথা নেই, ঠান্ডা জলে স্নান করতে দিবা ভয় পায়,

রাত্রির নিশানা যখন গভীরে নিমগ্ন হয়, যেটাকে রাত্রির কোমর ডিঙ্গিয়ে যাওয়া বলে - সেই সময়ও যখন দানা-পানিহীন অভুক্ত কেউ সূর্যের উদয় থেকে শুরু করে একটা শরীর নিয়ে একটা আলোকোজ্জ্বল শহরের ব্যস্ততম রাস্তাটির একপাশে টলমল করতে করতে হাটে,

আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম, হ্যাঁ আছি মোটামুটি।
- মোটামুটি কেন? তোমার তো বেশ ভালো থাকার কথা।
- ভালো থাকার কথা কেন?
- নতুন প্রেম করছো।
- কে বলল তোমাকে?

স্বামী ও সন্তানহীনা এক রমণী অপি । রাস্তার পাশে কুঁড়েঘরে তার বসবাস । ঘরের সামনে ছোট্ট একটি ভাঙা চালায় তার রান্নার ব্যবস্থা । শীতের সময় অপির ভাঙা ঘরে হু হু করে বাতাস ঢুকে আর বর্ষার সময় ঘরে পানির অভাব হয় না । খাবার সময় কেউ রাস্তা অতিক্রম করলে জিজ্ঞাসা করতে হয় না, কি তরকারি?