অনেক আক্ষেপ আর জমাট বাধা কান্নার পর জমতে থাকে সেই পুরনো প্রিয় মানুষটির উপর চরম ঘৃণা।

তার মুখটা ম্লান দেখাল । কিছুক্ষণ পর বলল, জনি, বশির, নাসির সবাইকে বলেছি। তারা কেউ আসেনি । একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল শাব্বির ।

আমি যে একজন প্রতারক এটা বুঝতে আমার বেশ সময় লেগেছে। যতোক্ষণে বুঝলাম ততোক্ষণে তোমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। তুমি মন সপে দিয়েছো আমার হাতে। মন।

গ্রাম ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরে আসার দুই বছর না ঘুরতেই পঞ্চমবারের মতো বাসা বদলে ফেলেছিলেন আব্বা ।

একটা দুর্ঘটনা কিন্তু কতোগুলো মানুষের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে আজ। সুমনের আত্মা হয়তো দূর দেখে দেখে কাঁদছে আর হয়তো ঘৃণায় ধিক্কার দিচ্ছে।

‘ভাইয়া, স্লামালাইকুম’ সিঁড়ি বেয়ে দো’তলায় উঠার সময় অচেনা নারীকন্ঠের সালাম শুনে অবাক হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই হাসান জিজ্ঞাসিত হল, ‘কেমন আছেন?’

ছোটনের খুব ইচ্ছা করে শুধু একবার, শুধু একবার প্রিয় মুখটা পিছনে তাকিয়ে দেখে। ইচ্ছে করে ছুটে গিয়ে তাকে বলে, রাইসা আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। এতটা আমি নিজেকেও বাসি না।
কিন্তু ছোটন ফেরে না।

"সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল..."

অন্যমনস্ক হয়ে চুলায় বসানো গরম কেটলীতে হাত দিয়ে চমকে উঠলো তিতির। ওঘর থেকে সবার তুমুল আড্ডা কানে আসছে,

হাহাহাহাহাহাহা মেয়েটি খল খল করে হেসে উঠলো, একটা সফেদ সুন্দর কোমল পদ্ম থেকে যেন বিষাক্ত কুৎসিত সাপ বেরিয়ে এলো আতিককে ছোবল দেয়ার জন্য, নাহ শেষ পর্যন্ত ছোবল দিলো না,

পায়ের সাথে ধাক্কা লেগে গয়নার ব্যাগ নালায় টইটম্বুর। সখিনার এক পা ক্ষেতের আলে অন্যটা নালার জলে। ওদের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে ঠাণ্ডা হাওয়া।
‘লক্ষ্মী সোনা, আমার সাথে সাথে বলো—আর কোনও দিন অনুরোধ করব না।’

অন্ধকারে থাকতে আমার ভয় লাগে।খুব মনে পড়ে ছোট বেলায় অন্ধকারে কেমন জড়সড় হয়ে যেতাম, চিৎকার করে উঠতাম।আব্বু

রাত্রি এখন মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে পড়েছে, অনেক দূর থেকে একদঙ্গল শেয়ালের চিৎকার ভেসে আসছে থেমে-থেমে এবং তার সঙ্গে গৃহস্থবাড়ির কুকুরগুলোও কেমন বির্ভষভাবে টানাটানা ডেকে যাচ্ছে,

সময় কত দ্রুত চলে যায়! ভাবতেই অবাক লাগে! মনে হয়, এই তো সেদিন জন্ম নিয়েছিলো আমার বোনটা।

খুব ভোরে মা বিছানা ছাড়লে আমিও তার পিছু যেতাম ।বাকি ভাইবোনরা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। মা ঢুকতেন সবজি বাগানে আর আমি সাথের শুকিয়ে যাওয়া পুকুর পাড়ে।