মেঘবতী দুপুর

রমণী (ফেব্রুয়ারী ২০১৮)

প্রজ্ঞা মৌসুমী
  • ১০
  • ১০
শেফালীর মা—শেফালী ফুলের মতো ঝরে গেছে যার নিজের নামটুকুন। নদীর ভাঙ্গনে যেমন গুড়িয়ে যায় পাড়ের ইতিহাস। বিয়েও যেনবা এক নদীর ভাঙ্গন যে ভাঙনে গুড়িয়ে যায় পেছনের কতো নাম, ঠিকানা, কতো পুরনো আয়না। বহতা সংসারের মুখরতায় খোলক আর খোলসের পার্থক্য উপচে হয়ে উঠে যারা- শাহজালালের মা, খোকনের মা, ঊষারাণীর ছোটমা, হুমায়ুনের বউ, ছোট বউ, বৌদি- শেফালীর মা ওদেরই একজন।

সেই কবে নোলক দুলিয়ে একরত্তির বউটা পা দিয়েছিল এ বাড়ির উঠোনে রমিজ হালদারের ভালো করে যেন মনেও পড়ে না। স্মৃতিরা বুঝিবা ডুবেছে কচি হেমলকের ঘোরে। যে ঘ্রাণ বুকে নিয়ে কেটেছে বারো হাজার রাত, সেই চেনা অভ্যস্ত গন্ধটাই হারিয়ে গেছে কোন সময়ের দরজায়! বাড়ি ফেরার পথে দেওয়ান বাড়ির দেয়ালের ওপাশের গাছটাকে কোনদিন না দেখেই ও যেমন বুঝে নিত কামিনীর ঘ্রাণ। গাছটা কেটে ফেলার পরও অভ্যস্ত স্নায়ু কতো বিকেল এক ঠায়ে খুঁজে গেছে সেই ঘ্রাণ। তবু ঠিকঠাক আজও মনে করতে পারে না কেমন হয় কামিনীর গন্ধ। স্মৃতিকাতরতা নিয়ে কেবল ভেবেছে- এখানে একদিন কামিনীর গন্ধ ছিল।

সময় যাযাবর হয়, জানি। তবু তো কখনো সখনো ফেরে তার শ্বাস। উটপাখি না হোক, এক রত্তি দীর্ঘশ্বাসের মতো। হয়তো তাই হুহু করা বাতাসের মতো হঠাৎ হঠাৎ বয়ে যায় শেফালীর মা- একটা নাকছাবি হয়ে, শেফালীর ভ্রুতে, সেঝ ছেলের ঝর্ণার মতো কাটা দাগে, কোন পান খাওয়া ঠোঁটে, মেয়ে যামিনীর আধ খোপা, চাল ধোঁয়া হাতে... ডিম দেয়ার আগে মুরগী যেমন করে তড়পায়, অস্থির হয়। তেমনই উলোটপালট অস্থিরতায় রমিজ হালদার চিহ্ন খুঁজে। উট পাখির ডিমের মতো যে চিহ্নের ভার। তোফারয়া বানুর সব সহ্য হয়, সহ্য হতে চায় না যেন উট পাখির মতো কোন চিহ্নের খোঁজ। সেখানে পুড়ে যাওয়া ছালুনের মতোই কাতরায় কৃতজ্ঞতাবোধ।

ভেঙে পড়ার চেয়ে নড়বড়ে থাকাতেই স্বস্তি- মাস খানেকের বোধে রমিজ হালদার খুঁজে নেয় বধুয়ার ঘ্রাণ। আরও একবার।আর তোফারয়া বানু খুঁজে নেয় মাতৃত্বের স্বাদ না পাওয়ার সান্ত্বনা। বাঁজা বলেই না বড়ো অবেলায়ও পেয়েছে এমন ভরা সংসার। সারেং বাড়ির মেয়ে সে। ও জানে কী করে বয়ে যেতে হয় উজানে, ঝড়ে। সারেং বাড়ির মেয়ে বলেই ও বেপরোয়া নয়, বড়ো সাবধানী। হয়তো তাই দেয়ালের ছবিটাকে, উট পাখির মতো চিহ্নের ভারে কাতর স্বামীর চোখের জলরে ওর এত ঈর্ষা, এতটা ভয়। তাই উপড়ে নেয়া কামিনী গাছটার মতোই দেয়ালের ছবি হারিয়ে যায়। ছেড়ে যায় স্থান। সত্যিই কী দেয়ালের কছে প্রতারিত আমরা? তবে কেন সেকান্দরের মনে পড়ে সেই বিভোর সন্ধ্যায় নজর কাটাতে পাড়ার দেবররা থুথু ছিটানোটা ত্যাক্ততার পর্যায় নিয়ে গেলে, কনেবৌয়ের ভ্রু কুচকে বিরক্তি প্রকাশের দুঃসাহস! সেদিনই ও বলেছিল- বউটার বড়ো জেদ।

বারো হাজার দিনের পর সে কথাই কি ভাবিনি আমরা দুটো দাঁত ভেঙে ফেলেও যে দুপুরে কিছুতেই শেফালীর মায়ের মুখ খুলানো যায়নি। তবে কী দেয়ালের কাছে সবটাই হেরে যায়নি শেফালীর মা! আজও হুহু করা বাতাসের মতো হঠাৎ হঠাৎ বয়ে যায় শেফালীর মা। সেই মেঘবতী দুপুরের শব্দ ভেসে যায়
শিমুল গাছটাকেকে ঘিরে- 'কোনদিন নামাজ কাজা করতে দেখি নাই, বড়ো পরহেজগার, জানাজা পড়াইতে কোন মৌলানাই রাজি না, ছোট মেয়েরে দিয়া বিষ কিনি আনাইছে, আজমল দোকানীর কাছে ভাবীর হাতের লেখা চিরকুট আছে... আম্মা, আমারে ক্ষমা করো। আমারে নিয়ে তোমাদের ঝগড়া না হলে... রমিজ হালদার তড়পায়- আহারে আমি তো বলছিলাম ফিরা আসি যেন না দেখি তোরে। না দেখি।'

কত অনুতাপে, জলের ভারে সেদিনের দুপুর হয়েছিল উড়তে না শেখা উট পাখির ডিম। আর উঠোনে... আহা, পড়ে থাকা শেফালীর মা। পাড়া জুড়ে কত মুর্তার পাতা, কত নকশি পাটি অথচ একটা ভাঙা পাটিও জুটে নি ওর। ঠিক যেন ঝড়ে পড়া ফুল। মেঘবতী ফুল। আহা চোখের কোণে পৃথিবীর শেষ জল নিয়ে বলেছিল যে- আমি আর পারি না, আর পারি না...

ঠিক এখানেই ত্রিশূলের মতো সুমাইয়া আপা, আমাদের হলের
সেই ঝাঁঝ লবঙ্গ, অক্ষরের ভিড়ে বলে উঠে- ভালোবাসা ন্যাপথালিনের গুটির মতো। সম্পর্ককে যত্নে রাখে বটে। তবে হাওয়ায় উবে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। শোন মেয়ে, মরে গেলে তোমার বর কোনদিন বিয়েই করবে না এইটা যদি কনফিডেন্টলি বলতেই না পারো তো সংসার সংসার করে না মরে কখনো সখনো বেঁচে থেকো শুধু নিজের জন্য...নিজের স্বপ্নটার জন্য...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাদিক ইসলাম গল্পে অলংকারের ব্যবহার বেশি তবে সুন্দরভাবে উপস্থাপিত। শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী আপনার লেখা মানে আমার কাছে বেশ চমৎকার। কয়েকবার পড়েছি, নেটে সমস্যা ছিল বলে মন্তব্য করতে পারেনি। আপনার গল্পতে সব সময় বিশেষ করে বাস্তবিক রুপ থাকে, আমি যতটা পড়েছি তার সবগুলোতে পেয়েছি। এটাতেও তাই। আর কিছু বলবো না। শুভকামনা....
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি শেফালীর মা—শেফালী ফুলের মতো ঝরে গেছে যার নিজের নামটুকুন। নদীর ভাঙ্গনে যেমন গুড়িয়ে যায় পাড়ের ইতিহাস। বিয়েও যেনবা এক নদীর ভাঙ্গন যে ভাঙনে গুড়িয়ে যায় পেছনের কতো নাম, ঠিকানা, কতো পুরনো আয়না।......// খুব ভালো গল্প.....শুরু থেকে শেষ....মুল কাহিনী বলতে গিয়ে প্রাসঙ্গিক চিত্রকল্প গুলো উপন্যাসের মত বাড়তি রসের যোগান দিয়ে গল্পের স্বাদ বারিয়েছে...ভোট আর শুভ কামনা রইলো মৌসুমী আপা...সময় পেলে আসবেন আমার কবিতার পাতা......
ওয়াহিদ মামুন লাভলু আপনার গল্পটা অনেক কঠিন ও মানসম্পন্ন। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। এই গল্পে মন্তব্য করার স্পর্ধা আসলে আমার নেই। তবুও করলাম আমার অনেক অনেক ভালো লাগা জানানোর জন্যই। আমার মন্তব্যে যদি কোনো ভুল বা দোষ থাকে তবে আমাকে ক্ষমা করবেন প্লিজ। সবসময় ভাল থাকবেন।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু আপনার গল্পটা হৃদয়ঙ্গম করার জন্য অর্থাৎ অন্তত কিছুটা হলেও বুঝতে পারার জন্য গল্পটা কয়েকবার অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হলো। তারপরই মন্তব্য করার মত কিছু কথা খুঁজে পেলাম। স্বামী যদি ফিরে এসে স্ত্রীকে না দেখার কথা বলে তবে তো একজন স্ত্রী অভিমানে আত্মহত্যা করতেই পারে। এইজন্য স্ত্রীকে এ ধরণের কথা বলতে নেই। কিছু মানুষ একসঙ্গে থাকলে ঝগড়া তো হতেই পারে। অবশ্য ঝগড়াটা কি নিয়ে হয়েছিল তার উল্লেখ করলে এ ব্যাপারে কৌতূহলটা দূর হতো আর কি। শেফালীর মায়ের একটা ভাঙ্গা পাটিও না জোটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। জীবনের প্রয়োজনে রমিজ হালদারের পুণরায় বিয়ে করা বোধহয় ঠিকই আছে। আর তোফারয়া বানুর ঈর্ষাটা স্বাভাবিক, তবে যে মানুষ চিরতরে চলে গেছে তার জন্য তার স্বামী কষ্ট পেলেও তাকে তো আর সে ফিরে পাবে না, তাই তোফারয়া বানুর তো তাতে কোনো ক্ষতিও হবে না, তাই ছবিটা সে রাখতে পারতো! ভালবাসা ন্যাপথলিনের গুটির মতো, এটা হয়তো ঠিক। কিন্তু স্ত্রী মরে গেলে অনেক সময় বাকী জীবনটা অন্তত নড়বড়েভাবে বেঁচে থাকার জন্য হলেও আবার বিয়ে করার প্রয়োজন পড়তে পারে হয়তো। অবশ্য একজন রমণীর উচিৎ সংসারের জন্য নিজেকে পুরোপুরি শেষ না করে দিয়ে নিজের জীবনের কথাটাই সর্বাগ্রে চিন্তা করা।
মনজুরুল ইসলাম ajossro shefalir ma samaje evabei aj din katacche. narider oti govire lukie thaka koster drissokolpoke attonto nandonikvabe tule ana obossoi medhar porichoy.sei sathe ontim chitrokolpe protibadi chetonar songjukti oshadharon. sonali valo laga kaj korle moner gohine. aktu barale aro valo lagto.onek onek shuvo kamona.
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া আমার কাছে গল্পটি রাগ প্রধান সঙ্গীতের মতো দুর্বোধ্য মনে হয়েছে। হয়তঃবা নূতন পাঠক বলে গলঃধরণ করতে কষ্ট হচ্ছে। গল্পটি বুঝতে গিয়ে বোঝার মতো ভারী মনে হয়েছে। দ্রুপদী ধরণায় লিখতে গিয়ে গল্পের টিউন নষ্ট হয়ে কখনো সুরেলা মনে হয়েছে আবার কখনোবা বেসুরো ঠেকেছে। আমাদের যখন এ অবস্থা তখন সাধারণ পাঠকদের কথা ভেবে কষ্ট পাচ্ছি। আমার কথায় মন খারাপ করবেন না। এ ধরণের গল্পে আমার দৌড় অতি অল্প-ক্ষমা করবেন। সময় পেলে আসবেন আমার গল্প ও কবিতার পাতায়।
ঠিক কোথায় বেসুরো সেটা স্পষ্ট বললেই আমার উপকার বেশি হতো। নিজের লেখার পক্ষে কি আর বলবো? কিন্তু সব কঠিনের হয়ে সুনীল 'অন্য দেশের কবিতায়' লিখেছিলেন- "বাংলা কবিতায় ক্রমশই অতি সারল্যের প্রবণতা এখন দেখা যায়, যার ফলে অধিকাংশ কবিতাই যে অর্থহীন আবেগ-ফলাফল হিসেবে প্রতীয়মান হয়, এর পরিপূরক হিসেবে কিছু দৃঢ়বদ্ধ, কঠিন, চেতনাপ্রধান কবিতার আদর্শও উপস্থিত থাকা উচিত।" গদ্যের ক্ষেত্রেও যায় কথাটা। হিমালয়ে চড়াও অনেক সাধারণের জন্য কঠিন তাই বলে হিমালয় কি সৃষ্টির বাজে খরচ? পাকা ফল মাটিতে পড়ে সহজ কথা। দাঁতভাঙা হলো গিয়ে ঐ নিউটনের আবিষ্কার-আকর্ষণ বলের মান বস্তু কণাদ্বয়ের ভরের গুণ ফলের- সে কঠিনেও আছে বিজ্ঞানের সুধা। সাধারণ পাঠক নিয়ে কষ্ট পাবেন না। ওঁদের জন্য আপনি/আপনারা তো আছেনই। আমি পেছনের সারির। শুধু কঠিন কঠিনই শুনলাম। নারীর জীবনের কষ্টের ভারটাও তো লঘু কিছু নয়। সে যাক, শুধু কোন নারী গল্পের কোন একটা কথা মনে রাখলেই বর্তে যাই। সাধারণ পাঠক যাকে ফেলে যায়, তাকে কেন আবার আপনার গল্প-কবিতায় আমন্ত্রণ? আপনার পাঠক প্রিয়তার তো কোন অভাব হবে না।
মোঃ মোখলেছুর রহমান গত সংখ্যা শেষ দিকে এসে কমেন্ট করেছিলাম,দেখেছেন হয়ত,পূনঃ সেইটেই বলতে ইচ্ছে করছে।"পড়তে যত কষ্ট বুঝতে তত মজা.......। কবিতা যেমন একটি গল্পের জ্ন্ম দিতে পারে ঠিক এর উল্টো একটি গল্পে অনেকগুলো কবিতা থাকতে পারে। আপনার গল্পে শেষেরটা বিদ্যমান।ভাল থাকবেন।
মোস্তফা হাসান ফাহমিদা বারী আপার মন্তব্যটা খাটি। গল্পটা বুঝতে একটু কষ্টই হল। তবে গল্পে উপমা গুলো দারুণ। শুভকামনা।
Fahmida Bari Bipu প্রজ্ঞা, আপনার গল্প মানে কবিতার উপমা ঠিক যেন। দু'বার পড়াতে কিছুটা বোধগম্য হলো। আমি আপনার গল্পকে বলি ধ্রুপদী গল্প। সুন্দর। তবে সাবলীল সহজ ভাষায় বলা গল্প নয়, এটাই যা অসুবিধে। গল্পের শেষ বাক্যে কনফিডেন্টলি শব্দটা ভারী বেমানান ঠেকলো। রবীন্দ্র কাব্যে যেন হুট করে ওয়ার্ডসওয়ার্থ ঢুকে গেল। :)
ভাবি সহজ করে লিখব অথচ লিখতে গেলে... তাই হয়তো বলে-লেখক লেখে না, কেউ লিখিয়ে নেয়। শেষের উপমাটা ভীষণ ভালো লাগলো দি‘ভাই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নিজেই যে “শেষের কবিতায়” ডন, হুয়াইট, সাইমনকে অনায়াসে এনে, ইংরেজি শব্দের মিশেল আর প্রথমবারের মতো সাধুভাষাকে ছেড়ে হয়তো বুঝিয়ে দিলেন—ছোঁয়াছুঁয়ি মানা ধর্ম না, ওটা ধর্মের দূর্বলতা। আমি অবশ্য সুমাইয়ার কথার ঝাঁঝটা ধরার জন্য- কনফিডেন্টলি/ এইটা- এনেছিলাম। মনে হচ্ছে ঠিকঠাক হয়নি। সবসময় কৃতজ্ঞ দি‘ভাই ধ্রুপদী শব্দটার জন্য।  

১০ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্বাধীনতা”
কবিতার বিষয় "স্বাধীনতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারী,২০২৫